হাদীস নং ১৪১৯
আহমদ ইবনে ইউনুস রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদকাতুল ফিতর হিসাবে এক সা’ পরিমাণ খেজুর বা এক সা’ পরিমাণ যব দিয়ে আদায় করতে নির্দেশ দেন। আবদুল্লাহ রা. বলেন, তারপর লোকেরা যবের সমপরিমাণ হিসেবে দু’ মুদ (অর্ধ সা’) গম আদায় করতে থাকে।
হাদীস নং ১৪২০
আবদুল্লাহ ইবনে মুনীর রহ…….আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক সা’ খাদ্যদ্রব্য বা এক সা’ খেজুর বা এক সা’ যব বা এক সা’ কিসমিস দিয়ে সাদকাতুল ফিতর আদায় করতাম। মুআবিয়া রা.-এর যুগে যখন গম আমদানী হল তখন তিনি বললেন, এক মুদ গম (পূর্বোক্তগুলোর) দু’ মুদ-এর সমপরিমাণ বলে আমার মনে হয়।
হাদীস নং ১৪২১
আদম রহ………ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে ঈদের সালাতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বেই সাদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দেন।
হাদীস নং ১৪২২
মুআয ইবনে ফাযালা রহ……….আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে ঈদের দিন এক সা’ পরিমাণ খাদ্য সাদকাতুল ফিতর হিসাবে আদায় করতাম। আবু সাঈদ রা. বলেন, আমাদের খাদ্যদ্রব্য ছিল যব, কিসমিস, পনির ও খেজুর।
হাদীস নং ১৪২৩
আবু নুমান রহ……..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক পুরুষ, মহিলা, আযাদ ও গোলামের পক্ষ থেকে সাদকাতুল ফিতর অথবা (বলেছেন) সাদকা-ই রমাযান হিসাবে এক সা’ খেজুর বা এক সা’ যব আদায় করা ফরয করেছেন। তারপর লোকেরা অর্ধ সা’ গমকে এক সা’ খেজুরের সমপরিমাণ দিতে লাগল। (রাবী নাফি রহ. বলেন) ইবনে উমর রা. খেজুর (সাদকাতুল ফিতর হিসাবে) দিতেন। এক সময় মদীনায় খেজুর দুর্লভ হলে যব দিয়ে তা আদায় করেন। ইবনে উমর রা. প্রাপ্ত বয়স্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক সকলের পক্ষ থেকেই সাদকাতুল ফিতর আদায় করতেন, এমনকি আমার সন্তানদের পক্ষ থেকেও সাদকার দ্রব্য গ্রহীতাদের কে দিয়ে দিতেন এবং ঈদের এক দু’ দিন পূর্বেই আদায় করে দিতেন। আবু আবদুল্লাহ রহ. বলেন, আমার সন্তান অর্থাৎ নাফি রহ.-এর সন্তান। তিনি আরও বলেন, সাদকার মাল একত্রিত করার জন্য দিতেন, ফকিরদের দেওয়ার জন্য নয়।
হাদীস নং ১৪২৪
মুসাদ্দাদ রহ………ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপ্রাপ্ত বয়স্ক, প্রাপ্ত বয়স্ক, আযাদ ও গোলাম প্রত্যেকের পক্ষ থেকে এক সা’ যব অথবা এক সা’ খেজুর সাদকাতুল ফিতর হিসাবে আদায় করা ফরয করে দিয়েছেন।
হজ্জ অধ্যায় (১৪২৫-১৭৪৫)
হাদীস নং ১৪২৫ Missing
হাদীস নং ১৪২৬
আহমদ ইবনে ঈসা রহ……..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি দেখেছি, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল-হুযাইফা নামক স্থানে তাঁর বাহনের উপর আরোহণ করেন, বাহনটি সোজা হয়ে দাঁড়াতেই তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করতে থাকেন।
হাদীস নং ১৪২৭
ইবরাহীম ইবনে মূসা রহ………..জাবির ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তালবিয়া পাঠ যুল-হুলাইফা থেকে শুরু হত যখন তাঁর বাহন তাকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াত। হাদীসটি আনাস ও ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করেছেন অর্থাৎ ইবরাহীম ইবনে মূসা রহ.-এর বর্ণিত হাদীসটি।
হাদীস নং ১৪২৮
আমর ইবনে আলী রহ……….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আপনারা উমরা করলেন, আর আমি উমরা করতে পারলাম না । নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : হে আবদুর রহমান ! তোমার বোন (আয়িশা)-কে সাথে নিয়ে তানঈম থেকে গিয়ে উমরা করিয়ে নিয়ে এসো। তিনি আয়িশাকে উটের পিঠে ছোট একটি হাওদার পশ্চাদ্ভাগে বসিয়ে দেন এবং তিনি উমরা সমাপন করেন।
হাদীস নং ১৪২৯
আবদুল আযীয ইবনে আবদুল্লাহ রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করা হল, সর্বোত্তম আমল কোনটি ? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা। জিজ্ঞাসা করা হল, তারপর কোনটি ? তিনি বললেন : আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞাসা করা হল, তারপর কোনটি ? তিনি বললেন : হজ্জ-ই মাবরূর (মাকবুল হজ্জ)।
হাদীস নং ১৪৩০
আবদুর রহমান ইবনে মুবারক রহ………উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! জিহাদকে আমরা সর্বোত্তম আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করব না ? তিনি বললেন : না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আমল হল, হজ্জে মাবরূর।
হাদীস নং ১৪৩১
আদম রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ করল এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত রইল, সে নবজাতক শিশু, যাকে তার মা এ মুহূর্তেই প্রসব করেছে, তার ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরবে।
হাদীস নং ১৪৩২
মালিক ইবনে ইসমাঈল রহ………যায়েদ ইবনে জুবাইর রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.-এর কাছে তাঁর অবস্থান স্থলে যান, তখন তাঁর জন্য তাঁবু ও চাদওয়া টানানো হয়েছিল। (যায়েদ রা. বলেন) আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কোন স্থান থেকে উমরার ইহরাম বাঁধা জায়িজ হবে ? তিনি বললেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজদবাসীদের জন্য কারন, মদীনাবাসীদের জন্য যুল-হুলাইফা ও সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা (ইহরামের মীকাত) নির্ধারণ করে দিয়েছেন।