- বইয়ের নামঃ পাইরেট
- লেখকের নামঃ ক্লাইভ কাসলার
- প্রকাশনাঃ রোদেলা প্রকাশনী
- বিভাগসমূহঃ অনুবাদ বই, রহস্য, গোয়েন্দা কাহিনী, উপন্যাস
পাইরেট
০১. স্যাম এবং রেমি ফার্গো
পাইরেট – ক্লাইভ কাসলার / রবিন বারসেল। অনুবাদ: রাফায়েত রহমান রাতুল। প্রথম প্রকাশ একুশে বইমেলা ২০১৮
চরিত্রসমূহ :
১২১৬
নরফোক, ইংল্যান্ড
উইলিয়াম দ্য মার্শাল-পেমব্রুকের আর্ল, কিং জনের অনুগণ।
রবার্ট ডি ব্রুজ কিং জনের সৈনিক, যে পরবর্তীতে বিশ্বাসঘাতকে পরিণত হয়েছিল।
হিউ ফিটজ হিউবার্ট-উইলিয়াম দ্য মার্শালের বিশ্বস্ত সৈনিক।
জন ডি লেসি-কিং জনের গার্ড।
কিং জন-ইংল্যান্ডের রাজা।
বর্তমান সময়
উইলিয়াম দ্য মার্শালের বংশধর এবং তাদের শত্রুসমূহ
গ্রেস হারবার্ট-স্যার এডওয়ার্ড হারবার্টের দূর সম্পর্কের আত্মীয়া।
স্যার এডমুন্ড হারবার্ট-(কাল্পনিক) দ্বিতীয় লর্ড মর্টিমার এডমুন্ড মর্টিমারের অবৈধ সন্তান।
হিউ লি ডেসপেন্সর-দ্বিতীয় কিং এডওয়ার্ডের কথিত প্রেমিক, রজার মর্টিমারের বিরোধী।
ক্যাপ্টেন ব্রিজম্যান-পাইরেট হেনরি এভোরির মিত্র, পারিবারিক সূত্রের মাধ্যমে হিউ লি ডেসপেন্সরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
হেনরি ম্যাকগ্রেগরগ্রেস হিউবার্টের জ্ঞাতি ভাই, নটিংহাম রাজ্যের সম্পদের উত্তরাধিকারি।
পিকারিং-এর ব্যবহৃত এবং বিরল বইসমূহের দোকান
জেরাল্ড পিকারিং-স্যান ফ্রান্সিসকোর বই বিক্রেতা, ব্রি মার্শালের চাচা।
মি. উইকহ্যাম-মি. পিকারিং-এর বিড়াল।
ব্রি মার্শাল-রেমি ফার্গোর কল্যান তহবিলের কর্মী।
ল্যারেইন পিকারিং-স্মিথ-ব্রির জ্ঞাতি বোন, জেরাল্ড পিকারিং-এর মেয়ে।
ডাকাত-পরবর্তীতে নাম জানা গেছে ওর। জ্যাকব জ্যাক স্তানিস্লাভ।
ফার্গো টিম
স্যাম ফার্গো
রেমি (লংস্ট্রিট) ফার্গো।
যোলতান-হাঙেরিতে জন্ম নেওয়া রেমির জার্মান শেফার্ড।
সেলমা ওয়ান্ডার্শ-ফার্গোদের গবেষক সহকারী।
সান্ড্রা-ফার্গো জেটের ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট।
প্রফেসর লাযলো কেম্প-গ্রেট ব্রিটেনের নাগরিক। সেলমার গবেষণায় সহায়তা প্রদানকারী।
পিট জেফকট-সেলমার গবেষক-সহকারী, কোর্ডেনের বয়ফ্রেন্ড।
ওয়েন্ডি কোর্ডেন-সেলমার গবেষক-সহকারী, জেফকটের গার্লফ্রেন্ড।
সাবেক ডারপা (DARPA) সদস্য
রুবেন রুব হেওয়ার্ড-সিআইএর অপারেশন ডিপার্টমেন্টের কেস অফিসার।
নিকোলাস আর্চার-আর্চার ওয়ার্ল্ডওয়াইড সিকিউরিটির মালিক।
এভেরি কোম্পানি
চার্লস এভেরি-কর্পোরেট দুনিয়ার ডাকাত।
কলিন ফিস্ক-এভেরি সিকিউরিটি টিমের প্রধান।
মার্টিন এডওয়ার্ডস-এভেরির চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার।
আলেক্সান্দ্রা এভেরি-এভেরির স্ত্রী।
কিপ রজার্স-আলেক্সান্দ্রা এভেরির ব্যক্তিগণ তদন্তকারী।
উইন্টন পেজ-চার্লস এভেরির অ্যাটোর্নি বা আইনজীবী।
জ্যাক স্তানিস্লভ-ফিস্কের পোষা গুণ্ডাদের একজন।
মারলো-ফিস্কের পোষা গুণ্ডা।
ইভান-ফিস্কের পোষা গুণ্ডা।
ভিক্টর-ফিস্কের নতুন গুণ্ডা।
রোজেন-ফিস্কের নতুন গুপ্ত।
স্কলার এবং শিক্ষাবিদগণ
প্রফেসর ইয়ান হপকিন্স-অ্যারিজোনার অধিবাসি। ষোড়শ-সপ্তদশ শতাব্দীর ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক।
মেরিল ওয়ালশ, মিস ওয়ালশ-ব্রিটিশ মিউজিয়ামের কিউরেটর।
মেজ ক্রাওলি-কিংস লিনের লাইব্রেরিয়ান।
নাইজেল রিজওয়েল-কিংস লিনের ভ্রমণ প্রদর্শক, পুরোনো যুগের ইংরেজির সাবেক প্রফেসর ও বিশেষজ্ঞ।
পার্সিভাল পার্সি ওয়েন্ড-নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর।
আগাথা ওয়েন্ড-ওয়েন্ডর্ফের স্ত্রী।
রেস্টুরেন্ট ও হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং ট্রাভেল গাইডগণ
স্যান ফ্রান্সিসকো।
মি. ব্রায়ান্ট-রিটজ-কার্লটন হোটেলের অন-ডিউটি ম্যানেজার।
অ্যারিজোনা
শেফ মার্সেলিনো ভেরিঞ্জো-মার্সেলিনো রিস্টোরান্টে, স্কটসডেলের মালিক।
সিমা-ভেরিঞ্জোর স্ত্রী।
জ্যামাইকা
মেলিয়া-রেস্টুরেন্টের ওয়েইট্রেস।
জে-জে-জ্যামাইকার বাইকার বারের মালিক।
কিমার-কার রেন্টালের কর্মচারী।
আন্তোয়ান-জে-জে বারের বাইকার।
বিলি-জে-জে বারের বাইকার।
ব্রাজিল
অ্যান্তোনিও আলভেজ-ভাড়াটে ড্রাইভার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, সাও পাওলোর অধিবাসি।
হেনরিক সালাজার-অ্যান্তোনিও আলভেজের চাচা।
ক্যাপ্টেন দেলগাদো-গলফিনহোর ক্যাপ্টেন।
নুনো-গলফিনহোর সর্বকনিষ্ঠ সদস্য।
পুলিশ অফিসার
সার্জেন্ট ফথ-ডিটেক্টিভ, স্যান ফ্রান্সিসকো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট।
সার্জেন্ট ট্রেভিনো-ফথের পার্টনার, স্যান ফ্রান্সিসকো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট।
ডেপুটি ওয়াগনার-কারট্রিট কাউন্টি শেরিফের ডেপুটি।
.
প্রারম্ভ
বিশপস লিন, নরফোক, ইংল্যান্ড
অক্টোবর ৯, ১২১৬
যাত্রার মাঝপথে এসে স্ট্যালিয়ন ঘোড়াটা থামালেন পেমব্রুকের আর্ল উইলিয়াম দ্য মার্শাল। তাকে অনুসরণ করলো পিছনে থাকা নাইট তিনজনও। শীতের প্রথম দমকা হাওয়া এসে লাগছে গায়ে। সন্ধ্যা বাড়ার সাথে প্রকৃতির তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। তাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে বিশাল এক ঘন জঙ্গল। ঘুটঘুঁটে অন্ধকারের জন্য কোনো পথই পরিষ্কার ভাবে দেখা যাচ্ছে না।
সন্ধ্যায় ধাওয়া করা ঘোড়সওয়ারিদের না দেখে একমুহূর্তের জন্য উইলিয়াম ভাবলেন তারা হয়তো পথ হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু না, যতদূর মনে আছে আঁকাবাঁকা ওক গাছটা হাতের বাম দিকেই ছিলো।
তিনি এবং তার তিনজন নাইট পথটা নিরাপদ কিনা তা খতিয়ে দেখতে এসেছেন। পরদিন এই পথ দিয়েই রাজার সম্পদ নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও এই কাজটায় উইলিয়ামের তেমন সায় নেই, তিনি আরো কিছু সৈনিকের এসে উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজার উপদেষ্টা জোর খাঁটিয়ে বলেছেন যে সম্পদগুলোর নিরাপত্তা দেওয়াই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের প্রিন্স লুইস লন্ডন দখল করে নিজেকে ইংল্যান্ডের রাজা বলে ঘোষণা করে দিয়েছে। এই কাজে লুইসকে সহায়তা করেছে কিং জনেরই অনুগণ কয়েকজন। তাই উপদেষ্টা চাচ্ছেন রাজকীয় সম্পদগুলো নিরাপদস্থানে সরিয়ে ফেলতে, যেন এগুলো দখলদারদের হাতে না পড়ে।