মুজতাহিদ: ইজতিহাদ প্রয়োগের অধিকার অর্জনকারী জুরিস্ট, বিশেষ করে শিয়া জগতে।
পির: সুফি শিক্ষক, যিনি অনুসারীদের অতীন্দ্রিয় পথে নির্দেশনা দিতে পারেন। কাজিঃ শরিয়াহ্ প্রয়োগকারী বিচারক।
কিবলাহ্: প্রার্থনার সময় মুসলিমরা “যেদিকে” ফেরে। একেবারে গোড়ার দিকে কিবলাহ্ ছিল জেরুজালেম, পরে মুহাম্মদ (স:) তা মক্কার দিকে পরিবর্তন করেন।
রাশিদুন: চারজন “সঠিকপথে পরিচালিত” খলিফাহ্, যারা পয়গম্বর মুহাম্মদের (স: ) সহচর ও প্রত্যক্ষ উত্তরাধিকারী ছিলেন: আবু বকর, উমর ইবন আল-খাত্তাব, উসমান ইবন আফফান এবং আলী ইবন আবি তালিব।
সালাত: মুসলিমরা দিনে পাঁচবার যে আনুষ্ঠানিক প্রার্থনা করে।
শাহাদাহ্: বিশ্বাসের মুসলিম ঘোষণা: “আমি ঘোষণা করছি যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনও ঈশ্বর নেই এবং মুহাম্মদ(স:) তাঁর পয়গম্বর।“
শরিয়াহ্: “জলাধারে যাবার পথ।” কুরান, সুন্নাহ এবং আহাদিস থেকে সংগৃহীত ইসলামী পবিত্র আইন। শিয়া মুসলিম: শিয়াহ-ই-আলী বা আলীর পক্ষাবলম্বনকারীদের অন্তর্ভুক্ত, এরা বিশ্বাস করে যে রাশিদুনদের স্থলে পয়গম্বরের নিকটতম পুরুষ আত্মীয় আলী ইবন আবি তালিবেরই শাসন করা উচিত ছিল, বেশ কয়েকজন ইমামকে মানে তারা, যারা আলী এবং পয়গম্বরের কন্যা ফাতিমার প্রত্যক্ষ পুরুষ বংশধর। সুন্নী সংখ্যাগরিষ্ঠের সঙ্গে এদের মতপার্থক্য সম্পূর্ণই রাজনৈতিক। সুফি, সুফিবাদ: সুন্নী ইসলামের অতীন্দ্রিয়বাদী ঐতিহ্য।
সুন্নাহ্: রীতি। পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে সহচর ও পরিবার কর্তৃক নথিভুক্ত ইসলামের আদর্শ নিয়ম হিসাবে বিবেচিত পয়গম্বর মুহাম্মদের(স:) অভ্যাস ও ধর্মীয় আচরণ। এভাবে এগুলো ইসলামী আইনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যাতে মুসলিমরা ঈশ্বরের প্রতি পয়গম্বরের নিখুঁত আত্মসমর্পণের (ইসলাম) আদর্শরূপের কাছাকাছি যেতে পারে।
সুন্নী ইসলাম: চার রাশিদুনকে শ্রদ্ধাকারী ও চলতি ইসলামী ব্যবস্থাকে বৈধতা দানকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের বোঝানোর জন্যে ব্যবহৃত হয়।
তরিকাহ্: কোনও একটি ভ্রাতৃসংঘ বা মতবাদ যারা সুফি “পথ” অনুসরণ করে এবং যাদের নিজস্ব বিশেষ জিকর ও শ্রদ্ধেয় নেতৃবৃন্দ রয়েছেন।
তাওহীদঃ একীকরণ। স্বর্গীয় একত্ব, মুসলিমরা তাদের রীতিনীতি ও অগ্রাধিকার সমূহের সমন্বয়ের মাধ্যমে এবং ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব মেনে নিয়ে তাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে যার অনুকৃতি আনতে চায়।
উলেমা (একবচনে, আলিম): শিক্ষিত জন, ইসলামের আইনগত ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের অভিভাবক।
উম্মাহ্: মুসলিম সমাজ।
উমরাহ্: কাবার চারদিকে আনুষ্ঠানিক প্রদক্ষিণ।
যাকাত: বিশুদ্ধতা। আয় ও মূলধনের উপর নির্ধারিত কর (সাধারণত ২.৫ শতাংশ) বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা সকল মুসলিমকে প্রতিবছর দরিদ্রদের সহযোগিতার জন্যে অবশ্যই প্রদান করতে হয়।
(ইংরেজি বর্ণানুক্রম অনুসৃত হয়েছে-অনুবাদক।)