إِنَّا كُلَّ شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ
Inna kulla shay-in khalaqnahu biqadarin
YUSUFALI: Verily, all things have We created in proportion and measure.
PICKTHAL: Lo! We have created every thing by measure.
SHAKIR: Surely We have created everything according to a measure.
KHALIFA: Everything we created is precisely measured.
৪৯। নিশ্চয়ই আমি প্রত্যেক বস্তুকে সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত অনুপাত ও পরিমাপে ৫১৬৩।
৫১৬৩। আল্লাহ্র সৃষ্টি পরিমিত, সমন্বিত ও সুশৃঙ্খলিত, কখনও তা এলোমেলো বা বিশৃঙ্খল নয়। সৃষ্টির প্রতিটি বস্তু নির্দ্দিষ্ট আইনের অধীনে। তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে নির্দ্দিষ্ট মাপ ও আয়তনে। পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু, প্রাণী,সৃষ্টি জগতের সকল কিছুই এক নির্দ্দিষ্ট সময়ের জন্য, নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নির্দ্দিষ্ট স্থানের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এই বিশাল বিশ্বভূবন সৃষ্টি, এর অস্তিত্ব ও স্থায়ীত্ব সবই আল্লাহ্র সামগ্রিক পরিকল্পনার অংশ মাত্র। মানুষ সৃষ্টিও সেই পরিকল্পনারই অংশ। মানুষের শুধুমাত্র অস্তিত্ব নয়, তার প্রতিটি চিন্তা, কথা, কাজ সব কিছুরই অস্তিত্ব স্রষ্টার কাছে বিদ্যমান এবং এ সকল কিছুরই ফলাফল বিদ্যমান। “নির্ধারিত পরিমাপ” শব্দটি অত্যন্ত অর্থবহ। সৃষ্টির মাঝে কোনও কিছুরই অপচয় নাই। যেখানে যতটুকু প্রয়োজন স্রষ্টা সেখানে ঠিক ততটুকু দান করেন।
আয়াতঃ 054.050
আমার কাজ তো এক মুহূর্তে চোখের পলকের মত।
And Our Commandment is but one, as the twinkling of an eye.
وَمَا أَمْرُنَا إِلَّا وَاحِدَةٌ كَلَمْحٍ بِالْبَصَرِ
Wama amruna illa wahidatun kalamhin bialbasari
YUSUFALI: And Our Command is but a single (Act),- like the twinkling of an eye.
PICKTHAL: And Our commandment is but one (commandment), as the twinkling of an eye.
SHAKIR: And Our command is but one, as the twinkling of an eye.
KHALIFA: Our commands are done within the blink of an eye.
৫০। এবং আমার আদেশ তো একটি মাত্র কথায় নিষ্পন্ন হয়, চোখের পলকে ৫১৬৪।
৫১৬৪। পৃথিবীতে মানুষকে কোনও কিছু সৃষ্টি করতে বহু কিছুর মধ্যে দিয়ে পথ অতিক্রম করতে হয় যেমন, সময়ের পরিমাণ, দূরত্ব পরিবেশ, নির্ধারিত পরিমাপ ইত্যাদি। কিন্তু আল্লাহ্র সৃষ্টিতে পরিকল্পনা, হুকুম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, সবই মূহুর্তের মধ্যে সংঘটিত হয়ে যায়। আল্লাহ্র কর্মপ্রণালী বাস্তবায়নের দ্রুততাকে এই আয়াতে একটি সুন্দর উপমার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে “চক্ষুর পলকে”। অর্থাৎ মানুষের অনুভবের সর্বাপেক্ষা ক্ষুদ্রতম সময়। চোখের পলক’ দ্বারা বোঝানো হয় যে মানুষ চক্ষুবদ্ধ করে আবার মূহুর্তে মধ্যে চক্ষুর পাতা উম্মুক্ত করে ফেলে। এ সম্পূর্ণ ঘটনাটি মূহুর্তের মধ্যে চক্ষুর মাংসপেশী দ্বারা সংঘটিত হয়। আল্লাহ্র কাজ তার থেকে দ্রুততর সাথে সংঘটিত হয়। মানুষের কাজের উদাহরণ হলো এরূপ যেনো : একজন লোক একটি বই রচনা করছে। প্রথমতঃ তাঁর মনে বইটির বিষয়বস্তুর একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা ধারণা করতে হবে। তার পরে সেই বিষয়বস্তুকে রূপদান করার জন্য তাকে গবেষণা করতে হবে, বিষয়বস্তুর জ্ঞান সংগ্রহ করতে হবে অন্যান্য মাধ্যম থেকে বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় বই লেখার জন্য সামগ্রিক প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য তাকে যথেষ্ট সময় ব্যয় করতে হবে। এর পরে সে লেখার সামগ্রী, যেমন কাগজ, কলম, কালি ইত্যাদি সংগ্রহ করে লেখাতে মনোনিবেশ করবে যা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। অর্থাৎ একটি বই লেখা হচ্ছে ধারাবাহিক ঘটনা যা অন্যান্য বহুলোকের অভিজ্ঞতা ও কার্যাবলীর উপরে নির্ভরশীল। শুধু এখানেই শেষ নয়, লেখার পরে থাকে বই, ছাপানো, বাঁধানো, লাইব্রেরীতে সরবরাহ করা ইত্যাদি অসংখ্য কাজ বিভিন্ন মানুষের কর্মদক্ষতা তথা একটি বই প্রকাশের সাথে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু আল্লাহ্ যখন কিছু সৃষ্টি করেন তিনি শুধু বলেন “হও” [Kun ] সাথে সাথে তা হয়ে যায়। আল্লাহ্ সৃষ্টি কৌশল কারও উপরেই নিভর্রশীল নয়। কোনও কিছু সৃষ্টিতে আল্লাহ্র কারও সাহায্যের প্রয়োজন নাই। আল্লাহ্র একত্বের ধারণার এও এক বিশ্বজনীন রূপ।
আয়াতঃ 054.051
আমি তোমাদের সমমনা লোকদেরকে ধ্বংস করেছি, অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
And indeed, We have destroyed your likes, then is there any that will remember (or receive admonition)?
وَلَقَدْ أَهْلَكْنَا أَشْيَاعَكُمْ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ
Walaqad ahlakna ashyaAAakum fahal min muddakirin
YUSUFALI: And (oft) in the past, have We destroyed gangs like unto you: then is there any that will receive admonition?
PICKTHAL: And verily We have destroyed your fellows; but is there any that remembereth?
SHAKIR: And certainly We have already destroyed the likes of you, but is there anyone who will mind?
KHALIFA: We annihilated your counterparts. Does any of you wish to learn?