হাদীস নং ১৪০৭
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ………উম্মে আতিয়্যা আনসারীয়া রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশা রা.-এর নিকট গিয়ে বললেন : তোমাদের কাছে (খাওয়ার) কিছু আছে কি ? আয়িশা রা. বললেন : না, তবে আপনি সাদকা স্বরূপ নুসায়বাকে বকরীর যে গোশত পাঠিয়েছিলেন, সে তার কিছু পাঠিয়ে দিয়েছিল (তা ছাড়া কিছু নেই)। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : সাদকা তার যথাস্থানে পৌছেছে।
হাদীস নং ১৪০৮
ইয়াহইয়া ইবনে মূসা রহ………..আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে, বারীরা রা.-কে সাদকাকৃত গোশতের কিছু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেওয়া হল । তিনি বললেন, তা বারীরার জন্য সাদকা এবং আমাদের জন্য হাদীয়া। আবু দাউদ রহ.বলেন যে, শু’বা রহ. কাতাদা রহ. সূত্রে আনাস রা.-এর মাধ্যমে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ১৪০৯
মুহাম্মদ ইবনে মুকাতিল রহ………ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুআয ইবনে জাবাল রা.-কে ইয়ামানের (শাসক নিয়োগ করে) পাঠানোর সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছিলেন : তুমি আহলে কিতাবের কাছে যাচ্ছ। কাজেই তাদের কাছে যখন পৌঁছবে তখন তাদেরকে এ কথার দিকে দাওয়াত দিবে তারা যেন সাক্ষ্য দিয়ে বলে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। যদি তারা তোমার এ কাথা মেনে নেয় তবে তাদের বলবে যে, আল্লাহ তাদের উপর দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যদি তারা এ কথাও মেনে নেয় তবে তাদের বলবে যে, আল্লাহ তাদের উপর সাদকা (যাকাত) ফরয করেছেন যা তাদের ধনীদের নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে এবং অভাবগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হবে। তোমার এ কথা যদি তারা মেনে নেয়, তবে (কেবল) তাদের উত্তম মাল গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে এবং মজলুমের বদদু’আকে ভয় করবে। কেননা, তার (বদদু’আ) এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকে না।
হাদীস নং ১৪১০
হাফস ইবনে উমর রহ……..আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকজন যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিজেদের সাদকা নিয়ে উপস্থিত হত তখন তিনি বলতেন : আল্লাহ ! অমুকের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন। একবার আমার পিতা সাদকা নিয়ে হাজির হলে তিনি বললেন : হে আল্লাহ ! আবু আওফার বংশধরের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন।
হাদীস নং ১৪১১
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : চতুষ্পদ জন্তুর আঘাত দায়মুক্ত, কূপ (খননে শ্রমিকের মৃত্যুতে মালিক) দায়মুক্ত, খনি (খননে কেউ মারা গেলে মালিক) দায়মুক্ত। রিকাযে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব।
হাদীস নং ১৪১২
ইউসুফ ইবনে মূসা রহ……….আবু হুমাইদ সাঈদী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আসদ গোত্রের ইবনে লুতবিয়া নামক জনৈক ব্যক্তিকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনু সুলাইম গোত্রের যাকাত উসুল করার কাজে নিয়োগ করেন। তিনি ফিরে আসলে তার নিকট থেকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিসাব নিলেন।
হাদীস নং ১৪১৩
মুসাদ্দাদ রহ………..আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উরাইনা গোত্রের কতিপয় লোকেরা মদীনার আবহাওয়া প্রতিকুল হওয়ায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে যাকাতের উটের কাছে গিয়ে উটের দুধ পান করার ও পেশাব (ব্যবহার করার) অনুমতি প্রদান করেন। তারা রাখালকে (নির্মমভাবে) হত্যা করে এবং উট হাঁকিয়ে নিয়ে (পালিয়ে) যায়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের পশ্চাদ্ধাবনে লোক প্রেরণ করেন, তাদেরকে ধরে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের হাত পা কেটে দেন এবং তাদের চোখে তপ্ত শলাকা বিদ্ধ করেন আর তাদেরকে হাররা নামক উত্তপ্ত স্থানে ফেলে রাখেন। তারা (যন্ত্রণায়) পাথর কামড়ে ধরে ছিল। আবু কিলাবা, সাবিত ও হুমাইদ রহ. আনাস রা. থেকে হাদীস বর্ণনায় কাতাদা রহ-এর অনুসরণ করেন।
হাদীস নং ১৪১৫
ইয়াহইয়া ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সাকান রহ………..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, প্রত্যেক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদকাতুল ফিতর হিসাবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমাণ আদায় করা ফরয করেছেন এবং লোকজনের ঈদের সালাতে বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
হাদীস নং ১৪১৬
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, মুসলিমদের প্রত্যেক আযাদ, গোলাম পুরুষ ও নারীর পক্ষ থেকে সাদকাতুল ফিতর হিসাবে খেজুর অথবা যব-এর এক সা’ পরিমাণ আদায় করা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয করেছেন।
হাদীস নং ১৪১৭
কাবীসা ইবনে উকবা রহ……….আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক সা’ পরিমাণ যব দ্বারা সাদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।
হাদীস নং ১৪১৮
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক সা’ পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা’ পরিমাণ যব অথবা এক সা’ পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা’ পরিমাণ পনির অথবা এক সা’ পরিমাণ কিসমিস দিয়ে সাদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।