ওটা যে কাজ করবে, শিওর ছিলাম না, স্যার, কৈফিয়ত দিচ্ছে যেন কিশোর। ডেভ পকেটে হাত ঢোকালেই তো শেষ হয়ে যেত। কাপড়ও বদল করতে পারত সে। করেনি, তার কারণ, অতিরিক্ত ব্যস্ত ছিল ওরা। আর বাঁ পকেটে ঢুকিয়েছিলাম। সাধারণত ওই পকেটে কমই হাত দেয় লোকে কোনও জিনিস বের করার জন্যে না হলে ঢোকায় না। আসল কথা হলো, আমাদের ভাগ্য ভাল, কাজটা হয়ে গেল।
হাসলেন চীফ। হ্যাঁ, তা বলতে পারো। যাই হোক, যন্ত্রটা ঢুকিয়ে দিয়ে কাজই করেছ একটা!
তিন গোয়েন্দা হাসল। পিটার হাসল। এখন সে পুরোপুরি নিরাপদ। বিপদ কেটে গেছে। আর কোনও ভয় নেই।
বাবারও কাজ করতে আর কোনও অসুবিধে হবে না, বলল সে। ইচ্ছেমত করতে পারবে।
পাশাপাশি দাঁড়িয়েছে সে আর কিশোর। দুই যমজ ভাইয়ের মত। অনেকেই অবাক চোখে তাকাচ্ছে ওদের দিকে। অনেক অবাক ঘটনাই ঘটে এই পৃথিবীতে, যা বিশ্বাস করা কঠিন। এটাও তেমন একটা ঘটনা।