১৮০৩-১৩ ওয়াহ্বিরা আরবীয় হিজায অধিকার করে একে অটোমান নিয়ন্ত্রণ থেকে ছিনিয়ে নেয়।
১৮০৫-৪৮ মুহাম্মদ আলী মিশরকে আধুনিক রূপ দেয়ার প্রয়াস পান।
১৮০৮-৩৯ সুলতান দ্বিতীয় মাহ্মুদ অটোমান সাম্রাজ্যে আধুনিকীকরণের “টানযিমাত” সংস্কার সূচিত করেন।
১৮১৪ গুলিস্তান চুক্তি: ককেশান এলাকা রাশিয়ার অধীনে যায়। ১৮১৫ অটোমান নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে সারবিয়ান বিদ্রোহ।
১৮২১ অটোমানদের বিরুদ্ধে গ্রিক স্বাধীনতা যুদ্ধ।
১৮৩০ ফ্রান্স কর্তৃক আলজেরিয়া দখল।
১৮৩১ মুহাম্মদ আলী অটোমান সিরিয়া দখল করেন এবং আনাতোলিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন, অটোমান সাম্রাজ্যের পরিধির ভেতরেই কার্যত স্বাধীন ইমপেরিয়াম ইন ইমপেরিয়ো প্রতিষ্ঠা করেন। অটোমান সাম্রাজ্যকে রক্ষা করার জন্যে ইউরোপীয় শক্তিগুলো হস্তক্ষেপ করে এবং মুহাম্মদ আলীকে সিরিয়া থেকে প্রত্যাহারে (১৮৪১) বাধ্য করে।
১৮৩৬ নব্য-সুফি সংস্কারক আহমাদ ইবন ইদরিসের পরলোকগমন।
১৮৩৯ ব্রিটিশরা অ্যাডেন অধিকার করে।
১৮৩৯-৬১ অটোমান সাম্রাজ্যের পতন রোধকল্পে সুলতান আবদুলহামিদ অধিকতর আধুনিকতামুখী সংস্কারের সূচনা করেন।
১৮৪৩-৪৯ ব্রিটিশদের সিন্ধু উপত্যকা অধিকার।
১৮৫৪-৫৬ ক্রিমিয়ার যুদ্ধ. অটোমান সাম্রাজ্যে সংখ্যালঘু ক্রিশ্চানদের নিরাপত্তা নিয়ে ইউরোপীয়দের বিরোধের মাধ্যমে যার সূচনা।
মিশরের গভর্নর সাইদ পাশা ফ্রেঞ্চদের সুয়েয খাল মঞ্জুর করেন। মিশর কর্তৃক প্রথমবারের মত বিদেশী ঋণ গ্রহণের জন্যে চুক্তি সম্পাদন।
১৮৫৭-৫৮ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয় বিদ্রোহ। ব্রিটিশদের হাতে শেষ মোঘল সম্রাটের পতন। স্যার সাইদ আহমাদ খান পাশ্চাত্য ধারায় ইসলামের সংস্কার ও ব্রিটিশ সংস্কৃতি গ্রহণের পক্ষে মত প্রচার করেন।
১৮৬০-৬১ লেবাননে দ্রুয় বিদ্রোহীদের পরিচালিত ম্যাসাকারের পর ফ্রেঞ্চরা দাবী করে যে এটা ফ্রেঞ্চ গভর্নরের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশে পরিণত হবে।
১৮৬১-৭৬ সুলতান আবদুলআযিয অটোমান সাম্রাজ্যের সংস্কার অব্যাহত রাখেন, ন্তু বিপুল বিদেশী ঋণ গ্রহণ করার ফলে সাম্রাজ্য দেউলিয়া হয়ে পড়ে এবং অটোমান অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ ইউরোপীয় সরকারগুলোর হাতে চলে যায়।
১৮৬৩-৭৯ মিশরের গভর্নর ইসমায়েল পাশা ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেন, কিন্তু বিদেশী ঋণের জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন যার ফলে দেউলিয়া পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, ব্রিটিশদের কাছে বিক্রি করতে হয় সুয়ে খাল। মিশরের অর্থনীতির ওপর ইউরোপীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭১-৭৯ ইরানি সংস্কারক আল-আফঘানি মিশরে অবস্থান করে মুহাম্মদ আবদুসহ মিশরীয় সংস্কারবাদীদের একটি গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল ইসলামের পুনর্জাগরণ ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে ইউরোপের সাংস্কৃতিক প্রাধান্য খর্ব করা।
১৮৭২-১৮৭৬ এক প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে ইরানে ব্রিটিশ ও রাশানদের বৈরিতা বৃদ্ধি। অটোমান সুলতান আবদুলআযিয উৎখাত হন। দ্বিতীয় আবদুলহামিদ প্রথম অটোমান সংবিধান ঘোষণা করতে বাধ্য হন, যা অবশ্য পরে সুলতান স্থগিত ঘোষণা করেন। শিক্ষা, পরিবহন ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অটোমান সংস্কার।
১৮৭৯ ইসমায়েল পাশার উৎখাত।
১৮৮১ ফ্রান্স কর্তৃক টিউনিসিয়া দখল।
১৮৮১-৮২ সংবিধানপন্থী ও সংস্কারবাদীদের সঙ্গে স্থানীয় মিশরীয় অফিসারদের এক বিদ্রোহের মাধ্যমে খেদিভ তাওফিকের ওপর তাদের নিজস্ব সরকারের প্রতিষ্ঠা। কিন্তু এক গণঅভ্যুথানের ফলে গভর্নর হিসেবে লর্ড ক্রোমারের নেতৃত্ব ব্রিটিশ দখলদারিত্বের সূচনা ঘটে।
গোপন সংস্থাসমূহ সিরিয়ার স্বাধীনতার প্রচারণা চালায়।
১৮৮৯ ব্রিটিশদের সুদান দখল।
১৮৯২ ইরানে তামাক-সঙ্কট। জনৈক নেতৃস্থানীয় মুজতাহিদের দেয়া ফতওয়াহ্’র কারণে শাহ্ ব্রিটিশদের দেয়া তামাক সংক্রান্ত বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। ১৮৯৪ অটোমানদের বিরুদ্ধাচরণকারী ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ আর্মেনিয়ান বিপ্লবীর নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড।
১৮৯৬ আল-আফঘানির জনৈক অনুসারীর হাতে ইরানের নাসিরুদ্দীন শাহ্ নিহত হন।
১৮৯৭ বেয়েলে প্রথমবারের মত যায়নিস্ট সম্মেলন অনুষ্ঠান। সম্মেলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য অটোমান প্রদেশ প্যালেস্টাইনে একটি ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা।
আল-আফঘানির পরলোকগমন।
১৯০১ ইরানে তেল আবিষ্কার এবং ব্রিটিশদের বিশেষ সুবিধা দান।
১৯০৩-১১ ব্রিটিশ কর্তৃক বঙ্গভঙ্গের পর ভারতে হিন্দু ও মুসলিমদের বিভক্ত করতে চায় তারা, এই আশঙ্কায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে (১৯০৬)।
১৯০৫ মিশরীয় সংস্কারক মুহাম্মদ আবদুর পরলোকগমন।
১৯০৬ ইরানে সংবিধানপন্থীদের বিপ্লবে শাহ্ একটি সংবিধান ঘোষণা এবং একটি মজলিস প্রতিষ্ঠায় বাধ্য হন কিন্তু এক অ্যাংলো-রাশান চুক্তি এবং শাহ্ কর্তৃক রুশ-সমর্থিত একটা পাল্টা অভ্যুত্থানে সংবিধান বাতিল হয়ে যায়।
১৯০৮ তুর্কী তরুণদের অভ্যুত্থান সুলতানকে সংবিধান পুনর্বহালে বাধ্য করে। ১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ।
ব্রিটেন মিশরকে প্রটেক্টরেট ঘোষণা করে; ব্রিটিশ ও রাশান বাহিনী মিশর দখল করে নেয়।
১৯১৬-২১ ব্রিটিশদের মদদে অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহ। ১৯১৭ বেলফর ঘোষণায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্যালেস্টাইনে ইহুদি আবাসভূমি প্রতিষ্ঠায় ব্রিটিশ সমর্থন প্রদান।