হাদীস নং ১৮৯২
মুহাম্মদ ইবনুল মুসান্না রহ……….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, তোমরা (লাইলাতুল কাদর) তালাশ কর।
হাদীস নং ১৮৯৩
মুহাম্মদ রহ……….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন : তোমরা রমযানের শেষ দশকে লাইলাতুল কাদর তালাশ কর।
হাদীস নং ১৮৯৪
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ……..ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা তা (লাইলাতুল কাদর) রমযানের শেষ দশকে তালাশ কর। লাইলাতুল কাদর (শেষ দিক হতে গণনায়) নবম, সপ্তম বা পঞ্চম রাত অবশিষ্ট থাকে।
হাদীস নং ১৮৯৫
আবদুল্লাহ ইবনে আবুল আসওয়াদ রহ……….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তা শেষ দশকে, তা অতিবাহিত নবম রাতে অথবা অবশিষ্ট সপ্তম রাতে অর্থাৎ লাইলাতুল কাদর। ইবনে আব্বাস রা. থেকে অন্য সূত্রে বর্ণিত যে, তোমরা ২৪তম রাতে তালাশ কর।
হাদীস নং ১৮৯৬
মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না রহ……..উবাদা ইবনুস সামিত রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে লাইলাতুল কদরের (নির্দিষ্ট তারিখের) অবহিত করার জন্য বের হয়েছিলেন। তখন দু’জন মুসলমান ঝগড়া করছিল। তা দেখে তিনি বললেন : আমি তোমাদেরকে লাইলাতুল কাদরের সংবাদ দিবার জন্য বের হয়েছিলাম, তখন অমুক অমুক ঝগড়া করছিল, ফরে তার (নির্দিষ্ট তারিখের) পরিচয় হারিয়ে যায়। সম্ভবত : এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তোমরা নবম, সপ্তম ও পঞ্চম রাতে তা তালাশ কর।
হাদীস নং ১৮৯৭
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন রমযানের শেষ দশক আসত তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশী বেশী ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত্রে জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন।
ই’তিকাফ অধ্যায় (১৮৯৮-১৯১৮)
হাদীস নং ১৮৯৮
ইসমাঈল ইবনে আবদুল্লাহ রহ………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশক ইতিকাফ করতেন।
হাদীস নং ১৮৯৯
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………নবী সহধর্মিণী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশক ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীগণও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন।
হাদীস নং ১৯০০
ইসমাঈল রহ……….আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের মধ্যম দশকে ইতিকাফ করতেন। এক বছর এরূপ ইতিকাফ করেন, যখন একুশের রাত এল, যে রাতের সকালে তিনি তাঁর ইতিকাফ হতে বের হবেন, তখন তিনি বললেন : যারা আমার সংগে ইতিকাফ করেছে তারা যেন শেষ দশক ইতিকাফ করে। আমাকে স্বপ্নে এই রাত (লাইলাতুল কাদর) দেখানো হয়েছিল, পরে আমাকে তা (সঠিক তারিখ) ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য আমি স্বপ্নে দেখতে পেয়েছি যে, ঐ রাতের সকালে আমি কাদা-পানির মাঝে সিজদা করছি। তোমরা তা শেষ দশকে তালাশ কর এবং প্রত্যেক বেজোড় রাতে তালাশ কর। পরে এই রাতে আকাশ হতে বৃষ্টি পড়তে লাগল। একুশের রাতের সকালে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কপালে কাদা-পানির চিহ্ন আমার এ দু’চোখ দেখতে পায়।
হাদীস নং ১৯০১
মুহাম্মদ ইবনুল মুসান্না রহ……….নবী সহধর্মিণী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে তাঁর মাথা ঝুঁকিয়ে দিতেন আর আমি ঋতুবতী অবস্থায় তাঁর চুল আঁচড়িয়ে দিতাম।
হাদীস নং ১৯০২
কুতাইবা রহ……..নবী সহধর্মিণী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে থাকাবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ইতিকাফে থাকতেন তখন (প্রাকৃতিক) প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না।
হাদীস নং ১৯০৩
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ…….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঋতুবতী অবস্থায় আমার সঙ্গে কাটাতেন এবং তিনি ইতিকাফরত অবস্থায় মসজিদ হতে তাঁর মাথা বের করে দিতেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় তা ধুয়ে দিতাম।
হাদীস নং ১৯০৪
মুসাদ্দাদ রহ…….ইবনে উমর রা. সূত্রে বর্ণিত যে, উমর রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞাসা করেন যে, আমি জাহিলিয়্যা যুগে মসজিদুল হারামে এক রাত ইতিকাফ করার মানত করেছিলাম। তিনি (উত্তরে) বললেন : তোমরা মানত পুরা কর।
হাদীস নং ১৯০৫
আবুন নুমান রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমযানের শেষ দশকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করতেন। আমি তাঁর তাবু তৈরী করে দিতাম। তিনি ফজরের সালাত আদায় করে তাঁতে প্রবেশ করতেন। হাফসা রা. তাবু খাটাবার জন্য আয়িশা রা.-এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলে হাফসা রা. তাবু খাটালেন। যায়নাব বিনতে জাহাশ রা. তা দেখে আরেকটি তাবু তৈরী করলেন। সকালে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁবুগুলো দেখলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন : এগুলো কী ? তাকে জানানো হলে তিনি বললেন : তোমরা কি মনে কর এগুলো দিয়ে নেকী হাসিল হবে ? এ মাসে তিনি ইতিকাফ ত্যাগ করলেন এবং পরে শাওয়াল মাসে দশ দিন ইতিকাফ করেন।