- বইয়ের নামঃ লর্ড এডওয়্যারস ডেথ
- লেখকের নামঃ আগাথা ক্রিস্টি
- বিভাগসমূহঃ অনুবাদ বই, রোমাঞ্চকর,গোয়েন্দা কাহিনী
লর্ড এডওয়্যারস ডেথ
নাটকীয় ঘটনা
লর্ড এডওয়্যারস ডেথ (A THEATRICAL PERFORMANCE) – (পোয়ারো)
নাটকীয় ঘটনা
মানুষের স্মৃতি খুব ছোট। জর্জ অ্যালফ্রেড ভিনসেন্ট মাস, ব্যারণ এডওয়্যারের মৃত্যু অতীতহয়ে গেছে। সেখানে নতুন উত্তেজনা গ্রহণ করেছে।
আমার বন্ধু হারকিউল কখনও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। এটি আমি বলি আমার নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করে। হারকিউল এর একটা নিজস্ব মতামত প্রকাশ করে–যখন অন্য কেউ বিফল হয়। সে সবর্দা দেখে যে তার মতবাদ আগন্তুকের প্রতি ঠিক পথে যায়। যাইহোক এটা ঠিক তার উদ্ভাবন সত্যের প্রতি ঘটনার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।
আমি মনে করি সময়ে যখন সে তার কাছে আসে আমি জানি যে সেই ঘটনা কালো এবং সাদা হবে। আমি জানি আসা এবং যাওয়া ঘটনার শুরুতে আমার ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারি।
আমি সেই দিনটা মনে করতে পারি যেদিন পোয়ারো একলা ছোট বসার ঘরে বসেছিল। আমার আর তার মধ্যে একটা তর্কবিতর্ক চলছিল।
যখন আমাদের অনুসরণ শেষ হলো তখন সে তার সাথী ব্যারণ মার্টিন যে সিনেমার হিরো তার সঙ্গে ছিল। সে এবং জন উইনকিনসন অনেক সিনেমায় একসঙ্গে জুটি বেঁধেছিল।
লেডি এডওয়্যার বললে এটা সুন্দর নয় কি? সে হাসল, জেন তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। আমি ব্যারণের ইয়ার্কি বুঝতে পারলাম না। এরপর কি ঘটল তা আমি মনে করি একটা কাকতালীয় ঘটনা। থিয়েটারের পর পোয়ারো আর আমি সাপার খাবার জন্য স্যাভয়ে গেলাম। আমাদের পরের টেবিলে লেডি এডওয়্যার ছিলন। ব্যারণ মার্টিন এবং আরো দুজন ছিলেন যাদের আমি চিনি না। আমি তাদের খুঁজে পোয়ারোকে দেখালাম এবং যখন আমি তা করলাম, আরেকজন দম্পতি তাদের জায়গা নিল ঠিক আমাদের পেছনে। মহিলার মুখটা আমি খুব চিনি কিন্তু আমি কিছুতেই তা মনে করতে পারলাম না। তারপর আমি বুঝতে পারলাম এটা কারলেটা অ্যাডম সে নাটকে ছিল। লোকটিকে আমি চিনি না।
কারলেটা কালো পোষাকে সেজে ছিলো। তার মুখটা এমন ছিল না যা আমার ভালো লাগে। পোয়ারোর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি টেবিলের প্রশ্নের মধ্যে ছিল। আমি লেডি এডওয়্যারের অভিনয় দেখেছি। সে খুব ভালো অভিনেত্রী। এই নাটকটি তাকে নিয়ে লেখা হয়েছিল। সে আমার কাছে সেইসব মহিলার মতো, যারা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এইরকম মানুষরা জীবনে বিপদ ডেকে আনে। এই মহিলা শুধু তার নিজের সম্পর্কে জানে শুনে অবাক হলাম। সে তার চারপাশের বিপদ ও দুর্ঘটনা লক্ষ্য করে না। তারা শুধু নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকে এবং সেইজন্য তারা একা হয়ে যায়। আমি উৎসাহ বোধ করলাম মিস অ্যাডামস সম্পর্কে তোমার কি মতামত। সে বলল, সে আজকে একজন জ্যোতিষীকে দেখেছে, যে হাত দেখে মানুষের চরিত্র বলে দেয়।
আমি বললাম তুমি ওর থেকে ভালো করবে। তুমি আমার উপর বেশি বিশ্বাস রাখছ হেস্টিংস, সে বলল। তুমি কি জান আমাদের প্রত্যেকের জীবনে একটি কালো ভবিষ্যৎ আছে, যা আবেগ এবং হতাশা দিয়ে গঠিত। একজন মানুষের হোট মতামত তৈরী করে কিন্তু দশবারের মধ্যে নবারই তা ভুল হয়।
আমি বললাম তা নয়। আমি জানি যে তোমার কম বুদ্ধি আমি তা জানি তবুও আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আমি একজন বিনয়ী মানুষ। আমি বললাম যে তুমি তা নও, তাই তুমি আর এর জন্য কোন ঝুঁকি নেবে না বিচারের জন্য। পোয়ারো বললেন যে এটা সবকিছুই আচ্ছাদিত করে।
পোয়ারো বলল, দুর্ভাগ্য আমাদের তাড়া করে ফিরছে। কিন্তু আমার মনে হয় মিস অ্যাডামস আত্মহত্যা করবেন। সেখানে সে যা সফলতা তৈরী করে। এছাড়া আরো একটা বিপদের সম্ভাবনা আছে, এই বিপদ যে আমরা কথা বলছি। তার মানে? ভালোবাসার পয়সা এই ধরনের ঘটনাবহুল রাস্তা সৃষ্টি করে। এটা হয়তো আমাদের মধ্যেও সৃষ্টি করে। যদি তুমি সবসময় পয়সার দিকে তাকাও তাহলে অন্য কিছু দেখতে পাবে না সবকিছু ছায়া দেখাবে।
তোমার চরিত্রের মনস্তত্ব খুবই আকর্ষণীয়। মনস্তত্ব নিয়ে সে খুব উৎসাহী।
আমি তাকে অনুসরণ করলাম। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি যখন আমরা একসঙ্গে চলি তখন তুমি আমায় ধাক্কা দাও। তুমি কখনও বোঝনা যে যখন তুমি আরাম কেদারায় শোও এবং চোখ বুজে যায় তখন তুমি অনেক কাছে পৌঁছে যাও কোন সমস্যার সমাধানের।
না আমি যখন শুয়ে থাকি তখন একটা জিনিষ আমার চোখের সামনে ঘটে।
আমি এটা লক্ষ্য করেছি, এটা অদ্ভুত ব্যাপার। এই মুহূর্তে মস্তিষ্ক নিয়েই চঞ্চলভাবে কাজ করে যায়, কোন কেঁপে ওঠা উত্তেজনা নিয়ে নয়। মস্তিষ্কের ধূসর কোষগুলির প্রয়োজন মানসিক শান্তির জন্য। তারা কেবলমাত্র বিশ্বাসযোগ্য সত্যের উপর কুয়াশা সরানোর জন্য।
আমি ভীত হলাম যে আমি আমার মনোযোগর অভ্যাসগুলিকে দূরে সরাতে পেরেছি যেটাকে পোয়ারো ধূসর কোষের কথা বলেছে।
তুমি আমাকে রাগাচ্ছ পোয়ারো; লেডি এডওয়্যার তোমার কাছ থেকে চোখ নিতে পারে না। পোয়ারো বলল যে, আমি নিশ্চিত সে আমার কথা মান্য করেনি। আমি মনে করি এটি একটি বিখ্যাত। আমি বলছি সে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসে ব্যারণ মার্টিন এর প্রতিবাদ জানালেও সে কিন্তু তার কথা শুনবে না।
জন উইনকিনসন আমাদের টেবিলের কাছে চলে এলেন। পোয়ারো উঠে দাঁড়ালেন, আমিও। মিঃ হারকিউল পোয়ারো, খোলা গলায় বললেন, হ্যাঁ আপনার প্রয়োজনের জন্য আপনার সঙ্গে আমি নিশ্চয়ই কথা বলব। নিশ্চয় ম্যাডাম আপনি বসুন। না, এখানে নয় আমি আপনার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চাই। আমার সঙ্গে আপনি কি ওপরে যেতে চান।
ব্যারণ মার্টিন তার সঙ্গে যোগ দিলেন। জেন তার কথার দিকে সহজে যেতে চাইছিলেন না। কি ব্যারণ, ব্যাপারটা কি হয়েছে? আমরা সাপার খেয়ে হোটেলের স্যুটে বসে থাকব।
সে তার পিছনে গেল এবং ঘুরে দাঁড়াল এবং তার পিছনে কতগুলি তর্ক করছিল। তার কথার মধ্যে একবার দুবার সে কারলেটা অ্যাডামের দিকে তাকিয়েছিল। এবং আমি অবাক হচ্ছিলাম যে সে যেকোন কিছু ওই আমেরিকান মেয়েটির সঙ্গে করতে পারে।
আমাদের সম্মত্তি অসম্মতির কিছুই তার মনের মধ্যে নেই। সে আমাদের ছেড়ে গেল। আমার সৌভাগ্য এটা সে বলছিল যখন সে লিফটের কাছে এল। এটা সত্যিই খুব সুন্দর যে সবকিছুই আমার দিকে ভালোভাবে হচ্ছে।
পোয়ারো বললো জানি তুমি পারবে। আমি জানি যেসব মানুষের কথা শুনেছি তার মধ্যে তুমি একজন সুন্দর মানুষ। এই ত্রিভুজের মধ্যে যে আমি পড়ে আছি আমি জানি তুমি এর থেকে বের করতে পারবে।
আমরা দোতলায় পৌঁছলাম, সে আমাদের করিডরে নিয়ে গেল, সে দরজা খুলে স্যুটের মধ্যে ঢুকল।
সে ঘরের ভেতরে গেল, একটা ছোট গয়নার ব্যাগ ছিল টেবিলের উপর। সে চেয়ারের উপর বসে বলল যে, কোনরকমে আমি আমার স্বামীর কাছ থেকে অব্যাহতি পেতে চাই।
.
সাপার পার্টির মধ্যে
কিছুক্ষণ নিজের মধ্যে হতবাক হয়ে গেলেন পোয়ারো। বললেন যে আমি স্বামীর থেকে ছাড়ানোর কোন উপায় জানি না। হ্যাঁ আমি জানি এর জন্য উকিলের প্রয়োজন। আমি অসুস্থ ছিলাম এবং আমি অনেকের কাছে গেছিলাম, কিন্তু কেউ আমার কোন ভালো করেনি। তারা শুধু আইন জানে এবং তাদের কোন সাধারণ জ্ঞান নেই, আর আপনি মনে করেন তা আমার আছে, হ্যাঁ আমি তাই শুনেছি।
ম্যাডাম আমার হয়তো বুদ্ধি, আপনি কি করে জানলেন যে এটা আমার আছে, আপনার কথামতো এটা আমার অভ্যাস নয়।
আমি এইগুলো দেখিনি, এটা একটা সমস্যা। জেন বললেন, আমি বলতে চাই আপনি সে ধরনের মানুষ নন যে সমস্যার প্রতি ভীরু। এই ক্রান্তিবাক্য শুধু আপনার ম্যাডাম, আমি বিচ্ছেদের উপর অনুসন্ধান করতে চাইলাম, এটা ভালো নয়।
পোয়ারো চিন্তা করে জবাব দিলেন। প্রথমে বললেন, ম্যাডাম, আপনি লর্ড এডওয়্যারের থেকে মুক্তি পেতে চান কেন? আমি আবার বিয়ে করতে চাই এছাড়া আর কি হতে পারে। এরজন্য একটা ডিভোর্সই সহজ।
আপনি আমার স্বামীকে জানেন না।
আমি তাকে কিভাবে বাখ্যা করব জানি না। সে একজন মানুষ যে অপরকে সহ্য করতে পারেন না। তিনি আর কারোকে বিয়ে করবেন না। তিনি একজন সন্দেহভাজন লোক। আমি তার ব্যাখ্যা হয়তো করতে পারব না। তার প্রথম স্ত্রী তার কাছ থেকে পালিয়েছিল। সে তাকে ডিভোর্স দেয়নি। তারপর সে আমাকে বিয়ে করে। আমি কখনও পীড়া অনুভব করিনি, তবে আমি খুব ভীত ছিলাম, আমি তাকে ছেড়ে চলে গেলাম। আমার বিচ্ছেদের কোন পথ নেই এবং যদি আমি তাকে বিচ্ছেদের পথ করে দিই সে তাকে বাঁচতে দেবে না। সে এতটাই ক্র।
আমেরিকান কোর্টে আপনি ডির্ভোস লাভ করতে পারবেন।
এটা আমার লক্ষ্য নয়,–আমি ইংল্যাণ্ডে বসবাস করতে চাই।
আপনি কাকে বিবাহ করতে চান?
আমি ডিউককে বিবাহ করতে চাই। একজন যুবক যে একজন গোঁড়া অ্যাংলো ক্যাথলিক, সে তার মায়ের হাতের তলায় আছে। তার জীবন অত্যন্ত কষ্টের এবং সাধারণ। সে চাইনিজ পোর্সন জমায় এবং তা দেখা। সে মহিলাদের প্রতি কোন দায় অনুভব করে না।
আমি ওই মানুষটির জন্য পাগল। আমি মনে করি না সে কখনও কাউকে অপছন্দ করে। মার্টিন ক্যামেল খুব ভালো লোক। সে দেখতে একজন সুন্দর লোক। সাধুর মতো তার চোখ দুটো। সে কাউকে ভয় করে না।
পোয়ারো বললেন, লর্ড এডওয়্যার এই রোমানিক স্বপ্নের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। তিনি মনে করেন সব মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। ভালো, কিন্তু এই বিষয়ে কিছু জানি না। আমি মনে করি না, যদি এডওয়্যার না থাকেন তাহলে বিশেষ কোন ক্ষতি হবে।
দরজায় টোকার আওয়াজ হলো এবং একজন পরিচালক এবং জেন তার আগমনকে উপেক্ষা করে কথা বলতে লাগলেন।
কিন্তু আমি তাকে মেরে ফেলতে চাই না, আমি ভেবেছি আপনি আমার মতের সঙ্গে হয়তো একমত হবেন না। আপনি আমাকে বিচ্ছেদ করার একটা কৌশল বলুন। আমি জানি আপনি পারবেন।
ম্যাডাম আপনি অতিরিক্ত আমার শক্তি পরীক্ষা করছেন।
কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই চিন্তা করছেন, আপনি কি আমাকে খুশী দেখতে চান না, তার আওয়াজ বেশ শান্ত, পোয়ারো সবাইকে খুশী দেখতে চান।
হা, কিন্তু আমি সকলকার কথা বলছি না, আমি আমার কথা বলছি। আপনি কি মনে করেন আমি স্বার্থপর। না, আমি তা বলিনি, পোয়ারো বললেন।
আসলে, আমি দুঃখী থাকতে চাই না, এটা আমার অভিনয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমি সত্যিই খুব অসুখী থাকব যতক্ষণ সে মারা না যায় বা আমাকে বিচ্ছেদ না দেয়।
সে আরও বলল, সে যদি মারা যায় তাহলে সে সবথেকে খুশী হবে। আমি সারাজীবনের জন্য তাকে ছাড়তে পারব। আপনি নিশ্চয়ই আমাকে বললেন মিঃ পোয়ারো।
যদি আমি তা না করি, তাহলে আমি একটা ট্যাক্সি ডাকব এবং তার উপর লাফিয়ে পড়ব। সে দরজা খুলে বেরোতে গেল তখন ব্যারণ মার্টিন ও আমেরিকান মেয়েটি এসে উপস্থিত হল। কারলেটা অ্যাডামস আর তার সঙ্গী ছিল দুজন মানুষ এবং জেন উইলকিনসন। তারা আমাকে পরিচয় করাল মিঃ এবং মিসেস উডবার্ন।
ব্যারণ বললেন জেন কোথায়? আমি তাকে বলতে চাই যদি আমি আত্মহত্যা করি তার জন্য কত কমিশন সে দেবে।
জেন শোবার ঘরে যাবার জন্য রাস্তা দেখল। তার হাতে লিপস্টিক ছিল। মিস অ্যাডামস বললেন, আমি তোমার অভিনয় পছন্দ করি। এখানে এস এবং আমার সঙ্গে কথা বল ততক্ষণ পর্যন্ত আমি দেখতে পাব।
কারলেটা তার নিমন্ত্রণ গ্রহণ করল। মিঃ পোয়ারো আপনি উপযুক্ত রূপে গ্রহণ করেছেন। আমাদের জেন নিশ্চিতভাবে তার যুদ্ধে আপনাকে নিয়েছে। ব্যারণ বললেন, জেন একজন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। আমি মনে করি না সে অমরত্ব লাভ করেছে, সে অমরত্ব চায়।
আমি মনে করি সে হাসতে হাসতে কাউকে খুন করে দেবে। খুনের পরিকল্পনা হলো ট্যাক্সির উপর লাফিয়ে পড়া এবং তার নাকের সঙ্গে ভেসে যাওয়া। এখন আমি অবাক হচ্ছি তুমি কিভাবে এটা বলছ, পোয়ারো বলল।
মিসেস উডবার্ন বললেন, ডেন হচ্ছে একজন অহমবাদী, সে সবসময় তার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করতে চায়।
পোয়ারোর চোখ ব্যারণ মার্টিনের মুখের উপর নিবদ্ধ ছিল। এই দৃষ্টির ভাষা আমি বুঝতে পারছিলাম না।
জেন যখন অন্য ঘর থেকে ঘুরে এল তখন কারলেটা তার পিছনে এলো। আমার কাছে তার মুখটা একরকম লাগছিল এবং পরিবর্তনের কোন চিহ্ন ছিলো না। জেনকে আমি দোষ থেকে মুক্ত করলাম। সে একটি তরুণী যে একসময় একটি জিনিষ দেখে। সে পোয়ারোর সঙ্গে কথা বলতে অত্যন্ত আগ্রহী, সে তার বক্তব্য তার কাছে দেরী না করে বলতে চায়। সে খুব ভালো হাসতেও জানে।
না, যে অন্তর্বিদ্যুতের কথা হচ্ছিল তা জেনের কাছে ছিল না। সে কোন মিথ্যে কথা বলবে। মার্টিন মোটেই তার ঙ্গে সাধারণ ব্যবহার করেনি। আমি নিজের উদ্দেশ্যে বললাম, এটা হয়তো ফিল্ম অভিনয় সাধারণ ব্যবহার কাছে ছিল না। সে কোন
কারলেটা অ্যাডমস বেশ সহজ ব্যবহার করছিল শান্ত মেয়েটার সঙ্গে। তার মধ্যে লাবণ্য থাকলেও কিছু ধনাত্মক সৌন্দর্য আছে। মেয়েটির মধ্যে এমন কিছু গুণ ছিল যা আমাকে আঘাত করলো।
আমি আমাদের দলের আরো তিনজনের দিকে লক্ষ্য করলাম; মিস্টার উডবার্ন ভাবপ্রবণ হৃদয় তারা দুজনেই আবেগের দ্বারা চালিত। কারলেটা অ্যাডামস অত্যন্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তি।
আমি বলতে চাইছি সে চলে গেল, আমি জিজ্ঞাসা করি যদি আমি একটা মেয়েকে নিয়ে, তুমি বুঝতে পারছ আমি কি বলতে চাইছি।
আমি বললাম এটা খুবই বোঝা শক্ত। আচ্ছা, আমি আমার দর্জির কাছ থেকে টাকা ধার করলাম। আমি বহুবছর ধরে তার কাছে থেকে টাকা নিই। আমাদের কাছে একটা শর্তের সৃষ্টি করেছে। ওহে বন্ধু সেটা কোন্ শর্ত তৈরী করল। আমার নাম হেস্টিংস। তুমি এভাবে কথা বললে। এখন আমি প্রকাশ্য শত্রু বলতে পারি স্পেনসার জেনিসকে, আমি বলতে পারি একটা মুখ আরেকটা মুখের সঙ্গে বেশী মেলে।
সে নানারকম বক্তব্য বলে গেল আশান্বিত চরিত্রের প্রতি। সে বলল যে, আমি যখন ৭৫ বছরের হবো তখন আমি ধনী হবো। যখন আমার কাকা মারা যাবেন তখন আমি দর্জিকে পয়সা দেব।
কারলেটা অ্যাডামের দৃষ্টি তার উপরে নিবদ্ধ ছিল। আর তার নির্দেশে আমাদের এই সভা কিছুক্ষণের জন্য ভেঙে গেল। জেন বলল, এটা খুব ভালো লাগল যে তুমি এখানে এসেছে। আমি ঝোঁকের মাথায় কাজগুলো করতে ভালোবাসি।
মিস অ্যাডামস বললেন, আমি পরিকল্পনা করেই কাজ করতে ভালোবাসি।
জেন বলল, ভালো, তাই সবসময় ফলাফল যুক্তিযুক্ত হয়।
আমেরিকান মেয়েটির মুখটা বেশ সহজ হল। সে উষ্ণভাবে বলল, আপনাকে এই বলার জন্য আমি বাহবা দিচ্ছি। আমি উৎসাহ চাই।
কালো গোঁফওয়ালা লোকটি করমর্দন করল এবং বলল ধন্যবাদ দাও আমি জেনকে আসার জন্য। যখন সে দরজার দিকে হাঁটছিল কারলেটা তাকে অনুসরণ করলো।
জেন বললেন, আপনি আমাকে আন্টি জেন কেন বললেন।
মিসেস উডবার্ন বললে, আমি কিন্তু এ বিষয়ে ছুটি নিইনি। ঠাকুরের দিব্যি তুমি এইভাবে আমাকে ডাকবে না।
তাহলে তুমি নিশ্চয়ই আমার স্বামীকে গিয়ে দেখবে এবং তাকে বলবে আমি কি চাই। পোয়ারো বললেন, হ্যাঁ আমি দেখব। ম্যাডাম যখন আমি কঠিন হৃদয় ছিলাম, এটা ইউরোপে। তিনি বললেন কিন্তু চালাকির জন্য আপনি শুধু ইংল্যাণ্ডের কথা বললেন।
ম্যাডাম আমি কিছু কথা দিচ্ছি না মনস্তত্বের শেষ থেকে আপনি আপনার স্বামীর সঙ্গে মিলতে চাইবেন।
তিনি বললেন, দেখবেন এটা কিরকম উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।
.
একজন মানুষ এবং সোনার দাঁত
এর কিছুদিন পরে, যখন আমরা ব্রেকফাস্ট খাচ্ছিলাম পোয়ারো আমার কাছে এল হাতে একটা চিঠি নিয়ে যা সবে ভোলা হয়েছে। সে বলল, তুমি এ বিষয়ে কি ভাবছ।
লর্ড এডওয়্যারের নোটের থেকে জানা গেল যে একটি নির্দিষ্ট দিনে অ্যাপয়েন্টমেন্টের কথা বেলা এগারোটার সময়। আমি ভীষণ অবাক হলাম। আমি পোয়ারোর কথাগুলো খেলার ছলে নিয়েছিলাম এবং আমার সেরকম কোন বুদ্ধি হয়নি যে কিভাবে কথা রাখা যাবে। পোয়ারো আমার মনের কথা পড়ে ফেলল।
সে বলল, তুমি তোমার কথা ভাবছ। সে আদেশের ভঙ্গিতে কথা বলল যে সে যা কথা দিয়েছে সেইমত সে করবে না, কারণ সেইমতো করার কোন ইচ্ছে তার নেই, আমি নিশ্চয়ই সে কথা জানি? আমি মনে করি যে তোমার মতামত স্বল্প ভাবে জানি।
আমার মতামত এমন যে আমি অপরকে তা দিয়ে সম্মোহিত করতে পারি, আসলে আমি এই বিষয়ে আগ্রহী এবং সেটাই শেষ কথা।
ওই জেনের প্রেমের কথা, না, তা নয়। ওটাকে তুমি একটা ব্যবসা বলতে পারো। এটা তার উপর ওঠার একটা চাল, বন্দি-ডিউকের কোন টাকাপয়সা না থাক তাহলে তার স্বপ্নালু দৃষ্টি ভালো লাগত না। তার চরিত্রের অন্তর্দ্বন্দ্ব তার চরিত্রের অবৈধতা আমাকে আকর্ষণ করেছে। আমি লড এডওয়্যারের কাছাকাছি লোকদের পর্যবেক্ষণ করছে চাই।
আমি তোমার লক্ষ্যে, সাফল্য লাভ করবো। মনে কর, হ্যাঁ সকলেরই দুর্বল জায়গা আছে। আমি যদি মনস্তত্বের ভিত্তি করি তাহলে আমি চেষ্টার ত্রুটি করব না।
আমি তার সঙ্গে পরের দিন রিজেন্ট পার্কে যেতে চাই। কিন্তু সে আমাকে নিতে চায় না তার মতে এটা যদি দোষনীয় না হত এবং রহস্যজনক ঘটনা না হত, তাহলে তোমার হৃদয় উজ্জীবিত করবে।
আমি বললাম আমি যাবই, পোয়ারো খুব হাসল। এটা খুবই বিস্ময়কর আমাদের আগন্তুক হলেন ব্যারণ মার্টিন।
নায়ককে সকালের আলোতে বুড়োটে দেখাচ্ছিল। আমার মনে হচ্ছিল, যে, সে ড্রাগ নিচ্ছে। মিস্টার পোয়ারো সুপ্রভাত, তিনি বললেন, মিঃ হেস্টিংস আপনাকে দেখে আমি খুব খুশী হয়েছি। আমি মনে করছি আপনি খুব ব্যস্ত।
না আপাতত আমি ব্যস্ত নই। ব্যারণ বললেন স্কটল্যাণ্ড ইয়ার্ড থেকে ডেকে নিয়ে যায় না। কোন ঘনিষ্ঠ ব্যাপার। আমি এটা খুব বিশ্বাস করি।
তুমি অলীক ও বাস্তব গুলিয়ে ফেলছ। আমি সত্যিই বলছি এখন আমার কাছে কোন কাজ নেই। ব্যারণ বললেন যে, এটা আমার সৌভাগ্য যে আপনি আমার জন্য কিছু করতে পারবেন।
পোয়ারো বললেন, আমার জন্য কোন সমস্যা আছে বুঝি, আছে এবং নেইও এইরকম আর কি। এইসময় তার হাসিটা ভয়ে ভরা ছিলো। তিনি পোয়ায়োর সামনে বললেন, তার মধ্যে কোন গণ্ডগোল চলছিল।
সে অসুবিধা বোধ করছিল। সে তার একটা সমস্যা যার সম্পর্কে তিনি বেশী কিছু চাইছিলেন না। সমস্ত ব্যাপারটা আমেরিকাতে শুরু হয়েছে। একটা সামান্য ঘটনা আমার দৃষ্টি এড়ায়নি; আমি যখন ট্রেনে যাচ্ছিলাম, আমি তখন একজন লোক দেখলাম, যার সোনালী দাঁত ছিল এটাই আমার মধ্যে ঘটনার সৃষ্টি করে, পাইলট তার মাথাটা নাড়াচ্ছিল। তিনি বললেন, আমি ডিউক লোকটিকে দেখেছি তার ছ মাস পরে লসঅ্যাঞ্জেলসে লোকটাকে দেখেছি। তার একমাস পরে যখন আমার হোটেল যাবার প্রয়োজন হলে সেখানে গিয়ে তাকে আবার দেখলাম। তখন তার দাড়ি ছিল না। এটা খুবই অদ্ভুত ব্যাপার।
অদ্ভুতই বটে। আমি কিছুই মনে করতাম না যখন তাকে শিকাগোতে দেখলাম, অদ্ভুত জুতা এবং জামা নিয়ে। আমি ভীষণ অবাক হলাম। আমার মনে হয় তাকে আমি ছায়াসঙ্গী বলতে পারি।
খুবই আশ্চর্যের। এটা নয় কি? আমি আরও অবাক হলাম। প্রত্যেকবার আমি তার সোনার দাঁত লক্ষ্য করেছি। কিন্তু আমি কখনো তার সঙ্গে কথা বলিনি। তাকে আমি জিজ্ঞেস করিনি যে কেন সে তার সঙ্গ নিচ্ছে।
অভিনেতা বললেন, না, তিনি তা করেননি। আমি করার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু তার পর তার বিপক্ষে গেলাম। একদিন হয়ত আবিষ্কার করবে যে আমি তাকে অনুসরণ করেছি তারা হয়তো আমার জন্য অন্য কাউকে ঠিক করবে যাকে আমি বুঝতে পারব না।
কেউ যার সোনার দাঁত থাকবে না, পোয়ারো বললেন। তিনি বললেন, তাদের বলতে কাদের বোঝাতে চাইছেন।
এটা কথার কথা, আমি অসুবিধার জন্য বলছিলাম। আসলে আমি মাপ চাইছি। আমি তার পেছনের লোকগুলো সম্পর্কে জানি না।
আপনি কি তাদের কারণ বিশ্বাস করেন? না কেউ না।
ব্যারণ মার্টিন বললেন, এটা আমার মনে কিছুটা স্থান গ্রহণ করে। অনেক সময় এই মনে করাই ঠিক হয় ওঠে।
আমার সঙ্গে লণ্ডনের ঘটনা দুবছর আগে ঘটেছিল। এটা খুব ছোট ঘটনা ছিল কিন্তু এটা আমি ভুলতে পারিনি। আমি কিছু ব্যাখ্যা পাইনি। এই দুঃখজনক পরিস্থিতির অন্য কিছুর সঙ্গে সম্পর্কে আছে আমি সেটাতে অবাক হই।
আপনি দেখেছেন তাতে একজন মেয়ে ছিল। এর কারণ শুনবেই তুমি। সুষম কখনও এটা বলতে পারো না। কিন্তু এটা একদিন বা দুদিনে হতে পারে না। তার মনে তুমি একজন তরুণীর মতামত নিতে চাও। এখন সে ইংল্যাণ্ডে আছে। যখন সে আমার পিছু করছিল। সে শেষ আঠারো মাস সেখানে ছিল।
মিস্টার পোয়ারো এখন বলুন যদি আমি তার অনুমতি পাই আপনি কি আমার জন্য কাজ করবেন।
পোয়ারো বললেন, আমি এই জিনিষটা যাতে পরিষ্কার হয় তার জন্য চেষ্টা করব। কিন্তু যদি আপনি এ কাজে তদন্ত করেন তাহলে তা এখন জনসাধারণের মধ্যে যেন প্রচারিত না হয়। পোয়ারো বললেন, এটা নির্ভর করে তুমি কি মনে কর। যদি এতে কোন দোষণীয় না থাকে।
আমাকে বল তোমাকে যে অনুসরণ করে তার কত বয়স হবে। তিরিশ হবে। হ্যাঁ এটা দেখার বিষয়। এটা বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছে। আমি তাকে দেখতে শুরু করলাম। পোয়ারো বলল, বেশ আকর্ষণীয় হচ্ছে ব্যাপারটা। আমার মনে হয় তার দৃষ্টি একদম ঠিক।
ব্যারণ বলল, জেন একজন উঁচু যারা আছে তাদের মধ্যে।
পোয়ারো বলল, তার এদিকে দৃষ্টি।
পোয়ারো বলল, যে, সুন্দরী রমণীর সঙ্গে সে ভালো সম্পর্ক নিয়ে চলে।
ব্যারণ বললেন, আমি তা মনে করি না।
জেনকে নিয়ে কথা হচ্ছিল। কথা অন্য রাস্তায় চলে যেতে মার্টিন বললেন যে তিনি মনে করেন জেন একটা পাপ করতে পারে।
.
একটি আলাপচারিতা
আমি ও পোয়ারো লর্ড এডওয়্যারের রিমোট-এর সঙ্গে খুব ভালো অনুমান করলাম। আমার পোয়ারোর মনস্তত্ব সম্পর্কে নিমগ্ন ছিলাম না কিন্তু লেডি এডওয়্যার যা তার স্বামীর সম্বন্ধে বলছিলেন তাতে কৌতূহল বাড়াল।
দরজা খোলা হলো একজন খুব সুন্দর, লম্বা যাকে আমি কখনও দেখিনি, অত্যন্ত ভদ্র, সুন্দর ছেলেটি, সে যেন আমাকে কারো কথা মনে করিয়ে দিলো। কিন্তু সে যে কে আমি জীবনেও মনে করতে পারি না।
সে আমাদের এডওয়্যারের ঘরে যাবার রাস্তা দেখিয়ে দিল। তিনি যে ঘরে বসে ছিলেন সেটি একটি লাইব্রেরী। লর্ড এডওয়্যার যিনি বছর পঞ্চাশের একজন লোক। তার দৃষ্টি অন্তর্নিহিত তার কালো চুল কিছুটা ধূসর হয়ে এসেছে। সেখানে নিশ্চয়ই কিছু ছিল। তার ব্যবহার ছিল পোশাকী। আমরা বসলাম। জানালা দিয়ে কিঞ্চিৎ আলো আসছিল এবং ঘরটা বেশ ঠাণ্ডা।
লর্ড এডওয়্যার একটি চিঠি নিলেন এবং আমি এটাতে হাতের লেখা দেখে তিনি বললেন আমিও সবার মতো আপনাকে চিনি। পোয়ারো বললেন, আপনার এ ব্যাপারে অবস্থা আমি বুঝতে পারছি না। তিনি বলেছেন তিনি তার স্ত্রীর হয়ে তার সাথে দেখা করবেন।
আমি বুঝতে পারছি আপনারা দোষী বিভাগের লোক। এছাড়া জীবনে আরো অসুবিধা আছে।
সে বলল, আমি আপনার স্ত্রীর হয়ে তাকে ডিভোর্স করে দেবার অনুমতি চাইছি। আপনি নিশ্চয়ই জানেন এ বিষয়ে। হ্যাঁ আমি জানি। আর মতামত হলো দুজনে মিলে একটা আলোচনা করা যাক।
এখন আরো কিছু আলোচনা করার নেই। দুজনের মধ্যে মতামত নিয়ে ঝগড়া লেগে গেল। কেননা দুজনের মতামত এক হচ্ছে না। এডওয়্যারকে কমিক চরিত্রের একজন মনে হচ্ছিল। সে বলল, আমি আপনার বিস্মিত হওয়াটা বুঝতে পারছি না।
তুমি কি তোমার বউকে ডিভোর্স দিতে চাও। হ্যাঁ আমি চাই। আমি সেইমতো ছমাস আগে তাকে লিখে দিয়েছি। আমি আমার ব্যাপারে আপনার মতামত চাই না। মিঃ পোয়ারো। হ্যাঁ আমি আমার প্রথম স্ত্রীকে ছাড়িনি আমার দ্বিতীয় বিবাহ একটা ভুল। আমি তাকে ডিভোর্স করতে চাইনি। ছমাস আগে যখন সে আমার কাছে ডির্ভোস চাইল এই নিয়ে আমাদের ঝগড়া হয়েছিল কিন্তু সে আপনাকে কেন পাঠাল বুঝলাম না। এটাতে টাকার প্রশ্ন জড়িয়ে আছে। খুবই অদ্ভুত ব্যাপার। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না, পোয়ারো বললেন।
এডওয়্যার বললেন, তার স্ত্রী যদি অন্য লোককে বিয়ে করে, আমি তাকে তা করতে দেব, কিন্তু তাকে আমি কোন পয়সা দেব না। কেননা সে একটা ধনী ব্যক্তিকে বিয়ে করেছে। সে ইংরেজ আমেরিকান সব আইন দিয়ে বলেছে, কিন্তু আমি অসম্মত হয়েছি।
কিন্তু আপনি হঠাৎ মতপরিবর্তন করলেন? কেননা এখন ঘটনা পরিবর্তিত হয়েছে। আপনি আমাকে ক্ষমা করুন আমার মতামত বলতে আমরা যখন বিদায় নিতে চাইলাম। তিনি প্যারিসে পরের দিন যাবেন বলে সময় বদলানোর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।
আমি মনে করছিলাম যে যখন জেন তার স্বামীর কথা বলছিলেন সে তখন অভিনয় করছিল না। আমি খুব অবাক হলাম, যখন আমি জর্জ অ্যাডফ্রেড সেন্ট ভিনসেন্ট মাস, চতুর্থ ব্যারণ এডওয়্যারকে দেখলাম।
আমরা ঘর থেকে বেরোলাম। আমি জর্জের আত্মসংযম দেখে অবাক হলাম। ভদ্রতা ও আত্মসংযম তার মধ্যে ছিল।
আমরা যখন দরজার সামনে দাঁড়ালাম দরজাটা খোলা ছিল, একটা মেয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল তার মুখটা সাদা। তারপর সে ছায়ার মতো ঘরে ঢুকে গেল।
আমরা রাস্তায় বেরোলাম, পোয়ারো ট্যাক্সি ধরল, আমরা স্যভয়ের পথ ধরলাম। হেস্টিংস সম্বোধনে সে আমাকে বলল, সে যা ভেবেছিল কথোপকথনে যে রকম হয়। সে বলল, সে পাগলের মত। তুমি কি একটি মেয়েকে লক্ষ্য করেছ?
আমি মেয়েটিকে দেখেছি। আমি এখন বুঝতে পারছি যে তার দুটো বউ কেন তাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আমার মনে হয় সেটা তার মেয়ে, বাড়িটা তার পক্ষে অন্ধকার স্থান।
হ্যাঁ এবং ওই এখন তার ভালো খবরের জন্য পরিচিত হবে।
জেনের বাড়িতে আমরা গেলাম তাকে বললাম যে তার স্বামী তাকে ডির্ভোস করতে আগ্রহী, তিনি বললেন যে, আপনি কি করে তাকে জানালেন।
ম্যাডাম আমি এর জন্য প্রশংসাবাণী শুনতে চাই না। কারণ ছমাস আগে আপনার স্বামী আপনাকে তার মতামত জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তখন আপনি হলিউডে ছিলেন এবং প্ল্যান করেছিলেন। এবং বিরক্ত হচ্ছিলাম আর এই সময় খুবই পাগলের মত হাসলাম।
তিনি বলেছেন যে আপনি কারোকে বিবাহ করতে চান। হা, সে বিষয়ে আমি তাকে বলেছি। আপনি কি তাকে এ বিষয়ে কিছু বলেছেন? না আমি বলিনি।
সে একজন ক্রুর মানুষ। কিন্তু ফিল্মের অভিনেতা নয়। পোয়ারো বললেন, আপনি তার প্রকৃতি বুঝতে পারেননি। সেটা আপনাকে বিভ্রান্ত করে দিয়েছে।
কিন্তু যাইহোক আমরা চিন্তিত, যাইহোক এটা তার মন বদলাতে চেনা যাবে। এটা আপনাকে আগ্রহী না করলেও আপনাকে করেছে। যাইহোক আমি স্বাধীন হবো।
জেন বললেন, এখানে প্যারিসের ডিউক আছে। তার মা রেগে যাবে আমি তার সঙ্গে ঠিক পথে সংবাদ প্রেরণ করব। আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। আপনি আমাকে ভালো খবর দিয়েছেন।
পোয়ারো আমাকে বললেন যে তার কোন কৌতূহল নেই কেন সে চিঠিটা তার কাছে। পৌঁছাইনি। তার মধ্যে একটা ব্যবসা বুদ্ধি আছে।
পোয়ারো মনে করেন মহিলা এই চিঠিটা পায়নি এটা নিশ্চিত। এই সুন্দরী মহিলা তার শিশুর সরলতার সুযোগ নিয়ে মিথ্যে কথা বলতে পারেন। কিন্তু আমিং বুঝতে পারছি না। হেস্টিংস এই সুবিধা সে কিভাবে পেল। যদি সে জানত সে ডিভোর্স পেতে পারে তাহলে সে এইকথা জানতে চাইতে বলল কেন লর্ড এডওয়্যার মিথ্যা বলেছেন। যদি কেউ মিথ্যা কথা বলে তাহলে তাকে তার বউ-এর মত মনে হয়। কেন সে ছমাস আগে এই সন্দেহবাচক চিঠির কথা বলল। এই ছবিটা হঠাৎ বদলে গেছে ও তার চরিত্র বদলে গেছে যা আমি বুঝতে পারছি না। আমি চিন্তা করতে ইচ্ছুক এছাড়া কেউ চিঠিটা চেপে দিয়েছে হয়তো আমেরিকা বা ইংল্যাণ্ডে। কেউ এটা করেছে সে হয়তো চায় না বিয়েটা ভেঙে দিতে। এর পিছনে কি আছে, সে বলল যে, যা আমি একটু সূক্ষ্মভাবে বুঝতে পারছি।
.
খুন
১৩ই জুন ইনসপেক্টর জ্যাপ আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এলেন।
জ্যাপকে পোয়ারো জিজ্ঞাসা করলেন আপনি এত সকালে। তিনি বললেন, আমার কাছে এটা তাড়াতাড়ি নয়। আমি দুঘণ্টা ধরে কাজ করছি। আপনাদের কাছে একটি খুনের কাছে। এসেছে, লর্ড এডওয়্যার রিজেন্ট গেটের বাড়িতে তার স্ত্রীর দ্বারা ছুরিবিদ্ধি হয়ে মারা গেছেন।
আমি ব্যারণ মার্টিনের গত সকালের কথাগুলো মনে করলাম। তার ভবিষ্যত দৃষ্টি মতামতের কথা মনে হলো।
জ্যাপ বললেন, অভিনেত্রী জেন, তিনি তিনবছর আগে তাকে ছেড়ে চলে এসে ছিলেন। তুমি কি করে বুঝলে যে তার স্ত্রী তাকে খুন করেছে পোয়ারো।
কোন মতামত নয়। আসলে তাকে চিহ্নিত করা গেছে। সে একটা ট্যাক্সিতে উঠেছিল। আমি বললাম একটি ট্যাক্সি! তার কথা স্যভয়ের রাদির আমার কাছে ভেসে উঠছিল।
ডাক্তার বলেছেন ভদ্রমহিলা খুব ভাগ্যবতী। কিন্তু সে তার নাম খ্যাতি সব নষ্ট করল। সত্যি এটা খুব অদ্ভুত ব্যাপার। সে একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। হয়তো সে ঝগড়া করেছে এবং পেনের মতো ছুরি দিয়ে মেরেছে।
পোয়ারো বললো, এটা এরকম নয়। আমি মেয়েটিকে চিনি। সে হয়তো এরকম গরম রক্তের নয়। সে এরকম ছুরি তার কাছে নাও রাখতে পারে। এটা একটা সোজাসুজি হত্যা, সে অন্য লোককে বিয়ে করতে চেয়েছিল এবং তাই সে তাকে হত্যা করল।
জ্যাপ বলল, আমরা জিনিষটা জানতে চাই। জ্যাপ কাগজ খুলল এবং সে জিজ্ঞালা করল যে আমি জানি তোমরা কাল রিজেন্ট গেটের কাছে গেছিলে। তাই তোমাদের কাছে এসেছি। তার কিছু করার আগে আমি তোমাদের সঙ্গে পরামর্শ করতে চাই। মহিলাকে গ্রেপ্তার করার আগে আমি জানতে চাই।
আমি কিছু করতে চাই না যাতে তুমি বলতে পারো যে ইংরেজটা ভালো নয়। পোয়ারোর মতামত ঠিক হল। নিজে হাত ছুঁড়ে তাকে মাটিতে ফেলে কাজ সেরেছে সে অজ্ঞান হয়নি এবং সে ব্যাপারে বেশ উপভোগ করছে।
পোয়ারো মনে করেন যে এই খুন করেছে তারপর সলিসিটারের কাছে যাওয়া বিচিত্র নয়। তার মনে সে যে দোষ করেছে তা সে জানত, হ্যাঁ এটা তার ছবি। প্রথমে সে একজন তীব্র প্রকৃতি সম্পর্কে বলেছে। হঠাৎ সে তার স্বামীর মৃত্যু চেয়েছে তার মধ্যে একটা পাগলামি কাজ করেছে। সে দোষের কোন কিছু প্রমাণ রাখেনি। সে প্রমাণ করেছে সে অভাগী, সে এখনও কোন মতামত দেয়নি।
জ্যাপ বললেন, সলিসিটারের কাছে থেকে দুজন লোককে বসিয়ে তিনি এখানে এসেছেন। না না, কাগজের অফিসের ফন্দি শোন এর জন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সে খুবই অসুবিধায় পড়বে। তাকে জ্যাপ জিজ্ঞাসা করলেন, এডওয়্যার তার সাথে লেডির সঙ্গে কথোপকথন করতে চাইলেন। আসলে নিজেই তার সাথে কথা বলতে গেছিলাম, যদি তুমি আমাকে অনুমতি দাও তাহলে অভিনেতা ব্যারণ মার্টিনকে তোমার সঙ্গে কথা বলতে পারি সে তোমাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে।
আমি টেলিফোন বুথে দেখলাম তার বাড়ি সেন্ট জেমস পার্কে ভিক্টোরিয়া ৪৯৪৭৯। মার্টিনকে ফোনে বললাম যে, এডওয়্যার মারা গেছেন, যদি আপনি চান তো আমার সঙ্গে আমার বাড়িতে দেখা করতে পারেন, আমরা আপনার সাহায্য চাই। তিনি বললেন তাহলে সে এটা করল, আমি এখুনি আসছি।
পোয়ারো এটা জেনে খুশী হলেন।
.
বিধবাটি
ব্যারণ মার্টিনের কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের সঙ্গে জেগে ছিলেন। সে বলল, সে অবাক নয়। সে ভেবেছিল এটা হতে পারে আপনার মনে আছে এটাই কাল আমি বলেছিলাম।
তিনি বললেন, আপনি কেন আমাকে আসতে বললেন, আমি এসবের কিছু জানি না। আমি জেনের সঙ্গে একসঙ্গে অভিনয় করেছি, এটুকুই আমি বলতে পারি।
আর এডওয়্যার মারা গেলে সে যে খুন করেছে, এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত কেন? আপনি মনে করেন আমি মিথ্যে বলেছি। আমার মনে হয় আমি ভুল করেছি।
পোয়ারো মনে করলে এ ব্যাপারে তার বন্ধুত্ব কোন সাহায্য করেনি। মার্টিন মনে করেন যে জেনের ঠিক ভুলের কোন জ্ঞান নেই। জ্যাপ বললেন এটা জুরির প্রশ্ন হতে পারে।
পোয়ারো বললেন, খুনীর প্রতি সাক্ষ্য দেওয়া সামাজিক কর্তব্য। তুমি কখনও মিসেস এডওয়্যারকে তার স্বামীর কাছ থেকে তার হুমকি পেতে শুনেছ।
জ্যাপ বললেন, হ্যাঁ বহুবার। সে বলছিল তার স্বামী তাকে স্বাধীনতা দেয় না। একবার সে বলেছিল সে ট্যাক্সি নিয়ে গিয়ে তার স্বামীকে মেরে ফেলবে।
মিস্টার মার্টিন, আপনি কি মানেন সে কাকে বিয়ে করতে চায়। হ্যাঁ ডিউক অফ মেট্রন হ্যাঁ সে তো ইংল্যাণ্ডের একজন ধনী ব্যক্তি।
আমি পোয়ারোর কথা বুঝতে পারলাম না। তার স্বামী কি তাকে ডির্ভোস দিতে চেয়েছিল? না সে চায়নি।
পোয়ারো তখন হঠাৎ বললেন কাল এই ডিভোর্সের কথা বলতে স্বামীর সঙ্গে তিনি দেখা করেছিলেন।
ব্যারণ বলল, এডওয়্যার কখনও রাজি হত না, জেন তাকে জানত। সে জানত না তুমি এটা করতে পারবে। সে আশা ছেড়ে দিয়েছিল।
আমি কাল এডওয়্যারের সঙ্গে দেখা করেছি সে ডির্ভোস দিতে চায়। তোমার সম্মান মিথ্যে এই খবরে মাটিন হতভম্ব হল। এটাতেই কিছুটা লক্ষ্য দুর্বল করে। মার্টিনকে কাগজ দেখানো হল। সে বলল যে, জেন আগের দিনের ঐ ডিনারে যায়নি। সে বলল, আমি একজনের কাছ থেকে শুনেছি।
জ্যাপ তার দিকে তাকাল। বেশ এখন তুমি নিশ্চয়ই চাইবে না মহিলাটি দোষী হিসেবে প্রমাণিত হোক।
পোয়ারো বললেন, একজন তরুণী তার স্বামীর থেকে ডির্ভোস চায়। এ ব্যাপারে কোন বিতর্ক নেই। সে বারবার বলেছিল সে খুন করতে চায়। সে এক সন্ধেবেলা তাকে ডেকে আনল এবং খুন করে চলে গেল তুমি একে কি বলবে, উপস্থিত বুদ্ধি।
না এটা বোকামী যখন দোষীরা বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে তখন সেটা পুলিসের পক্ষে সুবিধা হয়। আমি স্যভয়ে যেতে চাই।
মার্টিন চলে গেল এবং বলল যে যদি কোন প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে যেন ডাকা হয়।
জ্যাপ ও আমরা সাপার খেয়ে হোটেলে ছিলাম, জেন-এর স্যুইটে আমরা গেলাম, জেন বললেন বলুন আপনার কোন প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। এই মানুষটি মনে করে আমি জর্জকে মেরেছি।
মিস্টার মকান, তাদের সলিসিটার তাদের সঙ্গে ছিলেন। আমি পার্টিতে ছিলাম, জেন বলল। জ্যাপ বললেন, কাল তার কথাটা আমাকে বলুন। তিনি বললেন, মিস্টার মকান আপনি আমায় ব্যথা দিয়েছিন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন মলগু কর্নারের ডিউইকে পার্টি ছিল। তিনি আটটায় শুরু করেন যাত্রা।
জ্যাপ তার কথা বিশ্বাস করছিলেন না। সে চলে যাবার পর মাদাম পোয়ারোকে ডাকলেন বললেন যে তার জন্য তিনি কিছু করতে পারবেন কি? আপনি একটু ডিউকের সঙ্গে আমাকে যোগাযোগ করে দিন সে ক্রেন এ আছে। সে তাকে সম্মতি দিল।
পোয়ারোর কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছিল। আপনি কি কাউকে একথা বলেছিলেন তার কাল পার্টির নিমন্ত্রণ থাকায় যে তার ওপর রাগ না করে বাড়িতে ফিরে গেছিল। এলিস তার কাছে এসেছিল। সে বলেছিল তিনি নাকি এটা ফেলে দিতে পারবেন না। তাই সে সেখানে গেছিল। এলিন তাকে নানা বিষয়ে মতামত দেয়।
জেন বলল, সে কালোরঙ ভালোবাসে না। কিন্তু একজন বিধবা হলে আমাকে যেতে হবে। সে এডওয়্যারের সমাধি ক্ষেত্রে যেতে চায়।
আমি আর পোয়ারো চলে এলাম।
অপেরা বারোটায় শেষ হয় সে সময় দরজা থেকে তালা দেওয়া থাকলে চাবি ছাড়া দরজা খোলা যায় না। ভেতর থেকে হ্যাঁণ্ডেল দিয়ে খোলা যায়।
সেখানে তার প্রভুর কাছে আরো একটি চাবি আছে মিস গ্লেডউইন এটা আগের রাত্রিতে নিয়ে গেছেন। আরো কিছু সম্পর্কে সে মানে না। এই বাড়িতে আর কারো কাছে চাবি নেই। মিস ক্যারল সবসময় বেল বাজায়।
মিস ক্যারল বছর পঁয়তাল্লিশের এক মহিলা। তার গলার আওয়াজ টেলিফোনের মত। তিনি নিশ্চিত কাল রাতে লেডি এডওয়্যার সেই বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি উঠে এসে বাটলারের সঙ্গে কথা বলেন তারপর তিনি হলে চলে যান লাইব্রেরী হলের দরজা দিয়ে এটা তিনি মনে করেন–লর্ড এডওয়্যারের কোন শত্রু আছে। তিনি তার স্ত্রীর হাতেই মারা গেছেন। সেই এই ব্যাপারটা ভাবতেই পারনি। সে মনে করেছে এইরকম অভিজাত ঘরে এইরকম খুন হওয়া অসম্ভব।
সে জানাল সামনের দরজার দুটো চাবি। একটি তিনি নিজের কাছে রাখতেন অন্যটি হলের ড্রয়ারে থাকত। তার একটি তার ভাগ্নে হারিয়ে ফেলে। কাপ্তেন মার্শ এখানে তিন বছর ধরে থাকত। সে কেন ছেড়ে গেল তা তিনি জানেন না। সে বলল যে, সে কোন গসিপ জানে না। লর্ড এডওয়্যার একজন অনন্যসাধারণ ব্যক্তি। তার সঙ্গে কোনদিন ক্যারলের কিছু হয়নি। তার নানা অসুবিধা থাকায়, বাড়িতে ঝগড়াঝাটির জন্য তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
পোয়ারো ও জ্যাপ নিয়ে গেল, যখন আমি ঘরের মধ্যে একা ছিলাম। তারপর বাটলার আসলটা দেখে আমিও তাদের সঙ্গে যোগ দিলাম। তার দুজনে সারা ঘরে ঢুকে দেখছিল কোথাও কিছু পাওয়া গেল না। তাদের দুজনের কথা শুনে মনে হচ্ছিল আমি পাগল হয়ে যাব।
মিস ক্যারল জানালেন তিনি খুব আঘাত পেয়েছেন। পোয়ারো সামনের সিঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে জানতে চাইলেন লেডি মুখ দেখতে পেয়েছেন কিনা। তিনি একেবারেই নিশ্চিত ওটা লেডি ছিলেন না।
.
সম্ভাবনা
জ্যাপ আমাদের ছেড়ে চলে গেল। পোয়ারো ও আমি রিজেন্ট পার্কে গেলাম।
পোয়ারো বলল, তুমি দেখেছ হেস্টিংস? সেক্রেটারী একজন সাংঘাতিক! কেননা সে ঠিক বলবে, সে বলেছে সে আগন্তকের মুখ দেখেছে, আমি ভেবেছিলাম এটা অসম্ভব স্টাডি থেকে বেরিয়ে আমি একটা ছোট পরীক্ষা করেছিলাম যে তার প্রতি আমি আমার মতামত দিলাম।
পোয়ারো আমি মনে করি কণ্ঠস্বর তার চরিত্র বুঝতে সাহায্য করে।
পোয়ারো আমি মনে করি না এর সম্ভাবনা আছে। এটা বড্ড বেশী কাকতলীয় যোগ হয়েছে। মিস অ্যাডামস তাকে খুন করবে।
তুমি কি করে জানলে অ্যাডামস এডওয়্যারকে সে চেনে না। এভাবে ভাবা ঠিক নয়। ওদের মধ্যে নিশ্চয়ই কোন যোগসূত্র আছে। আমার মনে মিস অ্যাডমসের খুনের মধ্যে জড়িত থাকাই প্রথম থেকে সন্দেহ জাগছে। লেডি এডওয়্যার তার স্বামীকে খুন করতে চায় আর তার চাকর, ব্যারণ জানে, তারা বার বার শুনেছে, আমি মনে করি কারলেটা অ্যাডমসকে সে সন্ধ্যেবেলা কারলেটা অ্যাডামস জেনের মতো সেজে সে খুন করেছে। তাহলে এডওয়্যারকে খুন করল তার স্ত্রী? এখন আমার মনে হচ্ছে যে অন্য কেউ তাকে খুন করেছে, একদিন জেন বলছিল তার মাথা ব্যথা করছে। লেডি রিজেন্ট গেটের বাড়িতে তুলেছিলেন। এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার সৃষ্টি করছে। আরো একটা কথা ভদ্রমহিলা যে কালো পোষাক পরে ঢুকেছিলেন কিন্তু জেন কখনো কালো পোশাক পরেন না। তাহলে কাল রাতে জেন আসেননি। আর একটি কারণ হতে পারে কোন তৃতীয় ব্যক্তি তাকে খুন করতে পারেন। কোন ব্যক্তি ওই মহিলার আগে ঘরে ঢুকেছিল। যে হয়তো বাটলারের সঙ্গে দেখা করেছিল। সে হয়তো তাকে চিনতে পারেন। সেক্রেটারী তাকে হয়তো দেখেনি। লর্ড এডওয়্যার কি তাকে ঘরে ঢোকার আগে খুন করেছিল। নটা থেকে দশটার মধ্যে।
আমি বললাম মাথা ঘুরছে। না না, বন্ধু আমি সম্ভাবনার কথা বলছি। আমার মতে তার ভাইপো একাজ করেছে। লেডি কারলেটার মতামতে তাকেই আমার সন্দেহ হয়। হ্যাঁ আমিও তা মনে করি। পোয়ারো বলল, একবোরে শেষ সময়ে জেনের মতামত বদলাতে পারে। সে বোধহয় স্যভয়ে তার ঘরে ছিল। কিন্তু এটা প্রমাণ করা কঠিন। সে হয়ত ধরা পড়ে যেতে পারে। কিন্তু আমার একটা জিনিষে খটকা লাগছে। টেলিফোনে বলার কি হলো৷ একজন তার উপস্থিত ঘটনার জন্য ফোন করেছিল। সেটা রাত ৯-৩০ ছিল। হত্যার হবার কিছুটা আগে এটা কখনও খুনীর ফোন হতে পারে না। খুনীর সমস্ত প্ল্যান জেন তৈরী করেছিল–এটাতে দুইরকম ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। সবকিছু একসঙ্গে হতে পারে না। ছমাস আগে একটা চিঠি ছেপে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে কতগুলো কারণ থাকতে পারে। এমন অনেক কিছু জিনিষ না বোঝার আছে। এর জন্য অনেককিছু আছে সেগুলো একসঙ্গে যুক্ত হয়েছে। পোয়ারো বলল।
ব্যারণ মার্টিন আমাদের যে ঘটনা বলেছে। আমি বললাম তার সঙ্গে এর কি সম্পর্ক। সম্পর্ক একটা আছে। এইগুলো এখন বোঝা যাচ্ছে না তবে একদিন তা বোঝা যাবে। আমার মনে হচ্ছে। পোয়ারো অত্যন্ত আশাবাদী।
হেস্টিংস আমি মনে করি না সে খুন করতে পারে। সে খুনের কথা বলেছে সরলভাবে এবং আমি হঠাৎ খুব তাড়াতাড়ি মিস অ্যাডমসের বাড়ির দিকে রওনা হলাম। কিন্তু ঠিকানা না জানায় আমরা থিয়েটার দেখে তা যোগাড় করলাম।
.
দ্বিতীয় মৃত্যু
আমি পোয়ারোর কথার কোন মানে বুঝছিলাম না। মিস অ্যাডমসের ঘর নিচের একতলায় আমরা রোজভিউ ম্যানসনে এসে পৌঁছলাম।
একজন মহিলা দরজা খুলে দিলেন। তিনি বললেন, ঘুমের মধ্যে অ্যাডমস মারা গেছেন। পোয়ারো মাথা নেড়ে বলল, খুব দেরী হয়ে গেছে।
তার মতামত ঠিক আছে। ভদ্রমহিলা বললেন, ক্ষমা করবেন। আপনারা কি ওনার বন্ধু, আপনাদের তো আগে আমি দেখিনি।
সে বলল যে, আপনি ডাক্তার ডেকেছেন? তিনি কি বললেন।
মহিলা বললেন, অতিরিক্ত ওষুধ সেবনে মৃত্যু। সে খুব ভালো মেয়ে ছিল।
পোয়ারো মহিলাকে বলল, আমি গোয়েন্দা-আমি তোমার কত্রীর সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করব।
এই মৃত্যুটা অ্যাকসিডেন্ট। দয়া করে আমাকে ডাক্তারের ঠিকানা বলুন। ডাক্তার হিথ, ১৭ কর্নেল ঠিকানা বলল। তার নাম অ্যানিসবেনেট।
আপনি মিস অ্যাডমসের সঙ্গে জড়িত। আমি দেখতে পারি মিস বেনেট।
হ্যাঁ। সে খুব ভালো মহিলা ছিল। এক বছর ধরে তার কাজ করছি।
পোয়ারো অত্যন্ত সমবেদনা নিয়ে তার কথা শুনছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম সে এইভাবে সবঘটনা জানতে চাইছিল। এটা খুব দুঃখ দিচ্ছে তোমাকে, তাকে সেটা বলল পোয়ারো।
সে বলল, রাত সাড়ে নটার সময় অ্যাডামস ঘুমিয়ে পড়েছিলেন আমি ভেবেছি। আমি চা নিয়ে এসে ট্রেটা নামিয়ে রাখলাম। আমি পর্দা টেনে দিলাম। একটা রিং যখন আওয়াজ করল। তখন তার খুব আওয়াজ হওয়া সত্ত্বেও তিনি কিন্তু ঘুমিয়ে থাকলেন। আমার কিরকম অদ্ভুত লাগছিল। তাই আমি তার বিছানার পাশে গিয়ে তার গায়ে হাত দিলাম। তিনি রোজ রাত্রে ঘুমের জন্য ওষুধ খেতেন।
সে আরো বলল, কাল ৭টার সময় বেরিয়ে গেছিল। কাল তার সঙ্গে কেউ দেখা করতে আসেনি। সে একটা মুক্তোর হার সবসময় পড়ত। তিনি সমসময় হাসিখুশী থাকতেন। সে রাত ২ টোর সময় ফিরলেন। তিনি আগের দিন খুব ক্লান্ত ছিলেন।
পোয়ারো বললেন, তার মনে আছে সেটা ভিক্টোরিয়ার ফোন নম্বর।
পোয়ারো বললেন, তার ভুল হতেও পারে। পোয়ারোর চোখ পড়ল একটি ছোট স্যুটকেস এ একটি অ্যাটচি কেসের ওপর। কাল সকালে তিনি ওগুলো নিয়ে গেছিলেন। আচ্ছা, আমি কি ওগুলো খুলিতে পারি। অ্যালিকস কিছুই বললো না যা পোয়ারো করতে চান।
পোয়ারো বলল, তুমি কি ভাবছ। অ্যালিকস তার মনে হয় সে তার বন্ধু মিস ড্রাইভার-এর সঙ্গে লাঞ্চ খেয়েছে। তার একটা টুপির দোকান আছে। ওয়াশিংটনে বোনকে চিঠি লেখেন।
শোবার ঘরে কারলেটা অ্যাডামস ঘুমোচ্ছে। তাকে দেখে হেস্টিংস নিয়ে যেতে চাইল। তার মনে হল সে তাকে বাঁচাতে পারল। যখন সে এডওয়্যারের মৃত্যু শুনেছে। তখন সে একেবারে মারা গেছে।
.
জেনি ড্রাইভার
পরের দিন ডাক্তারের কাছে গেলাম। ডাক্তার তখন ড্রাগ নিয়েছিলেন।
ডাক্তার একটা ছোট ব্যাগ থেকে ভাল পেয়েছেন। তিনি এটা দেখালেন সি. এ. প্যারিস থেকে নভেম্বর ১০ টা শুভরাত্রি। তাই, আমরা এখানে জুনে আসি, এবং বোঝা যায় তার স্টাফের রসের সঙ্গে কথা বলা ছমাসের মধ্যে, এটা আঠেরো, তার আগে তিনি প্যারিসে ছিলেন।
সে কারোর প্রতি অনুরক্ত নয়।
সে কল্পনাবিলাসী নয় বাস্তববাদী।
পোয়ারো বললেন, আপনি ডি নামে কাউকে চেনেন।
না তিনি চেনেন না, বললেন তার বন্ধু।
.
অহংবাদী লোকটি
আমি মনে করি না পোয়ারো কোন উত্তর দেবেন তার প্রশ্নের। জেনি ড্রাইভার সোজা হয়ে টেবিলে বসেছিলেন।
পোয়ারো ড্রাইভারকে বললেন। তিনি তার উত্তর পেয়ে খুশী। তিনি অনেক কিছু বলেছেন। তুমি জানতে চাও আমি তোমাকে কি বলতে চাই। তোমাকে আমি কিছু ঘটনা বলতে চাই।
তিনি বললেন, কাল রাত্রিতে এসেছিলেন রাত দশটার সময় মিসেস অ্যাডমস। লেডি এডওয়্যার বলে পরিচয় দেন। তিনি মাথায় সোনালী উইগ পড়ে ছিলেন। তিনি বাড়ি ছেড়ে যান দশটা পাঁচ মিনিটে এবং তিমি মাঝরাতের আগে বাড়ি ফেরেননি। তিনি ঘুমোত যান অতিরিক্ত ভালে সেবা করে। আমি এরপর আপনাকে কিছু জিজ্ঞাস করতে চাই। সে বলল, আমি মনে করি আপনি ঠিক বলেছেন। সেইজন্য হয়তো সে একটা নতুন টুপি কিনেছিল। সে তার বাঁদিক ঢাকতে চেয়েছিল। এটা সাধারণত মাথার ডানদিকে পরা হয়। পোয়ারো বললেন।
এখন আমার মনে হচ্ছে কারলেটা তার মুখ ঢাকতে চেয়েছিল।
আমি মনে করলাম রিজেন্ট গেটের সামনে বাঁদিকে খোলা হল। তাই যে কেউ তাকে যদি দেখবে তাকে দেখতে পারেনি। আমি মনে করছি যে জেন-এর মুখের সামনে বাঁদিকে একটা আঁচিল আছে। পোয়ারো তাতে সম্মতি দিলেন।
জেন বললেন যদি আপনি একমুহূর্তে চিন্তা করেন যে, কারলেটা তাকে মেরেছে।
আমি এটা মনে করি না, কিন্তু এটাই মনে হয় আমি এর জন্য গরণটা জানতে চাই। পোয়ারো বললেন, এটা বিজ্ঞানসম্মতভাবে খুন করা হয়েছে।
খুনীরা জানে যে কোথায় মারলে নাকে ব্যথা লাগবে। তোমার কি মনে হয় অ্যাডামের কোন ডাক্তারে সঙ্গে জানাশোনা ছিল। না আমি তা জানি না। সে জানাল তিনি চশমাও পরতেন না।
তিনি কি ফিল্ম অ্যাক্টর ব্যারণ মার্টিনকে চিনতেন।
কেন, হ্যাঁ সে তাকে চিনতো। হঠাৎ জেনির কাজ মনে পড়ে যাওয়ার সে চলে গেল। পোয়ারোকে আমি বললাম তাকে আমার বেশ ভালো লেগেছে। তার বন্ধুর মৃত্যু তাকে আঘাত দেয়নি, আমি ভেবেছিলাম তা হবে।
পোয়ারো বলল, আমি ডি নামক লোকটি সম্পর্কে জানতে চাই সে তাকে সোনার বাক্স দিয়েছে। অ্যাডামস একজন চাপা স্বভাবের। সে কারোর সম্পর্কে তার বন্ধুর সম্পর্কে কিছু বলল? পোয়ারো বলল, আমার কয়েকটি সূত্রর কথা মনে হচ্ছে। একটা ভিক্টোরিয়া নাম্বারে টেলিফোনের কথা। এটা আমার মনে হচ্ছে কারলেটা অ্যাডামস আমাকে ফোন করেছে তার সফলতার কথা জানাতে এবং আরেকটি হলো রাত দশটা পাঁচ মিনিচে কি ছিল। এই ঘটনার নিশ্চয়ই ফোনে কোন বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। দ্বিতীয় সূত্র কি? তার বোনকে লেখা চিঠি, এটা ঘটতে পারে সে সম্পূর্ণ ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করবে। সে চায় না কখনও আমরা অন্যদিক দিয়ে চেষ্টা করি। একটা চিন্তা করি যে এডওয়্যার-এর মৃত্যুতে কে লাভ করবে। তার ভাগ্নে এবং তার স্ত্রী আমি বললাম। পোয়ারো বললেন, ডিউক সে তার স্ত্রীকে বিয়ে করতে চায়।
সে তো এখন প্যারিসে। কিন্তু তার তত উপস্থিতি অস্বীকার করতে পারবে না। উইলকিনসন কিছু ঠিক করে দিতে পারবে। এরপর স্যভয়ে গিয়ে দেখলাম যে জেন বাক্স ও টিস্যু পেপার নিয়ে বসে আছে। তাকে বেশ খুশী দেখাচ্ছে।
ডিউকের কাছ থেকে টেলিফোন পেলাম ডিভোর্সের পক্ষে কোন অসুবিধা নেই। আমি ও ডিউক চার পাঁচের মধ্যে বিয়ে করব কিন্তু স্বামীকে কে মোবছে এই সম্বন্ধে কোন উৎসাহ নেই।
না আমার উৎসাহ নেই। পুলিশ খুঁজে বার করুক। পোয়াবো জোর দিয়ে বললেন তার মেয়ে গ্লেডলাইন খুনী। পোয়ারো ও আমি অ্যাণ্ডের উদ্দেশ্যে গেলাম।
.
মেয়েটি
বাড়িতে এসে টেবিলের উপর থেকে একটা চিঠি তুলল পোয়ারো। তাতে লেখা ছিল—
স্যার,
আমি শুনেছি আপনি ইনসপেক্টরকে নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছেন। আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি বলে দুঃখিত। যদি আপনাদের সুবিধা হয় তাহলে আমি খুব সুখী হবো যদি আপনি আজ দুপুরে যে কোন সময় আসেন।
আপনার অনুগত
গ্লেডউইন মার্স।
এটা সত্যিই খুব অবাক লাগে যে সে দেখা করছে চাইছে। জেনের সমস্যা যে গ্লেডউন তার বাবাকে হত্যা করেছে এটা অন্যমনস্কতার পরিচয়। একজন বুদ্ধিহীন লোক এটা বলতে পারেন।
লেডি এডওয়্যার এই ঘটনাটা জানেন না। পোয়ারো বললেন কেন যে মেয়েটি আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়। উপরে এসে মেয়েটির সঙ্গে দেখা হয় গেল। সে বলল যে আমি সকালে দেখা করতে পারিনি বলে দুঃখিত। আপনি নিশ্চয়ই জানেন আমার বাবার সেক্রেটারী অত্যন্ত দয়ালু, আপনি আমার বাবা মারা যাবার আগে একদিন দেখা করতে এসেছিলেন, কেন। গোপনীয় থাকতে পারে না জীবনের শেষ দিন বাবা কি করে কাটালেন আমার জানা দরকার। মিস ক্যারল এলেন। তার মনসংযোগে এটা আঘাত করল। সে হেসে বলল আমি কখনও এটা করিনি। আমি বাবার প্রিয় ছিলাম না। আমি তাকে খুন করতাম। পোয়ারো বললেন আমি জানতে চাই কেন তিনি খুন হলেন। একজন মানুষ খুন হলে খুন আবার কাউকে খুন করে। একটা খুন করলে দ্বিতীয় খুনটা সহজ হয়ে যায়। এটা সে তার শান্তির জন্য করে।
পোয়ারো বললেন, খুনী আবার খুন করেছে। মেয়েটি বলল, আমি বড় শান্তি সম্পর্কে বিশ্বাস করতে পারি না। আমি চাই সময়টা শোধরাক। আমার বাবা কেন ডেকেছিলেন আপনি বললেন না। মেয়েটি বলল। পোয়ারো বললেন, বলতে চাই না কিন্তু কেন তাকে মিটিং-এ ডাকলে না। একবার আমি ইন্টারভিউ নিয়েছিলাম তার এক ক্লায়েন্টের। লেডি এডওয়্যার। বাবা ভেবেছিলেন কোন বিপদ ঘটতে পারে, মেয়েটি বলল।
মিস ক্যারল বললেন, কখন ঐ মহিলা দ্বিতীয় খুন করেন। আপনি কি মনে করেন লেডি এডওয়্যার তাকে মেরেছেন। সত্যিকারের খুনী চলে গেছেন। এডওয়্যারের ভাগ্নে রোনাল্ড এলেন।
আমি মনে করতে চেষ্টা করলাম কারলেটা অ্যাডামস রাতে সাপার পার্টিতে জেনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
ক্যাপ্লেট রোনাল্ড মার্শ এখন লর্ড এডওয়্যার।
.
ভাগ্নেটি
নতুন লর্ড এডওয়্যার বললেন জেনের সাপার পার্টি আছে। মিস মার্শও মিস কারলেট চলে যেতে রোনাল্ড বললেন যে আমি তোমার সঙ্গে যাব।
সে বলল, তার কাকা তাকে আগে তাড়িয়ে দিয়েছিল। আমি মনে করি আপনি এটা জানেন। পোয়ারো বলল, আমি জানি।
ভাগ্নে বলেছেন তিনি আমার তিন মাস আগে তাকে বাড়ি থেকে তাড়ানো হয়। রোলান্ড তার দিকে অদ্ভুতভাবে তাকালেন। আমি মনে করি সে কখনও এটা করতে পারে না।
তুমি নিশ্চয়ই জান না লর্ড এডওয়্যারে লেডী এডওয়্যার ডিউক কাল রাত্রিতে পার্টিতে ছিল। ওখানে যাবার কথা ছিল।
ছটার সময় তিনি তার দশ মিনিটে তার মতামত বদলালেন, মিঃ পোয়ারো আমি নিজেকে…। হ্যাঁ..আপনি এটা ভাববেন না।
সে বলল আমি তোমাদের মূল্যবান একটা মতামত দিতে পারি। আমি আমার কাকার কাছ থেকে কিছু টাকা চেয়েছিলাম এবং তিনি তা দেননি এবং সেই সন্ধ্যাবেলা তিনি মারা যান আমি আপনার মনযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছি মিঃ পোয়ারো।
সবসময় উদ্দেশ্য মজার্দার হয়। তিনি বললেন যে কাল আমি গ্ৰসাসাগর স্কোয়ারে খেয়ে সাপার ধরে আমি র্যাচেলের সঙ্গে নাচলাম দুঘন্টা।
যখন কাকার রক্তাক্ত দেহ পড়ে ছিল তখন আমি র্যাচেলের সঙ্গে ছিলাম।
আমি মনে করি, আমি আপনাকে বোর করব না।
আপনি কি কিছু জিজ্ঞাসা করবেন।
আপনাকে আমি একটা ছোট প্রশ্ন করতে চাই। কারলেটা অ্যাডামস কতদিন ধরে ছিলেন? যুবকটি বলল আমি তাকে গতবছর শো করার সময় দেখেছিলাম।
আমি তাকে মোটামুটি ভাবে জানি সে দয়ালু। আমি দুঃখিত যে রোনাল্ড মারা গেছে। পোয়ারোর কাছ থেকে সে বিদায় নিল।
লর্ড এডওয়্যার একজন অদ্ভুত মানুষ। গ্লেডউইন বললেন। তিনি একজন লেখাপড়া জানা মানুষ। তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। লর্ড এডওয়্যার বিয়ে করে সে তার চাওয়ার উর্ধে পেয়েছিল। কিন্তু গ্লেডউইন তাকে ছেড়ে যায়নি।
একজন মানুষ লর্ড এডওয়্যার তিনি তৃতীয়বার বিয়ে করতে পারেন না কারণ তার স্ত্রী জীবিত।
তাকে স্বাধীনতা দিয়ে নিজে স্বাধীন হবে। মিস ক্যারল বললেন যে, তিনি দুটো বিবাহ করে এমনিই অত্যন্ত অসুবিধায় পড়েছেন। তিনি তৃতীয় বিবাহের জন্য চেষ্টা করছেন।
.
পাঁচটি প্রশ্ন
তৃতীয়বার বিবাহের কথা জিজ্ঞাসা করার কারণ জানতে চাইলেন। পোয়ারো বললেন যে এটা ঠিকই যে আপনার দৃষ্টি এখানে নয়। আমাদের কাছে প্রমাণ কই যে চিঠি লেখা হয়েছিল। অনুমানের ভিত্তিতে সে চিঠি লেখেনি, সেখানে করার কারণ–এখন কারণ হলো হঠাৎ কারো সাথে তার দেখা হয়েছে যাকে তিনি বিবাহ করতে চান। লর্ড এডওয়্যার আবার বিবাহ করেছে। সে এই বয়সে আর কোন রকম অসুবিধা নিতে চায় না। আমার মিস গ্লেডউইন মার্শের প্রতি কেমন অনুভূতি হল।
আমি তার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত বোধ করি। তোমার অত্যন্ত কোমল হৃদয়। মেয়েদের দেখলে কোমল হয়ে পড়ে হেলিংস। পোয়ারো বলল যে, তাকে দেখে বুঝেছে যে সে কিছু অসুবিধার মধ্যে পড়েছে। সে বলেছে তার বাবা যেতে সে খুব খুশী হয়েছে। এবং সে খুব অস্বস্তিতে পড়েছে। আমি মনে করি তার যে ভয় ও বিস্ময় কারলেটা অ্যাডামস মারা যাবার খবর পেয়ে হয়েছিল তা একেবারে সঠিক। মামার সঙ্গে ভাগ্নের ঝগড়া হয়েছিল।
পোয়ারো আমার প্রতি বিশ্বাস রাখে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কে এডওয়্যারকে খুন করেছে।
সে বলল যে আমি যদি এটা বলতে পারি তাহলে আমার মুকুটে একটা পালক লাগবে।
প্রথম প্রশ্ন হল, কেন লর্ড এডওয়্যার ডিভোর্সের ক্ষেত্রে মত বদলালেন। দ্বিতীয় প্রশ্ন, সেই চিঠির কি হল। কার জন্য লর্ড এডওয়্যার এবং তার স্ত্রী একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলনে। তৃতীয় প্রশ্ন, এইরকম মুখের ভাবের মানে কি যেটা আমরা লাইব্রেরী থেকে আসার পরে হয়েছিল। পোয়ারো জিজ্ঞেসা করলেন তুমি কি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। আমার চতুর্থ প্রশ্ন হল, সেই পাইন-পেজকার, জে নও কাটলেন। অ্যাডামস কেউ চশমা পরে না, তাহলে চশমা ব্যাগে কি করছিল। আমার পঞ্চম প্রশ্ন হল, জেনকে কে ফোন করেছিল এবং কেন জেন ফিগউহকে আছে কিনা। আমি যদি-এর উত্তরগুলো খুঁজে পাই তাহলে আমার থেকে সুখী আর কেউ হবে না। আরো প্রশ্ন হতে পারে কারলেটা অ্যাডামস দশটার পর কোথায় গেছিল, ডি কে ছিলেন, সে সোনালী বাক্স তাকে দিয়েছিল, পোয়ারো বললে এগুলো নিজের প্রমাণের জন্য প্রয়োজন। মনে হতে পারে এবং দুবছর আড়াইবছর হতে পারে।
আমি কথা দিচ্ছি এটা একটা ভালো সম্ভাবনা আছে, আমি মনে করছি তুমি এটা আত্মহত্যা কিনা জানতে চাও। এটা অ্যাকসিডেন্ট, আসলে ডেভিল বেশী খেলে মানুষ মারা যায় না, অথচ এটা খেয়ে সে মারা গেছে। আমি মনে করি এটা একটা দুর্ঘটনায় মৃত্যু। এটা আমি ট্রায়ালে বলব। এছাড়া আমি তোমায় আর কিছু সাহায্য করতে পারব না। বাক্স থেকে একটা সি.এম.এ লেখা একটা পাউডার পাফ, লিপস্টিক একটা পাউডারের নোটও খুচরো এবং এক জোড়া পেঁজাগজ ছিল।
পোয়ারো বললেন, মিস অ্যাডামস, চশমা পরতেন কিনা জানেন। ডাক্তার বললেন, তিনি চোখে কম দেখেন।
পোয়ারো বললেন, যে মহিলা নিজেকে শেষ করার জন্য ওষুধ নিয়েছিলেন আত্মহত্যা বা অ্যাকসিডেন্ট-এর জন্য নয়। আমি ষড়যন্ত্র করে কিছু করার পক্ষপাতী নই।
পোয়ারো তাকে বললেন আপনারা দুজন খুব ভালো বন্ধুজানি। আমি আপনার বন্ধু সম্বন্ধে জানি। আমি আপনার বন্ধু সম্পর্কে বেশ আগ্রহী। আপনি যদি আমাদের সাহায্য করেন। তিনি এতে সম্মতি দিলেন। জেনি বললেন, তিনি তার সঙ্গে সকালে থাকবেন। তিনি কিছু বলেন নি যে বাড়িতে কি করবেন। সে যদি কিছু করত সে নিশ্চয়ই বলত। ক্যারেলা একটু সিরিয়াস প্রকৃতির ছিল। ট্যাক্স ছাড়া তাকে কিছু আগ্রহী করত না। তার খুব ব্যবসায়িক বুদ্ধি ছিল। সে যা কিছু করত সবেতে সে জিততে চাইত, ক্যারেলা বাজী লড়েনি। আমি কখনো বাজি লড়তে দেখিনি।
সে এটা করতে চায়নি। সে তার বোনের কাছে আমেরিকা থেকে প্যারিসে যেতে চাইত। সে তার ছোট বোনের জন্য পাগল ছিল। তার বন্ধু নিজেকে একটা ব্যক্তিগত সত্তায় ঘিরে থাকত। সে চাইত না তার বন্ধুর ঘটনা জানাতে।
আপনি কি লর্ড এডওয়্যার সম্পর্কে জানেন। না আমি জানি না। আপনি কি জানেন মিসেস অ্যাডামস তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
না তা আমি জানি না। তার সেই মানুষটি সম্পর্কে জানি অত্যন্ত কুর। তিনি যে মারা গেছেন এটা অপরের পক্ষে ভালো। এটা সে তার বন্ধুর কাছে শুনেছিল। কিন্তু তার বন্ধু ছমাস আগে সেটা বলেছিল। যখন সে তাকে চিন্তিত দেখেনি। সে তাকে ভানোল নিতে দেখেনি। তবে সে তা শুনেছে। সে তার ছোট বাক্সটা দেখেনি। নভেম্বর মাসে যে স্টেটস-এ-এ গিয়েছিল।
.
মন্টেগু কর্নার
আমরা রাত দশটায় মন্টেগু কর্নার এসে পৌঁছলাম। আমরা একটা হলে ঢুকলাম। আমরা বাটলারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলাম। ঘরের কোণায় একটা ব্রীজ খেলার টেবিলে, ওদিকে জানালা খোলা এবং চেয়ার রয়েছে চারজন বসার জন্য।
আমি কিছু উৎসাহ নিয়ে ডাকলাম মন্টেগু কর্নার। মিঃ মন্টেগু একজন ছোটখাট মানুষ। মি এবং মিসেস উডবার্ন, পোয়ারো বললেন, আপনাদের বিরক্ত করলাম বলে কিছু মনে করবেন না।
মন্টেগু বলেলেন, আমি মিলিয়ন পাউন্ডের জন্য লণ্ডনে থাকতে চাই না। মিস্টার উডবার্ন ও মন্টেগুর সঙ্গে কথা হচ্ছিল তখন পোয়ারো বললেন যে আমরা দোষ নিয়ে কথা বলছি এটা ঠিক নয়।
পোয়ারো বললেন, এটা সৌভাগ্য কাল রাত্রিতে জেন এখানে এসেছিলেন। মন্টেগু বললে সে এটা অন্য রাস্তা। উডবার্ন ডিউককে বিয়ে করতে চায় এটা সবাই জানে। জেন বলেছিল যে এডওয়্যার একজন গভীর জলের মাছ।
পোয়ারো বললে এডওয়্যার টেলিফোন পেয়েছিলেন যখন ডিনার চলছিল, তিনি একটা খবর জানতে পেরেছিলেন। আপনারা যদি এই প্রশ্নের জবাব চান তাহলে আপনার লোকদের ডাকুন। একটা বেশ সাজিয়ে প্রত্যেক বাটলারকে ডাকা হল। একজন বাটলার ফোন করে লেডি এডওয়্যারকে ডাকল। মিস উডবার্ন বললেন, আপনি কি মনে করেন যে টেলিফোনের সঙ্গে খুনের কোন সম্পর্ক আছে।
এটা বলা শক্ত ম্যাডাম।
ফোনের মেয়ের গলা বাটলার আগে শোনেননি।
পোয়ারো মন্টেগুকে একজন অদ্ভুত মানুষ বললেন।
.
শুধুমাত্র অলোচনা
আমরা যখন ঘরে গেলাম জ্যাপ তখন আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পোয়ারোর কিছু আইডিয়া এসেছে সেটা সে বলতে চায়–পাইলট বললেন। জ্যাপ জানতে চাইল মহিলাটিকে জানে না।
সে কাৰ্টলেনা অ্যাডামসকে চেনে কিন্তু আমি তাকে দুটো দিকে দেখতে পারি। তার হয়তো ব্ল্যাকমেল করার উদ্দেশ্য ছিল। সে টাকা চেয়ে না পেয়ে তাকে শেষ করে দিতে চায়। নিজেকে শেষ করে দেবার জন্য ওষুধ খেয়েছিলেন।
পোয়ারো বললেন, লর্ডশিপ ও মেয়েটির মধ্যে কোন যোগসূত্র খুঁজে বার করতে হবে। পোয়ারো আমেরিকায় চিঠি দিতে বলল।
ক্যাপ্টেন মার্স এখন নতুন লর্ড। একেও সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় না। কাল সকালে তার কাকার সাথে তার ঝগড়া হয়েছিল। সে ডরোথি মিটারের সঙ্গে নাটক করেছিল এবং সেখানে তার সঙ্গে ডিনার করেছিল।
আর তার মেয়েকেও সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় না। এর একজন বাটলার লর্ড এডওয়্যারের কাজের জন্য এসেছিল। কিন্তু তাকে আমরা সন্দেহ করতে পারি না।
মিস ক্যাল আমাকে বলেছেন যে, লর্ড এডওয়্যার একটা ১০০ পাউণ্ডের চেক ক্যাশ করতে গিয়েছিল, কিন্তু সেই টাকাটা পাওয়া যায়নি।
ডাক্তার বলেছেন যেটা দিয়ে খুন করা হয়েছে সেটা রেজার নয় একটা পাতলা ব্লেড। অ্যাডামসের মেয়ে এটা করতে পারে বলে আমার ধারণা। দুঃখ কোন খুনের উদ্দেশ্য হতে পারে না।
পোয়ারো বলেন যে ডিউক যে লর্ড এডওয়্যার স্ত্রীকে বিবাহ করতে চায় তার খুনের উদ্দেশ্য আছে। জ্যাপ বলেন যে সে প্যারিসে আছে।
.
বাটলার
সন্দেহের তালিকা থেকে বাটলারকে বাদ দিয়েছে। খুন বলে অ্যাডামসের মেয়েকে বেশী সন্দেহ হয়। তার কাছে থেকে কোন সাহয্য পাওয়া যায়নি। সে একটু চাপা স্বভাবের।
অনেক ছেলের সঙ্গে সেই মহিলা রাতে ছিলেন। মিস্টার মাটিন একজন হলেন কিন্তু তাকে আমরা সঠিক বলে ধরে নিতে পারি না। আমি মহিলার সঙ্গে মৃত মানুষের একটা সম্পর্ক খুঁজে পেতে চাই। জ্যাপ বললেন, আমি মনে করি প্যারিসে লর্ড এডওয়্যার প্রতিবার যেতেন। তার স্ত্রী তাকে যখন ছেড়ে যায় ছবছর হয়ে গেছে। ব্যারণ মার্টিন এলেন এবং দেরী করে আসার জন্য মাপ চাইলেন। তাকে বলা হলো যে এটা প্রথম অবস্থা অনুসন্ধানের এবং দ্বিতীয় অবস্থা হবে।
পোয়ারো বললেন যে একটি নিয়ম আছে। মার্টিন ভাবলেন আমি সূত্র দিতে পারি। পোয়ারো বলল, অন্য কিছু কথা বলা যাক। আচ্ছা সেই লোকটি নয় যে স্কটল্যাণ্ডের আমার মধ্যে দেখা হয়েছিল। সে লোকটি আমাকে ক্যাটলেন অ্যাডামস সম্পর্কে জানতে চাইলেন।
মিস অ্যাডামস তাকে চেনে না। কারলেটা যে আত্মহত্যা করেছে এটা পোয়ারো জানতে চান না। জেন সম্পর্কে মার্টিন কিছু বলতে পারে না। মিঃ পোয়ারোর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন তাকে বিরক্ত করার জন্য মার্টিন।
আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই তুমি সোনার দাঁতের কথা বলেছিলে, আমার চেনা আছে ওই মেয়েটির সাথে। মিঃ মার্টিন যার কথা বলেছেন। আমি সবকিছু জানি। আমি সত্যিই খুব চিন্তিত।
.
অন্য লোকটি
যখন লর্ড এডওয়্যার অনুসন্ধান শেষ হলো তখন সেখানে ডাক্তারের পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হল। ছমাসের পর জানা গেল যে খাবার পর একঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে। রাত ১০-১১টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে।
জ্যাপ বলল, সে প্যারিস থেকে ফিরে এসেছে। সে আবিষ্কার করেছে ফর্সা মতন মহিলা একটি অ্যাটাচি ঠেসে কেলাবোয়াম রাত নটার সময় জমিয়ে রেখেছিল। অ্যাডামসের মেন দেখালে নিশ্চয়ই বলতে পারবে। এটা সে সাড়ে দশটার নিয়ে গেছিল।
কারলেট অ্যাডামস লাইনগ কর্নারে এগারোটার সময় গেছিল। মহিলার কাছে সেইরকম দেখতে একটা বাক্স ছিল। ওটাতে C.A লেখা ছিল। পোয়ারো বলল, মেয়েটির হাতে অ্যাটাচি কেস দেখেছিল, তার মানে এটা নয় যে সে ঠিক দেখেছ। মেয়েটি বিল নিতে এসেছিল। মিস অ্যাডামস বিল দেখার পর বেরিয়ে যান।
কারলেটা অ্যাডামস সেই মানুষটির সঙ্গে দেখা পায়নি। মিঃ পোয়ারোর প্রভুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে তাকে মেরে ফেলেন। এই ভয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। এই রহস্যজনক ঘটনার পেছনের কারণ প্যারিসে অনুসন্ধান করতে চায়।
জ্যাপ বললেন, ডিউক অব মার্টেন থেকে ফিরে এসেছেন। আমরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাই, এতে পোয়ারো সম্মতি দিল।
২৭ বছর বয়সের লেখাপড়া জানা ডিউকের লর্ড এডওয়্যার-এর মৃত্যু সম্পর্কে জানতে চাইলেন। ডিউক তার স্ত্রীর সঙ্গে জড়িত। তাঁকে সে বিয়ে করতে চায়। সে এডওয়্যারের প্রেমে মত্ত। তার চিঠি নিয়ে কথা বলছিলেন। পোয়ারো বলল, খুনটা খেলা নয়। জেন হলেন তার ক্লায়েন্ট। তার প্রেম নিয়ে তিনি অন্যকে বলবেন না। তিনি একটা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান। এটা খুবই প্রয়োজনীয়।
.
সেই মহান মহিলাটি
ডিউকের রুক্ষভাব আমাকে আকর্ষণ করে। গোপনীয় ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করতে এসেছে। আমি পরিষ্কার ভাবে বলেছি আমার ছেলে জেনকে বিবাহ করছে না। এইরকম বিয়ে সুখের হয় না। মেয়েটি সুন্দর তবে পুরুষদের আকর্ষণ করার ক্ষমতা আছে। সে স্বাধীন ছিল না। তার স্বামী এখন মারা গেছে। আমার বিয়েতে তুমি সাহায্য করবে আমি এটা চাই।
তিনি বললেন যে কোন টাকার বিনিময়ে তিনি বিবাহ বন্ধ করতে চান। আমি আপনাকে কিছু সাহায্য করতে পারব না। পোয়ারো বললেন, যদি সে তার নিজের জন্য নিজে পছন্দ করে তাহলে দুর্ভাগ্য হলেও এটাই মেনে নেওয়া উচিত। মেয়েটি স্বামীকে হত্যা করল তবু কেন তাকে ধরা হচ্ছে না।
আসলে পোয়ারো মনে করে না জেন সত্যিই তাকে ভালোবাসেন। তিনি তার নিজের প্রয়োজনে হয়ত তাকে বিয়ে করছে। পোয়ারোর মনে হলো খুনের উদ্দেশ্য লর্ড এডওয়্যার-এর উপর ছিল না। জেনকে কেউ অপছন্দ করত বলে তার উপর খুন চাপিয়ে দিয়েছে।
.
ট্যাক্সি ড্রাইভার
ড্রাইভারটির নাম জবয়। একজন পুরুষ ও একজন মহিলা রয়্যাল অপেরা থেকে এসেছিল তখন ১১টা বাজে। তারা রিজেন্ট গেটে পৌঁছাল।
পোয়ারো বললে তখন আমি দেখেছিলাম সে এবং তার ভাই দুজনে এক সাথে অপেরায় গেছিল তাতে দুজনের মধ্যে কিছু হয়েছিল। আধ ঘণ্টা পর ইন্টারভেল টাইমে তারা রিজেন্ট পার্কে এসে আবার ফিরে গেছিল, আমি নিশ্চিত কোন গণ্ডগোল হয়নি।
জ্যাপ বললেন লোকটির মধ্যে কোন সন্দেহ আছে। জ্যাপ একটা কাগজ দেখালেন। একটি কেবল নিউইয়র্ক থেকে আসা।
চিঠিতে লেখা আছে–
২৯শে জুন ৪ মেসভিউ ম্যানসন লগুন। আমার বোন, আমি এখানে খুব ভালো বন্ধু পেয়েছি। আমি থিয়েটারের জন্য তাদের ছমাসের জন্য ওখানে নিয়ে যাব।
মিস হারমিয়াস
.
সেক্রেটারীটি
পোয়ারো মনে করেন না যে তিনি এডওয়্যারকে খুন করেছেন। কিন্তু জ্যাপ তাকে সন্দেহ করেন।
পোয়ারো বললেন, আগের দিন রাত্রের মানুষদের কাছে বন্দুক ছিল। সবাই মহিলার বন্ধু ছিল না। তাদের সাক্ষ্য যুক্তিগ্রাহ্য ছিল। সে ডিনার টেবিল ছেড়ে যায়নি একমাত্র কোন জল খাওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিল। ফোনে মহিলার গলা ছিল–এরপর তিনি সন্ধ্যেবেলায় যদি ফোন করেন সে সম্পর্কে পোয়ারো বলল।
বাটলার-এর সঙ্গে তাহলে দ্বিতীয় জন কে ছিলো। বাটলার তাকে দেখেছিল কিন্তু প্রায় ছমাস ধরে সে মহিলাকে দেখেনি যে ভদ্রমহিলাকে কাগজে ছবি দেখে চিনতে পেরেছে। যাই হোক সেক্রেটারী তাকে চেনে না। সে লর্ড এডওয়্যারের সঙ্গে ৫-৬ বছর ধরে আছে।
পোয়ারো বললেন, আমি সেক্রেটারীকে দেখতে চাই। তাহলে তুমি এখন আমার সঙ্গে আসছ না কেন।
তবে জ্যাপ মনে করেন না সেক্রেটারীর কাছ থেকে কিছু পাওয়া যাবে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কথা বলছে যে একই সময়ে একটি মানুষ দুজায়গাতে ছিল। কে ঠিক কথা বলছে। এটা সত্যিই খুঁজে বার করা শক্ত। মিসেস জ্যকল সত্যিই মহিলাকে জানেন। সে মহিলার সঙ্গে বহুদিন একসঙ্গে কাটিয়েছে। সে মহিলার সম্পর্কে বলতে পারবে।
কে এরপর আসছে। তার ভাগ্নে ক্যাপ্টেন রোনাল্ড মার্শ। কখন লোকটি মারা যায় এটা ঠিক বলতে পারব না। তবে দশটার সময় হতে পারে, কেননা নটার পর কিছু মিনিট তাকে জ্যান্ত দেখা যায়। এগারোটার সময় আলো নিভে যায়। তাকে অন্ধকারে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাই দশটার সময় সে মারা গেছিল।
জ্যাপ ও আমরা সেখানে তার বাড়িতে গেলাম, বাটলার আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে গেল। তুমি কি করে তাকে চিনলে, তিনি তার নাম বলেছিলেন আমি তার অভিনয় দেখেছি।
বাটলার বলল, সে কালো জামাজুতো পরে ছিলো। সে বললো, তার কর্তার সঙ্গে সন্ধেবেলা আর কেউ দেখা করতে আসে নি। দরজায় সে খিল দিয়ে যখন সে শুতে যায় তখন রাত এগারোটা। কাল মিডা গডউইন অপেরা থাকায় সে খিল দেয়নি। তার আমাকে মন্টেগু কর্নারে নিয়ে যেতে চায়। আমি বোনকে ভালোবাসি না কারণ সে একজন দুষ্ট। তার মধ্যে কোন সৌন্দর্য্য নেই। আমি তার প্রতি কিছু শুনতে পাইনি লর্ড এডওয়্যার তার ভাগ্নের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছেন। আমি তার জন্য দুঃখিত। আমি লর্ড এডওয়্যার-এর কাছ থেকে দশ হাজার ডলার পাব। আমরা একসঙ্গে ফন্দি করেছি তোমাকে পরে জানাব।
পোয়ারো বলল, মিস অ্যাডামস দশ হাজার ডলার তার মৃত্যুর জন্য চেয়েছিলেন, খুনীরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছিল। আমার মনে হয় তোমরা কাপ্টেন মার্শকে ধরবে। মার্শ এতে জড়িত কিনা আমি জানি না।
.
রোনাল্ডোর গল্প
রিজেন্ট গেটে একটা গগুগোল চলছিল। জ্যাপ লর্ড এডওয়্যারের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চায়। রোনাল্ড বলল, আমি টাকার জন্য ব্যস্ত ছিলাম, আমি এটা পরের দিন পাই না। একটা মাঝবয়সী লোক এটা করতে পারে। আমার তার প্রতি কোন আশা নেই। আমি তার মেয়েকে বিয়েও করতে পারব না। সে বলল, আমি তার কাছ থেকে টাকা পেতাম না। আমরা গেলাম। মিস ক্যারলের সঙ্গে গ্লেভউইনের দেখা হয়ে গেল। আমরা হলে গেলাম। হলটা ফাঁকা ছিল। লাইব্রেরীতে গেলাম। গ্লেভউইন নিচে এল, তার হাতে মুক্তা ছিল। তারপর আমরা অপেরায় ফিরে গেলাম। কেউ আমাদের সন্দেহ করল না।
মিস মার্শের আপনার সঙ্গে কি সম্পর্ক। হ্যাঁ শীঘ্রই একটা খবর পাব। সে আমার সঙ্গে ছিল শেষ ইন্টারভেলের সময় কনভেন্ট গার্ডেনে আমরা একসঙ্গে কিছুটা এসেছি। আপনি কি অস্বীকার করেন আপনি ১০ হাজার ডলারের বিষয়ে জেন সেদিন রাত্রিতে এসেছিল। রোনাল্ডের মুখটাতে ভয়ের ছাপ পড়ে গেছে।
.
পোয়ারোর অদ্ভুত ব্যবহার
আমরা আমাদের ঘরে ছিলাম। আমি পোয়ারোর অবস্থা কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না।
জ্যাপ হাসলেন তাকে কেমন অদ্ভুত লাগছে। তিনি নিজের অবস্থা নিয়ে ব্যস্ত। তিনি আপনার জীবন নিয়ে কিছু ভাবছেন না।
আমার জ্যাপের নানা কথার উত্তর দিতে ভালো লাগছিল না। পোয়ারো ঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
পোয়ারো বলল, আমি ক্যাটলেন অ্যাডামসের দিকে লক্ষ্য দিতে চাই। জ্যাপকে বেশ বিস্মিত লাগছিল।
মিস্টার পোয়ারোকে জ্যাপ বললেন, আমি এই ঘটনার কিছু দায়িত্ব নিয়ে দোষী হতে চাই না। আমরা ঠিক মানুষটাকে ধরেছি। পোয়ারো বললেন, তোমার মনোবল চাই, এটা খুবই সহজ।
জ্যাপ বললেন, যখন তাকে গ্রেপ্তার করা হবে তার সেক্রেটারী মিস ক্যারেল। ওই মুক্তোটা। দেখ, যখন সে তার ভাইয়ের সঙ্গে অপেরায় যায় তখন তার মাথায় এ বুদ্ধিটা আসে। আমার মনে হয় হঠাৎ তার মাথায় এ সম্পর্কটা আসেনি। সেই সম্পর্কীয় বোনকে সে তার সঙ্গে জড়িয়েছে। সে একটা নিরাপত্তার জন্য সে তার নিজের মতামত জানিয়েছে। এটা হতে পারে যে সে নিচে ছিল এবং সেই মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করছিল। পরের দিন সকালে সে তার মুক্তটা সম্পর্কে বলল। সে বোধ হয় তার জন্য টাকা নিল। তারা যখন দোষ করল তখন সে ভয় পেল এবং মেয়েটির সঙ্গে আলোচনা করার জন্য অপেরা হাউসে যায়।
কাপ্টেন মার্শ তার মামাকে খুন করেন এবং অপেরায় ফিরে যায়। জ্যাপ তার মৃত্যু সম্পর্কে বলল, অ্যাকসিডেন্ট না হলে এটা খুন এবং তাকে বলুন যে সে খুনের জন্য ধরা পড়তে পারে যদি সে সত্যি বলে দেয়।
জেন ধরা পড়বেন না কারণ মন্টেগু কর্নারের পার্টি তাকে বাঁচিয়ে দেয়। জ্যাপ বললেন, রোনাল্ড মার্শ কিছু করতে পারে না। মার্টিনকে সন্দেহ করতে পারি না কারণ তিনি এডওয়্যার এর সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। সেদিন এডওয়্যার লণ্ডনে পার্টিতে গেছিলেন। মিস ড্রাইভার অ্যাডামসের বন্ধু এটা একটা প্রমাণ। ছমাসের আগের কথা ভাবতে গিয়ে পোয়ারো বললেন ওই বাক্সটি মিস ড্রাইভার কেন সনাক্ত করেননি। D কে এইটার অনুসন্ধান কর।
.
চিঠিটি
আমরা খেতে গিয়ে মার্টিন ও জেন ড্রাইভারকে একসঙ্গে দেখলাম।
জেনি কাটলেমার ব্যাপারে রোনাল্ড মার্শকে সন্দেহ করল।
তিনি বললেন, আপনি যার কথা বললেন সে এতক্ষণে গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে তার কথায় উপকৃত হয়েছেন। একটা চিঠিতে লেখা ছিল–
মিস্টার পোয়ারো,
আমি আপনার চিঠিতে অত্যন্ত প্রীত হয়েছি। আমার এত লোকের মধ্যে আপনি যে চিঠিতে আমার বোনের জন্য যে সূত্রগুলি দিয়েছেন, তাতে আমার মনে হয় আমার বোন ড্রাগ নিত না, আমার মনে হয় তার কোন ভয় কাজ করেছিল। সেই ওই ভদ্রলোকের মৃত্যুতে একে বারেই সরল ছিল। আপনি যদি তার মৃত্যু সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন, আমি আপনার কাছে যাব।
আমি তার চেনা লোক সম্পর্কে বলছি–রোনাল্ড, জেনি ড্রাইভার ও ব্যারণ মার্টিন এই তিনজনের সম্পর্কে তিনি জানতেন।
আমি খুব আনন্দিত হব যদি তার সম্পর্কে কিছু জানতে পারি।
ইতি,
লুসি অ্যাডামস
পোয়ারোকে আমি বললাম তুমি আসল চিঠির জন্য কেন বললে। লুসি তার বোনের চিঠি দিল।
সে বলল, এটা তার কাজে সাহায্য করবে। হেস্টিংস দেখাল যে চিঠিটার একটা পাতা নেই। কাপ্টেন মার্শের নাম লেখা পাতাটা ছিঁড়েছে। খুনী তার নাম সরানোর জন্য এটা করেছে।
এই চিঠিটা অ্যাডামসের চাকর পোস্ট করেছিল পোয়ারো বলল, কারলেটা অভ্যাসটা সেখানে ফেলে রেখে যান, আমার মনে হয় খুনীর সঙ্গে তখনই দেখা হয়। সে তাকে শেষ কতগুলি কথা বলে। এই চিঠিতে কি আছে তা ভালো করে জানি না। চিঠিটা সে পড়ে ছিঁড়ে ফেলে। একটা জিনিষ পরিষ্কার যে মিস অ্যাডামস-এর খুনীর সঙ্গে আবার দেখা হয় বিকেলে নয়ত এডওয়্যার সে যখন দেখা করেছি তখন এবং খুনী তাকে সোনার বাক্স দেয়, যাতে D লেখা ছিল।
কারলেটা ড্রাগে আসক্ত ছিলেন না। তার বন্ধুরা তার বাক্স সনাক্ত করতে পারেনি। হেস্টিংস তার খুনের প্লানের সার্থকতা খুঁজে পেয়েছিল সে তাই তাকে পানীয়রে মধ্যে বিষ মিশিয়ে হত্যা করে।
খুনীর বোধ হয় খুব তাড়াতাড়ি ছিল তাই সে ভালোভাবে কাগজটি হেঁড়েনি, এইখানে খুনীর সম্পর্কে D একটি সূত্র বলে মনে করল সে।
আমার মনে হলো খুনীর ডাক নাম D দিয়ে হতে পারে। পোয়ারো সেটা খোঁজবার চেষ্টা করল।
.
প্যারিস থেকে খবর
একদিন পর আমরা প্যারিস যাব। এটা গ্লেভউইন জানালেন। সে বলল, অন্য কেউ এটা করেছে। মিঃ পোয়ারো আপনি কি অন্য কারোকে সন্দেহ করেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো তার বিমাতা সম্পর্কে? ওর মত কি? সে যখন প্যারিসে ছিল তার মা তাকে বিয়ে করেন। তিনি অত্যন্ত দয়ালু ছিলেন। সে বলল যে, আমার নির্দিষ্ট কোন বন্ধু নেই। রোনাল্ড অত্যন্ত লাজুক। তবে তার মা তার সম্পর্কে আমাকে বলেছে। রোনাল্ড সম্পর্কে তিনি বললেন তার ফাঁসি হোক চাই না।
সে বলল, আমি নীচে লাইব্রেরীতে বেরিয়ে তাকে দেখি যখন আমি মুক্তটা আনতে যাই। নীচে ট্যাক্সিতে একটা মেয়েকে দেখলাম।
জেন-এর টেলিফোন এল। ফোন নামানোর পর বললেন যে গোল্ড বাক্সটা ট্যক্সি থেকে আনা হয়েছিল। চিঠিটা খুন হবার দুদিন আগে আনা হয়েছিল। এটা একজন চশমা পরা মধ্য বয়সী মহিলা এনেছিলেন।
.
একটি লাচেন পার্টি
আমরা মহিলার কথা ভাবতে ভাবতে লাচেন পার্টিতে গেলাম।
সকলের সঙ্গে একসঙ্গে বসলাম। জেন বললেন প্যারিস থেকে কে বিচার করেছে এই নিয়ে আলোচনা করলেন। সে পোয়ারোর সঙ্গে কথা বলতে চায়। সে বলল, সে সত্য সবসময় ঘটনার থেকে আগে হয়।
এটার জন্য সে তার পরামর্শ চায়। তাকে আমি পাঁচটার পর ফোন করে দেখা করতে বললাম, সে ফোন করে আসবে বলেছে।
ড্রাইভার আমাদের টেবিলের পাশেই ছিল, আমি দেখতে পাইনি। আমি ৪টের সময় বাড়িতে গেছিলাম। পোয়ারো রোনাল্ডের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চায়। এডওয়্যার মারা যাওয়া সম্পর্কে কিছু বলতে চায়। পোয়ারো সেটা শুনতে চায় না। এরপর এক্সচেঞ্জেও ফোন করলাম, কিন্তু কোন উত্তর এল না। হেস্টিংস টেলিফোনে কোন উত্তর পেলেন না।
.
প্যারিস
আমরা ট্যাক্সি করে ওপরে গেলাম বসার ঘর ছাড়িয়ে একটা ছোট খাবার ঘরে গেলাম। বর্গমারা গেছে মুখ সাদা, তার খুলিতে কোন আঘাতের চিহ্ন।
পোয়ারো বলল, যে লোকটা মারা গেল–সে এই রহস্য সম্বন্ধে কিছু বলতে পারত কিন্তু এখন অনুমানের উপর চলতে হবে।
প্যারিসে সেই গোল্ড বাক্সটা পাওয়া গেছে। সেখানে মিস অ্যাডামসকে অদ্ভুত অবস্থায় দেখেছিল। আমি বললাম তুমি জানতে পারবে না। কোনদিনই। জানতে পারব। সেখানে একটা ছোটোখাটো মহিলা তার চশমা নিয়ে যিনি জুয়েলারের দোকান থেকে সেই গয়নার বাক্সটা নিয়ে এসেছিলেন। ডিউক অফ মেলটন প্যারিসে ছিলেন যখন ঘটনা ঘটেছিল। লর্ড এডওয়্যারও প্যারিসে গেছিলেন। তাহলে পারিসে আমরা নিশ্চয়ই কিছু পেতে পারি।
বর্গ কি প্যারিসের সম্পর্ক কিছু বলেছেন। টেবিলে মিসেস উডবার্ন, ডিউক অফ মেলটন, জেন বসেছিলেন তারা কিছু জানত, বর্গ জানতেন ঘটনাটি হবার সময় ডিউক অফ মেলটন প্যারিসে যাননি।
পোয়ারো বললেন, সে এত টাকার মালিক তার পক্ষে এটা করা সম্ভব। বর্গের মধ্যে কি কোন উত্তেজনা কাজ করেছিল।
আমি বললাম, এই খুন রোনাল্ড মার্শের দ্বারা হতে পারে না।
পোয়ারো বললেন, তার পাঁচটি প্রশ্ন আছে। কেন লর্ড এডওয়্যার ডির্ভোসের জন্য তার মন বদলাল? সেই চিঠিটার কি হলো যেটা তিনি তার স্ত্রীকে লিখেছিলেন? যখন আমরা তার বাড়ি চলে আসি তখন তার মুখের ভাব কেমন হয়েছিল? কারলেটা ব্যাগের পিনাজ-নেজ কি জন্য ছিল? লেডি এডওয়্যাকে কে ডিউইকে ফোন করেছিল? সে বলল, আমি তিনটে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। লুসি অ্যাডামসের চিঠিটি পেয়ে ছিল। খুনী নিয়ম মেনে খুন করত তাহলে সে চিঠির পাতাটা ছিড়ত না কেটে নিত।
.
পিনাজ-নেজ সন
ট্যাক্সি নিয়ে তারা রিজেন্ট গেটে যেতে চাইল। নতুন বাটলারটি রিজেন্ট গেটের দরজা খুলল। মিস ক্যারেলকে ডাকতে বলা হল।
পোয়ারো অত্যন্ত প্রীত হয়ে তাকে বললেন আমি জানতাম না আপনি এ বাড়িতে থাকতে পারেন।
মিস ক্যারল বললেন, গ্লেডউইন একজন স্বপ্নল মহিলা, আমি আপনার জন্য কি করতে পারি। তার স্মৃতি শক্তিকে বিশ্বাস করে তাকে প্রশ্ন করা হলো লর্ড এডওয়্যার নভেম্বর মাসে প্যারিসে গেছিলেন।
হ্যাঁ তিনি ৩-৭ নভেম্বরে প্যারিসে গেছিলেন। তিনি আবার ২রা ডিসেম্বরে গিয়ে ৪ঠা ডিসেম্বর গিয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার কোন প্রয়োজন ছিল বলে মনে হয় না। তার মেয়ের সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিল না।
পোয়ারো বললেন যে, মেয়েটি বলেছে যে সে তার ভাইকে খুব পছন্দ করত। আমি আপনার মতামত চাই। তিনি এই নতুন এডওয়্যার বিশেষ পছন্দের কারণ বলে মনে হলো না।
আপনি কি মনে করেন যে মিঃ মার্শের তার প্রতি যত্ন নেয়। আপনি কি কারলেটা অ্যাডামসকে চেনেন, তার সামনে মিস ক্যারলের দস্তানাটা ছিল। ও তার কাছে পিছনেজ ছিল। তাকে এত প্রশ্ন করার জন্য ক্ষমা চাইল।
তিনি বললেন মিঃ পোয়ারো এটা আমার চশমা নয়, আমি চশমা পরে দেখতে পাই না। আমার চশমাটা আমার পকেটে আছে।
এই চশমাটা ক্যাটলেনা অ্যাডামস-এর ব্যাগে পাওয়া গেছে। সেই হলো একমাত্র যে এই চশমা ব্যবহার করত। আমি বললাম এটা তার নয়।
আমার D শব্দের উত্তর পাইনি। রোনাল্ড বর্গ মারা গেছে শুনে সকলে চমকে উঠল।
.
পোয়ারো কিছু প্রশ্ন করল
পোয়ারো চিন্তিত ছিল এবং লেডি এডওয়্যারকে ফোন করল। তিনি নাটক নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাকে বাড়িতে আসতে বললেন। লেডি এডওয়্যার-এর খুনের কোন উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি বলেছিলেন যে তিনি লেডিকে একটা চিঠি লিখেছিলেন কিন্তু সেই চিঠি সে পাইনি।
হয় সে মিথ্যে বলছে নয়ত তার স্বামী মিথ্যে বলেছে। আপনাকে তিনি বিয়ে করেননি বলে হয়তো যাতে তার ডিভোর্স না হয় এজন্য তিনি চিঠিটা চেপে দেন।
ব্যারণ মার্টিন সব অস্বীকার করেছেন। যখন মিস অ্যাডামস তার বোনকে চিঠিটা দেখালেন যে এটা মনে হলো খুবই খারাপ। শেষে এটা আবিষ্কার করা গেল এই চিঠিটা আমাকে লেখা হয়েছিল। রোনাল্ড চিঠিটার মাঝখানটা ছিঁড়ে দিয়েছিল। কাপ্টেন মার্শ যখন গ্রেপ্তার হলো সে দৃঢ়স্বরে বলল, সে ব্যারণকে বাড়িতে যেতে দেখেছেন। তার মনে হয় না মার্টিন খুন করবেন।
তাহলে এবার মিস ড্রাইভারের দিকে আঙুল তোলা যায়। যখন আমি মিস্টার মার্টিনের সঙ্গে আপনাকে দেখলাম আমি বুঝেছিলাম আপনি অসুবিধা বোধ করছেন। আপনি বোঝাতে চাইছিলেন আপনার বন্ধু রোনাল্ড মার্শের সঙ্গে বেশী ঘনিষ্ঠ ব্যারণের সঙ্গে নয়। আমার মনে হয় আপনি লেডি এডওয়্যারকে পছন্দ করতেন না। যখন রোনাল্ড ধরা পড়েছেন। তখন তিনি রোনাল্ডকে হত্যা করেন। যাতে সে হেস্টিংসকে সব কথা বলে না দেয়।
আমি হেস্টিংসকে ৫টি প্রশ্ন করেছিলাম কে চিঠিটা চেয়েছিল। উত্তর হলো ব্যারণ মার্টিন।
হঠাৎ ডিভোর্সের কথা বদলালেন কেন। সে হয়তো নিজে পরে বিয়ে করতে চেয়েছিল। তা কেউ ব্ল্যাকমেল করতে চেয়েছেন। হয়তো তিনি চানি তার জীবনে কোন দুর্ঘটনা ঘটুক। বদনাম হোক। আমি যাদের সন্দেহ করিনি তার মধ্যে ক্যারল যিনি চশমা পড়েন, তিনি তার বাড়িতে ছিলেন। তিনি তার প্রমাণের সঙ্গে সাযুজ্য নয়। তিনি এরকম খুনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তার মধ্যে কোন মোটিভ থাকতে পারে। গ্লেডউইন মার্শ তার বাবাকে অশ্রদ্ধা করত। সে তার বাবাকে খুন করতে পারে। সে তার ভাইকে ভালোবাসত। সে বাইরে থেকে এসেছিল। তার ভাইও খুন করতে পারে।
এখানে একটা ছোট সূত্র আছে। মিস অ্যাডামসের ব্যাগ থেকে একটা বাক্স পাওয়া গেছে। সেখানে D লেখা, গ্লেডউইনকে তার ভাই ডিনারে বলত, সে গত নভেম্বরে প্যারিসে তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে।
এরপর আমরা ডিউকের মার কথা বলতে পারি যদি তিনি চান তিনি তার ছেলের জীবন শেষ করে দিতে পারেন। এরপর জেনী ড্রাইভার। তার পদবী D দিয়ে শুরু হয়। বাটলার ও কাপ্টেন মার্শ মার্টিনকে রিজেন্ট গেটে যেতে দেখেছিল। সে হয়ত দেখেছিল খুন হতে। মার্শ তিনি খুন হতে এনভেলাপ ভর্তি টাকা নিয়ে বেরিয়ে যান।
সকালে বাড়ির ঝি এটা বুঝতে পারে লেডি এডওয়্যার-এর কোন উদ্দেশ্য থাকুক বা না থাকুক স্কটল্যাণ্ড ইয়ার্ড তাকে তদন্ত করে।
যদি চশমাটা মিস ক্যারলের হয় এবং চিঠিটা যদি চেপে যায় কাটলেন অ্যাডামসের সঙ্গে তার বিকালে কথা হয়। কারলেটা অ্যাডামসের ব্যাগে তার চশমাটা পাওয়া যায়।
হেস্টিংস আমাকে বলেছিল সে, রোনাল্ড সর্বপ্রথম মন্টেগু কর্নার থেকে উঠে দাঁড়াতে দেখে। আমি জেনের পরিচারিকার কাছ থেকে সবকিছু জানতে পারি।
.
আসল গল্প
সে বলল যে, কারলেটা অ্যাডামস ৭টার সময় পিকাডেলী প্যালেস আসে, সে রাতের ট্রেনে লিভারপুল যাবে। সে লাগেজ পায়। ৮.৩০ লেডি এডওয়্যার আসে। সবাই একসঙ্গে ডিনার খায়। লেডি জেনকে কেউ চেনে না। লেডি এডওয়্যার একটা উইগ পড়েছিলেন এবং চশমা, সে বিকালে উইগটা খুলে লেডি এডওয়্যারের সঙ্গে কথা বলেন। এটা তাদের মধ্যে বলা ছিল। এরপর লেডি এডওয়্যার রিজেন্ট গেটে এসে লর্ড এডওয়্যারের সঙ্গে ছল করে লাইব্রেরীতে এসে তাকে মারেন। সে জানত না যে মিস ব্যারণ তাকে দেখেছে। কাটলেন একটা ছোট বাক্সে ব্যাগের মধ্যে চিঠিটা পায়।
চিঠিটা পড়ে রোনাল্ড মার্শকে দেখে যায় এই দুর্ঘটনা ঘটানোর প্রয়োজন ছিল। সে এনভেলাপটা বদলে তার ব্যাগে ঢোকাল।
এরপর সে স্যাভয় হোটেলে গেল তারপর সে কালো পোশাক পড়ল এরপর ক্যাটলেনা অ্যাডামস সেখানে গেছিল। লেডি এডওয়্যার কারলেটার সঙ্গে বিজয় উৎসবের ভাষাতে অতিরিক্ত ভার্নাল সেবন করিয়ে তাকে মেরে ফেলল। এরপর মন্টেগু কর্নারে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইল। সে যখন তাদের একথা বলবে বলেছিল। সময় বুঝে তাকেও শেষ করে দেওয়া হয়।
পোয়ারো বললেন যে, কাথিলকরা কোন বিবাহিত মহিলাকে বিবাহ করবেন না। তাই এই জন্য বিধবা হয়ে তাকে বিয়ে করাই ছিল তার লক্ষ্য। আসলে সে অভিনয় করতে পারত বলে এটা তার কাছে সুবিধা ছিল।
তাহলে তোমাকে কেন লর্ড এডওয়্যারের কাছে পাঠান হল।
ব্যারণ মার্টিন সর্বান্তঃকরণে তার প্রেমিকার দুঃখ চায়। জ্যাপ বললেন যে, তাহলে ওই বাক্সটা কি?
লেডি এডওয়্যার এলিসের চশমা নিতে চান। এলিস তার বাক্সের জন্য প্যারিসে যান।
ড্রাইভার বিয়ে করতে চান ব্যারণকে। পোয়ারো বললেন, আপনি অত্যন্ত দৃঢ় যে আপনি একজন ফিল্মস্টারকে বিয়ে করেছেন।
.
মানসিক প্রমাণ
লেডি এডওয়্যার সুইসাইড করেন। তিনি মারা যাবার আগে চিঠি লিখেছে।
সে লিখেছে যদি আমি বিধবা হই তাহলে মার্টিন আমাকে বিয়ে করবে তাই ক্যাটলেনা অ্যাডামসকে দিয়ে স্বামীকে মেরে ফেলতে চাইলাম। তাকে ১০,০০০ ডলার দেব বলে রাজী, হলাম। সে আগ্রহী হল।
সে আমার হোটেলের প্ল্যানটা দিল। সে আমাকে চশমা দিল।
আমি তাকে খুন করলাম। প্রমাণ না রাখার জন্য একটা চিন্তা এল। আমি সেই বাক্সটার মত অপর বাক্স নিয়ে তাতে সব জিনিষ রাখলাম। যাতে তা বোঝার অসুবিধে হয়। আমি এলিসকে সেখানে পাঠালাম। সে এবিষয়ে কিছু জানত না।
আমি এলিসের ছুরিটা নিলাম। আমাকে ডাক্তার বলেছিলো কিভাবে এই ছুরিটা দিয়ে মারা যায়। কিভাবে তা স্নায়ুর মধ্যে প্রবেশ করে।
ক্যাটলেনা তার বোনকে কথাটা বলে যাক আমি চাইনি।
আমি চিন্তা করলাম যে পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য আমি ডিনারে গেলাম এবং সেখানে কারলেটা ও আমি ড্রেস বদলালাম।
আমাকে ডিউকের মা ভালোবাসতেন না। কিন্তু সে আমায় বিয়ে করতে চায়। আমি ভাবতে পারিনি আমার স্বামীর ভাগ্নে ধরা পড়বে।
আমি খুব খুশী হয়েছিলাম যে অ্যাডামসের লেখা চিঠিটা ছিঁড়ে ফেলেছে। ডোনাল্ড রসের ব্যবহার ভালো লাগে নি বলে তাকে আমি শেষ করলাম। এলিস আমায় বলেছিল তাকে তুমি ডেকে পাঠিয়েছ এবং সে ব্যারণ মার্টিনের ব্যাপারে সব বলে দিয়েছে। তুমি তাকে জিজ্ঞাসা করনি প্যারিসের পার্শেলের বিষয়ে। এটা খুব অবাক লাগল। আমার যেটা নিজের ভালো লেগেছে সেটাই আমি করেছি। আমি চাই না আমার জন্য কারোর ক্ষতি হোক। আমি সবার সামনে ঝুলতে চাই না ফাঁসিকাঠে।
আমি মনে করি তুমি আমার আগে এরকম কোন খুনীকে দেখনি। আমি বিদায় নিতে চাই। আমি কাল তোমায় জয়ী দেখতে চাই। তুমি আমায় নিশ্চয়ই ক্ষমা করবে।
–জেন উইলকিনসন।