হাদীস নং ২৪৫৪
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ ও ইসমাঈল রহ. হাদীসটি মালিক রহ. থেকে বর্ণনা করেছেন, এতে তিনি বলেন, সাদকা হিসাবে কতইনা উত্তম (দুধেল উটনী, যা মানীহা হিসাবে দেওয়া হয়)।
হাদীস নং ২৪৫৫
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ…………আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের সময় মুহাজিরদের হাতে কোন কিছু ছিল না। অন্য দিকে আনসারগণ ছিলেন জমি ও ভূসম্পত্তির অধিকারী। তাই আনসারগণ এই শর্তে মুহাজিরদের সাথে ভাগাভাগি করে নিলেন যে, প্রতি বছর তারা এর উৎপন্ন ফল ও ফসলের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ তাদের (আনসারদের) দিবেন আর তারা এ কাজে শ্রম দিবে ও দায়দায়িত্ব নিবে। আনাসের মা উম্মু সুলাইম রা. ছিলেন আবদুল্লাহ ইবনে আবু তালহার মা। আনাসের মা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (ফল ভোগ করার জন্য) কয়েকটি খেজুর গাছ দিয়ে ছিলেন। আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেগুলো তাঁর আযাদকৃত বাদী উসামা ইবনে যায়েদের মা উম্মু আয়মানকে দান করে দিয়েছিলেন। ইবনে শিহাব রহ. বলেন, আনাস রা. আমাকে বলেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারে ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে লড়াই শেষে মদীনায় ফিরে এলে মুহাজিরগণ আনসারদেরকে তাদের অস্থায়ী দানের সম্পত্তি ফিরিয়ে দিলেন, যেগুলো ফল ও ফসল ভোগ করার জন্য তারা মুহাজিরদের দান করেছিলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর (আনাসের) মাকে তার খেজুর গাছগুলো ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর র উম্মু আয়মানকে ঐ গাছগুলোর পরিবর্তে নিজ বাগানের কিছু অংশ দান করলেন। আহমদ ইবনে শাবীব রহ. বলেন, আমার পিতা আমাদেরকে ইউনুসের সূত্রে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন এবং حائطه এর স্থলে خالصه বলেছেন, যার অর্থ নিজ ভূমি থেকে।
হাদীস নং ২৪৫৬
মুসাদ্দাদ রহ………..আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : চল্লিশটি স্বভাবের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট হল দুধ পান করার জন্য কাউকে বকরী দেওয়া। কোন বান্দা যদি সাওয়াবের আশায় এবং পুরস্কার দানের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রেখে উক্ত চল্লিশ স্বভাবের যে কোন একটির উপরে আমল করে তবে আল্লাহ অবশ্যই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। হাসসান রহ. বলেন, দুধেল বকরী মানীহা দেওয়া ছাড়া আর যে কয়টি স্বভাব আমরা গণনা করলাম, সেগুলো হল সালামরে উত্তর দেওয়া, হাঁচি দাতার হাঁচির উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা, (চলাচলের) পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো ইত্যাদি। কিন্তু আমরা পনেরটি স্বভাবের বেশী গণনা করতে সক্ষম হলাম না।
হাদীস নং ২৪৫৭
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ………জাবির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কিছু লোকের অতিরিক্ত ভূসম্পত্তি ছিল। তারা পরষ্পর পরামর্শ করে ঠিক করল যে এগুলো আমরা তিন ভাগের এক ভাগ, চার ভাগের এক ভাগ বা অর্ধেক হিসাবে ইজারা দিবে। একথা শুনে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কারো অতিরিক্ত জমি থাকলে হয় সে নিজেই চাষ করবে, কিংবা তার ভাইকে তা (চাষ করতে( দিবে। আর তা না করতে চাইলে তা নিজের কাছেই রেখে দিবে। মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ…….আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক বেদুঈন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে হিজরত সম্পর্কে জানতে চাইল । তিনি তাকে বললেন, থাম ! হিজরতের ব্যাপারে সুকঠিন। (তার চেয়ে বরং বল) তোমার কি উট আছে? সে বলল, হ্যাঁ আছে। তিনি বললেন, তুমি কি এর সাদকা (যাকাত) আদায় করে থাক? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি দুধ পানের জন্য এগুলো মানীহা হিসাবে দিয়ে থাক সে বলল, হ্যাঁ। আবার তিনি প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা ! পানি পান করানোর (ঘাটে সমবেত অভাবী লোকদের মাঝে বিতরণের জন্য) উটগুলো দোহন করো কি ? সে বলল, হ্যাঁ। তখন তিনি ইরশাদ করলেন, এ যদি হয় তাহলে সাগরের ওপারে হলেও অর্থাৎ তুমি যেখানে থাক আমল করতে থাক। আল্লাহ তোমার আমলের প্রতিদানে কম করবেন না।
হাদীস নং ২৪৫৮
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ……….ইবনে আব্বসা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার এক জমিতে গেলেন, ফসলগুলো আন্দোলিত হচ্ছিল । তিনি জানতে চাইলেন, কার (ফসলের) জমি? লোকেরা বলল, (অমুক ব্যক্তির কাছে থেকে) অমুক ব্যক্তি এটি ইজারা নিয়েছে। তিনি বললেন, জমিটার নির্দিষ্ট ভাড়া গ্রহণ না করে সে যদি তাকে সাময়িকভাবে তা দিয়ে দিত তবে সেটাই হতো তার জন্য উত্তম।
হাদীস নং ২৪৫৯
আবুল ইয়ামান রহ……..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ণিত গ্রন্থ হতে বলেছেন, ইবরাহীম আ.(স্ত্রী) সারাকে সাথে নিয়ে হিজরত করলেন। (পথে এক জনপদের) লোকেরা সারার উদ্দেশ্যে হাজিরকে হাদিয়া দিলেন। তিনি ফিরে এসে (ইবরাহীমকে) বললেন, আপনি কি জেনেছেন; কাফিরকে আল্লাহ পরাস্ত করেছেন এবং সেবার জন্য একটি বালিকা দান করেছেন। ইবনে সীরীন রহ. আবু হুরায়রা রা.-এর সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তারপর (সেই কাফির) সারার সেবার উদ্দেশ্যে হাজেরাকে দান করল।