পোয়ারো বোধহয় আমার মনের কথাটা বুঝতে পেরেছিল। হাসি মুখে তবু জানতে চাইল আমি এত কি ভাবছি।
আমি প্রত্যুত্তরে শুধু একটু হাসলাম।
হঠাৎ দরজায় টোকার শব্দ ফিরে তাকিয়ে দেখলাম সিনথিয়া দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাকে ঘরের ভেতরে আসার জন্য অভ্যর্থনা জানালাম। সিনথিয়া ঘরের ভেতরে এলেও বসতে রাজী হল না। সে বলল আমাদেরকে সে একটা কথা বলতে এসেছে।
আমি বললাম কি সেই কথা।
হঠাৎ একটু ইতস্ততঃ করল সিনথিয়া, তারপর তাড়াতাড়ি বলল আমরা নাকি ভীষণ ভালো। এরপর আমাকে আর পোয়ারোকে একটু আদর করেই এক দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
ঘটনার আকস্মিকতায় দারুণ অবাক হলাম। সিনথিয়ার কাছে আদর পাওয়ার মজাটা যেন মাটি হয়ে গেল এত খোলাখুলি হওয়ায়।
পোয়ারো জিজ্ঞাসা করল আমি কিছু বুঝেছি কিনা। আসল ব্যাপারটা হল সিনথিয়া এবার বুঝতে পেরেছেন লরেন্স আর ওকে অপছন্দ করছেন না।
আমি কিছু বলতে গেলাম। পোয়ারো আমাকে বাধা দিয়ে বলল আর কিছু বলার নেই। মঁসিয়ে লরেন্সও এসে গেছেন।
আমি পেছন ফিরতেই দরজার পাশে লরেন্সকে দেখতে পেলাম। পোয়ারো তাকে। অভিনন্দন জানাল। পোয়ারোর কথায় লরেন্সের মুখটা লাল হয়ে উঠল। আমতা আমতা করে একটু হাসল শুধু।
আমার মনে হল সত্যি প্রেমে পড়লে মানুষ বোধ হয় এরকম বোকা হয়ে যায়। সিনথিয়ার সুন্দর মুখটা মনের পর্দায় ভেসে উঠল। আমার বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল।
পোয়ারো জানতে চাইল আমার কিছু হয়েছে কিনা। আমি বললাম কিছুই হয়নি। তারপর হঠাৎ বলে ফেললাম মেরী ও সিনথিয়া দুটো মেয়েই খুব ভালো।
পোয়ারো মজা করে বলল ওদের দুজনের কেউ আমার জন্য নয়। সে আমাকে হতাশ হতে বারণ করল। আবার নতুনভাবে কোথাও ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য আহ্বান জানাল।
আমার মনের কথা এভাবে বুঝতে পারল দেখে আমি সম্মোহিতের মত পোয়ারোর দিকে তাকিয়ে রইলাম