সারা রাত চলেছে, বিশ্রাম দরকার। আমার নির্দেশ দিল কিশোর।
মোড় নিয়ে একটা দ্বীপের ভেতর ঢুকে গেছে সরু একটা উপখাল। তার মধ্যেও ঢুকল নৌবহর। বড় বড় কতগুলো বাদাম গাছের নিচে নোঙর ফেলল।
তীরের কাছে ঘুমাচ্ছে বিশাল এক কুমির। এতই গভীর ঘুম, গেল না ওটা, কয়েক হাত সরে জায়গা করে দিল শুধু নৌকাগুলোকে। চোখ আর নাকের দু-দিক ইলেকট্রিক বালবের মত ফোলা, ভেসে রয়েছে পানির ওপরে, বাকি শরীর পানির নিচে। লম্বা থুতনি বালিতে ঠেকানো।
পরিশ্রমে মাল্লারা সবাই ক্লান্ত, তিন গোয়েন্দারও শরীর ভেঙে আসছে। চোখে ঘুম।
পিঁপড়ে, জোঁক আর পোকামাকড়ের ভয়ে তীরে নামল না জিবা ও তিনজন ইনডিয়ান, ক্যানূর তলায় শুয়ে নাক ডাকাতে শুরু করল।
অন্যেরা শুলো খালপাড়ের নরম বালিতে। শোয়া মাত্রই ঘুম, কিন্তু মুসা জেগে রইল। কুমিরটাকে দেখে দুষ্টবুদ্ধি মাথাচাড়া দিয়েছে তার।