এ্যালেন চুপ করে শুনল।
রিসেন্টলী রোমের মিউজিয়ামে দেখানো হয়েছে?
দ্যাটস রাইট–এ্যালেন এইবার মুখ খুলল, কিন্তু নিশ্চয়ই তুমি সেগুলোকে অল এ্যাট ওয়ান্স দেখনি।
এ্যালেন বলল, দো ওয়্যার ডান বাই এ ওয়াগুরিং বুদ্ধিষ্ট পিলগ্রিম, এ পেইন্টার নেমড় পেঙকা। যে কিনা সারা সাউথ-ইষ্ট এশিয়া হেঁটে বেড়িয়েছিল। রিমার্কেবল চাইনীজ এ্যানসিয়েন্ট আর্ট বড় একটা চোখেই পড়ে না। কমসে কম দাম হবে কোটি ডলার। যতদূর মনে হয় সম্রাট সুর তীর্থ ভ্রমণের সময়কার ভেরিয়াস সিনসিনারী প্রতীক হিসেবেই ফিরে পেতে চায় ওর যথাযথ মূল্য। প্রিন্স সুভানার ওগুলো বার্থ রাইট। যাইহোক। কেন রোমে গিয়েছিল?
যতদূর ধারণা কালচারাল ইন্টারচেঞ্জড। আর্ট গ্যালারীতে মাত্র দুসপ্তাহ হৈ-হৈ ব্যাপার।
তারপর ওগুলো কি রোমেই চুরি যায়?
প্রিন্স স্ক্রলগুলো জেনেভা থেকে দেশে নিয়ে যাবার ঠিক করে। টিন খনির আলোচনা শেষ করে সব কথা পাকা। জ্যাক এর মধ্যে কিভাবে যে হাতসাফাই করলে। আমাদের কাছেই ব্যাগটা ছিল। প্রিন্স জ্যাককে সবচেয়ে বেশী বিশ্বাস করত বলে রোম থেকে জেনেভা হোটেলে ওঠে আর একেবারে হাওয়া হয়ে গেল সেখান থেকে। এমন নিদারুণ বিশ্বাসঘাতকতা
ডুরেল বলল, আর এ্যান্টন প্যাসেক। তার সম্পর্কে কিছু ভেবেছ কি?
ডুরেল মনে মনে বলল, হ্যাঁ এটা প্যানেকেরও কাজ হতে পারে। টিন খনির আলোচনায় আমাদের সঙ্গে সুভানার সম্পর্কটা নষ্ট করে দেবার জন্য স্ক্রল সমেত জ্যাককে কে.জি.ইউ-র লোকেরা গায়েব করেও তো দিতে পারে। যাতে করে আমেরিকানদের ওপর সব দোষটাই পড়ে–
এরকম কথা আমিও ভাবছি–এ্যালেন চুপ করে জানালার ধারে গিয়ে দাঁড়াল।
দেন ইউ আর শিশুর যে জ্যাকই চোর?
সুভানা অন্যরকম দাবী করে। প্রিন্স যে স্যুটে থাকতত জ্যাক সেখানে থেকে একটা প্যাকেট কাগজের বাণ্ডিলের মতো নিয়ে চম্পট দেয়। সুভানার ব্যক্তিগত একজন চাক্ষুষ দেখেছে।
কিন্তু অতখানি খারাপ কাজ কি জ্যাক করবে? তার সবটাই জানো তুমি। আর ভালোবাসতে।
এ্যালেন বলল, আসলে ট্যালবট জ্যাক দারুণ বেপরোয়া। তার কাজ সারা দুনিয়া জুড়ে ঘুরে বেড়ানো, এদিকে ইঞ্জিনীয়ারিং-এ চোস্ত। পেইন্টিংগুলো চুরি হবার পর স্বভাবতই প্রিন্স এখন আমেরিকানদের ওপর চটে গেছে ইনক্লডিং নরামকো টিম। আর এতে তো প্যাসেক খুশী হবেই-কিন্তু তাকে এয়ারপোর্টে দেখে খুব একটা খুশী বলে মনে হলো না–ডুরেল বলল।
এ্যালেন বলল, যাক্ সে সব কথা। এখন তোমার একমাত্র কাজ হবে তিনদিনের মধ্যে যেমনভাবে হোক জ্যাককে খুঁজে বের করে প্রিন্সের মামলাটি সব পৌঁছে দিতেই হবে।
চেয়ার ছেড়ে ডুরেল উঠে দাঁড়াল। এর মধ্যে যদি সময় থাকে আমি একবার যাব জ্যাক ট্যালবটের কামরায়। তোমার কাছে ঠিকানা আছে?
আমি আগেই জানিয়ে দিয়েছি
তোমার কাছে কোন চাবি আছে কি?
সে সেখানে নেই। তার কারণ খবর ক্যনস্যুলেট রাখে না। কেবল তার প্যাডে একটা ঠিকানা পাওয়া গেছে। ভিলা-ডেল-সল। লাউসেন রোড, জেনেভা, নর্থ পয়েন্ট। ইটালীর একজন বিজনেস ম্যাগনেট। বিরাট চাই। নাম হল- কাউন্ট বার্নাডো এ্যাপোলিও–
এ্যালেন বলল, বিখ্যাত শিল্প-সংগ্রাহক।
ডুরেল বলল, এই অঞ্চলটাকে এ্যাপোলিও কি ভিলা-ডেল-সল বলে বেড়াত।
হ্যানসন ব্যাপারটা বলতে পারবে?
প্রিন্স সুভানার সঙ্গে পেইন্টিং স্ক্রল চুরির কথাটা নিয়ে শিগগির ফয়সালা হওয়া উচিত।
আগে প্যাসেক সম্পর্কে ভাবতে হবে। কারণ জ্যাককে সেই হয়তো খুন করেছে।
এলেন বলল, পেপার স্ক্রলটা ফেরৎ পাবার জন্য হয়তো উগ্র হয়তো ব্যবহার সুভানা করতে পারেন। সাবধানে কথা বলবে। দেখ জ্যাক যে চোর এ ধারণাটা পাল্টানো চাইই–তোমার জন্য আমি অপেক্ষা করব।
.
০৩.
তখন প্রায় রাত নটা।
অনেকক্ষণ হয়ে গেল চিত্রশালা থেকে বেরিয়ে এসেছে। তারপর সারারাত মনে মনে ভাবল টংটনে একটা কেবল করলে কেমন হয়। সে কি সাফ সাফ জানিয়ে দেবে। সে তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছে।
অবশেষে ডুরেল এগিয়ে গেল গ্র্যাণ্ড রুর দিকে। হঠাৎ মনে হলো তাকে কে যেন অনুসরণ করছে। দ্রুত এগিয়ে গিয়ে ডুরেল সেন্ট পিটার্স ক্যাথিড্রালের কাছে থামল।
থমকে দাঁড়াল অনুসরণকারী ছায়ামূর্তি। ডুরেল বুঝতে পারল বিপদ আসন্ন। নিরিবিলি আরো একটা জায়গায় পা দিতেই সে অদ্ভুতভাবে পেছন দিক থেকে একটা প্রচণ্ড ঘুষি ঘুরিয়ে মারল। তারপর একটা নির্জন জায়গায় শরীরটাকে টেনে এনে আরো কয়েক ঘা ঘুষি মারল। অপরপক্ষ রক্তাক্ত ঠোঁট ফাঁক করে কি যেন বলল, কমেট
কে বলেছে আমার পিছু নিতে? দেখি তোমার পাশপোর্ট এখানে আসার তোমার কোন এক্তিয়ারই নেই, এই বলে সে আরো কয়েকটা রদ্দা মারল ঘাড়ে, গর্দানে।
আমায় রেহাই দিন মঁসিয়ে ডুরেল।
এবার বলো তো কবে থেকে আমার পিছু নেবার কাজে লেগেছ।
আপনি এখানে আসার ঘণ্টা কয়েক আগে থেকে।
তখন চলন্ত একটা ট্যাক্সি থামিয়ে হোটেলে ডি লা প্যাকসে দ্রুত পৌঁছে গেল।
অস্ত্র পায়ে প্রিন্স সুভানা ঘরের মধ্যে পায়চারী করছিলো। বললেন, মঁসিয়ে ডুরেল, আমরা আমেরিকান অফিসিয়ালদের ওপর এতই নির্ভরশীল যে এখন অবশ্যি অধের্য হয়ে পড়েছি
প্রিন্স বললেন, দেখুন, তিন দিন পরে দেশে ফেরবার আগে যেমনভাবেই হোক, আমার পৈতৃক ছবিগুলোর একটা ব্যবস্থা করুন। আশাকরি স্বীকার করবেন এগুলো ট্যালবটই চুরি করেছিল। আমি আর এখন অন্য কোন কথা শুনতে চাই না।