আহা! এত ধান-চাল ঘরে ঠুস সু দেখলে তো একটা সময় খেতে পর্যন্ত পেলনি!
চন্দ্রার মৃত্যুটা বাঁশফুলের মড়ক, ধান-চাল বেচে পুলিশকে টাকা দিয়ে সর্বান্ত হয়ে যাওয়াটাও বাঁশফুলের দুর্ভিক্ষ।
চন্দ্রার বাবা পুলিশের সামনে সেদিন যা ঘটেছিল সবিস্তারে খুলে বলল—কী আর ঘটেছে দারোগাবাবু, যে গেছে সে গেছে, বাবাকে সাড়ে সাত হাজার টাকা ছাড় দিয়ে গেল মরার সময়, ওই হল, মেয়েই নেই তো তার পণ! শ্বশুর বলল—কারও কোন দোষ নেই, ওই বাঁশফুল ফোঁটার জন্য..ওই বাঁশফুল আমার মেয়েকে খেয়েছে।
কিন্তু দারোগা বাঁশফুলের কথা শুনল না অতুল ও তার বাবাকে ধরে চালান দিল, কেস চালাতে এবং এদের মুক্ত করতে বড়িতে যা ছিল থালা-ঘটিবাটি পর্যন্ত বেচতে হল।
মারিবুড়ো চমকে গিয়ে ওপর দিকে তাকায়, ঘন বাঁশ, বাঁশপাতা… না! কিন্তু গায়ে কী সরসর করছে? ও পিপড়ে। আশ্বস্ত হয়।
অতুল আবার বিয়ে করেছে, তার বউ গর্ভবতী।
এখন চন্দ্রা বাঁশফুলের গল্প হয়ে গেছে, হাতিহষ্কায় বাঁশফুলের কথা উঠলে চন্দ্রারও কথা ওঠে।