৬. মাজহিমা নিকয়া, ৬: ৩।
৭. বিনয়া: মহাভাগ্য, ১: ৬; সাম্যত্তা নিকয়া, ৫৬: ১১।
৮. প্রাগুক্ত।
৯. পরবর্তী কালের বৌদ্ধ ধারাভাষ্য অনুযায়ী শিশু গৌতমকে পরখ করতে আগত ব্রাহ্মণ ছিলেন কোন্দান্না। গৌতম বুদ্ধ হবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন তিনি। দীক্ষার অভিজ্ঞতা থাকায় তিনি সবসময় অন্নাতা কোন্দান্না: সবজান্তা কোন্দান্না নামে পরিচিত ছিলেন।
১০. বিনয়া: মহাভাগ্য, ১: ৬।
১১. প্রাগুক্ত।
১২. প্রাগুক্ত। আমাদের জানানো হয়েছে যে, আদি এই বৌদ্ধরা ‘স্রোতে প্রবেশকারী’ হতে মাত্র সাতটি আগামীজীবন নিয়ে পরিপূর্ণ আলোকিত মানুষ আরাহান্তে উন্নীত হয়ে সামসারা হতে সম্পূর্ণ মুক্তি অর্জন করেছেন। পরবর্তী কাহিনী শিক্ষা দিয়েছে যে, অধিকাংশ মানুষের জন্যে দুটো মধ্য পার্যায়ের পথ রয়েছে: [১] ‘প্রত্যাবর্তনীয়’ (সাকাদাগামী), যার কেবল একটি প্রত্যবর্তন অবশিষ্ট রয়েছে; [২] ‘অপ্রত্যাবর্তনীয়’ (অনাগামী), যিনি কেবল স্বর্গে দেবতা হিসাবে জন্ম নেবেন।
১৩. মাজহিমা নিকয়া, ২৬, টিলমেন ভেতার, দ্য আইডিয়াজ অ্যান্ড মেডিটেটিভ প্র্যাকটিসেস অভ আর্লি বুদ্ধজম, লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, কোপেনহাগেন ও কোলন, ১৯৮৬, xxix।
১৪. বিনয়া: মহাভাগ্য, ১: ৬।
১৫. সাম্যত্তা নিকয়া, ১২: ৬৫; দিঘা নিকয়া, ১৪; বিনয়া: মহাভাগ্য, ১: ১; উদনা, ১: ১-৩।
১৬. বিনয়া: মহাভাগ্য, ১: ১।
১৭. মাইকেল কারিথার্স, দ্য বুদ্ধা, অক্সফোর্ড ও নিউ ইয়র্ক, ১৯৮৩, ৬৮- ৭০; হারমান অলদেনবার্গ, দ্য বুদ্ধা, হিজ লাইফ, হিজ ডকট্রিন, হিজ অর্ডার (অনু. উইলিয়াম হোয়ে), লন্ডন, ১৮৮২, ২২৪-৫২; কার্ল জেস্পারস, দ্য গ্রেট ফিলোসফার্স: দ্য ফাউন্ডেশনস (অনু. রালফ্ মেইনহেইম), লন্ডন, ১৯৬২, ৩৯- ৪০; ভেতার, আইডিয়াজ অ্যান্ড মেডিটেটিভ প্র্যাকটিসেস, ২৪০-৪২।
১৮. রিচার্ড এফ. গমব্রিচ, থেরাভেদা বুদ্ধজম: আ সোশ্যাল হিস্ট্রি ফ্রম অ্যানশেন্ট বেনারেস টু মডার্ন কলোম্বো, লন্ডন ও নিউ ইয়র্ক, ১৯৮৮, ৬২-৬৩; অলদেনবার্গ, দ্য বুদ্ধা, ২৪০-৪২; কারিথার্স, দ্য বুদ্ধা, ৬৬।
১৯. ভেতার, আইডিয়াজ অ্যান্ড মেডিটেটিভ প্র্যাকটিসেস, ৫০-৫২; অলদেনবার্গ, দ্য বুদ্ধা, ২৪৩-৪৭।
২০. ভেতার, আইডিয়াজ অ্যান্ড মেডিটেটিভ প্র্যাকটিসেস, ৪৯-৫০।
২১. অলদেনবার্গ, দ্য বুদ্ধা, ২৪৮-৫১; কারিথার্স, দ্য বুদ্ধা, ৫৭-৫৮।
২২. আঙুত্তারা নিকয়া ৬: ৬৩।
২৩. বিনয়া: মহাভাগ্য, ১: ৬; সাম্যত্তা নিকয়া, ২২: ৫৯।
২৪. প্রাগুক্ত।
২৫. সাম্যত্তা নিকয়া, ২২: ৬১।
২৬. দিঘা নিকয়া, ৯।
২৭. বিনয়া: মহাভাগ্য, ১: ৬।
২৮. প্রাগুক্ত।
২৯. মাজহিমা নিকয়া ১।
৩০. বিনয়া: মহাভাগ্য ১: ৭।
৩১. প্রাগুক্ত।
৩২. প্রাগুক্ত, ১: ৮, আসলে পণ্ডিতগণ বিশ্বাস করেন, বুদ্ধের জীবদ্দশায় ভিক্ষুগণ কেবল বুদ্ধের কাছেই ‘একক শরণ’ নিয়েছেন। বুদ্ধের মৃত্যুর আগে ‘ত্রি-শরণ’ বাধ্যতামূলক হয়নি।
৩৩. বিনয়া: মহাভাগ্য ১: ১১।
৩৪. সুকুমার দত্ত, বুড্ডিস্ট মক্কস অ্যান্ড মনাস্টারিজ অভ ইন্ডিয়া, লন্ডন, ১৯৬২, ৩৩।
৫. ব্ৰত
বৌদ্ধ শিল্পকর্মসমূহ সাধারণত দেখায় যে, বুদ্ধ নিঃসঙ্গ ধ্যানমগ্ন অবস্থায় একাকী বসে আছেন। কিন্তু বাস্তবে ধম্ম প্রচার শুরু করার পর থেকে তাঁর জীবনের সিংহভাগ সময়ই কেটে গেছে বিশাল কোলাহলময় জনতার ভীড়ে। ভ্রমণের সময় সাধারণত শত শত ভিক্ষু সঙ্গী হতেন তাঁর। তাঁরা এত জোরে কথাবার্তা বলতে চাইতেন যে অনেক সময় নীরব থাকার জন্যে আবেদন জানাতে বাধ্য হতেন বুদ্ধ। তাঁর সাধারণ অনুসারীরা প্রায়শঃই রথ ও ঠেলাগাড়ি ভর্তি রসদপত্র নিয়ে রাস্তার সন্ন্যাসীদের মিছিল অনুসরণ করত। প্রত্যন্ত বনের কুড়ে ঘরে নয়, শহর ও নগরে বাস করতেন বুদ্ধ। কিন্তু জীবনের শেষ পঁয়তাল্লিশটি বছর সাধারণ মানুষের চোখের সামনে কেটে গেলেও টেক্সটসমূহ এই দীর্ঘ ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়টিকে কিছুটা উপেক্ষাই করেছে। জীবনাকারের কাজে লাগার মতো তেমন কিছু রাখেনি। জেসাসের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি একেবারেই উল্টো। গস্পেলসমূহ জেসাসের প্রথম জীবন সম্পর্কে আমাদের প্রায় কিছুই জানায় না, বরং মিশন শুরু করার পরই গুরুত্বের সঙ্গে তাঁর কাহিনী বলা শুরু করেছে। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থসমূহ বুদ্ধের হিতোপদেশসমূহ সংরক্ষণ করেছে এবং তাঁর দীক্ষা প্রদানের প্রথম পাঁচটি বছরের মোটামুটি বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে। অথচ এরপরই দৃষ্টি হতে হারিয়ে যান বুদ্ধ। তাঁর জীবনের শেষ বিশটি বছর প্রায় সম্পূর্ণই অসংকলিত রয়ে গেছে।
এই ধরনের সংযম হয়তো সমর্থন করতেন বুদ্ধ। আর যাই হোক ব্যক্তিকেন্দ্রিক কাল্ট আশা করেননি তিনি, সব সময়ই জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি নন, ধম্মই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেমন উল্লেখ করেছি, তিনি বলতেন, ‘যে আমাকে দেখতে পায় সে ধম্মকেই দেখে।’[১] এছাড়াও, আলোপ্রাপ্তির পর বাস্ত বিক আর কিছু ঘটতে পারত না তাঁর। কোনও ‘সত্তা’ ছিল না তাঁর, অহমবাদ নির্বাপিত হয়েছে; ‘তথাগত’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি, অর্থাৎ যিনি স্রেফ ‘বিদায়’ নিয়েছেন। এমনকি পালি টেক্সটসমূহ তাঁর মিশনের গোড়ার দিকের বছরগুলোর বর্ণনা দেওয়ার সময়ও ঐতিহাসিক তথ্যের চেয়ে বরং তাদের গল্পের প্রতীকী অর্থের প্রতিই বেশি আগ্রহী। আধ্যাত্মিক জীবনের আদর্শ, ধম্ম ও নিব্বানার মূর্ত প্রতাঁকে পরিণত হয়েছিলেন বুদ্ধ। নতুন ধরনের মানুষ ছিলেন তিনি; লোভ ও ঘৃণার নিপীড়নে আবদ্ধ নন। অহমবাদ হতে মুক্ত হয়ে বাঁচার জন্যে নিজের মনকে পরিচালিত করতে শিখেছিলেন তিনি। এই পৃথিবীতেই বাস করলেও ভিন্ন এক মাত্রায় ছিল তাঁর আবাস, একেশ্বরবাদীরা যাকে স্বর্গীয় উপস্থিতি বলবে। সুতরাং, দীক্ষা দানের গোড়ার দিকের বছরগুলোর বর্ণনায় পালি টেক্সটগুলো বুদ্ধের চিন্তা ও অনুভূতি সম্পর্কে আমাদের কিছুই বলে না, কিন্তু উত্তর ভারতের শহর, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি ও ধর্মীয় জগতের সঙ্গে আদি বৌদ্ধদের সম্পর্ক দেখতে তাঁর কর্মকাণ্ডকে ব্যবহার করে।