সাম্মা সামবুদ্ধা : প্রতি ৩২,০০০ বছরে একবার মানব সমাজে আবির্ভূত আলোকনের শিক্ষক; সিদ্ধার্থ গৌতম আমাদের বর্তমান যুগের সাম্মা সামবুদ্ধা।
সামসারা : ‘অব্যাহত যাত্রা’: জন্ম ও মৃত্যুর চক্র, মানুষকে যা পরবর্তী জীবনে চালিত করে: জাগতিক জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব ও অস্থিরতা।
সংঘ : মূলত গোত্রীয় সংসদ, উত্তর ভারতের প্রাচীন রাজ্যসমূহের প্রাচীন শাসক গোষ্ঠী। পরবর্তীকালে নির্দিষ্ট গুরুর শিক্ষা দেওয়া ধম্মের প্রচারকারী গোত্র; সবশেষে, ভিক্ষুদের বৌদ্ধ সংগঠন।
সংখারা : ‘গঠন,’ কম্মের গঠনকারী উপাদানসমূহ যা পরবর্তী অস্তিত্বের আকার
নির্ধারণ করে।
সুত্তা : ধর্মীয় আলোচনা; সংস্কৃত: সূত্ৰা।
তানহা : ভোগান্তির সবচেয়ে শক্তিশালী কারণ ‘আকাঙ্ক্ষা’ বা ‘বাসনা’।
তপস : কৃচ্ছ্রতা সাধন: আত্ম-শুদ্ধি 1
তথাগত: ‘এভাবে বিদায় গ্রহণকারী।’ আলোকপ্রাপ্তির পর বুদ্ধকে দেওয়া উপাধি। অনেক সময় ‘আদর্শজন’ হিসাবে অনূদিত।
তিপিটতাকা : আক্ষরিকভাবে ‘তিনি ঝুড়ি,’ পালি লিপির তিনটি প্রধান বিভাগ।
উপাদান: ‘আঁকড়ে থাকা,’ সংশ্লিষ্টতা; শব্দগতভাবে উপাদি অর্থাৎ জ্বালানির সঙ্গে সম্পর্কিত।
উপসোথা : বৈদিক ঐতিহ্যে উপবাস ও সংযমের দিন।
উপনিষদ : বেদের অতিন্দ্রীয় ও আধ্যাত্মিকভাবে বোধগম্যতা গড়ে তোলা নিগূঢ় উপলব্ধি; পরবর্তী কালে হিন্দু ধর্মের ভিত্তি গড়ে তুলেছিল।
বাস্যা: জুন হতে সেপ্টেম্বর সময়কালে বর্ষা মৌসুমে অবকাশ।
বেদ : আর্য ধর্মীয় ব্যবস্থায় ব্রাহ্মণদের উচ্চারিত ও ব্যাখ্যাকৃত অনুপ্রাণিত টেক্সট।
বিনয়া : বৌদ্ধ ব্যবস্থায় মঠ সংক্রান্ত আচরণ বিধি: তিপিটতাকার ‘তিনটি ঝুড়ি’র একটি।
বৈশ্য : আর্য ব্যবস্থার কৃষক ও পশুপালকদের তৃতীয় গোত্র।
বাসনা : মনের অবচেতন কর্মকাণ্ড।
ইয়ামা : যোগি ও সাধুদের অনুসৃত ‘নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ’ যাদের চুরি, মিথ্যাবলা যৌনমিলন, মাদক গ্রহণ বা অন্য প্রাণীকে কষ্ট দেওয়া বা হত্যা করা নিষেধ।
যোগ : চেতনা ও অন্তর্দৃষ্টির বিকল্প অবস্থার বিকাশে মনের শক্তি নিয়ন্ত্রণ করার অনুশীলন।
যোগি : যোগের অনুশীলনকারী।