‘সে কী!’
‘হ্যাঁ চম্পকদা। প্রিয়দা কাঁদতে—কাঁদতে মামাবাড়ি চলে গেল।…কিছুদিন পরে অবশ্য বাবা নিজে গিয়ে প্রিয়দাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে এল। প্রিয়দা তবু এ বাড়িতে থাকল না। তবে বাবার অনুনয়—উপরোধে ব্যবসা দেখতে শুরু করল।’
‘তারপর?’
‘আমার বিয়ে হয়ে গেল। একসময় আমেরিকাও চলে গেলাম। বাবার বয়স বাড়ছে। আবার খ্যাপামি বাড়তে শুরু করল। যখন—তখন গালাগালি করে প্রিয়দাকে। দাদা গুম খেয়ে রাতে ফোন করে আমায়। আমি ফোন করে দাদাকে বোঝাই। রাগ কমে গেলে বাবা আবার অন্য মানুষ। ভাইপোর হাত জড়িয়ে দুঃখপ্রকাশ করে। এরমধ্যেই বাবা ধুমধাম করে ওর বিয়ে দিয়েছে।’
‘তারপর?’
‘বাবা অনেক অনুনয়—উপরোধ করে দাদা—বউদিকে পার্মানেন্টলি এ বাড়িতে থাকার জন্য নিয়ে এল।…তাতে সমস্যা কিন্তু বাড়ল। চম্পকদা, বউয়ের সামনে অপমান সহ্য করা খুব কঠিন।’
‘রিসেন্টলি এরকম কোনও ঘটনা ঘটেছিল?’
‘হ্যাঁ চম্পকদা।…দিন চারেক আগে। প্রিয়দা বউদি—ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ওঠে। বাবা অনেকবার ওকে বুঝিয়েছে, নিজের দোষ স্বীকার করেছে, প্রিয়দা ফেরেনি। কিন্তু অফিসে ঠিক আসত। বাড়িতে এসে বাবাকে দেখাশোনা করে রাতে চলে যেত। আসলে বাইরের লোককে বুঝতে দিত না। প্রতি রাতে এই নিয়ে বাবার সঙ্গে আমার ফোনে কথা হত। আমার ধারণা, প্রিয়দা সেই সময়েই প্রতিশোধের ডিসিশন নিয়ে ফেলে।’
‘ওঃ!’
‘প্রিয়দা স্যালারি পেত। বাবা ওকে পার্টনার করেনি। কিন্তু আমায় বলেছিল, গোটা ব্যবসাটা প্রিয়দার নামেই উইল করেছে। সম্পত্তিরও ফিফটি পার্সেন্ট ওকেই দিয়েছে। কিন্তু প্রিয়দা তো এসব কিছুই জানে না। তাই—’
‘হ্যাঁ মহিমা। বাবার মানে তোমার ছোটকাকার সুইসাইডের ঘটনাই বা প্রিয়তোষ ভোলে কী করে?’
‘ঠিক বলেছেন চম্পকদা। প্রিয়দাকে আমি খুনি ভাবতে পারছি না।’