১১২৭-৭৩ জনৈক সেলজুক কমান্ডার প্রতিষ্ঠিত যাঙ্গীয় রাজবংশ ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাতের লক্ষ্যে সিরিয়াকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়। উল্লেখযোগ্য উদাহরণ সমূহ হল :
১১৩০-১২৬৯ এক সুন্নী রাজবংশ আল মোহাদীয়রা আল-গাযযালির নীতি অনুযায়ী উত্তর আফ্রিকা ও স্পেনে সংস্কারের প্রয়াস পায়।
১১৫০-১২২০ উত্তর পশ্চিম ট্রানসোক্সোনিয়ার খরাযমশাহরা ইরানের অবশিষ্ট ক্ষুদে সেলজুক রাজবংশগুলোকে পরাস্ত করে ৷
১১৭১-১২৫০ কুর্দিশ
কুর্দিশ জেনারেল সালাদিন প্রতিষ্ঠিত আইয়ুবীয় রাজবংশ ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে যাঙ্গীয় অভিযান অব্যাহত রাখে। মিশরস্থ ফাতিমীয় খেলাফতকে পরাস্ত করে এবং একে সুন্নী ইসলামের অধীনে আনে।
১১৮০-১২২৫ বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফাহ আল-নাসির অধিকতর কার্যকর শাসনের ভিত্তি হিসাবে ইসলামী ফাতুয়াহ্ (Fatawah) গোষ্ঠীকে ব্যবহারের প্রয়াস পান।
১১৮৭ হাতিনের যুদ্ধে সালাদিন ক্রুসেডারদের পরাজিত করেন এবং জেরুজালেমে ইসলাম পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
১১৯১ সুফি অতীন্দ্রিয়বাদী এবং দার্শনিক ইয়াহিয়া সুহরাওয়ার্দির পরলোকগমন, সম্ভবত: আলেপ্পোতে ধর্মদ্রোহের অপরাধে আইয়ুবীয়দের হাতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত হয়েছিলেন তিনি।
১১৯৩ ইরানি গুঈদ রাজবংশ দিল্লী অধিকার করে ভারতে শাসন প্রতিষ্ঠা করে। ১১৯৮ কর্ডোভায় ফায়লাসুফ ইবন রূশদ (পাশ্চাত্যে আভেরোয়েস নামে পরিচিত)-এর পরলোকগমন।
১১৯৯-১২২০ খরাযমশাহ্ আলা আল-দিন মাহমুদ এক বিশাল ইরানি রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন ৷
১২০৫-৮৭ এক টার্কিশ ক্রীতদাস পরিবার ভারতে গুঈদদের পরাস্ত করার মাধ্যমে দিল্লীতে সালতানাত প্রতিষ্ঠা করে এবং গোটা গাঙ্গেয় উপত্যকায় শাসন কায়েম করে। কিন্তু অচিরেই এইসব ক্ষুদে রাজবংশগুলোকে মঙ্গোলদের হুমকির মুখে পড়তে হয়।
১২২০-৩১ প্রথম মঙ্গোল হানা; নগর সমূহের ব্যাপক ধ্বংস।
১২২৪-১৩৯১ গোল্ডেন হোর্ড মোঙ্গলরা (Golden Horde Mongols) কাসপিয়ান ও কৃষ্ণ সাগরের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা শাসন করে এবং ইসলাম গ্রহণ করে। ১২২৫ আলমোহাদীয়রা স্পেন ত্যাগ করে, যেখানে মুসলিম ক্ষমতা পর্যায়ক্রমে গ্রানাডার ক্ষুদে রাজ্যের কাছে পরাভূত হয়েছিল।
১২২৭ মঙ্গোল নেতা জেঙ্গিস খানের মৃত্যু।
১২২৭-১৩৫৮ চ্যাগাতাঈ মঙ্গোল খান ট্রানসোক্সেনিয়া শাসন করেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন।
১২২৮-১৫৫১ টিউনিসিয়ায় হাফসিয় রাজবংশ আলমোহাদীয়দের স্থান গ্রহণ করে।
১২৪০ সুফি দার্শনিক মুঈদ আদ-দিন ইবন আল-আরাবির পরলোকগমন।
১২৫০ দাস-বাহিনী মামলুকরা আইয়ুবীয়দের উৎখাত করে মিশর ও সিরিয়ায় একক শাসক পরিবার প্রতিষ্ঠা করে।
১২৫৬-১৩৩৫ মঙ্গোল ইল-খানস ইরাক ও ইরান শাসন করেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
১২৫৮ তাঁরা বাগদাদ ধ্বংস করেন।
১২৬০ মামলুক সুলতান বায়বারস আইন জালুতের যুদ্ধে মঙ্গল–ইল-খানদের পরাজিত করেন এবং সিরিয় উপকূলের অবশিষ্ট শত্রুঘাঁটিগুলোর পতন ঘটিয়ে চলেন।
১২৭৩ আনাতোলিয়ায় ঘুর্ণায়মান দরবেশ (Whirling Dervishes) দলের প্রতিষ্ঠাতা জালাল আল-দিন রুমির পরলোকগমন।
১২৮৮ বাইযানটাইন সীমান্তের একজন গাজী উসমান আনাতোলিয়ায় অটোমান রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
১৩২৬-৫৯ উসমানের পুত্র ওরখান একটি স্বাধীন অটোমান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন, এর রাজধানী ছিল ব্রুসায়; তিনি পতনোন্মুখ বাইযানটাইন সাম্রাজ্যের ওপর প্রভুত্ব বিস্তার করেন।
১৩২৮ দামাস্কাসে সংস্কারক আহ্মাদ ইবন তাঈমিয়া পরলোকগমন।
১৩৩৪-৫৩ গ্রানাডার রাজা ইউসুফ আলহাম্বরা নির্মাণ কাজ শুরু করেন, যা সমাপ্ত করেন তাঁর পুত্র।
১৩৬৯-১৪০৫ টিমুর লেঙ্ক (টাম্বুরলেইন) সমরকন্দে চ্যাগাতাঈ মঙ্গল ক্ষমতা পুর্নরুজ্জীবিত করেন আর মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ এলাকা অধিকার করে নেন এবং আনাতোলিয়া ও দিল্লি দখল করেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সাম্রাজ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
১৩৮৯ কসোভোর রণক্ষেত্রে সারবিয়ানদের পরাস্ত করার মধ্য দিয়ে অটোমানরা বলকানদের দমন করে। তারা আনাতোলিয়ায় ক্ষমতা বিস্তারে অগ্রসর হয়, কিন্তু ১৪০২-এ টিমুর লেঙ্ক কর্তৃক উৎখাত হয়।
১৪০৩-২১ টিমুরের মৃত্যুর পর প্রথম মেহমেদ অটোমান রাষ্ট্রের পুন:প্রতিষ্ঠা করেন। ১৪০৬ ফায়লাসুফ ও ঐতিহাসিক ইবন খালদুনের পরলোকগমন।
১৪২১-৫১ প্রথম মুরাদ হাঙ্গেরি ও পশ্চিমের বিরুদ্ধে অটোমান ক্ষমতার প্রমাণ রাখেন।
১৪৫৩ দ্বিতীয় মেহমেদ “দ্য কনকুয়েরার” কনসট্যানটিনোপল জয় করেন, এরপর যার নাম হয় ইসতাম্বুল; তিনি একে অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী পরিণত করেন।
১৪৯২ ক্যাথলিক রাজ্যপতি ফার্দিনান্ড ও ইসাবেলা কর্তৃক মুসলিম রাজ্য গ্রানাডা অধিকৃত হয় ৷
১৫০২-২৪ সাফাভিয় সুফি গোষ্ঠীর প্রধান ইসমায়েল ইরান জয় করার পর এখানে সাফাভিয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। দ্বাদশবাদী শিয়া মতবাদ এখন ইরানের রাষ্ট্রীয় ধর্ম; নিজ রাজ্যে ইসমায়েল কর্তৃক নিষ্ঠুরভাবে সুন্নী ইসলামকে দমন প্রয়াসের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ অটোমান সাম্রাজ্যে শিয়াদের ওপর নির্যাতন সূচিত হয় ৷
১৫১০ সুন্নী উযবেকদের খুরাশান থেকে বিতাড়িত করে ইসমায়েল সেখানে শিয়া শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
১৫১৩ পর্তুগিজ বণিকরা চীন পৌঁছায়।