যদি না আমরা স্বীকার করি যে রূপান্তরগুলি এত বিস্ময়কর যে বিষয়ে মিঃ মিভার্ট ওকালতি করেছেন, যেমন পাখি অথবা বাদুড়দের ডানার হঠাৎ উদ্ভব অথবা একটি হিপারিওনের একটি ঘোড়ায় হঠাৎ রূপান্তর, আমাদের ভূতাত্ত্বিক গঠনস্তরগুলির সংযোজকদের অভাবের ওপর হঠাৎ রূপান্তরে বিশ্বাসের দ্বারা কোন আলোকপাত করা যায় না। কিন্তু এই ধরনের আকস্মিক পরিবর্তনের ধারনার বিরুদ্ধে ভূণবিজ্ঞান প্রবলভাবে প্রতিবাদ করে। এটি সর্বজনবিদিত যে পাখি ও বাদুড়ের ডানা এবং ঘোড়া অথবা অন্য চতুষ্পদ প্রাণীদের পাণ্ডলিকে প্রাথমিক জ্বনাবস্থায় পার্থক্য করা যায় না, এবং অতি সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ধাপের দ্বারা এরা ভিন্ন হয়। আমাদের বর্তমান প্রজাতিদের পূর্বপুরুষদের অল্প বয়সের পর পরিবর্তিত হওয়ার দ্বারা এবং নূতনভাবে অর্জিত বৈশিষ্ট্যগুলিকে নিজেদের বংশধরদের মধ্যে সমরূপ বয়সে বংশগতভাবে প্রেরণ করার দ্বারা সমস্ত ধরনের ভূণগত সাদৃশ্যকে বিবেচনা করা যেতে পারে, যে প্রসঙ্গে আমরা পরে আলোচনা করব। এরূপে ক্রুণটি প্রায় অপ্রভাবিত অবস্থায় থাকে এবং প্রজাতিদের অতীত অবস্থানের রেকর্ড হিসাবে থাকে। অতএব বর্তমানের প্রজাতিরা তাদের উদ্ভবের প্রাথমিক ধাপগুলিতে প্রায়শই একই শ্রেণীর অন্তর্গত আদিম এবং লুপ্ত আকারগুলির সদৃশ হয়। ভূণগত সদৃশতার মতবাদ অনুসারে এবং বস্তুত যে কোন মতবাদ অনুযায়ী এটি অবিশ্বাস্য যে একটি প্রাণী উপরে উল্লিখিত বক্তব্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও আকস্মিক রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে গিয়েও ভূণাবস্থায় কোন আকস্মিক রূপান্তরের একটি চিহ্নও বহন করবে না; এর গঠনের প্রত্যেক ক্ষুদ্র অংশ অচেতনভাবে সূক্ষ্ম ধাপগুলির দ্বারা উদ্ভূত হয়েছে।
যিনি বিশ্বাস করেন যে কোন কোন প্রাচীন আকার, যেমন ডানাবিশিষ্ট কোন প্রাণী, আভ্যন্তরীণ শক্তি অথবা প্রবণতার মাধ্যমে হঠাৎ রূপান্তরিত হয়েছিল, তিনি সমস্ত উপমার বিরুদ্ধ!চারণ করে মনে করতে বাধ্য হবেন যে অনেক একক যুগপৎ পরিবর্তিত হয়েছিল। এটি অনস্বীকার্য যে গঠনগুলির এরূপ আকস্মিক ও বিরাট পরিবর্তন সেইসব পরিবর্তনের থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হয় যেগুলি অধিকাংশ প্রজাতি স্পষ্টত অতিক্রম করেছে। তিনি আরও বিশ্বাস করতে বাধ্য হবেন যে একই জীবের অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশে সুন্দরভাবে অভিযোজিত অনেক গঠন আকস্মিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে; এবং এরূপ জটিল ও আশ্চর্যজনক সহ-অভিযোজনের একটিরও ব্যাখ্যা দিতে তিনি সমর্থ হবেন না। তিনি স্বীকার করিতে বাধ্য হবেন যে এইসব বিরাট এবং আকস্মিক রূপান্তরের কোন চিহ্নই ভূণে নেই। আমার মতে, এসব স্বীকার করার অর্থ হচ্ছে অলৌকিকের রাজ্যে প্রবেশ করা এবং বিজ্ঞানকে পরিত্যাগ করা।