স্পেনে রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
৭১৭-২০ দ্বিতীয় উমরের খেলাফত। ধর্মান্তরকরণে উৎসাহ প্রদানকারী প্রথম খলিফাহ্। ইনি ধর্মীয় আন্দোলনের কোনও কোনও আদর্শের বাস্তবায়নের প্রয়াস পান।
৭২০-২৪ অসচ্চরিত্র দ্বিতীয় ইয়াযিদের খেলাফত। উমাঈয়াহ্ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক শিয়া ও খারেজি বিক্ষোভ।
৭২৪-৪৩ প্রথম হিশামের খেলাফত। ধর্মপ্রাণ কিন্তু অধিকতর স্বৈরাচারী শাসক যিনি অধিকতর ধার্মিক মুসলিমদের সংক্ষুদ্ধ করে তোলেন।
৭২৮ হাদিস বিশেষজ্ঞ, ধর্মীয় সংস্কারক এবং সাধু হাসান আল-বাসরির পরলোকগমন।
৭৩২ পয়টিয়ার্সের যুদ্ধ। চার্লস মার্টেল স্প্যানিশ মুসলিমদের একটা ছোট আক্রমণকারী দলকে পরাজিত করেন।
আবু হানিফাহ্ ফিকহ্ গবেষণার সূত্রপাত করেন।
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক প্রথম পয়গম্বর মুহাম্মদের(স:) উল্লেখযোগ্য জীবনী রচনা করেন।
৭৪৩-৪৪ শিয়াহ্ পতাকার অধীনে যুদ্ধ করার মাধ্যমে আব্বাসীয় উপদল ইরানে উমাঈয়াদের বিরুদ্ধে সমর্থন আদায় শুরু করে।
৭৪৩ দ্বিতীয় ওয়ালিদের খেলাফত।
৭৪৪-৪৯ দ্বিতীয় মারওয়ান কর্তৃক খেলাফত অধিকার। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে উমাঈয়াহ্-প্রাধান্য পুনরুদ্ধারের প্রয়াস পান তিনি। তাঁর সিরিয় বাহিনী শিয়া বিদ্রোহীদের আংশিকভাবে দমন করে, কিন্তু :
৭৪৯-আব্বাসীয়রা কুফাহ্ দখল করে এবং উমাঈয়াদের উৎখাত করে।
৭৫০-৫৪ প্রথম আব্বাসীয় খলিফাহ্, খলিফাহ্ আবু আল-আব্বাস আল-সাফফাহ্ উমাঈয়াহ্ পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করেন।
চরম রাজতন্ত্রের লক্ষণ, ইসলামে যা অভিনব।
৭৫৫-৭৫ আবু জাফর আল-মনসুরের খেলাফত। প্রধান শিয়া ব্যক্তিত্বদের হত্যা করেন তিনি ৷
৭৫৬ আব্বাসীয় খেলাফত হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্পেন জনৈক উমাঈয়াহ্ শরণার্থীর নেতৃত্বে স্বাধীন রাজত্বের পত্তন করে।
৭৬২ বাগদাদের পত্তন, যা নতুন আব্বাসীয় রাজধানীতে পরিণত হয়।
৭৬৫ শিয়াদের ষষ্ঠ ইমাম জাফর আস-সাদিক-এর পরলোকগমন, যিনি তাঁর অনুসারীদের নীতিগতভাবে রাজনীতি পরিত্যাগের আহবান জানিয়েছিলেন।
৭৬৯ ইসলামের আইনের প্রধান মতবাদসমূহের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আবু হানিফার পরলোকগমন।
৭৭৫-৮৫ আল-মাহদীর খেলাফত। তিনি ফিকহ’র বিকাশকে উৎসাহিত করেন, ধর্মীয় আন্দোলনের পবিত্রতাকে স্বীকৃতি দেন, যা ক্রমান্বয়ে আব্বাসীয় বংশের একচ্ছত্র আধিপত্যের সঙ্গে সহাবস্থানে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।
৭৮৬-৮০৯ হারূন আল-রশিদের খেলাফত। আব্বাসীয়দের ক্ষমতার স্বর্ণযুগ।
বাগদাদ ও সাম্রাজ্যের অন্যান্য শহরে এক ব্যাপক সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ। বিজ্ঞান, শিল্পকলা ও পণ্ডিতজনদের পৃষ্ঠপোষকতাদানের পাশাপাশি খলিফাহ্ ফিক্হ গবেষণা এবং আল-হাদিসের সংকলনেরও উৎসাহ জোগান যা ইসলামী আইন (শরিয়াহ্)-এর সামজ্ঞস্যপূর্ণ কাঠামো গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখে। ৭৯৫ জুরিসপ্রুডেন্সের মালিকি মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা মালিক ইবন আনাসের পরলোকগমন।
৮০১ প্রথম মহান নারী অতীন্দ্রিয়বাদী রাবিয়ার পরলোকগমন।
৮০৯-১৩ হারুন আল-রশিদের দুই পুত্র আল-মামুন ও আল-আমিনের মধ্যে গৃহযুদ্ধ। আল-মামুন তাঁর ভাইকে পরাস্ত করেন।
৮১৩-৩৩ আল-মামুনের খেলাফত।
৮১৪-১৫ বসরায় শিয়া বিদ্ৰোহ।
খুরাসানে খারেজি বিদ্রোহ।
বুদ্ধিজীবী, শিল্পকলা ও শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক খলিফাহ্ মুতাযিলাহ্ যুক্তি ভিত্তিক থিয়োলজির প্রতি ঝুঁকে পড়েন, এর আগে যা সহানুভূতি বঞ্চিত ছিল। কোনও কোনও বিরোধী ধর্মীয় গ্রুপকে শান্ত করার মাধ্যমে টানাপড়েন হ্রাসের প্রয়াস পান খলিফাহ্!
৮১৭ আল-মামুন অষ্টম শিয়া ইমাম আল-রিদাকে তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন।
৮১৮ আল-রিদা নিহত হন, সম্ভবত খুন।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এক ইনকুইজিশন (মিহনাহ্) মুতাযিলাহ্ দর্শনকে অধিকতর জনপ্রিয় আহল আল-হাদিসের স্থলাভিসিক্ত করার প্রয়াস পায়। বিশ্বাসের জন্য এর অনুসারীদের কারারুদ্ধ করা হয়।
৮৩৩ আহল-আল-হাদিসের একজন বীর, জুরিসপ্রুডেসের হানবালি মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা আহমাদ ইবন হানবালের পরলোকগমন।
৮৩৩-৪২ আল-মুতাসিমের খেলাফত। খলিফাহ্ টার্কিশ ক্রীতদাস সৈনিকদের দ্বারা ব্যক্তিগত বাহিনী গড়ে তোলেন এবং সামারায় রাজধানী স্থানান্তরিত করেন।
৭৪২-৪৭ আল-ওয়াসিকের খেলাফত।
৮৪৭-৬১ আল-মুতাওয়াক্কিলের খেলাফত।
৮৪৮ দশম শিয়া ইমাম আলী আল-হাদি সামারায় আসকারি দুর্গে বন্দী হন।
৮৬১-৬২ আল-মুনতাসিরের খেলাফত।
৮৬২-৬৬ আল-মুসতাইনের খেলাফত।
৮৬৬-৬৯ আল-মুতায-এর খেলাফত।
৮৬৮ দশম শিয়া ইমাম-এর পরলোকগমন। তাঁর পুত্র হাসান আল-আসকারির সামারায় বন্দী জীবন অব্যাহত।
৮৬৯-৭০ আল-মুতাদির খেলাফত।
৮৭০ অন্যতম প্রথম মুসলিম ফায়লাসুফ ইয়াকিব ইবন ইসহাক আল-কিন্দির পরলোকগমন।
৮৭০-৭২ আল-মুতামিদের খেলাফত।
৮৭৪ সামারায় বন্দী অবস্থায় একাদশ ইমাম হাসান আল-আসকারির মৃত্যু। তাঁর পুত্র আবু আল-কাসিম মুহাম্মদ আত্মরক্ষার্থে আত্মগোপন করেছেন বলে কথিত আছে। তিনি গুপ্ত ইমাম (Hidden Imam) হিসাবে পরিচিত।
অন্যতম প্রাক “মাতাল সুফি” (Drunken Sufi) অতীন্দ্রিয়বাদী আবু ইয়াযিদ আল-বিস্তামির পরলোকগমন।
৮৯২-৯০২ আল-মুতাদিদের খেলাফত।
৯০২-৮ আল-মুকতাফির খেলাফত।
৯০৮-৩২ আল-মুকতাদিরের খেলাফত।
৯০৯ টিউনিসিয়ার ইফরিকিয়ায় শিয়া ফাতিমীয়দের ক্ষমতা দখল।