২৫. দিঘা নিকয়া ১৬।
২৬. রিচার্ড এফ, গমব্রিচ, থেরাভেদা বুদ্ধজম: আ সোশ্যাল হিস্ট্রি ফ্রম অ্যানশেন্ট বেনারেস টু মডার্ন কলোম্বো, লন্ডন, ও নিউ ইয়র্ক, ১৯৮৮, ৬৫-৬৯।
২৭. উদনা, ৮: ১।
২৮, সাম্যত্তা নিকয়া, ৪৩: ১-৪৪।
২৯. দিঘা নিকয়া, ১৬।
৩০. প্রাগুক্ত, আঙুত্তারা নিকয়া, ৭৬।
৩১. দিঘা নিকয়া, ১৬; আঙুত্তারা নিকয়া, ৪: ৭৬।
৩২. সুত্তা-নিপাতা, ৫: ৭।
৭. নির্ঘণ্ট
অহিংসা : ‘ক্ষতি না করা’: নতুন রাষ্ট্রসমূহের আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্যে উত্তর ভারতীয় বহু সাধুর গৃহীত নীতি
অকুসলা : আলোকনের প্রয়াসে বাধা সৃষ্টিকারী ‘অদক্ষ’ বা ‘অনুপযোগি’ অবস্থা।
অনাত্মা : ‘আত্মাহীন’: একটি নিত্য, স্থায়ী ও পৃথক ব্যক্তিত্ব অস্বীকারকারী মতবাদ।
আরাহান্ত : ‘সফল জন,’ যিনি নিব্বানা অর্জন করেছেন।
আরামা : বসতি স্থাপনের জন্যে বৌদ্ধ সংগঠনকে দান করা প্রমোদ-উদ্যান।
আসন : ঋজু পিঠ এবং পায়ের ওপর পা রেখে যোগ অনুশীলনের সঠিক ভঙ্গি। আবাসা: পল্লী বসতি, প্রায়শঃ বৌদ্ধ সন্ন্যাসীগণ বর্ষা মৌসুম অবকাশের জন্যে শূন্য হতে নিমার্ণ করতেন।
আত্মা : চিরন্তন অপরিবর্তনীয় সত্তা যোগি, সাধু আর সমক্ষ্য দর্শনের অনুসারীরা যার সন্ধান করেছেন। উপনিষদে একে ব্রহ্মার অনুরূপ বলে বিশ্বাস করা হয়েছে।
আয়তন : অগ্রসর যোগিদের অর্জিত ধ্যান মার্গ।
ভিক্ষু : ভিক্ষুক সন্ন্যাসী যিনি দৈনন্দিন খাবারের জন্যে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ান। নারীবাচক শব্দটি হচ্ছে ভিক্ষুনি: নান।
বোধিসত্তা : আলোকন প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে এমন নারী বা পুরুষ। সংস্কৃত : বোধিসতবা।
ব্রহ্মা : বৈদিক ও উপনিষদ ধর্মে মহাবিশ্বের মৌলিক, পরম ও চরম নীতি।
ব্রাহ্মণ : উৎসর্গ ও বেদের পরম্পরা রক্ষার দায়িত্ব প্রাপ্ত আর্য সমাজের পুরোহিত গোত্রের সদস্য।
ব্রহ্মাচার্য : পবিত্র কৌমার্য জীবন: অলোকন ও বেদনা হতে মুক্তির অনুসন্ধান।
বুদ্ধ : আলোকপ্রাপ্ত বা জাগ্ৰত জন।
চক্কবর্ত্তী : ভারতীয় লোককথার বিশ্ব শাসক বা সর্বজনীন রাজা যিনি সমগ্র জগৎ শাসন করবেন এবং শক্তিবলে ন্যায় বিচার ও সঠিক পথ আনয়ন করবেন।
সেতো-বিমুক্তি : ‘মনের উন্মুক্তি’: আলোকন ও নিব্বানা অর্জনের সমার্থক।
ধম্ম : মূলত বস্তুর স্বাভাবিক অবস্থা, মূল; অস্তিত্বের মৌল বিধি; তারপর, ধর্মীয় সত্যি বিশেষ ধর্মীয় ব্যবস্থাও গড়ে তোলা মতবাদ ও অনুশীলন। সংস্কৃত: ধর্ম।
ধরণা : যোগ পরিভাষা: ‘মনোনিবেশ’। মনোছবির প্রক্রিয়া যেখানে যোগি আপন চেতনা সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠেন।
দুঃখ : ‘কুটিল, ত্রুটিপূর্ণ, অসন্তোষজনক’: প্রায়শঃ স্রেফ ‘ভোগান্তি’ হিসাবে অনূদিত হয়।
একাগ্রতা : যোগে ‘নির্দিষ্ট বিন্দুতে’ মনোনিবেশ গৌতমী: গৌতমের গোত্রের যেকোনও নারী।
ইদ্ধি : বস্তুর ওপর মনের আধিপত্য। যোগের মাধ্যমে প্রাপ্ত ‘অলৌকিক ক্ষমতা’ যেমন শূন্যে ভাসা, বা ইচ্ছাশক্তির জোরে অবয়ব পরিবর্তন।
ঝানা : যোগ-মোহাবেশ: চারটি স্পষ্ট পর্যায়ক্রমে গম্ভীর হয়ে ওঠা একীভূত ভাবনার প্রবাহ। সংস্কৃত: ধ্যান।
জিনা : জৈনদের ব্যবহৃত বুদ্ধের সম্মানসূচক পদবী, বিজয়ী।
কম্ম : কাজ, কর্ম। সংস্কৃত: কর্মণ।
খণ্ড : স্তূপ, বাণ্ডিল, পিণ্ড;’ বুদ্ধের অনাত্মা মতবাদে মানব ব্যক্তিত্বের উপাদান। পাঁচটি ‘স্তূপ’ হচ্ছে দেহ, অনুভূতি, ধারণা, সংকল্প ও চেতনা।
ক্ষত্রিয় : আর্য সমাজে সরকার পরিচালনা ও প্রতিরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত যোদ্ধা, অভিজাত, সামন্ত শ্ৰেণী।
কুসলা : আলোকনের জন্যে বৌদ্ধদের অনুসৃত মনের, হৃদয়ের ‘দক্ষ’ বা ‘উপযোগি’ অবস্থা।
নিব্বানা : ‘নির্বাপিত হওয়া,’ ‘বিলুপ্তি: সত্তার বিলুপ্তি যা বেদনা (দুঃখ) হতে আলোকন ও মুক্তি এনে দেয়। সংস্কৃত: নির্বানা।
নিকয়া : পালি ধর্মগ্রন্থের আলোচনার ‘সংকলন’।
নিয়ামা : যোগ ধ্যানের পূর্বশর্ত মনস্তাত্ত্বিক ও দৈহিক অনুশীলন।
পাবজ্জ্য : ‘অগ্রসর হওয়া’ সন্ন্যাসীর পবিত্র জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে জগৎ ত্যাগ করা। পরবর্তী সময়ে বৌদ্ধদের সংঘভুক্তির প্রথম পর্যায়।
পালি : বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংকলনে ব্যবহৃত উত্তর ভারতীয় আঞ্চলিক ভাষা।
পরিনিব্বানা : ‘চূড়ান্ত নিব্বানা’: মৃত্যুতে অর্জিত আলোকনপ্রাপ্ত জনের চূড়ান্ত বিশ্রাম, যেহেতু তিনি আর অন্য অস্তিত্বে জন্ম গ্রহণ করবেন না।
পতিমোক্ষ : ‘শপথ’: যে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম দিকের সন্ন্যাসীগণ ছয় বছর পরপর বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম উচ্চারণ করার উদ্দেশে সমবেত হতেন। পরে, বুদ্ধের মৃত্যুর পর এটা সংগঠনের মঠাচারের আবৃত্তি ও অপরাধ স্বীকারের অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। পাক্ষিক ভিত্তিকে অনুষ্ঠিত হতো।
প্রকৃতি : সামক্ষ্য দর্শনে প্রাকৃতিক জগৎ।
প্রাণায়াম : যোগের শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন যা ঘোর ও সুস্থতার একটা অবস্থা নিয়ে আসে।
প্রত্যাহার : যোগে ‘অনুভূতির প্রত্যাহার,’ কেবল বুদ্ধি দিয়ে কোনও বস্তু অনুধাবন করার ক্ষমতা।
পুরুসা : সামক্ষ্য দর্শনে সকল বস্তুকে আবৃত করে রাখা পরম আত্মা।
শাক্য মুনি : ‘শাক্য রাজ্যের সাধু,’ বুদ্ধকে দেওয়া পদবী।
সমাধি : যোগ-মনোসংযোগ; ধ্যান; আলোকপ্রাপ্তির অষ্টশীলেন একটি।
সামক্ষ্য : ‘পার্থক্যকরণ’: যোগের অনুরূপ একটি দর্শন, বিসিই দ্বিতীয় শতাব্দীতে কাপিলার সাধুগণ প্রথম প্রচার করেন।