১৫১৪ চ্যালডিরানের যুদ্ধে শাহ্ ইসমায়েলের সাফাভিয় বাহিনীকে পরাস্ত করেন সুলতান প্রথম সেলিম, ফলে সাফাভিয় বাহিনীর অটোমান অঞ্চলে পশ্চিমমুখী অভিযাত্রা বাধাপ্রাপ্ত হয়।
১৫১৭ মামলুকদের কাছ থেকে মিশর ও সিরিয়া ছিনিয়ে নেয় অটোমানরা। ১৫২০-৬৬ পাশ্চাত্যে “দ্য ম্যাগনিফিশেন্ট” হিসাবে পরিচিত সোলেইমান অটোমান
সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটান এবং এর নিজস্ব আলাদা প্রতিষ্ঠানসমূহ গড়ে তোলেন! ১৫২২ অটোমান কর্তৃক রোডস অধিকার।
১৫২৪-৭৬ ইরানের দ্বিতীয় সাফাভিয় শাহ্ প্রথম তামাসপ্ সেখানে শিয়া প্রাধান্য সংহত করেন। তাঁর দরবার শিল্পকলার কেন্দ্রে পরিণত হয়, চিত্রকর্মের জন্য যা বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে।
১৫২৬ বাবুর ভারতে মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।
১৫২৯ অটোমানরা ভিয়েনা অবরোধ করে।
১৫৪২ পর্তুগিজরা প্রথম ইউরোপীয় বাণিজ্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে।
১৫৪৩ অটোমানরা হাঙেরি জয় করে।
১৫৫২-৫৬ রাশানরা ভলগা নদী তীরবর্তী প্রাচীন মঙ্গোল খানাট কাযান অস্ত্রাখান অধিকার করে নেয় ৷
১৫৬০-১৬০৫ আকবর মোঘুল ভারতের সম্রাট। সাম্রাজ্য চরম শিখরে পৌঁছে। আকবর হিন্দু-মুসলিম সহযোগিতা উৎসাহিত করেন এবং দক্ষিণ ভারতীয় অঞ্চল অধিকার করেন। এক সাংস্কৃতিক রেনেসাঁর নেতৃত্ব দেন তিনি। ভারত মহাসাগরে অটোমান ও পর্তুগিজরা নৌযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।
১৫৭০ অটোমান কর্তৃক সাইপ্রাস অধিকার।
১৫৭৮ অটোমান রাজকীয় স্থপতি সিনান পাশার মৃত্যু।
১৫৮০ দশক ভারতে পর্তুগিজদের ক্ষমতা ক্ষয়।
১৫৮৮-১৬২৯ শাহ্ প্রথম আব্বাস ইরানে সাফাভিয় সাম্রাজ্যের শাসক, ইসফাহানে এক জাঁকাল দরবার নির্মাণ করেন তিনি। আযারবাইযান ও ইরাক থেকে অটোমানদের উৎখাত করেন।
১৫৯০ ভারতে ডাচদের বাণিজ্য শুরু।
১৬০১ ডাচরা পর্তুগিজ ঘাঁটিগুলো অধিকার শুরু করে।
১৬০২ সুফি ঐতিহাসিক আবদুলফযল আল্লামির পরলোকগমন।
১৬২৫ সংস্কারক আমাদ শিরহিন্দির পরলোকগমন।
১৬২৭-৫৮ শাহ্ জিহান মোঘুল সাম্রাজ্যের সম্রাট, সাম্রাজ্য এর পরিণতির শিখরে পৌঁছে। তাজমহল নির্মাণ করেন।
১৬৩১ ইসফাহানে শিয়া দার্শনিক মির দিমাদের পরলোকগমন।
১৬৪০ ইরানি দার্শনিক ও অতীন্দ্রিয়বাদী মোল্লা সদরার পরলোকগমন।
১৬৫৬ অটোমান উজিরগণ অটোমান সাম্রাজ্যের পতন রোধ করেন।
১৬৫৮-১৭০৭ শেষ প্রধান মোঘল সম্রাট আউরেঙ্গজেব ভারতে ইসলামীকরণের প্রয়াস পান, কিন্তু হিন্দু ও শিখদের মাঝে দীর্ঘস্থায়ী বৈরিতা উৎসাহিত করেন।
১৬৬৯ অটোমান কর্তৃক ভেনিস হতে ক্রিট অধিকার।
১৬৮১ অটোমান কর্তৃক রাশিয়ার কাছে কিয়েভ পরিত্যাগ।
১৬৮৩ ভিয়েনায় দ্বিতীয় হামলায় ব্যর্থ হয় অটোমানরা, তবে সাফাভিয়দের কাছ থেকে ইরাক পুনরুদ্ধারে সফল হয় তারা।
১৬৯৯ কার্লোউইকস্ চুক্তির ফলে অটোমান হাঙেরি অস্ট্রিয়ার সঙ্গে মিলিত হয়, প্রথম বড় ধরনের অটোমান পশ্চাদাপসরণ।
১৭০০ ইরানের প্রভাবশালী শিয়া আলিম মুহাম্মদ বাকির মজলিসির পরলোকগমন। ১৭০৭-১২ মোঘল সাম্রাজ্য দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো হারায়। ১৭১৫ অস্ট্রিয়ান ও প্রুশিয়ান রাজ্যসমূহের উদ্ভব।
১৭১৮-৩০ সুলতান তৃতীয় আমাদ প্রথমবারের মত অটোমান সাম্রাজ্যে পাশ্চাত্যমুখী সংস্কার প্রয়াস পান, কিন্তু জানিসারিদের বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে সংস্কার প্রয়াস সমাপ্ত হয়।
১৭২২ আফগান বিদ্রোহীরা ইসফাহানে আক্রমণ চালিয়ে অভিজাত গোষ্ঠীকে হত্যা করে।
১৭২৬ নাদির শাহ্ সাময়িকভাবে ইরানি শিয়া সাম্রাজ্যের সামরিক শক্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
১৭৩৯ নাদির শাহ্ দিল্লী অধিকার করে ভারতে কার্যত মোঘল শাসনের অবসান ঘটান। হিন্দু, শিখ এবং আফগানদের মাঝে ক্ষমতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ইরানকে সুন্নী ইসলামের পথে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন নাদির শাহ্। ফলে, নেতৃস্থানীয় ইরানি মুজতাহিদরা ইরান ত্যাগ করে অটোমান ইরাকে আশ্রয় নেন এবং সেখানে শাহ্দের নিয়ন্ত্রণের বাইরে এক ক্ষমতা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।
১৭৪৮ আততায়ীর হাতে নাদির শাহ্-র মৃত্যু। অরাজকতার একটা পর্ব নেমে আসে, এই সময়ে উসুলি আদর্শের অনুসারী ইরানিরা প্রভাবশালী হয়ে ওঠে, এতে করে মানুষ আইন-শৃঙ্খলার একটা উৎসের সন্ধান লাভ করে।
১৭৬২ ভারতে সুফি সংস্কারক শাহ্ ওয়ালি উল্লাহ্-র পরলোকগমন।
১৭৬৩ বিচ্ছিন্ন ভারতীয় রাজ্যসমূহে ব্রিটিশরা নিয়ন্ত্রণ বিস্তার ঘটায়।
১৭৭৪ রাশানদের হাতে অটোমানদের চূড়ান্ত পরাজয়। ক্রিমিয়া হাতছাড়া হয়ে যায় এবং অটোমান এলাকার অর্থোডক্স ক্রিশ্চানদের “প্রটেক্টর” হয়ে ওঠেন জার।
১৭৭৯ ইরানে কাজার রাজবংশের প্রতিষ্ঠার সূচনা করেন আকা মুহাম্মদ খান, যা শতাব্দীর শেষ নাগাদ শক্তিশালী সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়।
১৭৮৯ ফরাসি বিপ্লব।
১৭৮৯-১৮০৭ তৃতীয় সেলিম অটোমান সাম্রাজ্যে নতুন করে পাশ্চাত্যমুখী সংস্কারের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন এবং ইউরোপীয় রাজধানীসমূহে প্রথম অটোমান দূতাবাস স্থাপন করেন।
১৭৯২ জঙ্গী আরবীয় সংস্কারক মুহাম্মদ ইবন আব্দ আল-ওয়াহহাবের পরলোকগমন।
১৭৯৩ প্রথম প্রটেস্ট্যান্ট মিশনারি দলের ভারত আগমন।
১৭৯৭-১৮১৮ ফতহ্ আলি শাহ্ ইরানের শাসক। সেখানে ব্রিটিশ ও রাশান প্রভাবের সূচনা।
১৭৯৮-১৮০১ নেপোলিয়ন কর্তৃক মিশর অধিকার।