এই বিষয়টি এবং অন্যান্য কিছু অতিমাত্রায় আক্ষরিকভাবে গ্রহন করার কারণে উদ্ভূত ভুল বোঝাবুঝির বিষয়গুলো আমি আলোচনা করেছিলাম আমার পেপার in defence of selfish genes এ, যেখান থেকে উপরের উদ্ধৃতিটি নেয়া হয়েছে।
এখানে আমি অবশ্যই যোগ করবো, এই অধ্যায়ে বর্ণিত আকস্মিক রাজনৈতিক পাশ্বমন্তব্যের কারণ ১৯৮৯ সালে বইটি পুনপাঠ করা আমার জন্য বেশ অস্বস্তিকর ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটেনের শ্রমজীবি মানুষের প্রতি কতবার অবশ্যই এটি বলতে হবে (পুরো গ্রুপকে ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচাতে স্বার্থপর লোভ সংবরণ করার প্রয়োজনীয়তা); এটি পড়লে আমাকে মনে হতে পারে টরি বা রক্ষণশীলদের মত কথা বলছি (মূল বইয়ের পৃষ্ঠা ১০)! ১৯৭৫ সালে, যখন এটি লেখা হয়েছিল, তখন একটি সমাজতান্ত্রিক সরকার, যাদের ক্ষমতায় আনতে আমি ভোট দিয়ে সাহায্য করেছিলাম, ২৩ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে হতাশাজনকভাবে টিকে থাকার সংগ্রাম করছিল এবং অবশ্যই তারা বেশী বেতনের দাবী সামলাতে চিন্তিত ছিল। আমার মন্তব্য পড়ে মনে হতে পারে যে সেই সময়ের যে কোন শ্রমমন্ত্রীর ভাষণ থেকে সেটি সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন ব্রিটেনে একটি সরকার আছে, যা নতুন ডানপন্থী, যারা নিজেদের সংকীর্ণতা আর স্বার্থপরতাকে আদর্শের পর্যায়ে উন্নীত করেছে। আমার শব্দগুলো সংশ্লিষ্টতার কারণে একটি নতুন ধরনের কদর্যতা অর্জন করেছে, যে কারণে আমি আক্ষেপ প্রকাশ করছি। এমন না যে আমি কথাগুলো ফিরিয়ে নিচ্ছি; স্বার্থপর হ্রস্বদৃষ্টিতা এখনও অনাকাঙ্খিত পরিণতির কারণ যা আমি উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু ইদানীং, যদি কেউ ব্রিটেনে স্বার্থপর হ্রস্বদৃষ্টি উদাহরণ সন্ধান করতে চান, কারোরই উচিৎ হবে না প্রথমে কর্মজীবি শ্রেণীর দিকে তাকানো। আসলেই সম্ভবতই এটাই ভালো হবে কোনো একটি বৈজ্ঞানিক লেখাকে রাজনৈতিক মন্তব্য দিয়ে ভারাক্রান্ত করা থেকে পুরোপুরি বিরত থাকা। কারণ বিস্ময়করভাবে এই সব মন্তব্যগুলো তার সময় উপযোগিতা হারায় খুব দ্রুত। ১৯৩০ এর দশকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন বিজ্ঞানীরা –জে. বি. এস. হলডেন, ল্যান্সেলট হগবেন, যেমন– তাদের লেখায় বহু সময়-অনুপযোগী মন্তব্যে পূর্ণ।
(১৩) পুরুষ পতঙ্গ সংক্রান্ত এই অদ্ভুত তথ্যটি, আমি শুনেছিলাম ক্যাডিস ফ্লাই নিয়ে গবেষণা করছেন এমন একজন সহকর্মীর লেকচারে, তিনি বলেছিলেন যে তিনি চাইছেন ক্যাডিস মাছিদের বন্দীদশায় প্রজনন করানোর জন্য কিন্তু তিনি যতই চেষ্টা করছিলেন না কেন তিনি তাদের প্রজনন করতে প্ররোচিত করতে পারছিলেন না। এটি শুনে সেখানে সামনের সারিতে বসা এক কীটতত্ত্ববিদ্যার অধ্যাপক গর্জন করে উঠেছিলেন, যেন সবচেয়ে আবশ্যিক সুস্পষ্ট একটি বিষয় এখানে উপেক্ষা করা হয়েছে, “আপনি কি তাদের মাথাগুলো কেটে দিয়ে চেষ্টা করে দেখেননি?”
(১৪) কামিকাজি (স্বর্গীয় বাতাস) জাপানী আত্মঘাতী বোমারু বিমান চালকরা এই নামে পরিচিত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে মিত্র নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের বিরুদ্ধে জাপানী সেনাবাহিনী এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন প্রথাগত যুদ্ধ কৌশলের ব্যতিক্রম একটি পন্থা হিসাবে।
(১৫) জীববিজ্ঞানে ‘ফিটনেস’ শব্দটির ভিন্ন অর্থ আছে। বিবর্তন আর যৌন নির্বাচন তত্ত্বে এটি প্রধান একটি ধারণা। এটি জেনোটাইপ কিংবা ফেনোটাইপ উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যেতে পারে কোনো একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে। উভয় ক্ষেত্রে এটি একক সদস্যের প্রজনন সাফল্যের বিষয়টি ইঙ্গিত করে। কোনো একটি সুনির্দিষ্ট জেনোটাইপ বা ফেনোটাইপসহ গড়পড়তা কোনো সদস্য পরবর্তী প্রজন্মের জিন সম্ভারে গড়ে যে অবদান রাখে সেটা ফিটনেসের সমান। ডারউইনীয় ফিটনেস শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে শারীরিক বা ফিজিকাল ফিটনেসের সাথে এর পার্থক্য করতে। যেখানে ফিটনেস কোনো একটি জিনের অ্যালিলদের কোনো জিনের বা জিন লোকাসের বিভিন্ন বিকল্প রুপের একটি) মধ্যকার পার্থক্যকে প্রভাবিত করতে পারে। কোনো জিনপুলে এই অ্যালিলগুলোর উপস্থিতির হার বদলে যেতে পারে প্রজন্মান্তরে প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কোনো একক সদস্যদের ফিটনেসের উপর যে অ্যালিলগুলো বেশী ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে তাদের সংখ্যাই জিনপুলে ক্রমশ বাড়তে থাকবে, এই প্রক্রিয়াটির নামই প্রাকৃতিক নির্বাচন। ফিটনেস মানে জীবন কতটা দীর্ঘ সেটার পরিমাপ নয়। সুপরিচিত বাক্য Survival of the fittest কে আমরা ব্যাখ্যা করতে পারি, সেই ফর্ম বা রুপটির ( জিনোটাইপিক অথবা ফিনোটাইপিক) টিকে থাকা, যা পরবর্তী প্রজন্মগুলোয় তার বেশী সংখ্যক কপি বা প্রতিলিপি রেখে যাবে।
(১৬) ভেরো কপনার ওয়াইন-এডওয়ার্ডস (১৯০৬-১৯৯৭) ইংলিশ প্রাণিবিজ্ঞানী। তিনি সুপরিচিত গ্রুপ সিলেকশন মতবাদটি প্রচারের জন্য, যা দাবী করে প্রাকৃতিক নির্বাচন কাজ করছে গ্রুপ স্তরে।
(১৭) রিডাকশন অ্যাড আবসার্ডাম বা রিডাকশন টু অ্যাবসার্ডিটি, যুক্তি তর্কের একটি সাধারণ যুক্তি, যা প্রদর্শন করতে চায় কোন একটি প্রস্তাবনা সত্যি কারণ মিথ্যা, অপ্রমাণযোগ্য অথবা অসম্ভব ফলাফল হবে এটি অস্বীকার করলে অথবা প্রদর্শন করা কোনো একটি স্টেটমেন্ট মিথ্যা, কারণ এটি গ্রহন করলে মিথ্যা, অপ্রমাণযোগ্য অথবা অসম্ভব ফলাফল হবে।