হাদীস নং ১৪৭৫
কুতাইবা ইবনে সাঈদ রহ………সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উসফান নামক স্থানে অবস্থানকালে আলী ও উসমান রা. -এর মধ্যে হজ্জে তামাত্তু করা সম্পর্কে পরস্পরে দ্বিমত সৃষ্টি হয়। আলী রা. উসমান রা.-কে লক্ষ্য করে বললেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কাজ করেছেন, আপনি কি তা থেকে বারণ করতে চান ? উসমান রা. বললেন, আমাকে আমার অবস্থায় থাকতে দিন। আলী রা. এ অবস্থা দেখে তিনি হজ্জ ও উমরা উভয়ের ইহরাম বাঁধেন।
হাদীস নং ১৪৭৬
মুসাদ্দাদ রহ………জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আমরা হজ্জের তালবিয়া পাঠ করতে করতে (মক্কায়) উপনীত হলাম। এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিলেন, আমরা হজ্জকে উমরায় পরিণত করলাম।
হাদীস নং ১৪৭৭
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ……….ইমরান ইবনে হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে হজ্জে তামাত্তু করেছি, কুরআনেও তার বিধান নাযিল হয়েছে অথচ এক ব্যক্তি তার ইচ্ছামত অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
হাদীস নং ১৪৭৮
ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম রহ………নাফি রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে উমর রা. হারামের নিকটবর্তী স্থানে পৌঁছলে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতেন। তারপর যী-তুয়া নামক স্থানে রাত যাপন করতেন। এরপর সেখানে ফজরের সালাত আদায় করতেন ও গোসল করতেন। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করতেন।
হাদীস নং ১৪৭৯
মুসাদ্দাদ রহ……..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোর পর্যন্ত যা-তুয়ায় রাত যাপন করেন, তারপর মক্কায় প্রবেশ করেন। (রাবী নাফি বলেন) ইবনে উমর রা.-ও এরূপ করতেন।
হাদীস নং ১৪৮০
ইবরাহীম ইবনে মুনযির রহ…….ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সানিয়্যা উলয়া (হরমের উত্তর-পূর্বদিকে কাদা নামক স্থান দিয়ে) মক্কায় প্রবেশ করতেন এবং সানিয়্যা সুফলা (হরমের দক্ষিণ-পশ্চিমদিকে কুদা নামক স্থান) দিয়ে বের হতেন।
হাদীস নং ১৪৮১
মুসাদ্দাদ ইবনে মুসারহাদ বাসরী রহ………..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাতহায় অবস্থিত সানিয়্যা উলয়ার কাদা নাম স্থান দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন এবং সানিয়্যা সুফলার দিক দিয়ে বের হন।
হাদীস নং ১৪৮২
হুমাইদী রহ. ও মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না রহ…….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কায় আসেন তখন এর উচ্চ স্থান দিয়ে প্রবেশ করেন এবং নীচু স্থান দিয়ে ফিরার পথে বের হন।
হাদীস নং ১৪৮৩
মাহমুদ রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের বছর কাদা-র পথে (মক্কায়) প্রবেশ করেন এবং বের হন কুদা-র পথে যা মক্কার উচু স্থানে অবস্থিত।
হাদীস নং ১৪৮৪
আহমদ রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের বছর কাদা নামক স্থান দিয়ে মক্কায় উচু ভূমির দিক থেকে প্রবেশ করেন। রাবী হিশাম রহ. বলেন, (আমার পিতা) উরওয়া রা. কাদা ও কুদা উভয় স্থান দিয়ে (মক্কায়) প্রবেশ করতেন। তবে অধিকাংশ সময় কুদা দিয়ে প্রবেশ করতেন, কেননা, তাঁর বাড়ি এ পথে অধিক নিকটবর্তী ছিল।
হাদীস নং ১৪৮৫
আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল ওহহাব রহ……উরওয়া রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের বছর মক্কার উচু ভূমি কাদা দিয়ে (মক্কায়) প্রবেশ করেন। (রাবী হিশাম রহ. বলেন) উরওয়া রহ. অধিকাংশ সময় কুদা-র পথে প্রবেশ করতেন, কেননা তাঁর বাড়ি এ পথের অধিক নিকটবর্তী ছিল।
হাদীস নং ১৪৮৬
মূসা রহ………উরওয়া রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের বছর কাদা-র পথে মক্কায় প্রবেশ করেন। (রাবী হিশাম রহ. বলেন) উরওয়া রহ. উভয় পথেই প্রবেশ করতেন, তবে কুদা-র পথে তাঁর বাড়ি নিকটবর্তী হওয়ার কারণে সে পথেই অধিকাংশ সময় প্রবেশ করতেন। আবু আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী রহ.) বলেন, কাদা ও কুদা দুটি স্থানের নাম।
হাদীস নং ১৪৮৭
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ……..জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কাবা ঘর পুনঃনির্মাণের সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আব্বাস রা. পাথর বহন করছিলেন। আব্বাস রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, তোমার লুঙ্গিটি কাঁধের উপর নাও। তিনি তা করলে মাটিতে পড়ে গেলেন এবং তাঁর উভয় চোখ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকল। তখন তিনি বললেন : আমার লুঙ্গি দাও এবং তা বেঁধে নিলেন।
হাদীস নং ১৪৮৮
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলাম রহ. আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন : তুমি কি জান না ! তোমার সম্প্রদায় যখন কাবা ঘরের পুনঃ নির্মাণ করেছিল তখন ইবরাহীম আ. কর্তৃক কাবা ঘরের মূল ভিত্তি থেকে তা সংকুচিত করেছিল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আপনি কি একে ইবরাহীমী ভিত্তির উপর পুনঃস্থাপন করবেন না ? তিনি বললেন : যদি তোমার সম্প্রদায়ের যুগ কুফরীর নিকটবর্তী না হত তাহলে অবশ্য আমি তা করতাম। আবদুল্লাহ (ইবনে উমর রা. বলেন, যদি আয়িশা রা. নিশ্চিতরূপে তা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনে থাকেন, তাহলে আমার মনে হয় যে, বায়তুল্লাহ হাতীমের দিক দিয়ে সম্পূর্ণ ইবরাহীমী ভিত্তির উপর নির্মিত না হওয়ার কারণেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাওয়াফের সময়) হাতীম সংলগ্ন দুটি কোণ স্পর্শ করতেন ন।