রবিনসন উঠে দাঁড়ালেন…
আমার কাজের জন্য আমি পারিশ্রমিক নেবো বুঝলেন। আমার পারিশ্রমিকও কিন্তু বেশ মোটা অঙ্কের, তবে ঠকবো না।
মেয়েটি তার চোখে চোখ রেখে তাকালো, জানি আপনি ঠকবেন না। আমার সাহায্যেরও প্রয়োজন আছে। আমি এসব কিছু বুঝি না।
মনে হচ্ছে আপনি বেশ বুদ্ধিমতী। আচ্ছা, এগুলো তাহলে নিয়ে যাই? আপনি একটাও রাখবেন না?
অ্যালিশ বলে, না আমি রাখতে চাই না। মুখ লাল করে বললে, আপনি ভাবছেন অদ্ভুত তাই না, কেন রেখে দিচ্ছি না একটা চুনী একটা পান্না অন্তত। আমার আপত্তি ছিল না, একদিন আমরা সেই অনুচ্ছেদটা পড়লাম–সেখানে আছে একজন নারীর কথা যার মূল্য চুনীর চেয়েও বেশি।…তাই আমার কোনো রত্ন চাই না। না থাকাই বোধ হয় ভালো।
মনে মনে রবিনসন বললো, বিচিত্র নারী।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের রোলসের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে আবার বললেন বিচিত্র নারী।