মনসুর, হুসেইন আল- (আল হাল্লাজ, উল কারডার নামেও পরিচিত): অন্যতম সুবিখ্যাত “ড্রাঙ্কেন সুফি” যিনি মোহাবিষ্ট অবস্থায় ঈশ্বরের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ মিলনের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে “আনা আল-হাক্ক!” (“আমিই সত্য!”) বলে চেঁচিয়ে উঠেছিলেন বলে কথিত আছে। ধর্মোদ্রোহের অপরাধে ৯২২-এ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় তাঁকে।
মাওদুদি, আবুল আলা (১৯০৩-৭৯): পাকিস্তানি মৌলবাদী আদর্শবাদী, সুন্নী বিশ্বে যাঁর ধারণার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।
মেমেদ (দ্বিতীয়): অটোমান সুলতান (১৪৫১-৬১) ১৪৫৩তে বাইযানটাইন কনসট্যান্টিনোপল অধিকার করেছিলেন বলে যিনি “দ্য কনকোয়েরার” নামেও পরিচিত।
মির দিমাদ (মৃত্যু: ১৬৩১): ইসফাহানে অতীন্দ্রিয়বাদী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা এবং মোল্লাহ্ সদরার শিক্ষক।
মুয়াবিয়াহ্ ইবন আবি সুফিয়ান: ৬৬১ থেকে ৬৮০ পর্যন্ত শাসনকারী প্রথম উমাঈয়াহ্ খলিফা যিনি প্রথম ফিৎনাহ্র পরবর্তী উন্মাতাল পরিস্থিতির পর মুসলিম সমাজে শক্তিশালী কার্যকর সরকার উপহার দিয়েছিলেন।
মুদ্দারিস, আয়াতোল্লাহ্ হাসান (মৃত্যু: ১৯৩৭); একজন ইরানি পুরোহিত, যিনি মজলিসে রেযা শাকে আক্রমণ করেন এবং শাসকদলের হাতে প্রাণ হারান।
মুহাম্মদ ইবন আবদাল্লাহ্ (স:) (৫৭০-৬৩২): পয়গম্বর, যিনি মুসলিমদের কুরান উপহার দেন, একেশ্বরবাদী ধর্ম বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠা করেন এবং আরবে একক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।
মুহাম্মদ আলী, পাশা (১৭৬৯-১৮৪৯): অটোমান সেনাবাহিনীর একজন আলবেনিয় কর্মকর্তা যিনি মিশরকে কার্যত: ইস্তাম্বুলের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করেন। দেশে উল্লখযোগ্য আধুনীকরণেও সফল হয়েছিলেন তিনি।
মুহাম্মদ ইবন আলী আল-সানুসি (মৃত্যু: ১৮৩২): সানুসিয়াহ্ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা নব্য-সুফি সংস্কারক, যা লিবিয়ায় আজও প্রভাবশালী।
মুহাম্মদ আল-বাকির (মৃত্যু: ৭৩৫) : পঞ্চম শিয়া ইমাম। মদীনায় অবসর জীবনযাপন করেন তিনি। বলা হয় কুরান পাঠের এক নিগূঢ় পদ্ধতির আবিষ্কার করেছিলেন যা দ্বাদশবাদী শিয়াহ্ মতবাদের বৈশিষ্ট্য।
মুহাম্মদ, খওয়ারাযমশাহ্: খওয়ারাযমে এক রাজবংশের (১২০০-২০) শাসক, যিনি ইরানে শক্তিশালী রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়াস পেয়েছিলেন কিন্তু মঙ্গোলদের রোষ টেনে আনেন ও প্রথম মঙ্গোল আক্রমণের পথ খুলে দেন।
মুহাম্মদ রেযা পালভী, শাহ্: ইরানের দ্বিতীয় পাহলভী শাহ্ (১৯৪৪-৭৯), যাঁর আক্রমণাত্মক আধুনিকীকরণ ও সেক্যুলারকরণের নীতিমালা ইসলামী বিপ্লবের জন্ম দেয়।
মুলকুম খান, মির্যা (১৮৩৩-১৯০৮): ইরানি সেক্যুলারিস্ট সংস্কারক।
মোল্লা সদরা (মৃত্যু: ১৬৪০): শিয়া অতীন্দ্রিয়বাদী দার্শনিক যাঁর রচনাবলী বিশেষ করে ইরানের বুদ্ধিজীবী, বিপ্লবী ও আধুনিকতাবাদীদের অনুপ্রেরণার উৎস ছিল। মুরাদ (প্রথম): অটোমান সুলতান (১৩৬০-৮৯)। কসোভো রণক্ষেত্রে যিনি সারবীয়দের পরাস্ত করেছিলেন।
মুসলিম (মৃত্যু: ৮৭৮): একটি বিশ্বস্ত হাদিস সংকলনের সংগ্রাহক।
মুস্তাফা কেমাল, আতাতুর্ক নামেও পরিচিত (১৮৮১-১৯৩৮): আধুনিক, সেক্যুলার টার্কির প্রতিষ্ঠাতা।
মুতাওয়াক্কিল, খলিফাহ্ আল-: আব্বাসীয় খলিফাহ্ (৮৪৭-৬১)। সামারায় আসকারি দুর্গে শিয়া ইমামদের আটকের জন্যে দায়ী।
নাদির খান (মৃত্যু: ১৭৪৮): সাফাভীয় রাজবংশের পতনের পর সাময়িকভাবে শিয়া ইরানের সামরিক শক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করেন।
নাইনি, শেখ মুহাম্মদ হুসেইন (১৮৫০-১৯৩৬) : ইরানি মুজতাহিদ যাঁর অ্যাডমোনিশন টু দ্য নেশন শিরোনামের নিবন্ধ সাংবিধানিক শাসনের ধারণার প্রতি জোরাল সমর্থন দিয়েছিল।
নাসির, খলিফাহ্ আল-: অন্যতম শেষ আব্বাসীয় খলিফাহ্ যিনি বাগদাদের শাসনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইসলামী প্রতিষ্ঠানসমূহ ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।
নাসের, জামাল আবদ আল- : মিশরের প্রেসিডেন্ট(১৯৫২-৭০), চরম জাতীয়তাবাদী, সেক্যুলারিস্ট এবং সোস্যালিস্ট সরকারের নেতৃত্ব দেন।
নিযামুলমুলক্: তীক্ষ্ণধী পারসীয় উযির যিনি ১০৬৩ থেকে ১০৯২ পর্যন্ত সেলজুক সাম্রাজ্য শাসন করেন।
কুতব, সাইয়ীদ (১৯০৬-৬৬): নাসের প্রশাসনের হাতে নিহত মুসলিম ব্রাদার, সুন্নী মৌলবাদের ক্ষেত্রে তাঁর মতবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রশিদ, খলিফাহ্ হারুন আল-: আব্বাসীয় খলিফাহ্ (৭৮৬-৮০৯) যাঁর শাসনামলে খেলাফত ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করছিল, তিনি এক অসাধারণ সাংস্কৃতিক জাগরণের নেতৃত্ব দেন ৷
রেযা খান: ইরানের শাহ্ (১৯২১-৪১) এবং পালভী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সরকার আক্রমণাত্মক ধরনের সেক্যুলারিস্ট ও জাতীয়তাবাদী ছিল।
রিদা, মুহাম্মদ রশিদ (১৮৬৫-১৯৩৫) : কায়রোয় সালাফিয়াহ্ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। পূর্ণাঙ্গ আধুনিক ইসলামী রাষ্ট্রের প্রবক্তা।
রুমি, জালাল আল-দিন (১২০৭-৭৫): প্রবল প্রভাবশালী সুফি নেতা যাঁর বিশাল সংখ্যক অনুসারী ছিল এবং যিনি মাওলানি, বা প্রায়শ “ঘূর্ণায়মান দরবেশ (Whirling Dervishs)” নামে পরিচিত ধারার প্রতিষ্ঠা করেন।
সালাহ আদ-দিন, ইউসুফ ইবন আইয়ূব (মৃত্যু: ১১৯৩): সিরিয়া ও মিশরব্যাপী এক বিশাল সাম্রাজ্যের সুলতানের পদে আসীন হওয়া কুর্দিশ সেনাপতি, ফাতিমীয় খেলাফতকে পরাজিত করার পর মিশরকে সুন্নী ইসলামে ফিরিয়ে আনেন, ক্রুসেডারদের জেরুজালেম থেকে রিতাড়ন করেন। সালাহ্ আদ-দিন (পাশ্চাত্যে সালাদিন নাম পরিচিত) আইয়ূবীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা।