পয়সার জন্যেই তো ও মেয়ে পাচারের ব্যবসাটা শুরু করতে বাধ্য হল।
মেয়ে পাচারের হ্যাঁপা অনেক, কিন্তু হেভি মান্নু। গাঁ গঞ্জে মালিকের আড়কাঠি ছড়ানোই আছে। কেউ শালা প্রেম মহব্বতের নাম করে বাচ্চা মেয়েগুলোকে ফুসলিয়ে নিয়ে আসে, কেউ আবার চাকরি দেবার নাম করে। দুদিন এদিকওদিক থাকে, সংসার করে কী কলকাতা দেখে, তারপর একদিন হাত পা বেঁধে মালিকের লরিতে তুলে দিলেই হল। ইউ পি, দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা বাঙালি মেয়েদের হেবি ডিমান্ড। নরমসরম বডি, পাইয়াগুলো বিছানায় হেবি সুখ পায় নিশ্চয়ই? তার ওপর ভিতু বাঙালি, দুটো থাপ্পড় কষালেই চুপ থাকে। সাধে কী শ্লা সেই বাংলাদেশ থেকে বাঁকুড়া অবধি হাজার হাজার বাঙালি মেয়ে বাঁধাকপিগুলোর বিছানা গরম করছে? খুক খুক করে একটু হেসেই নেয় টেনিয়া।
পার মেয়ে দশ মতন পায় ও। মাগি একটু ফর্সা হলে আর মাইফাইয়ের সাইজ ভালো থাকলে তিরিশ অবধিও কামিয়েছে টেনিয়া। তবে এ লাইনের সবচেয়ে সুখ হচ্ছে, মেয়েগুলোকে তৈরি করার দায়িত্বটা টেনিয়াদের ওপরেই পড়ে। আহা, কচি মাল সব, আজকাল তো দশ-বারো থেকে মেয়ে তুলতে বলছে মালিক। পনেরো-ষোলোর বেশি হলেই নাকি কাস্টমার নাক সিঁটকোচ্ছে। সেই ভয়ে কাটা হয়ে যাওয়া, পেচ্ছাপ করে ফেলা বাচ্চা মেয়েগুলোকে ধরে বিছানায় তুলে আশ মিটিয়ে খাওয়ার মধ্যে যে কী অপার সুখ, সে টেনিয়া বলে বোঝাতে পারবে না।
চাদরের খরচাটা অবশ্য টেনিয়াই দেয়। সাদা চাদর ছাড়া টেনিয়া অন্য চাদর পছন্দ করে না, আর একবারের রক্তমাখা চাদর টেনিয়া দুবার ব্যবহার করে না। সেই জন্যে মালিক তো ওর নামই দিয়েছে চাদ্দরচোদ!
তবে যাতে টেনিয়ার সবচেয়ে বেশি লাভ, সেটা হল ফেসবুক!
ফেসবুকে শালা কিলবিল করছে বাঙালি মেয়ে। খানিকটা ওরই মতন দেখতে একটা ছেলের ছবি দিয়ে ঘ্যামা প্রোফাইল বানিয়েছে ও। বেশ কিছু কচি মাল এসে ঠুকরে যায়। সেক্সি থোবড়া দেখলে বাঙালি মেয়েগুলোরই প্রেম প্রেম বাই উথলে ওঠে বেশি, দেখেছে টেনিয়া। বাকি ওড়িয়া কী বিহারি কী পাঞ্জাবি মেয়েগুলো পাত্তা অবধি দেয় না, সেয়ানা জাতের মাল শালি–মনে মনে খিস্তি করে টেনিয়া।
ফেসবুক থেকে মেয়ে তোলার সবচেয়ে ভালো দিক হল– নো কাটমানি, শ্লা পুরো মালু নিজের ইয়েতে। আজও একটা শিকার দুপুর তিনটে নাগাদ এসে পৌঁছাবে, সঙ্গে দুটো ল্যাংবোট নিয়ে। সাল্লা, এক ছিপে তিন মছলি, আজ তো খুনখারাপি দিন টেনিয়ার!
শট নিয়ে একটা জাম্বোসাইজ বিড়ির মধ্যে তামাক আর টিকটিকির লেজপোড়া ছাই মিশিয়ে ভরে বানাতে বানাতেই পিছনে একটা খ্যাক খ্যাক আওয়াজ শুনতে পেয়ে হিংস্র কেউটের মতই ঘুরে বসে ও।
শিবা, টেনিয়ার এক নম্বর শাগরেদ। পকেটমার ছিল আগে, পরে কয়েকবছরের জন্য একটা গন্ধাবাজদের দলে ভিড়ে যায়। ভালো বোম বাঁধতে পারে, যদিও ওই করতে গিয়েই বাঁ হাতের কয়েকটি আঙুল মায়ের ভোগে গিয়েছে।
গুরু, এখানে বসে নেসা চোদাচ্ছ, ওদিকে তিনটে ফানটুস মিছরি টেসনের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্চে যে! বাড়ি থেকে পালিয়েচে বোদায়। সাঁটিস মাল গুরু, পুরো চাম্পি। বুকে এত্ত বড় মাদার ডেয়ারি নিয়ে ঘুরচে গুরু, টাইট জিন্স পরে আচে তো, ওহ, কী থাপা, কী পাঁচছল…।
চোখ দুটো সরু করে শিবার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই বিড়িটা ধরায় টেনিয়া। সেই সাপের চাউনির সামনে ভিখু একটু চুপ করে যায়। প্রথম টানটাই টং করে মাথায় গিয়ে লাগে টেনিয়ার মালগুলো তা হলে এসে গেছে? ফোনটা হলে এরোপ্লেন মোড় থেকে নর্মাল মোডে আনতে হবে তো!
ঠিক দেখেছিস? বিলকুল ফাঁকা? সঙ্গে কোনও আনছান চ্যাংড়া মাসুক নেই তো? সাবধান হওয়া ভালো, ভাবে টেনিয়া।
না গুরু, শিবার মতন আংলিদার আর পাবে না। সোব ছানবিন করে এসেছি। একটা বড়, প্লুরো হরিণঘাটা ডেয়ারি, পয়েরো-সোলো হবে, বাকি দুটো টুননি, দশ-বারো মতন, বড়টা একটা ব্যাগে ভরে কাপড়-চোপড় এনেচে, বোদয় বড়টা বাড়ি থেকে কাল্টি মেরেচে। গরম ছাম মাইরি, বেচতে পারলে ম্যালা সেরকড়ি গুরু, দেড় পেটির কম হবে না। তাড়াতাড়ি করো মাইরি, পুলিশ ঢুকে গেলে কিন্তু এক পয়সা পাবে না স্লা।
দেড় পেটি! কথাটা গিয়ে টেনিয়ার মস্তিষ্কে আঘাত করে। এতটা ও নিজেও ভাবেনি। আরেকটা টান মেরে ধীরেসুস্থে ওঠে ও, তারপর শিবার ঘাড়টা খপ করে ধরে, ঠিকঠাক ছানবিন করেছিস তো? আর কেউ নেই তো? আনসান খবর হলে কিন্তু তোমার গিনি বাজিয়ে ফাট করে দোবো হারামজাদা, খেয়াল থাকে যেন।
শিবা প্রায় নুইয়েই পড়ে, মাক্কালির দিব্যি গুরু। এলাকার মেয়ে নয়, তিনটেই আলগা ছাবকি, আর গরম মাল মাইরি, হেব্বি খাম খাম। বড়োটার বোধয় আশিকের সঙ্গে পালিয়ে যাবার ছিল, সে শ্লা চোখ উলটে কেটে পড়েছে! মালটা ফোন কচ্চে আর তারপরেই নামিয়ে রাকচে। মালগুলোর তো শ্লা কেস কিচাইন, সেই এক কোনায় বসে। হুসুরফুসুর করচে। গুরু তুমি তো ইংলিস ফিংলিস বলতে পারো, গিয়ে ছামতিনটের সঙ্গে ভাব জমাও না, আজ রাতটা রাজারহাটের ডেরায় তুলে তিনটেকেই ঝিললি পেলে। নিই, কাল পরশু আসলামের লরিতে করে…
সালা চামড়াচোর, কমলি দেখলেই চুদুরবুদুর না? আমাকে কাজ শেখাচ্ছিস সালা? চ্যল, চাবিটা নে, গাড়িটা রেডি রাখ। মোবাইল রেডি থাকে যেন, টুং করলেই সোজা পেছনের গেটে, মনে থাকবে?