এছাড়া গ্যারি, তার দাদিমার প্রত্যক্ষ সমর্থনও পেয়েছে। কাজ করেছে শাসা আর সেনটেইন কোর্টনি এবং গত চল্লিশ বছরে জড়ো করা দক্ষ সব কর্মীর অধীনে।
তবে, এতে করে গ্যারি’র অর্জনকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। বিশেষ করে যেভাবে সে সম্প্রতি জোহানেসবার্গ স্টক একচেঞ্জের হ্যাপা সামলেছে। ষাট শতাংশ পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল শেয়ারের দাম। এই কৃতিত্ব শাসা কিংবা সেনটেইনের নয়, পুরোটাই গ্যারি’র। তাই ধ্বংস হওয়া তো দূরে থাক কোর্টনি এন্টারপ্রাইজ এই ধাক্কা সামলে উঠে হয়ে উঠেছে আরো শক্তিশালী আর নগদ অর্থের ভাণ্ডার। একই সাথে মার্কেটে দর কষাকষির জন্য সুবিধাজনক অবস্থাতেও আছে।
নাহ হেসে ফেলে মাথা নাড়লেন শাসা-গ্যারি আসলেই কাজ করছে। তারপরেও এখনো শাসা বেশ তরুণই বলা চলে। বয়স পঞ্চাশের উপর যায়নি। তাই আমসকোর এর চাকরি পুরোপুরি যুৎসই হয়েছে তার জন্য।
কোর্টনি বোর্ডে থাকলেও নিজের বেশির ভাগ সময় আর শক্তি আমসকোর-কেই দেবেন। বেশির ভাগ সাব-কন্ট্রাক্ট কোর্টনি কোম্পানিকে দেয়ার ফলে উভয় এন্টারপ্রাইজেরই লাভ হবে। অন্যদিকে পুঁজিবাদের ফসল কাজে লাগিয়ে দেশপ্রেমকে চাঙ্গা করে তুলতে পারাটা হবে শাসার জন্য বাড়তি পাওনা।
একটু আগেই ইসাবেলা’র মন্তব্যের বিরোধিতা ছিল এই নতুন কাজের সাথে সম্পৃক্ত। নিজের কুটনৈতিক কানেকশন কাজে লাগিয়ে ইসরায়েলি অ্যামব্যাসিকে প্ররোচিত করেছেন উভয় দেশের মাঝে যৌথ নিউক্লিয়ার প্রজেক্ট প্রকল্পে। আজ রাতে তেল আভিভে পৌঁছে দেয়ার জন্য আরেক সেট ডকুমেন্টস্ তুলে দেবেন ইসরায়েলি অ্যাটাশের হাতে।
হাত ঘড়িতে চোখ, বোলালেন। ডিনারের জন্য তৈরি হবার আগে এখনো বিশ মিনিট সময় আছে হাতে। সমস্ত মনোযোগ তাই ঢেলে দিলেন সামনে পড়ে থাকা কাগজগুলোর দিকে।
***
ইসাবেলা’কে গোসল করাতে ছুটে এলো ন্যানি।
“তুমি দেরি করে ফেলেছ, মিস বেলা। এখনো তোমার চুল ঠিক করাও বাকি।” কেপ রঙা ন্যানির রক্তে বইছে হটেনটট বীজ।
“বেশি বকো না তো, ন্যানি।” পাল্টা জবাব দিল ইসাবেলা। কিন্তু ন্যানি ঠিক যেভাবে তার পাঁচ বছর বয়সে করত তেমনিভাবে তাড়িয়ে নিয়ে গেল স্নান করাতে।
চিবুক পর্যন্ত বিলাস বহুল স্টিমিং ফোমে ডুবে গেল ইসাবেলা, ওর কাপড় জড়ো করে নিল ন্যানি। “তোমার পুরো পোশাকে ঘামের দাগ আর নতুন প্যান্টিও ছেঁড়া। কী করেছ?” নিজের হাতে ইসাবেলার সমস্ত অন্তর্বাস পরিষ্কার করে দিল ন্যানি, এক্ষেত্রে লন্দ্রিকে সে এতটুকুও বিশ্বাস করে না।
“আমি একটা হেলস এনজেলের সাথে রাগবি খেলেছি ন্যানি। আমাদের দল জিতে গেছে।”
“তুমি নির্ঘাত কোনো ঝামেলায় পড়বে। সবকটা কোর্টনিরই রক্ত গরম। “ ছেঁড়া প্যান্টি তুলে নিয়ে অসন্তোষে মাথা ঝাঁকাল ন্যানি। “নিরাপদে বিয়ে হবার এখনো বহু দেরি তার আগেই।”
“তোমার মাথা ভর্তি যত্তসব হাবিজাবি চিন্তা। এবার বলো আজ কী কী হলো। ক্লোনকি’র নতুন গার্লফ্রেন্ডের খবর কী?” ইসাবেলা ভালোভাবেই জানে তাকে কিভাবে ভোলাতে হয়।
কূটকচালিতে ওস্তাদ ন্যানি এ সময়টায় ইসাবেলার কাছে পুরো ঘরে কী হয়েছে না হয়েছে সবকিছু সবিস্তারে তুলে ধরে। ওর কথা শুনতে শুনতে মাঝে মাঝে বিড়বিড় করে আবার উৎসাহও দেয় বেলা, কিন্তু বলতে গেলে আজ কিছুই শুনছে না। সাবান লাগানোর জন্য উঠে দাঁড়াতেই নজর গেল রুমের ওপাশে রাখা ফুল নেংথ আয়নার দিকে।
“আমি কী মুটিয়ে যাচ্ছি ন্যানি।”
“তুমি এতটাই শুকনা যে কোনো ছেলে এখনো বিয়ে করছে না।” ঠোঁট বাঁকিয়ে বেড রুমের দিকে চলে গেল ন্যানি।
তারপরেও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নিজেকে দেখল বেলা। শরীরের কোনো অংশে কী কিছু কমতি আছে, কিংবা কিছু কী করতে হবে? নাহ্, মাথা নেড়ে আপন মনেই ভাবলো, সবকিছুই নিখুঁত দেখাচ্ছে। “রোমোন ডি সান্তিয়াগো-ই মাচাদো” ফিসফিস করে উঠল বেলা, “তুমি জানতেও পারলে না যে কী হারালে।” কিন্তু মন খারাপ ভাবটা তবুও কেন কাটছে না।
“তুমি আবারো নিজের সাথে কথা বলছ, লক্ষ্মীটি।” বিছানার চাদরের সমান বাথ টাওয়েল নিয়ে ফিরে এলো ন্যানি। “এবার শেষ করো। সময় নষ্ট হচ্ছে।”
ইসাবেলাকে পুরো ভোয়ালে দিয়ে মুড়ে পেছনটা শক্ত করে ঘসে মুছে ফেলল ন্যানি। বেলা জানে ওকে বলে কোনো লাভ নেই যে এটুকু সে নিজেই পারবে।
“আহ, আস্তে। এত জোরে না।” গত বিশ বছর ধরে একই কথা বলে আসছে বেলা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। “তোমার কতবার বিয়ে হয়েছিল, ন্যানি?”
“তুমি তো জানোই আমি চারবার বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু গির্জাতে একবারই গিয়েছি।” বেলা’কে চেক্ করে মনোযোগ দিয়ে দেখল ন্যানি। “কিন্তু কেন বিয়ে নিয়ে কথা বলছ? মজার কিছু পেয়েছ নাকি? প্যান্টি যে ছিঁড়ে গেল?”
“ছিঃ তুমি এত বাজে কথা বলো না বুড়ি!” অন্যদিকে চোখ সরিয়ে থাই সিল্ক গাউন নিয়ে বেডরুমের দিকে চলে গেল বেলা।
হেয়ারব্রাশ নিয়ে মাথায় দিতেই ন্যানি এসে হাজির।
“এটা তো আমার কাজ, লক্ষ্মীটি। দৃঢ়স্বরে ন্যানি জানাতেই ইসাবেলা চুপ করে বসে চোখ বন্ধ করে ফেলল আরামে।
“মাঝে মাঝে মনে হয় আমার একটা বাচচা হলে মন্দ হয় না, তুমি তাহলে আমাকে আর জ্বালাতে পারবে না, ওকে নিয়ে পড়ে থাকবে।”
হাত থেমে গেল ন্যানির। কী শুনছে খানিক ভেবে নিয়ে বলল, “বাচ্চার কথা বলার আগে তো বিয়ে করো।”