‘তুমি একবার আমার কথা অমান্য করেছিলে। এবার করো না। আর।
মুখ শক্ত হয়ে গেল ডেভিডের। সুইচ বন্ধ করতে যাবে সে, বুঝতে পারল তারা রাডারে দেখছে তাকে। ওর কোর্স জানে, ব্রিগ অনুমান করেছে সে কী করতে চলেছে। যাই হোক কিছুই করার নেই তাদের আর।
‘ডেভিড’, নরম হল ব্রিগের গলা। কয়েকটা শব্দ বেছে নিল যেন ডেভিড শোনে তার কথা।
‘আমি এইমাত্র ডেবরার সাথে কথা বলেছি। ও তোমাকে চায়। তোমাকে সর্বস্ব দিয়ে চায়।’
সুইচের উপরে হাত থেমে গেল।
‘আমার কথা শোন ডেভিড। তোমাকে ওর দরকার–সব সময় দরকার হবে।
চোখ পিটপিট করল ডেভিড। চোখ ভরে গেল পানিতে। দৃঢ়তা ভেঙ্গে যাচ্ছে।
‘ফিরে এসো ডেভিড। ওর জন্য ফিরে এসো।
বুকের ভেতরের অন্ধকার থেকে দেখা গেল ছোট্ট একটু আলো। আস্তে আস্তে উজ্জ্বলতা পেল এ বিন্দু। ভরে গেল ওর চারপাশ।
‘ডেভিড, ব্রিগ বলছি। আবারো শোনা গেল বৃদ্ধ সৈনিকের কর্কশ কণ্ঠস্বর।
‘এখনি বেসে ফিরে এসো।
হেসে ফেলল ডেভিড। মুখের কাছে ধরল মাইক্রোফোন। চাপ দিল ট্রান্সমিট বোতামে। পুরোন হিব্রু ভাষায় কথা বলে উঠল।
‘রিসেডার! ব্রাইট ল্যান্সের লিডার বলছি। ফিরে আসছি।’ খাড়া ভাবে ঘুরে গেল নাভাজো। দিগন্তের কাছে নীল হয়ে নেমে গেছে। পর্বতমালা। এর কাছে নাক নামিয়ে দিল ডেভিড। জানে এটা সহজ হবে না– সমস্ত সাহস আর ধৈর্য নিয়ে এ কাজ করতে হবে। আবার এও জানে যে সমাপ্তি অবশ্যই ভাল হবে। হঠাৎ করেই মনে হল জাবুলানিতে ফিরে গিয়ে ডেবরার সাথে একা হতে চায় সে।