সেলিম (প্রথম): অটোমান সুলতান (১৫১২-২০), যিনি মামলুকদের কাছ থেকে সিরিয়া, প্যালেস্টাইন ও মিশর অধিকার করেন।
সেলিম (তৃতীয়): অটোমান সুলতান (১৭৮৯-১৮০৭)। সাম্রাজ্যের পাশ্চাত্য ঘেঁষা সংস্কারের প্রয়াস পেয়েছিলেন।
শাফি, মুহাম্মদ ইদরিস আল-: (মৃত্যু: ৮২০): ইসলামী আইনের নীতিমালা (উসুল ) প্রণয়নের মাধ্যমে ফিকহর বিপ্লবী রূপ দিয়েছেন এবং জুরেসপ্রুডেন্সের শাফী মতবাদের প্রবর্তক।
শাহ্ জিহান: মোঘল সম্রাট (১৬২৭-৫৮), যাঁর শাসনামল মোঘুলদের পরিমার্জনা ও অনন্যতা প্রত্যক্ষ করেছে; তাজ মহলের নির্মাতা 1
শাহ ওয়ালি-উল্লাহ্ (১৭০৩-৬২) : ভারতের একজন সুফি সংস্কারক যিনি ইসলামের প্রতি পাশ্চাত্য আধুনিকতাকে হুমকি হিসাবে বিবেচনাকারীদের অন্যতম।
সিনান পাশা (মৃত্যু: ১৫৭৮): ইসতাম্বুলের সুলেমানিয়া মসজিদ ও এডিরনের সেলিমিয়া মসজিদের স্থপতি।
সোরোশ, আবদোলকরিম (১৯৪৫): নেতৃস্থানীয় ইরানি বুদ্ধিজীবী যিনি শিয়া মতবাদের অধিকতর উদার ব্যাখ্যার কথা বললেও পাশ্চাত্যের সেক্যুলারিজম বিরোধী 1 সুত্রাওয়ার্দি, ইয়াহিয়া (মৃত্যু: ১১৯১) : সুফি দার্শনিক, প্রাক-ইসলামী ইরানি
অতীন্দ্রিয়বাদের ভিত্তিতে আলোকন (ইশরাক) মতবাদ প্রবর্তন করেন। আলেপ্পোতে কথিত ধর্মদ্রোহীতার দায়ে আয়ুবীয় শাসকগণ তাঁকে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন।
সুলেইমান (প্রথম): অটোমান সুলতান (১৫২০-৬৬), ইসলামী বিশ্বে আল-কানুনি অর্থাৎ আইনদাতা নামে খ্যাত, এবং পাশ্চাত্যে ‘দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ নামে পরিচিত। সাম্রাজ্যের সুস্পষ্ট রীতিনীতি প্রণয়ন করেন। তাঁর শাসনামলে সাম্রাজ্য ক্ষমতার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।
তাবারি, আবু জাফর (মৃত্যু: ৯২৩): শরিয়াহ্’র পণ্ডিত ও ঐতিহাসিক, সর্বজনীন ইতিহাস রচনা করেছিলেন, ঈশ্বরের উপাসনাকারী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাফল্য ও ব্যর্থতার অনুসন্ধান করেন, মুসলিম উম্মাহ্ প্রতি বিশেষ জোর দিয়েছেন সেখানে।
তাতাওয়ি, রিফাহ্ আল-(১৮০১-৭৩): প্রকাশিত দিনপঞ্জীতে ইউরোপীয় সমাজের আবেগময় প্রশংসা তুলে ধরেছেন এই মিশরীয় আলিম, ইউরোপীয় গ্রন্থাদির আরবী অনুবাদ করেন তিনি এবং মিশরে আধুনিকীকরণের ধারণা উৎসাহিত করেন ৷
উমর (দ্বিতীয়): একজন উমাঈয়াহ্ খলিফাহ্ (৭১৭-২০), যিনি ধর্মীয় আন্দোলনের নীতিমালা অনুযায়ী শাসনের প্রয়াস পেয়েছিলেন। প্রথম খলিফাহ্ যিনি প্রজাদের ইসলাম ধর্মগ্রহণে উৎসাহ জুগিয়েছেন।
উমর ইবন আল-খাত্তাব : পয়গম্বর মুহাম্মদের(স: ) অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহচর। পয়গম্বরের পরলোকগমনের পর দ্বিতীয় খলিফাহ্ হন (৬৩৪-৪৪) এবং প্রথম আরব বিজয়াভিযানের পরিকল্পনা করেন, নির্মাণ করেন গ্যারিসন শহরগুলো। জনৈক পারসিয়ান যুদ্ধবন্দীর হাতে প্রাণ হারান তিনি।
উসমান ইবন আফফান: মুহাম্মদের(স:) ধর্মগ্রহণকারীদের অন্যতম এবং তাঁর মেয়ে জামাই। তৃতীয় খলিফাহ্ (৬৪৪-৫৬) হয়েছিলেন তিনি কিন্তু পূর্বসূরীদের তুলনায় কম সমর্থ শাসক ছিলেন। তাঁর অনুসৃত নীতিমালা তাঁর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ জন্ম দেয় এবং বিদ্রোহের উস্কানি সৃষ্টি হয় এবং সেই সময় মদীনায় নিহত হন তিনি। তাঁর হত্যাকাণ্ডের ফলে প্রথম ফিৎনাহ্ যুদ্ধ সূচিত হয়েছিল। ওয়ালিদ (প্রথম), খলিফাহ্ আল-উমাঈয়াহ্ খলিফা (৭০৫-১৭), যিনি উমাঈয়াদের ক্ষমতা ও সাফল্যের শীর্ষ সময়ে শাসন করেছিলেন।
ওয়াসান ইবন আতা (মৃত্যু: ৭৪৮): যৌক্তিক ধর্মতত্ত্ব মুতাযিলা মতবাদের প্রবর্তক ইয়াসিন, শেখ আহ্লাদ (১৯৩৬) ইসরায়েল অধিকৃত গাযায় কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান
মুজামার (ইসলামী কংগ্রেস) প্রতিষ্ঠাতা। সন্ত্রাসী গ্রুপ HAMAS এই আন্দোলনের দলছুট অংশ।
ইয়াযিদ (প্রথম): উমাঈয়াহ্ খলিফাহ্ (৬৮০-৮৩), কারবালায় হুসেইন ইবন আলীর হত্যাকাণ্ডের জন্যে প্রধানত তাঁকে দায়ী করা হয়।
যায়েদ ইবন আলী (মৃত্যু: ৭৪০): পঞ্চম শিয়া ইমামের ভাই; রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন এবং পঞ্চম ইমাম হয়ত তাঁর নেতৃত্বের দাবী রুখতেই নিজস্ব নীরবতার দর্শন গড়ে তোলেন। এরপর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ও দ্বাদশবাদীদের রাজনীতি হতে বিরত থাকার নীতিকে বর্জনকারী শিয়ারা অনেক সময় যায়েদীয় নামে পরিচিত হয়ে থাকে।
(ইংরেজি বর্ণানুক্রম অনুসৃত হয়েছে)
আরবী শব্দার্থ
আহাদিস (এক বচনে, হাদিস): সংবাদ, প্রতিবেদন। পয়গম্বর মুহাম্মদের(স:) শিক্ষা ও আচরণ সম্পর্কিত দালিলিক বিবরণ, যেগুলো কুরানে নেই, কিন্তু তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও পারিবারিক সদস্যগণ ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্যে নথিবদ্ধ করে গেছেন।
আহল আল-হাদিস : হাদিসপন্থীগণ। উমাঈয়াহ্ আমলে আবির্ভূত চিন্তাধারা যা জুরিস্টদের ইজতিহাদ প্রয়োগের অনুমতি দেয় না, বরং আহাদিসের ওপর নির্ভর করে সকল বিধি-বিধান প্রয়াগের উপর জোর দেয় ৷
আহল আল-কিতাব: ঐশীগ্রন্থধারী জাতি। পূর্ববর্তী ঐশীগ্রন্থের অনুসারী জাতি, যেমন ক্রিশ্চান বা ইহুদি বোঝাতে কুরানের পরিভাষা। যেহেতু পয়গম্বর (স:) এবং অধিকাংশ প্রাথমিক মুসলিমরা নিরক্ষর ছিলেন এবং তাঁদের কাছে গ্রন্থ থাকলেও খুব অল্পই ছিল, এমন মত প্রকাশ করা হয় যে, এর অনুবাদ হওয়া উচিত: “পূর্বের প্রত্যাদেশের অনুসারীগণ।”