ডুরেল বলল, এ্যাপোলিওর আস্ক পোনালাস আর্টকালেক্টরকে তুমি কি জানো।
সে তো একটা পাকা চোর আমি জানি। কোন ঘটনাই বলছে না অথচ সাহায্য চাইছ। তবে ওটা ঠিক তোমাকে একা ফিলিবেনো দ্বীপে এ্যপোলিওর ওখানে কিছুতেই আমি যেতে দেবো না। যেতেই হয় আমার সঙ্গে যাবে।
এমন সময় ডুরেল বুঝল তার ঠিক পেছনের চেয়ারে সে এসে নিঃশব্দে বসল সে আর মেজর প্যাসেক ছাড়া আর কেউ নয়।
.
১১.
রাশিয়ায় তৈরী স্যুট পরে প্যাসেক। ডুরেলকে স্যালুট করলো।
দাদ্রে বলল, লোকটা কি রাশিয়ান। ও কি তোমাকে চেনে?
ডুরেল বলল, আমাকে তো নিশ্চয়ই চেনে। তোমাকেও এবার চিনলো। এমন একটা ভাব দেখাবে যেন নতুন আলাপ। এর জন্যই হয়তো ওকে মেরে ফেলতে হবে।
ওরা দুজন চকিতে পানশালার থেকে বেরিয়ে সমুদ্রের ধারে পৌঁছে গেলো।
তারপর ডুরেল দাদ্রেকে বিদায় দিলো।
ডুরেল নেপলস ছেড়ে মন্টিক্যাপোলিতে ঠিক সোয়ান্টোর কাছে একটা ফ্ল্যাট ভাড়া করলো। পুরো জায়গাটা মৎস্যজীবীর ডেরা। সে আপাতত সবচেয়ে উঁচুতলার বাড়িটার দিকে এগোতে থাকলো। সারা টবে ফুটে আছে অসংখ্য রঙিন ফুল। নিঃসন্দেহে এইটাই কাউন্ট এ্যাপোলিওর মনোরম বাসস্থান।
প্রথমে ডুরেল পথের মুখে অপেক্ষমান দারোয়ানকে তার নামের স্লিপ দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল।
প্রবেশ অনুমতি মিলল।
এ্যাপোলিও যেন বলে উঠল, মিস্টার ডুরেল,ভদ্রতাসূচক সাক্ষাৎকারের সময় খুবই সংক্ষিপ্ত। তবে এটা ঠিক, আপনার উদ্দেশ্য আমার জানা আছে। ফিলিবেনো দ্বীপের বুনো বেলারিও বলে যে লোকটির মৃতদেহ জেনেভার লেকে সনাক্ত করা হয়েছে বলে প্রমাণিত তার সম্পর্কে কোন তথ্য
ডুরেল বলল, নিশ্চয়ই জানি। আপনার বিলক্ষণ শত্রু ছিল লোকটা।
কাউন্ট বললেন, আপনি আমার স্ত্রীকে এর সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছেন। এই আস্পর্ধা পরিত্যাগ করে জেনেভায় ফিরে যান। জানবেন এটা ইটালী, আর ইটালী মানেই কাউন্ট এ্যাপোলিওর এক্তিয়ার
ডুরেল বলল, একটিবার অনুরোধ, আমি কেন এসেছি সেটুকু জানবেন কি? ব্রুনোর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো একটা হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আর সেই সঙ্গে চুরি গেছে স্ক্রল পেইন্টিংগুলো।
আপনার কি ধারণা আমি ঐ চোরাই ছবিগুলো কিনেছি।
ঐ ব্যাপারে যতদূর জানি আপনার স্ত্রী আর ট্যালবট দুজনেই যুক্ত
অর্থাৎ কি বলতে চান?
ডুরেল বলল, আপনার স্ত্রী এখন এই মুহূর্তে আপনার এখানেই আছেন, আপনি কি নিশ্চিত?
বিশ্বাস করুন, আপনার স্ত্রীর সমূহ বিপদ।
কাউন্ট বললেন, আপনি এখন আসতে পারেন
ডুরেল বলল, হ্যাঁ আমি যাব। আবার নিশ্চয়ই একদিন দেখা হবেই হবে
ডুরেল আর অপেক্ষা করল না।
.
১২.
সবে লিফট ছেড়ে করিডোরের বাঁকে পা রাখতেই সাইলাসের ফোন: নীচের লবিতে আমি আছি।
তুমি কি একা?
ডুরেল বলল, না। কয়েকজনের সঙ্গেই।
দাদ্রে এসে ডুরেলের হাত চেপে ধরল।
একটু দাঁড়াও
একটু অপেক্ষা কর। নীচে সাইলাস রয়েছে।
সাইলাস। কেন আমার কি কোন কদর নেই স্যাম–তুমি কি চাকরীতে ইস্তফা দিতে পারো না
কোনদিন হয়তো দেবো।
আমি যখন থাকবো না তখন দরজা বন্ধ করে রেখোতাকে বিদায় জানিয়ে ডুরেল নেমে এল।
নৌকাটার কোণে দাঁড়িয়ে ছিল সাইলাস। তারপর দুজনে অদূরে হোটেলে গিয়ে দাঁড়াল।
প্যাসেককে আমরা খুঁজে পাইনি তুমি বিশ্বাস করো। ট্যালবটও হাপিস
এখানেই ওরা দুজনে আছে। কাউন্টেস কি তার ভিলা ছেড়ে চলে গেছে।
সাইলাস বলল, সে ছবির লোকদের সঙ্গে চলে গেছে নৌকো করে, ফিলিবেনো তার স্বামীর কাছে যাবে। দাদ্রে এল জীবন্ত, নিঃশব্দে। ট্যালবটের দেখা পাওয়া পর্যন্ত এক ঘণ্টা কেটে গেলো।
ট্যালবট ভাবল, দাদ্রে যা চেয়েছিল তা পেয়েছে, কিন্তু তার ক্ষমা করা উচিত ছিল কিন্তু সে অক্ষম। ডুরেলকে খুন করতে পারলে সব ল্যাটা চুকে যায়। কিন্তু তার ছবিটা ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত কোন ঘটনাই ঘটছে না। তাই অপেক্ষা করতে লাগলো।
ফিসফিস করে সাইলাস বলল, তুমি কি শুনতে পাচ্ছ স্যাম?
হ্যাঁ—
আমাদের স্ক্রলটা চাই–চাই
আমরা কোথায় আছি সে জানে না–এবং সে অপেক্ষা করছেও মেয়েটার জন্য। সীজার তাই। মনে কর তাদের দেখা হলো না–তুমি কি করে জানলে তারা আসবে।
আমার মনে হচ্ছে এখনও সুযোগ হয়নি সীজারকে দেবার মতো। সেন্টসী থেকে ওগুলো নিয়েছে। এবং এ্যাপোলিওর ভিলায় ওগুলো নিয়ে চলে যাবে।
ডুরেল বলল, আমরা যদি না পাই, সীজার ঐ স্ক্রলগুলো লুকিয়ে ফেলে, তাহলে আর এক সপ্তাহের আগে পাবো না। যুবরাজ সুভানা ফঙ কমোডিয়ায় ততদিনে চলে আসবে।
.
১৩.
ঐ পথ ধরে ফ্রানি এগিয়ে এলো। নিটোল নির্জনতায় মগ্ন মদিরতায় ঢাকা সেই মন মন্দিরে। একটিবার তার এ্যপোলিওর কথাও মনে হলো। যা হোক, এখন সীজারের সঙ্গে আজকের ব্যাপারটা পাকাপাকি হয়ে গেলে আর সে কাউন্টের কাছে ফিরে না।
কেন যেন অকস্মাৎ রক্তের প্রবাহ অন্য কথা মনে করিয়ে দিলো। সারা শরীর ছমছম করে উঠলো।
সীজার দার নেই।
নাম ধরে ডাকতে লাগলো সীজার, সীজার, সীজার। কোথাও কোনো অস্তিত্বের চিহ্ন নেই।
এমন সময় ডুরেল পেছন থেকে এসে বলল, সহজ হবার চেষ্টা করো ফ্রান্সি। সীজার কোথায় বলল।
ফ্রান্সিসকার মুখে কোন রা নেই।
আবার ডুরেল বলল, তোমার জানা উচিত ছিল এখানে ট্যালবট তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। একদম চেঁচাবে না–
ফ্রান্সিসকা বলল, জ্যাক কোথায়?
ডুরেল বলল, নীচে বেদির আড়ালে তোমার জন্য সময় গুনছে। তুমি কি সীজারের কাছে এসেছো? ওর হেপাজতেই কি পেইন্টিংগুলো আছে? দ্যাখো ফ্রান্সি আমি তোমার বয়ফ্রেণ্ড সীজারকে চাই না। চাই শুধু পেইন্টিংগুলো