ইবন আল-যুবায়ের, আবদাল্লাহ্ (মৃত্যু : ৬৯২) : দ্বিতীয় ফিনার সময় উমাঈয়াদের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ।
ইকবাল, মুহাম্মদ (১৮৭৬-১৯৩৮): ভারতীয় কবি ও দার্শনিক, ইসলাম পশ্চিমা আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে সক্ষম প্রমাণের লক্ষ্যে তিনি এর যৌক্তিকতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ইসমায়েল: বাইবেলে ইশমায়েল নামে পরিচিত পয়গম্বর, আব্রাহামের জ্যেষ্ঠ পুত্র। ঈশ্বরের নির্দেশে যিনি মা হ্যাঁগারসহ নির্বাসিত হয়েছিলেন, কিন্তু ঈশ্বর কর্তৃক রক্ষা পান। মুসলিম ট্র্যাডিশন অনুযায়ী হ্যাঁগার (হাজেরা) ও ইসমায়েল মক্কায় বসবাস করেছেন, আব্রাহাম তাঁদের দেখতে আসেন। আব্রাহাম ও ইসমায়েল কাবাহ্ পুনর্নির্মাণ করেন (আদিতে যা আদি পয়গম্বর এবং মানবজাতির পিতা অ্যাডাম নির্মাণ করেছিলেন)।
ইসমায়েল ইবন জাফর: পিতা জাফর আস-সাদিক কর্তৃক শিয়াদের সপ্তম ইমাম মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। শিয়াদের কেউ কেউ (ইসমায়েলি বা সপ্তবাদী নামে পরিচিত) বিশ্বাস করে যে, তিনি আলী ইবন আবি তালিবের সর্বশেষ সরাসরি বংশধর, ইমামতি করার উত্তরাধিকারী হবার জন্যে জাফর আস- সাদিকের কনিষ্ঠ পুত্র মুসা আল-কাজিমের ইমামতি স্বীকার করে না, যিনি দ্বাদশবাদী শিয়াহদের কাছে সপ্তম ইমাম হিসাবে শ্রদ্ধেয়।
ইসমায়েল পাশা: মিশরের গভর্নর হন তিনি এবং খেদিভ (মহান রাজপুত্র) খেভাবে
ভূষিত হন। তাঁর উচ্চাভিলাষী আধুনিকীকরণ কর্মসূচী দেশকে দেউলিয়া করে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ দখলদারীর দিকে ঠেলে দেয়।
ইসমায়েল, শাহ্ (১৪৮৭-১৫২৪): ইরানের প্রথম সাফাফীয় শাহ্, যিনি দেশে দ্বাদশবাদী শিয়াদের আমদানি করেন।
জাফর আস-সাদিক (মৃত্যু:৭৬৫) : ষষ্ঠ শিয়াহ্ ইমাম, যিনি ইমামতির মতবাদ প্রবর্তন করেন এবং অনুসারীদের রাজনীতি হতে সরে গিয়ে কুরানের অতীন্দ্রিয়বাদী ধ্যানে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান।
জামাল আল-দিন, “আল-আফগানি” (১৮৩৯-৯৭): ইরানি সংস্কারক, যিনি ইউরোপের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আক্রমণ এড়ানোর লক্ষ্যে সকল পর্যায়ের মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামকে আধুনিক করে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জিন্নাহ্, মুহাম্মদ আলী (১৮৭৬-১৯৪৮): দেশ বিভাগের সময় ভারতে মুসলিম লীগের নেতা, যে কারণে পাকিস্তানের স্থপতি হিসাবে প্রশংসিত হন।
জুনায়েদ (বাগদাদের) (মৃত্যু:৯১০): প্রথম “সোবার সুফি”, যিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে বর্ধিত আত্মনিয়ন্ত্রণে ঈশ্বরের অভিজ্ঞতা বিরাজ করে এবং “মাতাল সুফি”দের বুনো মাতামাতি এমন এক তুচ্ছ পর্যায় প্রকৃত অতীন্দ্রিয়বাদীর যা অতিক্রম করে যাওয়া উচিত।
খাদিজা: পয়গম্বর মুহাম্মদের(স:) প্রথম স্ত্রী এবং তাঁর সকল জীবিত সন্তানের মাতা। তিনি প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীও ছিলেন এবং হিজরার আগে মক্কার কুরাইশদের চালানো মুসলিমদের উপর নির্যাতনকালে পরলোকগমন করেন (৬১৬-১৯), সম্ভবত খাদ্যাভাবে ভোগার পরিণাম।
খান, মুহাম্মদ আইয়ুব: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (প্রেসিডেন্ট-অনুবাদক) (১৯৫৮- ৬৯), যিনি শক্তিশালী সেক্যুলারাইজিং নীতি অনুসরণ করেছেন যা শেষ পর্যন্ত তাঁর পতন ডেকে আনে।
খাতামি, হোজ্জাত ওল-ইসলাম সাইয়ীদ: ইরানের প্রেসিডেন্ট (১৯৯৭-)। তিনি ইরানে ইসলামী আইনের আরও উদার ব্যাখ্যা দেখতে চান, পাশ্চাত্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নও তাঁর ইচ্ছা।
খোমিনি আয়াতোল্লাহ্ রুহোল্লাহ্ (১৯০২-৮৯): পাহলভী শাসনের বিরুদ্ধে ইসলামী অভ্যূত্থানের আধ্যাত্মিক পরামর্শক এবং ইরানের সর্বোচ্চ ফাকিহ্ (১৯৭৯- ৮৯)।
কিন্দি, ইয়াকুব ইবন ইসহাক আল- (মৃত্যু:৮৭০): প্রথম প্রধান ফায়লাসুফ যিনি বাগদাদে মুতাযিলাদের সঙ্গে কাজ করেছেন আবার গ্রিক সাধুদের কাছ থেকেও জ্ঞান সন্ধান করেছেন ৷
কিরমানি, আকা খান (১৮৫৩-৯৬): ইরানের সেক্যুলারিস্ট সংস্কারক।
মাহদি, খলিফাহ্-আল-: আব্বাসীয় খলিফাহ্ (৭৭৫-৮৫), যিনি অধিকতর ধার্মিক মুসলিমদের ধর্মানুরাগের স্বীকৃতি দিয়েছেন, ফিকর চর্চা উৎসাহিত করেছেন এবং ধার্মিকদের নিজের শাসনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে সাহায্য করেছেন।
মাহমুদ, দ্বিতীয়: অটোমান সুলতান (১৮০৮-৩৯), যিনি আধুনিকীকরণের টানযিমাট সংস্কার সূচিত করেছিলেন।
মজলিসি, মুহাম্মদ বাকির (মৃত্যু: ১৭০০) একজন আলিম যিনি দ্বাদশবাদী শিয়াহ্ মতবাদ ইরানের রাষ্ট্রীয় ধর্মীয় বিশ্বাসে পরিণত হবার পর এক অপেক্ষাকৃত কম আকর্ষণীয় রূপ দেখিয়েছিলেন ফালসাফাঁদের শিক্ষা দমন আর সুফিদের ওপর নির্যাতন চালানোর মাধ্যমে।
ম্যালকম এক্স (১৯২৫-৬৫): কৃষ্ণাঙ্গ বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ নেশন অভ ইসলাম এর ক্যারিশম্যাটিক নেতা, নাগরিক অধিকার আন্দোলন কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক পরিচিতি পান। ১৯৬৩তে তিনি হেটারোডক্স নেশন অভ ইসলাম ত্যাগ করে তাঁর অনুসারীদের নিয়ে সুন্নী ইসলামের মূলধারায় যোগ দেন এবং পরিণামে দু’বছর পর আততায়ীর হাতে প্রাণ হারান।
মালিক ইবন আনাস (মৃত্যু: ৭৯৫): ইসলামী জুরেসপ্রুডেন্সের মালিকি মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা।
মামুন, খলিফাহ্ আল-আব্বাসীয় খলিফাহ্ (৮১৩-৩৩) যাঁর শাসনামলে আব্বাসীয়দের পতন সূচিত হয়।
মনসুর, খলিফাহ্ আল-আব্বাসীয় খলিফাহ্ (৭৫৪-৭৫) শিয়া ভিন্নমতাবলম্বীদের কঠোর হাতে দমন করেন এবং সাম্রাজ্যের রাজধানী নতুন নগরী বাগদাদে সরিয়ে নেন।