আকা মুহাম্মদ খান (মৃত্যু : ১৭৯৭) : ইরানে কাজার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা।
আউরেঙজেব: মোঘুল সম্রাট (১৬৫৮-১৭০৭) যিনি আকবরের সহিষ্ণু নীতিমালা পাল্টে দেন এবং হিন্দু ও শিখ বিদ্রোহ জাগিয়ে তোলেন।
বায়বরস, রুকন আদ-দিন (মৃত্যু: ১২৭৭) : মামলুক সুলতান, যিনি উত্তর প্যালেস্টাইনের আইন জালুটে মঙ্গোল হোর্ডদের পরাজিত করেন এবং সিরিয় উপকুলীয় এলাকার অধিকাংশ অবশিষ্ট ক্রুসেডার অবস্থানগুলো নিশ্চিহ্ন করে দেন।
বান্না, হাসান আল- (১৯০৬-৪৯): মিশরীয় সংস্কারক এবং সোসায়েটি অভ মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৪৯-এ মিশরের সেক্যুলারিস্ট সরকারের হাতে প্রাণ হারান।
ভুট্টো, যুলফাকির আলী: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (১৯৭১-৭৭), যিনি ইসলাম পন্থীদের ছাড় দেন কিন্তু অধিকতর ধার্মিক জিয়া আল-হক কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হন।
বিসতামি, আবু ইয়াযিদ আল- (মৃত্যু:৮৭৪): “মাতাল সুফি”দের (“drunken Sufis”) অন্যতম পুরোধা, যিনি ঈশ্বরের বিলীন (ফানাহ্) হওয়ার মতবাদ প্রচার করেছেন এবং এক দীর্ঘ অতীন্দ্রিয়বাদী অনুশীলনের পর আপন সত্তার গভীরতম প্রদেশে অলৌকিকের সন্ধান পেয়েছেন।
বুখারি, আল-(মৃত্যু: ৮৭০): আলহাদিসের বিশ্বস্ত সংকলনের রচয়িতা।
চেলেবি, আবু আল-সান্দ খোলা (১৪৯০-১৫৭৪): অটোমান শরিয়াহ্ ভিত্তিক রাষ্ট্রের আইনগত নীতিমালা প্রণয়ন করেন।
ফারাবি, আবু নাসর আল-(মৃত্যু: ৯৫০) : ফায়লাসুদের ভেতর সর্বাধিক যুক্তিবাদী, আবার সক্রিয় (Practising) সুফিও ছিলেন তিনি। আলেপ্পোর হামদানীয় রাজ দরবারে বাদ্যযন্ত্রী হিসাবেও কাজ করেছেন।
গানোউচি, রশিদ আল– (১৯৪১): নির্ধাচিত রেনেসাঁ পার্টির টিউনিসীয় নেতা নিজেকে যিনি “গণতান্ত্রিক ইসলামপন্থী” বলে বর্ণনা করেছেন।
গাযযালি, আবু হামিদ মুহাম্মদ (মৃত্যু: ১১১১): বাগদাদের ধর্মতাত্ত্বিক, যিনি সুন্নী ইসলামের সুনির্দিষ্ট অভিব্যক্তি দিয়েছেন এবং সুফিবাদকে ধার্মিকতার মূলধারায় নিয়ে এসেছেন।
হ্যাগার (হাজেরা) : বাইবেলে তিনি আব্রাহামের স্ত্রী এবং আব্রাহামের পুত্র ইশমায়েলের (আরবীতে ইসমায়েল) মাতা, ইসমায়েল আরব জাতির পিতায় পরিণত হন। এ কারণে হ্যাঁগার ইসলামের অন্যতম মাতৃস্থানীয় নারী হিসাবে শ্রদ্ধেয় এবং মক্কায় হজ্জ তীর্থযাত্রায় বিশেষ শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁকে স্মরণ করা হয়।
হাক, যিয়া উল-পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (প্রেসিডেন্ট-অনুবাদক) (১৯৭১-৭৭), যিনি অধিকতর ইসলামী সরকার পরিচালনা করেছেন, যদিও তা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতি হতে ধর্মকে আলাদা রেখেছিল।
হাসান ইবন আলী (মৃত্যু:৬৬৯): আলী ইবন আবি তালিবের ছেলে এবং পয়গম্বর মুহাম্মদদের(স:) দৌহিত্র। শিয়ারা তাঁকে দ্বিতীয় ইমাম হিসাবে শ্রদ্ধা করে। পিতার হত্যাকাণ্ডের পর শিয়ারা তাঁকে খলিফাহ্ ঘোষণা করে, কিন্তু হাসান রাজনীতি হতে অবসর গ্রহণে সম্মত হন এবং মদীনায় নিরিবিলি এবং কিছুটা বিলাসী জীবন যাপন করেন।
হাসান আল-আশারি (মৃত্যু:৯৩৫):মুতাযিলা এবং আহল-আল-হাদিসের সমন্বয়কারী দার্শনিক। তার অ্যাটোমিস্টিক দর্শন সুন্নী ইসলামের আধ্যাত্মিকতা প্রকাশের অন্যতম প্রধান অভিব্যক্তিতে পরিণত হয়।
হাসান আল-আসকারি (মৃত্যু:৮৭৪) : একাদশ শিয়াহ্ ইমাম, যিনি সামারার আসকারি দূর্গে আব্বাসীয় খলিফাঁদের বন্দী হিসাবে বসবাস ও পরলোকগমন করেন। অধিকাংশ ইমামের মত তাঁকেও আব্বাসীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে বলে বিশ্বাস রয়েছে।
হাসান আল-বাসরি (মৃত্যু:৭২৮): বাসরা যাজক এবং ধর্মীয় সংস্কারের নেতা, উমঈয়াহ্ খেলাফতের তীব্র সমালোচক ছিলেন তিনি।
গোপন ইমাম: আবু আল-কাসিম মুহাম্মদ দেখুন।
হুসেইন ইবন আলী: আলী ইবন আবি তালিবের দ্বিতীয় পুত্র এবং পয়গম্বর মুহাম্মদের (স:) দৌহিত্র। শিয়ারা তাঁকে তৃতীয় ইমাম হিসাবে শ্রদ্ধা করে। খলিফাহ্ ইয়াযিদের হাতে তাঁর মৃত্যুর ঘটনাটির স্মরণে মুররম মাসে বার্ষিকী শোক প্রকাশ করা হয় ৷
ইবন হাযাম (৯৯৪-১০৬৪): স্পেনের কবি এবং কর্ডোভা রাজদরবারের ধর্মীয় চিন্তাবিদ।
ইবন ইসহাক, মুহাম্মদ (মৃত্যু:৭৬৭): পয়গম্বর মুহাম্মদের(স:) প্রথম উল্লেখযোগ্য জীবনীর রচয়িতা, যা সযত্নে বাছাই করা প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে রচিত।
ইবন খালদুন, আব্দ আল-রহমান (১৩৩২-১৪০৬): আল-মাকাদ্দিমাহ্ (অ্যান ইনট্রোডাকশন টু হিস্ট্রি)-র রচয়িতা। একজন ফায়লাসুফ, তিনি ইতিহাস পর্যালোচনায় দর্শনের নীতিমালা প্রয়োগ করেছেন এবং ঘটনাপ্রবাহের নেপথ্যে ক্রিয়াশীল সর্বজনীন আইনের সন্ধান করেছেন।
ইবন রুশদ, আবু আল-ওয়ালিদ আহমাদ (১১২৬-৯৮): কর্ডোভা, স্পেনের একজন ফায়লাসুফ ও কাজি, পশ্চিমে আভোরেয়োস নামে পরিচিত, যেখানে মুসলিম বিশ্বের তুলনায় তাঁর যুক্তিবাদী দর্শনের প্রভাব অনেক বেশী।
ইবন সিনা, আবু আলি (৯৮০১০৩৭): পশ্চিমে আভিসেনা নামে পরিচিত, যিনি ফালসাফার অ্যাপোজী তুলে ধরেছেন, যাঁকে ধর্মীয় ও অতীন্দ্রিয়বাদী অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন।
ইবন তাঈমিয়াহ্ (১২৬৩-১৩২৮): একজন সংস্কারক যিনি সুফিবাদের প্রভাবের বিপরীতে কুরান ও সুন্নাহর মৌলনীতিমালায় প্রত্যাবর্তনের প্রয়াস পেয়েছিলেন। দামাসকাসে কারারুদ্ধ অবস্থায় পরলোকগমন করেন তিনি।