ইঁদুরের। একেবারে খাঁটি চীনা ইঁদুর। অনেক দেখেশুনে বেছে এনেছি, শান্তকণ্ঠে জানালো কিম।
সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল রবিনের। ওয়াক ওয়াক করতে করতে উঠে দৌড় দিলো বেসিনের দিকে।
বিকৃত হয়ে গেছে কিশোরে মুখ। রবিনের মতো বমি করতে না ছুটলেও মুখ দেখে বুঝতে অসুবিধে হলো না, পেট থেকে ঠেলে বেরিয়ে আসা খাবার চাপতে কষ্ট হচ্ছে।
পাথরের মতো মুখ করে বসে রইলেন লেখক। কিমের এসব অত্যাচার গা-সওয়া হয়ে গেছে তার।
কয়েকটা সেকেণ্ড নিথর হয়ে রইলো মুসা। তারপর হাসি ফুটলো মুখে। যাকগে, যা খাওয়ার তো খেয়েই ফেলেছি। এখন আর বলে কি হবে? এর চেয়ে কতো খারাপ জিনিস খেয়েছি। আমাজানের জঙ্গলে সাপ, প্রশান্ত মহাসাগরের মরুদ্বীপে শুঁয়াপোকা…মরুকগে। তা ভাই, কিম, দয়া করে দুই বোতল কোকাকোলা এনে দাও তো দেখি। বলে আবার অর্ধেক খাওয়া হ্যামবার্গারটা তুলে নিলো সে। আর গোটা চারেক হ্যামবার্গার। একটা খেয়ে কি হয়?
নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই, ইঁদুরের মাংসের প্লেট হাতে রান্নাঘরের দিকে ছুটলো নিসান জাং কিম।