হাদীস নং ১৮৩০
হুমাইদী রহ……..উমর ইবনে খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যখন রাত্র সে দিক থেকে ঘনিয়ে আসে ও দিন এ দিক থেকে চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায়, তখন সায়িম ইফতার করবে।
হাদীস নং ১৮৩১
ইসহাক ওয়াসিতী রহ………আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক সফরে আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। আর তিনি ছিলেন সায়িম। যখন সূর্য ডুবে গেল তখন তিনি দলের কাউকে বললেন : হে অমুক ! উঠ। আমাদের জন্য জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! সন্ধ্যা হলে ভাল হতো। তিনি বললেন : নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! সন্ধ্যা হলে ভাল হতো। তিনি বললেন : নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। সে বলল, দিন তো আপনার এখনো রয়েছে। তিনি বললেন : তুমি নামো এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। তারপর সে নামল এবং তাদের জন্য ছাতু গুলিয়ে আনল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা পান করলেন, তারপর বললেন : যখন তোমরা দেখবে, রাত একদিক থেকে ঘনিয়ে আসছে, তখন সায়িম ইফতার করবে।
হাদীস নং ১৮৩২
মুসাদ্দাদ রহ………আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে রওয়ানা দিলাম এবং তিনি রোযাদার ছিলেন। সূর্য অস্ত যেতেই তিনি বললেন : তুমি সওয়ারী থেকে নেমে আমাদের জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! সন্ধ্যা হলে ভাল হতো। তিনি বললেন : নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। সে বলল, দিন তো আপনার এখনো রয়েছে। তিনি বললেন : তুমি নামো এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। তারপর সে নামলেন এবং তাদের জন্য ছাতু গুলিয়ে আনলেন। এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আঙ্গুল দ্বারা পূর্বদিকে ইশারা করে বললেন : যখন তোমরা দেখবে যে, রাত এদিক থেকে আসছে, তখনই রোযাদারের ইফতারের সময় হয়ে গেল।
হাদীস নং ১৮৩৩
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………সাহল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : লোকেরা যতদিন যাবত ওয়াক্ত হওয়ামাত্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।
হাদীস নং ১৮৩৪
আহমদ ইবনে ইউনুস রহ………ইবনে আবু আওফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সফরে আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি সন্ধ্যা পর্যন্ত সাওম পালন করেন। এরপর এক ব্যাক্তিকে বললেন : সওয়ারী হতে নেমে ছাতু গুলিয়ে আন। লোকটি বলল, আপনি যদি (পূর্ণ সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত) অপেক্ষা করতেন। তিনি (নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পুনরায় বললেন : নেমে আমার জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। (তারপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ) যখন তুমি এদিক (পূর্বদিক) হতে রাত্রির আগমন দেখতে পাবে তখন রোযাদার ইফতার করবে।
হাদীস নং ১৮৩৫
আবদুল্লাহ ইবনে আবু শায়বা রহ……….আসমা বিনতে আবু বকর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে একবার মেঘাচ্ছন্ন দিনে আমরা ইফতার করলাম, এরপর সূর্য দেখা যায় । বর্ণনাকারী হিশামকে জিজ্ঞাসা করা হল, তাদের কি কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল? হিশাম রহ. বললেন, কাযা ছাড়া উপায় কি ? (অপর বর্ণনাকারী) মামার রহ. বলেন, আমি হিশামকে বলতে শুনেছি, তাঁরা কাযা করেছিলেন কি না তা আমি জানিনা।
হাদীস নং ১৮৩৬
মুসাদ্দাদ রহ……….রুবায়্যি বিনতে মুআব্বিয রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আশুরার সকালে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের সকল পল্লীতে এ নির্দেশ দিলেন : যে ব্যক্তি সাওম পালন করেনি সে যেন দিনে বাকি অংশ না খেয়ে থাকে, আর যার সাওম অবস্থায় সকাল হয়েছে, সে যেন সাওম পূর্ণ করে। তিনি (রুবায়্যি) রা. বলেন, পরবর্তীতে আমরা ঐ দিন রোযা রাখতাম এবং আমাদের শিশুদের রোযা রাখতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরী করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে তাকে ঐ খেলনা দিয়ে ইফতার পর্যন্ত ভুলিয়ে রাখতাম। আবু আবদুল্লাহ রহ. বলেন, (ইহনুন) পশম।
হাদীস নং ১৮৩৭
মুসাদ্দাদ রহ………আনাস রা. থেকে বর্নিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা সাওমে বেসাল পালন করবে না। লোকেরা বলল, আপনি যে সাওমে বেসাল করেন ? তিনি বললেন : আমি তোমাদের মত নই। আমাকে পানাহার করানো হয় (অথবা বললেন) আমি পানাহার অবস্থায় রাত অতিবাহিত করি।
হাদীস নং ১৮৩৮
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……..আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওমে বেসাল হতে নিষেধ করলেন। লোকেরা বলল, আপনি যে সাওমে বেসাল পালন করেন ! তিনি বললেন : আমি তোমাদের মত নই, আমাকে পানাহার করানো হয়।
হাদীস নং ১৮৩৯
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……..আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছে যে, তোমরা সাওমে বেসাল পালন করবে না। তোমাদের কেউ সাওমে বেসাল করতে চাইলে সে যেন সাহরীর সময় পর্যন্ত করে। লোকেরা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আপনি যে সাওমে বেসাল পালন করেন ? তিনি বললেন : আমি তোমাদের মত নই, আমি রাত্রি যাপন করি এরূপ অবস্থায় যে, আমার জন্য একজন খাদ্য পরিবেশনকারী থাকেন যিনি আহার করান এবং একজন পানীয় পরিবেশনকারী আমাকে পান করান।