‘নাম?’
‘জিশান—জিশান পালচৌধুরী।’
‘বয়েস?’
‘ছাব্বিশ।’
‘হাইট? ওয়েট?’
‘পাঁচ-এগারো। আর ওয়েট চুয়াত্তর কেজি বোধহয়—লাস্ট যখন ওয়েট নিয়েছিলাম।’
‘নো প্রবলেম। এসব ডেটা আমরা আবার ক্রসচেক করে নেব—আমাদের রুটিন মেডিক্যাল চেক-আপ-এর সময়…।’
জিশান প্রশ্নের উত্তর দেওয়ামাত্রই মেয়েটির আঙুল চলছিল কিবোর্ডে। জিশান সম্পর্কে সমস্ত তথ্য ও ঢুকিয়ে দিচ্ছিল কম্পিউটারের মগজে।
জিশান মেয়েটিকে লক্ষ করছিল।
ছিপছিপে ফরসা চেহারা। মুখের মাপের তুলনায় চোখগুলো বড়-বড়। মুখের দুপাশে চুলের ঢল নেমেছে—ফলে মুখটাকে আরও ছোট দেখাচ্ছে।
মেয়েটির প্রসাধন খুবই সাধারণ। অন্তত জিশানের তাই মনে হল।
ওর চোখে কাজলরেখা, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক। আর পারফিউমের গন্ধ একটা নাকে আসছিল বটে, কিন্তু ওটা এমনই পালিয়ে-বেড়ানো ঢঙের যে, কে মেখেছে জিশান বুঝে উঠতে পারছিল না।
মেয়েটির গায়ে হালকা নীল টপ আর গাঢ় নীল স্কার্ট। অনেকটা ইউনিফর্ম পরা স্কুলের মেয়ের মতো লাগছে।
একঘেয়ে ভঙ্গিতে জিশানকে আরও অনেক প্রশ্ন করল মেয়েটি। যেমন, বাড়ির ঠিকানা, বাবার নাম, মায়ের নাম, বিয়ে করেছে কি না, এরকম আরও অনেক কিছু।
ওর প্রশ্নের উত্তর দিতে-দিতে জিশানের ঘুম পেয়ে যাচ্ছিল।
‘কোনওরকম নেশা করেন—বা করতেন?’
‘একসময় স্মোক করতাম—চারবছর হল ছেড়ে দিয়েছি।’
‘কেন?’
‘ওল্ড সিটির এয়ার পলিউশান কমানোর জন্যে।’
এই প্রথম জিশানের দিকে চোখ তুলে তাকাল মেয়েটি। চোখে এককণা হাসল।