জোয়ারের জলে ছপছপ শব্দ করতে করতে চলে যায় গফুর।
সন্ধ্যা হলে গোল চাঁদ ওঠে, বিশাল চাদ সমুদ্রের তরঙ্গে নাচে–সৈকতে বিছিয়ে থাকে পূর্ণিমার আলো। গফুরের কান্না থেমে গেছে, এখন আর শব্দ নেই কিন্তু শব্দ আছে আবুল হাশেমের করোটিতে। ও ট্যাক থেকে বিড়ি বের করে। চিৎ হয়ে শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ও বিড়ির ধোঁয়া ছাড়ে। বিড়ির মাথায় একবিন্দু আগুন জ্বলজ্বল করে। নাকের ওপর দিয়ে বরাবর তাকালে সে অণ্ডনের একটা সরলরেখা তৈরি হয়। ও জানে। ওই একবিন্দুই স্বপ্ন–স্বপ্ন ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন। তখন ওই সরলরেখার মাথায় একটি রঙিন মাছ ভেসে ওঠে।
Page 35 of 35