৯১০ অন্যতম প্রথম “সোবার সুফি” (Sober Sufi ) বাগদাদের জনাঈদের পরলোকগমন।
৯২২ “মাতাল-সুফি” আল-হাল্লাজ বা উল-কারডার নামে পরিচিত হুসেইন আল-মনসুরকে ব্লাসফেমির দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
৯২৩ বাগদাদে ঐতিহাসিক আবু জাফর আল-তাবারির পরলোকগমন।
৯৩২-৩৪ আল-কাহিরের খেলাফত।
৯৩৪-৪০ আল-রাদির খেলাফত।
৯৩৪ এক অলৌকিক বলয়ে গুপ্ত ইমামের “ঊর্ধ্বারোহণের” (Occultation) ঘোষণা।
৯৩৫-দার্শনিক হাসান আল-আশারির পরলোকগমন।
এই পর্যায় থেকে খলিফাগণের হাতে আর কার্যকর ক্ষমতা থাকেনি, বরং তাঁরা স্রেফ প্রতীকী কর্তৃত্বের অধিকারী হন। প্রকৃত ক্ষমতা চলে যায় স্থানীয় শাসকদের হাতে যারা সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশে রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করে। তাদের অধিকাংশই আব্বাসীয় খলিফাহ্রদের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেন। দশম শতকের এইসব শাসকের অধিকাংশই ছিলেন শিয়া-পন্থী।
সামানিয়
৮৭৪-৯৯৯ খুরাসান, রাঈ, কিরমান ও ট্রানসোক্সেনিয়ায় সুন্নী ইরানি রাজবংশ সামানিয় শাসন, এর রাজধানী ছিল বুখারায়। সমরকন্দও এক পারস্য সাহিত্যিক রেনেসাঁর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। ৯৯০তে সামানিয়রা ওক্সাসের পুবে খারাখানিয় টুর্কদের কাছে ক্ষমতা হারাতে শুরু করে আর পশ্চিমে :
আল-আন্দালুসের স্প্যানিশ রাজ্য
৯১২-৬১ একচ্ছত্র শাসক খলিফাহ্ তৃতীয় আব্দ আল-রামানের শাসন।
৯৬৯-১০২৭ জ্ঞানচর্চার পীঠস্থান কর্ডোভা।
১০১০ কেন্দ্রীয় ক্ষমতা দুর্বল হয়ে আসে এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এমিরেট স্থানীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে ৷
১০৬৪ কবি, উজির এবং থিয়োলজিয়ান ইবন হাযমের পরলোকগমন।
১০৮৫ রিকনকুইস্টার ক্রিশ্চান বাহিনীর কাছে টলেডোর পতন।
হামদানিয়
৯২৯-১০০৩ আরবীয় গোত্র হামদানিয়রা আলোপ্পো ও মোসুল শাসন করে। রাজ- দরবার পণ্ডিত, ঐতিহ্যাসিক, কবি এবং ফায়লাসুফদের পৃষ্ঠপোষকতা দান করে।
৯৮৩ আলেপ্পোয় ফায়লাসুফ এবং রাজকীয় বাদক আবু নাসর আল-ফারাবির পরলোকগমন।
বাঈয়ী
৯৩০-১০৩০ ৯৩০-এর দশকে দ্বাদ্বশবাদী (Twelver) শিয়া এবং ইরানের দেঈলামের পর্বতবাসী বাঈয়ীরা পশ্চিম ইরানে ক্ষমতা অধিকার করে নিতে শুরু করে।
৯৪৫ বাঈয়ীরা বাগদাদ, দক্ষিণ ইরাক এবং ওমানে ক্ষমতা দখল করে।
শিরাজের কাছে গুরুত্ব হারিয়ে ম্লান হতে বসে বাগদাদ। শিরাজ জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়।
৯৮৩ বাঈয়ী একক বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত তারা রাঈতে গাযনাহ্ মাহমুদের (১০৩০) এবং পশ্চিম ইরানের মালভূমি অঞ্চলের গাযনাভিয়দের কাছে পরাস্ত হয় ৷
ইকশিয়
৯৩৫-৬৯ টুর্ক মুহাম্মদ ইবন তুঘ প্রতিষ্ঠিত ইকশিয়রা মিশর, সিরিয়া ও হিজাজ শাসন করে।
শিয়া ফাতিমীয়
৯৬৯-১১৭১ (৯০৯-এ টিউনিসিয়ায় প্রথম প্রতিষ্ঠিত) ফাতিমীয়রা উত্তর আফ্রিকা, মিশর এবং সিরিয়ার কিছু অংশ শাসন করে, তারা প্রতিদ্বন্দ্বী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করে।
৯৮৩ ফাতিমীয়রা কায়রোয় তাদের রাজধানী স্থানান্তরিত করে, যা শিয়া বিদ্যা চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়। এখানে তারা আল-আযহার মাদ্রাসা নির্মাণ করে।
৯৭৬-১১১৮ গাযনাভিয়
৯৯৯-১০৩০ গাযনাহ্র মাহমুদ উত্তর ভারতে স্থায়ী মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইরানে সামানিয়দের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেন। অসাধারণ রাজদরবার।
১০৩৭ হামাদানে মহান ফায়লাসুফ ইবন সিনার (পাশ্চাত্যে আভিসেনা) পরলোকগমন।
৯৯০-১১১৮ সেলজুক সাম্রাজ্য
৯৯০ দশক মধ্য এশিয়া থেকে আগত সেলজুক টার্কিশ পরিবারের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ। একাদশ শতকের গোড়ার দিকে তারা তাদের মরুচারী বাহিনীর অশ্বদল নিয়ে ট্রানসোক্সেনিয়া ও খয়ারাযম-এ প্রবেশ করে।
১০৩০ খুরাসনে সেলজুক।
১০৪০ গাাভিয়দের কাছ থেকে তারা পশ্চিম ইরান দখল করে নেয় এবং আযারবাইজানে প্রবেশ করে।
১০৫৫ আব্বাসীয় খলিফাঁদের প্রতিনিধি (লেফটেন্যান্ট) হিসাবে সুলতান তোগরিল-বেগ বাগদাদ হতে সেলজুক সাম্রাজ্য শাসন করেন।
১০৬৩-৭৩ সুলতান আপ আরম্লানের শাসনকাল।
১০৬৫-৬৭ বাগদাদে নিয়ামিয়াহ্ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা।
১০৭৩-৯২ উজির নিযামুলমুলককে নিয়ে মালিক শাহ্-র সাম্রাজ্য শাসন।
সিরিয়া ও আনাতোলিয়ায় টার্কিশ বাহিনীর প্রবেশ।
১০৭১ মনযিকুর্টের যুদ্ধে সেলজুক বাহিনী বাইযানটাইনদের পরাজিত করে, আনাতোলিয়ায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে, পৌঁছে যায় এজিয়ান সাগর পর্যন্ত (১০৮০)।
সিরিয়ায় ফাতিমীয় ও স্থানীয় শাসকদের সঙ্গে সেলজুকদের লড়াই।
১০৯৪ নিজ রাজ্যে সেলজুক অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমের ক্রিশ্চান রাজ্যসমূহের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন বাইযানটাইন সম্রাট প্রথম আলেক্সিয়াস কমনেনাস।
১০৯৫ পোপ দ্বিতীয় আরবান প্রথম ক্রুসেডের আহ্বান জানান।
১০৯৯ ক্রুসেডারদের জেরুজালেম অধিকার।
ক্রুসেডারগণ প্যালেস্টাইন, আনাতোলিয়া এবং সিরিয়ায় চারটি ক্রুসেডার রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে।
১০৯০ দশক ইসমায়েলীরা সেলজুক এবং সুন্নী শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশে স্থানীয় টার্কিশ রাজবংশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে।
১১১১ বাগদাদে থিয়োলজিয়ান এবং আইনবিদ আল-গাযালির পরলোকগমন। ১১১৮ সেলজুক রাজ্যের স্বাধীন প্রদেশে (Priacipalities) বিভাজন। ১১১৮-১২৫৪ আব্বাসীয় খেলাফতের সার্বভৌমত্ব মেনে নিয়ে ছোট-ছোট রাজ বংশগুলো স্বাধীনভাবে পরিচালিত হলেও প্রকৃতপ্রস্তাবে ওগুলো প্রতিবেশী অধিকতর শক্তিশালী রাজবংশের কাছে নতি স্বীকার করছিল।