২৫. বিনয়া: কুলাভাগ্য, ৬: ৫-৯।
২৬. মাজহিমা নিকয়া, ১২৮; বিনয়া: মহাভাগ্য, ১০: ৪।
২৭. মাজহিমা নিকয়া, ৮৯।
২৮. লিঙ, দ্য বুদ্ধা, ১৪০-৫২; মাইকেল এডোয়ার্ডস, ইন দ্য ব্লোইং আউট অভ আ ফ্লেইম: দ্য ওঅর্ল্ড অভ দ্য বুদ্ধা অ্যান্ড দ্য ওঅর্ল্ড অভ ম্যান, লন্ডন, ১৯৭৬, ৩০-৩১।
২৯. গমব্রিচ, থেরাভেদা বুদ্ধজম, ৮১-৮৬; মাইকেল কারিথার্স, দ্য বুদ্ধা, অক্সফোর্ড ও নিউ ইয়র্ক, ১৯৮৩, ৯৫-৯৭।
৩০. দিঘা-নিয়া, ৩: ১৯১।
৩১. মাজহিমা নিকয়া, ১৪৩।
৩২. লিঙ, দ্য বুদ্ধা, ১৩৫-৩৭; গমব্রিচ, থেরাভেদা বুদ্ধজম, ৭৫-৭৭।
৩৩. কারিথার্স, দ্য বুদ্ধা, ৮৬-৮৭।
৩৪. গমব্রিচ, থেরাভেদা বুদ্ধজম, ৭৮।
৩৫. আঙুত্তারা নিয়া, ২: ৬৯-৭০।
৩৬. দিঘা নিকয়া, ৩: ১৮০-৮৩।
৩৭. আঙুত্তারা নিকয়া ৪: ৪৩-৪৫।
৩৮. সাম্যত্তা নিকয়া, ৩: ১-৮।
৩৯. শাব্বাত, 31A:cf, ম্যাথু, ৭: ১২; কনফুসিয়াস, অ্যানালেক্টস, ১২: ৪০. আঙুত্তারা নিকয়া ৩: ৬৫।
৪১. প্রাগুক্ত।
৪২. প্রাগুক্ত।
৪৩. সুত্তা নিপাতা, ১১৮।
৪৪. বিনয়া: কুলাভাগ্য ১০: ১।
৪৫. দিঘা নিকয়া, ১৬; ইসালেইন ব্লিউ হর্নার, উইমেন আন্ডার প্রিমিটিভ বুদ্ধজম, লন্ডন, ১৯৩০, ২৮৭।
৪৬. রিটা এম. গ্রস, ‘বুদ্ধজম’ জাঁ হল্মে’র (জন বাউকারের সঙ্গে) সম্পা. উইমেন ইন রিলিজিয়ন, লন্ডন, ১৯৯৪, ৫-৬; অ্যান ব্যানক্রফট, ‘উইমেন ইন বুদ্ধজম,’ উরসুলা কিং (সম্পা.)-এর উইমেন ইন দ্য ওঅর্ল্ডস রিলিজিয়ন্স, পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট, নিউ ইয়র্ক, ১৯৮৭।
৪৭. দিঘা নিকয়া, ১৬।
৪৮. লেইলা আহমেদ, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার ইন ইসলাম, নিউ হাভেন ও লন্ডন, ১৯৯২, ১১-২৯।
৪৯. মাজহিমা নিকয়া, ১২৮।
৫০. সম্মপদ, ৫-৬।
৫১. বিনয়া: মহাভাগ্য, ১০: ৫।
৫২. দত্ত, বুড্ডিস্ট মঙ্কস, ৬৬।
৫৩. ধম্মপদ, ১৮৩-৮৫।
৫৪. গমব্রিচ, থেরাভেদা বুদ্ধজম, ৯২; অলদেনবার্গ, দ্য বুদ্ধা: হিজ লাইফ, হিজ ডকট্রিন, হিজ অর্ডার (অনু. উইলিয়াম হোয়ে), লন্ডন, ১৮৮২,xxxiii।
৫৫. গমব্রিচ, থেরাভেদা বুদ্ধজম, ৮৮-৮৯।
৫৬. আঙুত্তারা নিকয়া ৪: ৩৬।
৬. পরিনিব্বানা
বুদ্ধের আলোকপ্রাপ্তির পঁয়তাল্লিশ বছর পর শাক্যের মেদালুম্পা শহরে একদিন বিকেলে অপ্রত্যাশিতভাবে তাঁর সাথে দেখা করতে এলেন রাজা পাসেনেদি। বৃদ্ধ হয়ে গেছেন তিনি। সম্প্রতি বুদ্ধের কাছে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক জীবন ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠেছে। রাজাগণ ‘ক্ষমতা মদমত্ত’ ও ‘লোভে আচ্ছন্ন’ হয়ে আছেন; ক্রমাগত ‘হাতি, ঘোড়া, রথ ও পদাতিক বাহিনী’ ব্যবহার করে যুদ্ধে লিপ্ত।[১] গাঙ্গেয় উপত্যকা যেন বিধ্বংসী অহমবাদে পরিচালিত হচ্ছে। বহু বছর ধরে মগধের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছিল কোসালা। এলাকায় একক শাসন কায়েম করার প্রয়াস পাচ্ছিল মগধ। পাসেনেদি স্বয়ং নিঃসঙ্গ হয়ে পরেছিলেন। সম্প্রতি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর প্রয়াণ হয়েছে, গভীর বিষণ্নতায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। অন্য মুমূর্ষু মানুষের উপর আস্থা স্থাপন করলে এমনটাই ঘটে। জগতের কোথাওই স্বস্তি বোধ করতে পারছিলেন না পাসেনেদি: ভবঘুরে সন্ন্যাসীদের ‘গৃহত্যাগে’র অনুকরণে প্রাসাদ ছেড়ে সেনাবাহিনী নিয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। এমনি এক উদ্দেশ্যহীন ভ্রমণের সময় শাক্যে আসার পর জানতে পান যে কাছেই বুদ্ধ অবস্থান করছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সঙ্গ লাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষা বোধ করেন তিনি। বুদ্ধ, ভাবলেন তিনি, তাঁকে বিশাল মহীরুহের কথা মনে করিয়ে দেয়: শান্ত, বিচ্ছিন্ন, জগতের তুচ্ছ ঝামেলার ঊর্ধ্বে। কিন্তু সংকটে আপনি যেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। চট করে মেদালুম্পায় চলে এসেছেন তিনি। পথঘাট দুর্গম হয়ে ওঠায় ঘোড়ার পিঠ হতে নেমে তরবারি আর রাজকীয় পাগড়ি সেনাকর্তা দিঘা কারায়নার হেফাযতে রেখে পায়ে হেঁটে বুদ্ধের কুঁড়ের উদ্দেশে এগিয়েছেন তিনি। বুদ্ধ দরজা খুলে দিলে পাসেনেদি তাঁর পায়ে চুমু খেলেন। ‘এই বৃদ্ধ বেচারাকে কেন এই সম্মান দিচ্ছ?’ জিজ্ঞেস করলেন বুদ্ধ। কারণ আরামা তাঁর জন্যে খুবই স্বস্তিকর, জবাব দিলেন পাসেনেদি: কারণ সংঘ স্বার্থপরতা, সহিংসতা ও রাজ দরবারের লোভ হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু সবার ওপরে, উপসংহার টানেন পাসেনেদি, ‘আশীর্বাদপ্রাপ্ত জনের যেমন আশি বছর বয়স, আমারও তাই।’[২] দুজন বৃদ্ধ মিলিত হয়েছেন, বিষণ্ন এই জগতে পরস্পরের প্রতি মমতা প্রকাশ করা উচিৎ তাঁদের।
দিঘা কারায়নাকে যেখানে রেখেছিলেন কুঁড়ে থেকে বিদায় নিয়ে পাসেনেদি সেখানে ফিরে এসে দেখলেন সেনাপ্রধান রাজকীয় প্রতীকসহ চলে গেছেন। সেনাদল যেখানে শিবির ফেলেছে দ্রুত সেখানে এসে দেখলেন কেউ নেই। কেবল একটা ঘোড়া আর তরবারি নিয়ে পরিচারিকাদের একজন রয়ে গেছে। সাবস্তিতে ফিরে গেছেন দিঘা কারায়না, রাজাকে বলল সে। পাসেনেদির উত্তরসুরি রাজকুমার বিদুদভকে সিংহাসনে বসাতে অভ্যুত্থানের আয়োজন করছেন। জীবনের মায়া থাকলে পাসেনেদি যেন সাবস্তি ফিরে না যান। বৃদ্ধ রাজা মগধে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন, কেননা বৈবাহিক সূত্রে রাজকীয় পরিবারের আত্মীয় ছিলেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ যাত্রা ছিল সেটা। চলার পথে পাসেনেদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে নিম্নমানের খাবার ও দুর্গন্ধময় পানি খেতে হলো। রাজাগহে পৌঁছে দেখলেন তোরণ বন্ধ হয়ে গেছে। সস্তা সরাইখানায় ঘুমাতে বাধ্য হলেন তিনি। সেরাতে মারাত্মক পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে ভোর হবার আগেই মারা গেলেন। বৃদ্ধের জন্যে যথাসাধ্য চেষ্টা চালানো পরিচারিকা গোটা শহরকে জাগিয়ে তুলল: ‘দুই দেশের শাসক আমার প্রভু কোসালার রাজা ভিখিরির মতো মারা গেছেন। বিদেশের এক শহরের বাইরে মামুলি ভিখেরির সরাইখানায় পড়ে আছেন এখন!’[৩]