হাদীস নং ১৪৩৩
ইয়াহইয়া ইবনে বিশর রহ………..ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়ামানের অধিবাসীগণ হজ্জে গমনকালে পাথেয় সংগে নিয়ে যেত না এবং তারা বলছিল, আমরা আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল। কিন্তু মক্কায় উপনীত হয়ে তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচনা করে বেড়াত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ অবতীর্ণ করেন : তোমরা পাথেয়র ব্যবস্থা করা, আত্মসংযম ই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হাদীসটি ইবনে উয়ায়না রহ. আমর রহ. সূত্রে ইকরিমা রহ. থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ১৪৩৪
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ……….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম বাঁধার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মদীনাবাসীদের জন্য যুল- হুলাইফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, নজদবাসীদের জন্য কারনুল মানাযিল, ইয়ামানবাসীদের জজন্য ইয়ালামলাম। হজ্জ ও উমরা নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসী সকলের জন্য উক্ত স্থানগুলো মীকাতরূপে গণ্য এবং যারা এ সব মীকাতের ভিতরে (অর্থাৎ মক্কার নিকটবর্তী) স্থানের অধিবাসী, তারা যেখান হতে হজ্জের নিয়্যাত করে বের হবে (সেখান হতে ইহরাম বাঁধবে) এমনকি মক্কাবাসী মক্কা থেকেই (হজ্জের) ইহরাম বাঁধবে।
হাদীস নং ১৪৩৫
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : মদীনাবাসীগণ যুল-হুলাইফা থেকে, সিরিয়াবাসীগণ জুহফা থেকে ও নজদবাসীগণ কারন থেকে ইহরাম বাঁধবে। আবদুল্লাহ রা. বলেন, আমি (অন্যের মাধ্যমে) জানতে পেরেছি, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ইয়ামানবাসীগণ ইয়ালামলাম থেকে ইহরাম বাঁধবে।
হাদীস নং ১৪৩৬
মুসাদ্দাদ রহ…………ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম বাঁধার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মদীনাবাসীদের জন্য যুল-হুলাইফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, নজদবাসীদের জন্য কারনুল-মানাযিল, ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম। উল্লিখিত স্থানসমূহ হজ্জ ও উমরার নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য ইহরাম বাঁধার স্থান এবং মীকাতের ভিতরে স্থানের লোকেরা নিজ বাড়ি থেকে ইহরাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা থেকেই ইহরাম বাঁধবে।
হাদীস নং ১৪৩৭
আলী ও আহমদ রহ………..আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মীকাতের সীমা নির্ধারিত করেছেন। তিনি বলেন, মদীনাবাসীদের মীকাত হল যুল-হুলাইফা, সিরিয়াবাসীদের মীকাত হল মাহয়াআ যার অপর নাম জুহফা এবং নজদবাসীদের মীকাত হল কারন। ইবনে উমর রা. বলেন, আমি শুনিনি, তবে লোকেরা বলে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ইয়ামনবাসীদের মীকাত হল ইয়ালামলাম।
হাদীস নং ১৪৩৮
কুতাইবা রহ……….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনাবাসীদের জন্য মীকাত নির্ধারণ করেন যুল-হুলাইফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম, নজদবাসীদের জন্য কারন। উল্লিখিত স্থানসমূহ হজ্জ ও উমরার নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য ইহরাম বাঁধার স্থান। আর যে মীকাতের ভিতরের অধিবাসী সে নিজ বাড়ি থেকে ইহরাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা থেকেই ইহরাম বাঁধবে।
হাদীস নং ১৪৩৯
মুআল্লা ইবনে আসাদ রহ………..ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনাবাসীদের জন্য মীকাত নির্ধারণ করেন যুল-হুলাইফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম, নজদবাসীদের জন্য কারন। উল্লিখিত স্থানসমূহ হজ্জ ও উমরার নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য ইহরাম বাঁধার স্থান। এ ছাড়াও যারা মীকাতের ভিতরের অধিবাসী তারা সেখান থেকেই (ইহরাম আরম্ভ করবে) এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা থেকেই (ইহরাম বাঁধবে)।
হাদীস নং ১৪৪০
আলী ইবনে মুসলিম রহ…………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন এ শহর দুটি (কুফা ও বসরা) বিজিত হল, তখন সে স্থানের লোকগণ উমর রা.-এর নিকট এসে নিবেদন করল, হে আমীরুল মু’মিনীন ! নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নজদবাসীদের জন্য (মীকাত হিসাবে) সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন কারন, কিন্তু তা আমাদের পথ থেকে দূরে। কাজেই আমরা কারন-সীমায় অতিক্রম করতে চাইলে তা হবে আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। উমর রা. বললেন, তাহলে তোমরা লক্ষ্য করা তোমাদের পথে কারন-এর সম দূরত্ব-রেখা কোন স্থানটি ? তারপর তিনি যাতু’ইরক মীকাতরূপে নির্ধারণ করেছেন।
হাদীস নং ১৪৪১
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আবদুল্লাহ ইবেন উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল-হুলাইফার বাতহা নামক উপত্যকায় উট বসিয়ে সালাত আদায় করেন। (রাবী নাফি বলেন) ইবনে উমর রা.ও তাই করতেন।