- সূরার নাম: সূরা রাহমান
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা রাহমান
আয়াতঃ 055.001
করুনাময় আল্লাহ।
The Most Beneficent (Allâh)!
الرَّحْمَنُ
Alrrahmanu
YUSUFALI: (Allah) Most Gracious!
PICKTHAL: The Beneficent
SHAKIR: The Beneficent Allah,
KHALIFA: The Most Gracious.
০১। [আল্লাহ্ ] পরম করুণাময় !
০২। তিনিই কুর-আন শিক্ষা দিয়েছেন ৫১৭২।
৫১৭২। পরম করুণাময় আল্লাহ্র নিকট থেকে প্রত্যাদেশ বা কোরাণ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছে। কোরাণ আল্লাহ্র অসীম অনুগ্রহ ও ক্ষমার স্বাক্ষর। আল্লাহ্ সকল স্বর্গীয় জ্যোতির উৎস এবং তার জ্যোতি নিখিল বিশ্বভূবন ব্যপী বিকির্ণ হয়।
আয়াতঃ 055.002
শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন,
Has taught (you mankind) the Qur’ân (by His Mercy).
عَلَّمَ الْقُرْآنَ
AAallama alqur-ana
YUSUFALI: It is He Who has taught the Qur’an.
PICKTHAL: Hath made known the Qur’an.
SHAKIR: Taught the Quran.
KHALIFA: Teacher of the Quran.
০১। [আল্লাহ্ ] পরম করুণাময় !
০২। তিনিই কুর-আন শিক্ষা দিয়েছেন ৫১৭২।
৫১৭২। পরম করুণাময় আল্লাহ্র নিকট থেকে প্রত্যাদেশ বা কোরাণ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছে। কোরাণ আল্লাহ্র অসীম অনুগ্রহ ও ক্ষমার স্বাক্ষর। আল্লাহ্ সকল স্বর্গীয় জ্যোতির উৎস এবং তার জ্যোতি নিখিল বিশ্বভূবন ব্যপী বিকির্ণ হয়।
আয়াতঃ 055.003
সৃষ্টি করেছেন মানুষ,
He created man.
خَلَقَ الْإِنسَانَ
Khalaqa al-insana
YUSUFALI: He has created man:
PICKTHAL: He hath created man.
SHAKIR: He created man,
KHALIFA: Creator of the human beings.
০৩। তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন
০৪। তিনি ভাষা শিখিয়েছেন ৫১৭৩ [ এবং বুদ্ধিমত্তা তারই দান ]।
৫১৭৩। ‘Bayan’ বুদ্ধিদীপ্ত কথোপকথন ; মনের ভাব প্রকাশের ক্ষমতা; বিভিন্ন বস্তুর মাঝে সম্পর্ক পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারার ক্ষমতা এবং তা ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা অর্থাৎ কার্যকরণ ক্ষমতা নিরূপণ তা প্রকাশ করার ক্ষমতা। আল্লাহ্ মানুষকে এই বিশেষ ক্ষমতা দান করেছেন যা সৃষ্টির অন্য প্রাণীকে দান করা হয় নাই। মানুষকে আল্লাহ্ দান করেছেন প্রত্যাদেশ যা আত্মাকে আলোকিত করতে সাহায্য করে, এ ব্যতীত প্রকৃতির মাঝে আল্লাহ্র নিদর্শনের মাধ্যমে এবং নবী রসুলদের মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহ্ আধ্যাত্মিক জগতে উন্নীত করতে সাহায্য করেন।
আয়াতঃ 055.004
তাকে শিখিয়েছেন বর্ণনা।
He taught him eloquent speech.
عَلَّمَهُ الْبَيَانَ
AAallamahu albayana
YUSUFALI: He has taught him speech (and intelligence).
PICKTHAL: He hath taught him utterance.
SHAKIR: Taught him the mode of expression.
KHALIFA: He taught them how to distinguish.
০৩। তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন
০৪। তিনি ভাষা শিখিয়েছেন ৫১৭৩ [ এবং বুদ্ধিমত্তা তারই দান ]।
৫১৭৩। ‘Bayan’ বুদ্ধিদীপ্ত কথোপকথন ; মনের ভাব প্রকাশের ক্ষমতা; বিভিন্ন বস্তুর মাঝে সম্পর্ক পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারার ক্ষমতা এবং তা ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা অর্থাৎ কার্যকরণ ক্ষমতা নিরূপণ তা প্রকাশ করার ক্ষমতা। আল্লাহ্ মানুষকে এই বিশেষ ক্ষমতা দান করেছেন যা সৃষ্টির অন্য প্রাণীকে দান করা হয় নাই। মানুষকে আল্লাহ্ দান করেছেন প্রত্যাদেশ যা আত্মাকে আলোকিত করতে সাহায্য করে, এ ব্যতীত প্রকৃতির মাঝে আল্লাহ্র নিদর্শনের মাধ্যমে এবং নবী রসুলদের মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহ্ আধ্যাত্মিক জগতে উন্নীত করতে সাহায্য করেন।
আয়াতঃ 055.005
সূর্য ও চন্দ্র হিসাবমত চলে।
The sun and the moon run on their fixed courses (exactly) calculated with measured out stages for each (for reckoning, etc.).
الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ بِحُسْبَانٍ
Alshshamsu waalqamaru bihusbanin
YUSUFALI: The sun and the moon follow courses (exactly) computed;
PICKTHAL: The sun and the moon are made punctual.
SHAKIR: The sun and the moon follow a reckoning.
KHALIFA: The sun and the moon are perfectly calculated.
০৫। সূর্য ও চন্দ্র অনুসরণ করে [ নির্ধারিত ] কক্ষপথ ৫১৭৪ ;
৫১৭৪। জোতির্বিজ্ঞান বলে মহাবিশ্ব নিভুর্লভাবে গণিত শাস্ত্রের সুক্ষ হিসাব মেনে চলে, যা আল্লাহ্র মহাজ্ঞানের স্বাক্ষর। এই আয়াতে বলা হয়েছে চন্দ্রের যেমন গতিপথ আছে, সূর্যেরও ঠিক সেরূপ গতিপথ বিদ্যমান যা সে অতিক্রম করে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত মানুষের ধারণা ছিলো যে সূর্য স্থির। সম্প্রতি আবিষ্কার হয়েছে সূর্য এক নির্দ্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তন করছে যার বার্তা চৌদ্দশ বছর পূর্বে কোরাণ দান করেছে। আবার পৃথিবীর নির্দ্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তনের ফলে আমরা সূর্যকে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে দেখে থাকি। যার ফলে পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন ঘটে, জোয়ার ভাটা হয়, আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে ইত্যাদি যার উপরে পৃথিবীর জীব ও উদ্ভিদ জগত নির্ভরশীল।
আয়াতঃ 055.006
এবং তৃণলতা ও বৃক্ষাদি সেজদারত আছে।
And the herbs (or stars) and the trees both prostrate.
وَالنَّجْمُ وَالشَّجَرُ يَسْجُدَانِ
Waalnnajmu waalshshajaru yasjudani
YUSUFALI: And the herbs and the trees – both (alike) prostrate in adoration.
PICKTHAL: The stars and the trees prostrate.
SHAKIR: And the herbs and the trees do prostrate (to Him).
KHALIFA: The stars and the trees prostrate.
০৬। তৃণ-গুল্ম ৫১৭৫ ও বৃক্ষাদি তাঁরই সিজ্দারত ৫১৭৬ ;
৫১৭৫। ‘Nagim’ অর্থাৎ নক্ষত্রপুঞ্জ বা তরুলতা।এখানে উভয় অর্থই প্রযোজ্য হতে পারে।
৫১৭৬। প্রকৃতির মাঝে আল্লাহকে অনুভব করার কথা বারে বারে বলা হয়েছে। কারণ বিশ্ব প্রকৃতি আল্লাহ্র বিধান বা আইন বা হুকুম অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে। আল্লাহ্র নিদর্শন বিশ্ব প্রকৃতির মাঝে অকৃপণ ভাবে ছড়িয়ে আছে। যে তা পাঠ করতে পারে সেই ধন্য। দেখূন সূরা [ ২২ : ১৮ ] ও টিকা ২৭৯০ ; সূরা [ ১৩ : ১৫ ] এবং সূরা [ ১৬ : ৪৮ – ৪৯ ]।
আয়াতঃ 055.007
তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন তুলাদন্ড।
And the heaven He has raised high, and He has set up the Balance.
وَالسَّمَاء رَفَعَهَا وَوَضَعَ الْمِيزَانَ
Waalssamaa rafaAAaha wawadaAAa almeezana
YUSUFALI: And the Firmament has He raised high, and He has set up the Balance (of Justice),
PICKTHAL: And the sky He hath uplifted; and He hath set the measure,
SHAKIR: And the heaven, He raised it high, and He made the balance
KHALIFA: He constructed the sky and established the law.
০৭। এবং তিনি নভোমন্ডলকে করেছেন সমুন্নত এবং তিনি স্থাপন করেছেন [ ন্যায় -অন্যায়ের ] মানদণ্ড ৫১৭৭
৫১৭৭। এই আয়াতের ন্যায়ের মানদন্ডকে পরবর্তী দুই আয়াতে সমন্বিত করে দেয়া হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছে মানুষ সকলের সাথে ভারসাম্য রক্ষা করে ন্যায়ের সাথে চলবে। দ্বিতীয়তঃ বলা হয়েছে তার সর্বকাজে ন্যায্য মানদন্ড প্রতিষ্ঠিত করবে। এ ব্যাপারে কখনও সীমালংঘন করবে না অর্থাৎ ন্যায়ের মানদন্ড হচ্ছে স্বর্গীয় গুণাবলীর মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ। এই মানদন্ডকে আক্ষরিকভাবে তিনটি প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। পূর্বের আয়াতগুলির মাধ্যমে :
১) ন্যায়ের মানদন্ড এক স্বর্গীয় গুণ ;
২) সমগ্র নভোমন্ডল গাণিতিক মানদন্ডের উপরে ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে।
৩) আকাশকে সমুন্নত করে নক্ষত্র পুঞ্জের মানদন্ড রক্ষা করা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.008
যাতে তোমরা সীমালংঘন না কর তুলাদন্ডে।
In order that you may not transgress (due) balance.
أَلَّا تَطْغَوْا فِي الْمِيزَانِ
Alla tatghaw fee almeezani
YUSUFALI: In order that ye may not transgress (due) balance.
PICKTHAL: That ye exceed not the measure,
SHAKIR: That you may not be inordinate in respect of the measure.
KHALIFA: You shall not transgress the law.
০৮। এই কারণে, যাতে তোমরা [ নির্দ্দিষ্ট ] মানদন্ডে সীমালংঘন না কর।
০৯। সুতারাং ন্যায়ের ভিত্তিতে ওজন কর, এবং মাপে কখনও কম দিও না ৫১৭৮।
৫১৭৮। “ন্যায়ের ভিত্তিতে ওজন কর ” বাক্যটি আক্ষরিক ও আলংকারিক উভয় অর্থ বহন করে। মানুষ তার দৈনন্দিক প্রতিটি কাজে সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হবে যেমন : ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ক্রেতাকে উপযুক্ত প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়া। সামাজিক জীবনে আমাদের প্রতিনিয়ত মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়। এখানে আমাদের মানুষের সাথে আচরণ প্রতিষ্ঠিত হবে সর্বোচ্চ সততা ও ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে। এই সততা যে শুধুমাত্র অন্য লোকের প্রতি প্রদর্শন করতে হবে তাই-ই নয় এই সততা ব্যক্তির নিজের জীবনেও প্রতিফলিত করতে হবে। যেমন চিন্তার সততা, বক্তব্যের সততা, কার্যের নিয়তের সততা, এবং আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্যের সততা। মানুষ মনের গহন গভীরের চিন্তাধারাকে অনুধাবন করতে না পারলেও আল্লাহ্র নিকট তা দিবালোকের ন্যায় সুষ্পষ্ট। মানুষ মনে করে যা প্রকাশ্য নয় তা পাপ নয়, সুতারাং সুযোগ পেলেই ছোটখাট প্রতারণা বা মিথ্যার আশ্রয় নিতে দ্বিধা বোধ করে না, অবশ্য যদি তাতে তার জীবিকার বা কোন পার্থিব কাজ সহজ হয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহ্ বলেছেন ন্যায় নীতি হচ্ছে সকল ঐশ্বরিক গুণাবলীর কেন্দ্রবিন্দু।
সততা ও ন্যায়নীতি একটি সমাজের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে ঠিক যেমন গাণিতিক সুত্র নভোমন্ডলের ভারসাম্য বজায় রাখে। যে সমাজে সততা ও ন্যায়নীতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, সে সমাজের ধ্বংস অনিবার্য; ঠিক যেরূপ হবে নভোমন্ডলের গাণিতিক ভারসাম্য নষ্ট হলে। এরই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলকে বিচার করতে হবে।
আয়াতঃ 055.009
তোমরা ন্যায্য ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিয়ো না।
And observe the weight with equity and do not make the balance deficient.
وَأَقِيمُوا الْوَزْنَ بِالْقِسْطِ وَلَا تُخْسِرُوا الْمِيزَانَ
Waaqeemoo alwazna bialqisti wala tukhsiroo almeezana
YUSUFALI: So establish weight with justice and fall not short in the balance.
PICKTHAL: But observe the measure strictly, nor fall short thereof.
SHAKIR: And keep up the balance with equity and do not make the measure deficient.
KHALIFA: You shall establish justice; do not violate the law.
০৮। এই কারণে, যাতে তোমরা [ নির্দ্দিষ্ট ] মানদন্ডে সীমালংঘন না কর।
০৯। সুতারাং ন্যায়ের ভিত্তিতে ওজন কর, এবং মাপে কখনও কম দিও না ৫১৭৮।
৫১৭৮। “ন্যায়ের ভিত্তিতে ওজন কর ” বাক্যটি আক্ষরিক ও আলংকারিক উভয় অর্থ বহন করে। মানুষ তার দৈনন্দিক প্রতিটি কাজে সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হবে যেমন : ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ক্রেতাকে উপযুক্ত প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়া। সামাজিক জীবনে আমাদের প্রতিনিয়ত মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়। এখানে আমাদের মানুষের সাথে আচরণ প্রতিষ্ঠিত হবে সর্বোচ্চ সততা ও ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে। এই সততা যে শুধুমাত্র অন্য লোকের প্রতি প্রদর্শন করতে হবে তাই-ই নয় এই সততা ব্যক্তির নিজের জীবনেও প্রতিফলিত করতে হবে। যেমন চিন্তার সততা, বক্তব্যের সততা, কার্যের নিয়তের সততা, এবং আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্যের সততা। মানুষ মনের গহন গভীরের চিন্তাধারাকে অনুধাবন করতে না পারলেও আল্লাহ্র নিকট তা দিবালোকের ন্যায় সুষ্পষ্ট। মানুষ মনে করে যা প্রকাশ্য নয় তা পাপ নয়, সুতারাং সুযোগ পেলেই ছোটখাট প্রতারণা বা মিথ্যার আশ্রয় নিতে দ্বিধা বোধ করে না, অবশ্য যদি তাতে তার জীবিকার বা কোন পার্থিব কাজ সহজ হয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহ্ বলেছেন ন্যায় নীতি হচ্ছে সকল ঐশ্বরিক গুণাবলীর কেন্দ্রবিন্দু।
সততা ও ন্যায়নীতি একটি সমাজের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে ঠিক যেমন গাণিতিক সুত্র নভোমন্ডলের ভারসাম্য বজায় রাখে। যে সমাজে সততা ও ন্যায়নীতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, সে সমাজের ধ্বংস অনিবার্য; ঠিক যেরূপ হবে নভোমন্ডলের গাণিতিক ভারসাম্য নষ্ট হলে। এরই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলকে বিচার করতে হবে।
আয়াতঃ 055.010
তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্টজীবের জন্যে।
And the earth He has put for the creatures.
وَالْأَرْضَ وَضَعَهَا لِلْأَنَامِ
Waal-arda wadaAAaha lil-anami
YUSUFALI: It is He Who has spread out the earth for (His) creatures:
PICKTHAL: And the earth hath He appointed for (His) creatures,
SHAKIR: And the earth, He has set it for living creatures;
KHALIFA: He created the earth for all creatures.
১০। তিনিই পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন ৫১৭৯, [ তাঁর ] সৃষ্ট জীবের জন্য।
৫১৭৯। আল্লাহ্র অনুগ্রহ গুণে শেষ করা অসম্ভব। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে আল্লাহ্র অনুগ্রহের সামান্য ইঙ্গিত করা হয়েছে মাত্র। পৃথিবীতে জীবন ও পরিবেশ পরস্পর ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে। উদ্ভিদ জগত বিভিন্ন ধরণের ফল এবং শষ্য দানা উৎপন্ন করে যার দ্বারা মানুষ ও প্রাণী জগত জীবন ধারণ করে। ফসল কেটে ঘরে তোলার পরে শষ্য দানা মানুষের খাদ্য ও খড় বিচালী পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। উদ্ভিদ জগত যে শুধুমাত্র খাদ্য সরবরাহ করে তাই-ই নয়, সুগন্ধ গুল্ম খাদ্য দ্রব্যকে সুস্বাদু করার জন্য মশলা উৎপন্ন করে থাকে। এসব হলো দেহের খাদ্য, মনের খাদ্যের জন্য উদ্ভিদ জগত অপূর্ব সুন্দর ফুলের জন্ম দেয় যার শোভা মানুষকে মুগ্ধ করে। এ সবই আল্লাহ্র অনুগ্রহ মাত্র।
আয়াতঃ 055.011
এতে আছে ফলমূল এবং বহিরাবরণবিশিষ্ট খর্জুর বৃক্ষ।
Therein are fruits, date-palms producing sheathed fruit-stalks (enclosing dates).
فِيهَا فَاكِهَةٌ وَالنَّخْلُ ذَاتُ الْأَكْمَامِ
Feeha fakihatun waalnnakhlu thatu al-akmami
YUSUFALI: Therein is fruit and date-palms, producing spathes (enclosing dates);
PICKTHAL: Wherein are fruit and sheathed palm-trees, SHAKIR: Therein is fruit and palms having sheathed clusters, KHALIFA: In it there are fruits, and date palms with their hanging fruit.
১১। সেখানে রয়েছে ফল এবং খেঁজুর গাছ যা উৎপন্ন করে [ আবরণযুক্ত ] ফলের কাঁদি।
১২। আর তুষযুক্ত ও পশুখাদ্য সম্বলিত শষ্যদানা এবং সুগন্ধযুক্ত উদ্ভিদ।
১৩। তাহলে তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ৫১৮০ ?
৫১৮০। ‘উভয়ে’ অর্থাৎ মানুষ ও জ্বিন। ‘তোমাদিগের ‘ শব্দটি দ্বারা মানুষ ও জ্বিন এই উভয় সম্প্রদায়কে বুঝানো হয়েছে। সমগ্র সূরাটি এক সূরের মুর্চ্ছনা, যাতে সব কিছুকে জোড়ায় জোড়ায় দ্বৈতভাবে সম্বোধন করা হয়েছে। এই দ্বৈত ভাবে বা জোড়ায় জোড়ায় আহ্বানের মাধ্যমে আল্লাহ্র একত্বের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। পৃথিবীতে জড় এবং জীব সব কিছুকে সৃষ্টি করা হয়েছে জোড়ায় জোড়ায়, যেমন বলা হয়েছে [ ৫১ : ৪৯ ] আয়াতে ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে টিকা নং ৫০২৫ – ২৬; [ ৩৬ : ৩৬ ] আয়াতে ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে টিকা নং ৩৯৮১। ন্যায়ের মানদন্ড দুই বিরোধী শক্তির দ্বন্দ দূর করে – ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে বিরোধের নিষ্পত্তি করে থাকে। এই সূরাতে সব কিছুই জোড়ায় জোড়ায় দ্বৈতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মানুষ ও প্রকৃতি, সূর্য ও চন্দ্র, লতাগুল্ম ও বৃক্ষ, আকাশ ও পৃথিবী, ফল ও শষ্যদানা,মানুষের খাদ্য ও পশু খাদ্য ; পুষ্টিকর ও সুগন্ধিযুক্ত ইত্যাদি প্রতিটি জিনিষই দ্বৈতভাবে এই সূরাতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.012
আর আছে খোসাবিশিষ্ট শস্য ও সুগন্ধি ফুল।
And also corn, with (its) leaves and stalk for fodder, and sweet-scented plants.
وَالْحَبُّ ذُو الْعَصْفِ وَالرَّيْحَانُ
Waalhabbu thoo alAAasfi waalrrayhani
YUSUFALI: Also corn, with (its) leaves and stalk for fodder, and sweet-smelling plants.
PICKTHAL: Husked grain and scented herb.
SHAKIR: And the grain with (its) husk and fragrance.
KHALIFA: Also grains and the spices.
১১। সেখানে রয়েছে ফল এবং খেঁজুর গাছ যা উৎপন্ন করে [ আবরণযুক্ত ] ফলের কাঁদি।
১২। আর তুষযুক্ত ও পশুখাদ্য সম্বলিত শষ্যদানা এবং সুগন্ধযুক্ত উদ্ভিদ।
১৩। তাহলে তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ৫১৮০ ?
৫১৮০। ‘উভয়ে’ অর্থাৎ মানুষ ও জ্বিন। ‘তোমাদিগের ‘ শব্দটি দ্বারা মানুষ ও জ্বিন এই উভয় সম্প্রদায়কে বুঝানো হয়েছে। সমগ্র সূরাটি এক সূরের মুর্চ্ছনা, যাতে সব কিছুকে জোড়ায় জোড়ায় দ্বৈতভাবে সম্বোধন করা হয়েছে। এই দ্বৈত ভাবে বা জোড়ায় জোড়ায় আহ্বানের মাধ্যমে আল্লাহ্র একত্বের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। পৃথিবীতে জড় এবং জীব সব কিছুকে সৃষ্টি করা হয়েছে জোড়ায় জোড়ায়, যেমন বলা হয়েছে [ ৫১ : ৪৯ ] আয়াতে ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে টিকা নং ৫০২৫ – ২৬; [ ৩৬ : ৩৬ ] আয়াতে ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে টিকা নং ৩৯৮১। ন্যায়ের মানদন্ড দুই বিরোধী শক্তির দ্বন্দ দূর করে – ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে বিরোধের নিষ্পত্তি করে থাকে। এই সূরাতে সব কিছুই জোড়ায় জোড়ায় দ্বৈতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মানুষ ও প্রকৃতি, সূর্য ও চন্দ্র, লতাগুল্ম ও বৃক্ষ, আকাশ ও পৃথিবী, ফল ও শষ্যদানা,মানুষের খাদ্য ও পশু খাদ্য ; পুষ্টিকর ও সুগন্ধিযুক্ত ইত্যাদি প্রতিটি জিনিষই দ্বৈতভাবে এই সূরাতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.013
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: (O humans and jinns,) which of your Lord’s marvels can you deny?
১১। সেখানে রয়েছে ফল এবং খেঁজুর গাছ যা উৎপন্ন করে [ আবরণযুক্ত ] ফলের কাঁদি।
১২। আর তুষযুক্ত ও পশুখাদ্য সম্বলিত শষ্যদানা এবং সুগন্ধযুক্ত উদ্ভিদ।
১৩। তাহলে তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ৫১৮০ ?
৫১৮০। ‘উভয়ে’ অর্থাৎ মানুষ ও জ্বিন। ‘তোমাদিগের ‘ শব্দটি দ্বারা মানুষ ও জ্বিন এই উভয় সম্প্রদায়কে বুঝানো হয়েছে। সমগ্র সূরাটি এক সূরের মুর্চ্ছনা, যাতে সব কিছুকে জোড়ায় জোড়ায় দ্বৈতভাবে সম্বোধন করা হয়েছে। এই দ্বৈত ভাবে বা জোড়ায় জোড়ায় আহ্বানের মাধ্যমে আল্লাহ্র একত্বের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। পৃথিবীতে জড় এবং জীব সব কিছুকে সৃষ্টি করা হয়েছে জোড়ায় জোড়ায়, যেমন বলা হয়েছে [ ৫১ : ৪৯ ] আয়াতে ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে টিকা নং ৫০২৫ – ২৬; [ ৩৬ : ৩৬ ] আয়াতে ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে টিকা নং ৩৯৮১। ন্যায়ের মানদন্ড দুই বিরোধী শক্তির দ্বন্দ দূর করে – ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে বিরোধের নিষ্পত্তি করে থাকে। এই সূরাতে সব কিছুই জোড়ায় জোড়ায় দ্বৈতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মানুষ ও প্রকৃতি, সূর্য ও চন্দ্র, লতাগুল্ম ও বৃক্ষ, আকাশ ও পৃথিবী, ফল ও শষ্যদানা,মানুষের খাদ্য ও পশু খাদ্য ; পুষ্টিকর ও সুগন্ধিযুক্ত ইত্যাদি প্রতিটি জিনিষই দ্বৈতভাবে এই সূরাতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.014
তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে।
He created man (Adam) from sounding clay like the clay of pottery.
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِن صَلْصَالٍ كَالْفَخَّارِ
Khalaqa al-insana min salsalin kaalfakhkhari
YUSUFALI: He created man from sounding clay like unto pottery,
PICKTHAL: He created man of clay like the potter’s,
SHAKIR: He created man from dry clay like earthen vessels,
KHALIFA: He created the human from aged clay, like the potter’s clay.
১৪। তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির মত ঠন্ঠনে শুষ্ক মাটি থেকে ৫১৮১ ;
৫১৮১। দেখুন [১৫ : ২৬ ] আয়াতের টিকা ১৯৬৫। মানুষ ও জ্বিনের সৃষ্টি তত্বকে তুলনা করা হয়েছে। মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে পোড়া মাটির মত শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে। জ্বিনকে সৃষ্টি করা হয়েছে নির্ধূম অগ্নি থেকে [ দেখুন নীচের টিকা ] অর্থাৎ যে আগুনের কোনও ধূঁয়া নাই। যদিও তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির উপাদান থেকে, তবুও তাদের উভয়েরই আল্লাহ্র অনুগ্রহ লাভের ক্ষমতা ও সম্ভাবনা রয়েছে।
আয়াতঃ 055.015
এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে।
And the jinns did He create from a smokeless flame of fire.
وَخَلَقَ الْجَانَّ مِن مَّارِجٍ مِّن نَّارٍ
Wakhalaqa aljanna min marijin min narin
YUSUFALI: And He created Jinns from fire free of smoke:
PICKTHAL: And the jinn did He create of smokeless fire.
SHAKIR: And He created the jinn of a flame of fire.
KHALIFA: And created the jinns from blazing fire.
১৫। এবং তিনি জ্বিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়ামুক্ত আগুন থেকে ৫১৮২ ;
৫১৮২। জ্বিনের অর্থ বোঝার জন্য দেখুন [ ৬ : ১০০] আয়াত ও টিকা ৯২৯। জ্বিনেরা হচ্ছে আত্মা, তাদের কোন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য দেহ নাই, তাদের দেখায় প্রজ্জ্বলিত অগ্নি শিখার ন্যায়। এই আগুন ধোঁয়া মুক্ত, এই বাক্য দ্বারা এ কথাই বোঝানো হয়েছে যে তারা ইন্দ্রিগ্রাহ্য দেহের ন্যায় স্থুলতা মুক্ত। কারণ আগুনের উজ্জ্বলতার স্থুল দিক হচ্ছে তার কালিমাযুক্ত ধোঁয়া।
আয়াতঃ 055.016
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: (O humans and jinns,) which of your Lord’s marvels can you deny?
১৬। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ৫১৮৩ ?
৫১৮৩। আয়াতের এই লাইনটির অনুরূপ লাইন হচ্ছে [ ১৬: ৭১ – ৭২ ] ; [ ৪০ : ৮১ ] এবং [ ৫৩ : ৫৫ ] আয়াত ও টিকা ৫১২২।
আয়াতঃ 055.017
তিনি দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের মালিক।
(He is) the Lord of the two easts (places of sunrise during early summer and early winter) and the Lord of the two wests (places of sunset during early summer and early winter).
رَبُّ الْمَشْرِقَيْنِ وَرَبُّ الْمَغْرِبَيْنِ
Rabbu almashriqayni warabbu almaghribayni
YUSUFALI: (He is) Lord of the two Easts and Lord of the two Wests:
PICKTHAL: Lord of the two Easts, and Lord of the two Wests!
SHAKIR: Lord of the East and Lord of the West.
KHALIFA: Lord of the two easts and the two wests.
১৭। [ তিনি ] দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের প্রভু ৫১৮৪
৫১৮৪। দুই উদয়াচাল ‘ বা দুই পূর্ব। সূর্য বছরের সব দিন পূর্বদিকের এক নির্দ্দিষ্ট বিন্দুতে উদিত হয় না। শীতে ২১ শে ডিসেম্বর সূর্য সর্ব দক্ষিণের বিন্দুতে এবং ২১ জুন সর্ব উত্তরের বিন্দুতে উদিত হয়। এই দুই বিন্দুর মধ্যবর্তী সকল স্থানে সূর্য বছরের অন্যান্য সময়ে উদিত হয়। একই ভাবে সূর্য পশ্চিম দিগন্তে বছরের দুইদিন সর্ব দক্ষিণে ও সর্ব উত্তরে অস্ত যায় এবং বছরের অন্যান্য দিন এই দুই বিন্দুর মধ্যবর্তী স্থানে অস্তমিত হয়। দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের সাহায্যে বুঝানো হয়েছে যে, আল্লাহ্ পৃথিবী ও আকাশের সর্বস্থানের অধিপতি এবং তিনি তাঁর অনুগ্রহ সর্বস্থানে বিতরণ করে থাকেন। এই আয়াতের দ্বৈত সংখ্যা সূরাটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দেখুন [ ৪৩ : ৩৮ ] আয়াতের টিকা ৪৬৪১ এবং [ ৩৭ : ৫ ] আয়াতের টিকা ৪০৩৪।
আয়াতঃ 055.018
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
১৮। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
১৯। তিনি দুটি প্রবাহিত পানির সমুদ্রকে মিলিত হওয়ার জন্য মুক্ত করে দিয়েছেন ৫১৮৫
২০। কিন্তু তাদের মধ্যে রয়েছে এক [ অদৃশ্য ] বাঁধা যা তারা অতিক্রম করতে পারে না :
৫১৮৫। দেখুন [ ২৫ : ৫৩ ] ও টিকা ৩১১১ যেখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে দুই দরিয়া অর্থাৎ মিঠা পানি ও লবণাক্ত পানির উৎস কিভাবে পরস্পর মিলিত হওয়া সত্ত্বেও বিচ্ছিন্ন থাকে; ঠিক যেনো তাদের মাঝে পার্টিশন বা বিভাজন বিদ্যমান। সমুদ্রের লবনাক্ত পানি কখনও স্থলভাগের মিঠা পানিকে কলুষিত করবে না। আল্লাহ্র এও এক কুদরত এবং জীবিত প্রাণীর জন্য এক অনুগ্রহ বৈকি। সমুদ্র হচ্ছে পৃথিবীর আবর্জনা দূরীকরণ দ্বারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং মিঠা পানির উৎস হচ্ছে সুস্বাদু পানীয় যা জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক।
আয়াতঃ 055.019
তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন।
He has let loosed the two seas (the salt water and the sweet) meeting together.
مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ
Maraja albahrayni yaltaqiyani
YUSUFALI: He has let free the two bodies of flowing water, meeting together:
PICKTHAL: He hath loosed the two seas. They meet.
SHAKIR: He has made the two seas to flow freely (so that) they meet together:
KHALIFA: He separates the two seas where they meet.
১৮। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
১৯। তিনি দুটি প্রবাহিত পানির সমুদ্রকে মিলিত হওয়ার জন্য মুক্ত করে দিয়েছেন ৫১৮৫
২০। কিন্তু তাদের মধ্যে রয়েছে এক [ অদৃশ্য ] বাঁধা যা তারা অতিক্রম করতে পারে না :
৫১৮৫। দেখুন [ ২৫ : ৫৩ ] ও টিকা ৩১১১ যেখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে দুই দরিয়া অর্থাৎ মিঠা পানি ও লবণাক্ত পানির উৎস কিভাবে পরস্পর মিলিত হওয়া সত্ত্বেও বিচ্ছিন্ন থাকে; ঠিক যেনো তাদের মাঝে পার্টিশন বা বিভাজন বিদ্যমান। সমুদ্রের লবনাক্ত পানি কখনও স্থলভাগের মিঠা পানিকে কলুষিত করবে না। আল্লাহ্র এও এক কুদরত এবং জীবিত প্রাণীর জন্য এক অনুগ্রহ বৈকি। সমুদ্র হচ্ছে পৃথিবীর আবর্জনা দূরীকরণ দ্বারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং মিঠা পানির উৎস হচ্ছে সুস্বাদু পানীয় যা জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক।
আয়াতঃ 055.020
উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না।
Between them is a barrier which none of them can transgress.
بَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَّا يَبْغِيَانِ
Baynahuma barzakhun la yabghiyani
YUSUFALI: Between them is a Barrier which they do not transgress:
PICKTHAL: There is a barrier between them. They encroach not (one upon the other).
SHAKIR: Between them is a barrier which they cannot pass.
KHALIFA: A barrier is placed between them, to prevent them from transgressing.
১৮। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
১৯। তিনি দুটি প্রবাহিত পানির সমুদ্রকে মিলিত হওয়ার জন্য মুক্ত করে দিয়েছেন ৫১৮৫
২০। কিন্তু তাদের মধ্যে রয়েছে এক [ অদৃশ্য ] বাঁধা যা তারা অতিক্রম করতে পারে না :
৫১৮৫। দেখুন [ ২৫ : ৫৩ ] ও টিকা ৩১১১ যেখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে দুই দরিয়া অর্থাৎ মিঠা পানি ও লবণাক্ত পানির উৎস কিভাবে পরস্পর মিলিত হওয়া সত্ত্বেও বিচ্ছিন্ন থাকে; ঠিক যেনো তাদের মাঝে পার্টিশন বা বিভাজন বিদ্যমান। সমুদ্রের লবনাক্ত পানি কখনও স্থলভাগের মিঠা পানিকে কলুষিত করবে না। আল্লাহ্র এও এক কুদরত এবং জীবিত প্রাণীর জন্য এক অনুগ্রহ বৈকি। সমুদ্র হচ্ছে পৃথিবীর আবর্জনা দূরীকরণ দ্বারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং মিঠা পানির উৎস হচ্ছে সুস্বাদু পানীয় যা জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক।
আয়াতঃ 055.021
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
২১। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
২২। এই উভয় [সমুদ্র ] থেকে মুক্তা ও কোরাল পাওয়া যায় ৫১৮৬ ;
৫১৮৬। ঝিনুকের মাঝে মুক্তার জন্ম হয়, এবং প্রবাল উৎপন্ন হয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য প্রবাল কীটদ্বারা। সমুদ্রগর্ভে প্রবাল প্রাচীর, প্রবাল দ্বীপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য মৃত প্রবাল কীট দ্বারা গঠিত হয়। এদের অসংখ্য রং, আকৃতি অপূর্ব সুন্দর। অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত Great Barear Reef, লোহিত সাগরের দুই প্রান্তের প্রবালের প্রাচুর্য এবং পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে সমুদ্রের উপকূলে প্রবালের মনোহর রূপ পর্যটকদের মুগ্ধ করে এবং স্রষ্টার শিল্প সত্ত্বাকে অনুভবে সাহায্য করে। সাধারণতঃ মুক্তা হচ্ছে উজ্জ্বল রংএর তবে কালো ও গোলাপী রং এরও হয়। মুক্তা ও প্রবাল উভয়ই গহনা তৈরীর জন্য ব্যবহৃত হয়।
আয়াতঃ 055.022
উভয় দরিয়া থেকে উৎপন্ন হয় মোতি ও প্রবাল।
Out of them both come out pearl and coral.
يَخْرُجُ مِنْهُمَا اللُّؤْلُؤُ وَالْمَرْجَانُ
Yakhruju minhuma allu/luo waalmarjanu
YUSUFALI: Out of them come Pearls and Coral:
PICKTHAL: There cometh forth from both of them the pearl and coral-stone.
SHAKIR: There come forth from them pearls, both large and small.
KHALIFA: Out of both of them you get pearls and coral.
২১। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
২২। এই উভয় [সমুদ্র ] থেকে মুক্তা ও কোরাল পাওয়া যায় ৫১৮৬ ;
৫১৮৬। ঝিনুকের মাঝে মুক্তার জন্ম হয়, এবং প্রবাল উৎপন্ন হয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য প্রবাল কীটদ্বারা। সমুদ্রগর্ভে প্রবাল প্রাচীর, প্রবাল দ্বীপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য মৃত প্রবাল কীট দ্বারা গঠিত হয়। এদের অসংখ্য রং, আকৃতি অপূর্ব সুন্দর। অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত Great Barear Reef, লোহিত সাগরের দুই প্রান্তের প্রবালের প্রাচুর্য এবং পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে সমুদ্রের উপকূলে প্রবালের মনোহর রূপ পর্যটকদের মুগ্ধ করে এবং স্রষ্টার শিল্প সত্ত্বাকে অনুভবে সাহায্য করে। সাধারণতঃ মুক্তা হচ্ছে উজ্জ্বল রংএর তবে কালো ও গোলাপী রং এরও হয়। মুক্তা ও প্রবাল উভয়ই গহনা তৈরীর জন্য ব্যবহৃত হয়।
আয়াতঃ 055.023
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny? SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
২৩। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
২৪। সমুদ্রে বিচরণশীল পর্বতপ্রমাণ নৌযানসমূহ তাঁরই নিয়ন্ত্রণাধীন ৫১৮৭, ৫১৮৮
৫১৮৭। “পর্ব্বত প্রমাণ নৌযান সমূহ” – বর্তমানে সমুদ্রগামী যুদ্ধ জাহাজ সমূহ যা পারমানবিক শক্তিচালিত তার আয়তন দর্শনে পর্ব্বতপ্রমাণ বলেই ভ্রম হয়। এগুলি এরোপ্লেনের সমুদ্রের মাঝে ওঠা নামার জন্য এবং এরোপ্লেন পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৫১৮৮। সমুদ্রে বিচরণশীল জাহাজ অথবা স্টীমার বা যে কোনও জলযান যা পানির বুকে ভেসে বেড়ায়। আরও সার্বজনীন ভাবে বললে এর মাঝে উড়োজাহাজকেও অন্তর্ভূক্ত করা উচিত। কারণ উড়োজাহাজ বাতাসের সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়। বিশাল অর্ণব পোতসমূহ বাতাসের সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়। অবশ্যই এসব উদ্ভাবন করেছে মানুষ। কিন্তু মানুষের এই উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা আল্লাহ্রই দান। বর্তমানে মানুষ পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে সূদূর মহাকাশে ভ্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এও স্রষ্টার অসীম কৃপা মানুষের প্রতি। প্রতিটি যুগে যুগের উপযোগী বুদ্ধিমত্তা আল্লাহ্ মানুষকে দিয়ে থাকেন। সেভাবেই সকল কিছুই আল্লাহ্র নিয়ন্ত্রাধীন।
আয়াতঃ 055.024
দরিয়ায় বিচরণশীল পর্বতদৃশ্য জাহাজসমূহ তাঁরই (নিয়ন্ত্রনাধীন)
And His are the ships going and coming in the seas, like mountains.
وَلَهُ الْجَوَارِ الْمُنشَآتُ فِي الْبَحْرِ كَالْأَعْلَامِ
Walahu aljawari almunshaatu fee albahri kaal-aAAlami
YUSUFALI: And His are the Ships sailing smoothly through the seas, lofty as mountains:
PICKTHAL: His are the ships displayed upon the sea, like banners.
SHAKIR: And His are the ships reared aloft in the sea like mountains.
KHALIFA: He gave you ships that roam the sea like flags.
২৩। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
২৪। সমুদ্রে বিচরণশীল পর্বতপ্রমাণ নৌযানসমূহ তাঁরই নিয়ন্ত্রণাধীন ৫১৮৭, ৫১৮৮
৫১৮৭। “পর্ব্বত প্রমাণ নৌযান সমূহ” – বর্তমানে সমুদ্রগামী যুদ্ধ জাহাজ সমূহ যা পারমানবিক শক্তিচালিত তার আয়তন দর্শনে পর্ব্বতপ্রমাণ বলেই ভ্রম হয়। এগুলি এরোপ্লেনের সমুদ্রের মাঝে ওঠা নামার জন্য এবং এরোপ্লেন পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৫১৮৮। সমুদ্রে বিচরণশীল জাহাজ অথবা স্টীমার বা যে কোনও জলযান যা পানির বুকে ভেসে বেড়ায়। আরও সার্বজনীন ভাবে বললে এর মাঝে উড়োজাহাজকেও অন্তর্ভূক্ত করা উচিত। কারণ উড়োজাহাজ বাতাসের সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়। বিশাল অর্ণব পোতসমূহ বাতাসের সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়। অবশ্যই এসব উদ্ভাবন করেছে মানুষ। কিন্তু মানুষের এই উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা আল্লাহ্রই দান। বর্তমানে মানুষ পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে সূদূর মহাকাশে ভ্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এও স্রষ্টার অসীম কৃপা মানুষের প্রতি। প্রতিটি যুগে যুগের উপযোগী বুদ্ধিমত্তা আল্লাহ্ মানুষকে দিয়ে থাকেন। সেভাবেই সকল কিছুই আল্লাহ্র নিয়ন্ত্রাধীন।
আয়াতঃ 055.025
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
২৫। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
রুকু -২
২৬। ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে সবই ধ্বংস হয়ে যাবে ;
২৭। কিন্তু চিরস্থায়ী হবে তোমার প্রভুর সত্ত্বা, ৫১৮৯ যিনি মহিমান্বিত, মহাকল্যাণময়, সম্মানিত ৫১৯০
৫১৮৯। মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট সৃষ্টি – সর্বোৎকৃষ্ট আবিষ্কার যার জন্য সে গর্বিত হয় এবং অহংকার বোধ করে সবই একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশাল সভ্যতা, আসমুদ্র বিস্তৃত রাজত্ব, বিজ্ঞানের আশ্চর্য আবিষ্কার, মানুষের চমকপ্রদ কর্মতৎপরতা, সব কিছুই একদিন শেষ হয়ে যাবে। পৃথিবীর কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এমন কি সুউচ্চ পর্বতমালা, উপত্যকা, সূর্য,চন্দ্র, গ্রহ,নক্ষত্র ইত্যাদি যা আমাদের চোখে চির ভাস্বর বলে প্রতিভাত হয় তাও একদিন স্রষ্টার নির্দ্দেশে ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধু রয়ে যাবে স্রষ্টার সত্ত্বা যা মহিমাময় এবং মহানুভব।
৫১৯০। ‘Ikram”- এই শব্দটি দ্বারা দ্বিবিধ ভাবকে প্রকাশ করা হয়েছে। ১) ব্যক্তির মহানুভবতা ও মহত্ত্বকে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ২) অপর ব্যক্তি দ্বারা কোন ব্যক্তিকে সম্মান প্রদর্শন করাকে বোঝানো হয়। এই দুই ভাবকে অর্থাৎ মহানুভব ও মহিমাময় শব্দকে ‘Ikram’ এই একটি শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 055.026
ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংসশীল।
Whatsoever is on it (the earth) will perish.
كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ
Kullu man AAalayha fanin
YUSUFALI: All that is on earth will perish:
PICKTHAL: Everyone that is thereon will pass away;
SHAKIR: Everyone on it must pass away.
KHALIFA: Everyone on earth perishes.
২৫। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
রুকু -২
২৬। ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে সবই ধ্বংস হয়ে যাবে ;
২৭। কিন্তু চিরস্থায়ী হবে তোমার প্রভুর সত্ত্বা, ৫১৮৯ যিনি মহিমান্বিত, মহাকল্যাণময়, সম্মানিত ৫১৯০
৫১৮৯। মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট সৃষ্টি – সর্বোৎকৃষ্ট আবিষ্কার যার জন্য সে গর্বিত হয় এবং অহংকার বোধ করে সবই একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশাল সভ্যতা, আসমুদ্র বিস্তৃত রাজত্ব, বিজ্ঞানের আশ্চর্য আবিষ্কার, মানুষের চমকপ্রদ কর্মতৎপরতা, সব কিছুই একদিন শেষ হয়ে যাবে। পৃথিবীর কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এমন কি সুউচ্চ পর্বতমালা, উপত্যকা, সূর্য,চন্দ্র, গ্রহ,নক্ষত্র ইত্যাদি যা আমাদের চোখে চির ভাস্বর বলে প্রতিভাত হয় তাও একদিন স্রষ্টার নির্দ্দেশে ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধু রয়ে যাবে স্রষ্টার সত্ত্বা যা মহিমাময় এবং মহানুভব।
৫১৯০। ‘Ikram”- এই শব্দটি দ্বারা দ্বিবিধ ভাবকে প্রকাশ করা হয়েছে। ১) ব্যক্তির মহানুভবতা ও মহত্ত্বকে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ২) অপর ব্যক্তি দ্বারা কোন ব্যক্তিকে সম্মান প্রদর্শন করাকে বোঝানো হয়। এই দুই ভাবকে অর্থাৎ মহানুভব ও মহিমাময় শব্দকে ‘Ikram’ এই একটি শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 055.027
একমাত্র আপনার মহিমায় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া।
And the Face of your Lord full of Majesty and Honour will abide forever.
وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
Wayabqa wajhu rabbika thoo aljalali waal-ikrami
YUSUFALI: But will abide (for ever) the Face of thy Lord,- full of Majesty, Bounty and Honour.
PICKTHAL: There remaineth but the Countenance of thy Lord of Might and Glory.
SHAKIR: And there will endure for ever the person of your Lord, the Lord of glory and honor.
KHALIFA: Only the presence of your Lord lasts. Possessor of Majesty and Honor.
২৫। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
রুকু -২
২৬। ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে সবই ধ্বংস হয়ে যাবে ;
২৭। কিন্তু চিরস্থায়ী হবে তোমার প্রভুর সত্ত্বা, ৫১৮৯ যিনি মহিমান্বিত, মহাকল্যাণময়, সম্মানিত ৫১৯০
৫১৮৯। মানুষের সর্বোৎকৃষ্ট সৃষ্টি – সর্বোৎকৃষ্ট আবিষ্কার যার জন্য সে গর্বিত হয় এবং অহংকার বোধ করে সবই একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশাল সভ্যতা, আসমুদ্র বিস্তৃত রাজত্ব, বিজ্ঞানের আশ্চর্য আবিষ্কার, মানুষের চমকপ্রদ কর্মতৎপরতা, সব কিছুই একদিন শেষ হয়ে যাবে। পৃথিবীর কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এমন কি সুউচ্চ পর্বতমালা, উপত্যকা, সূর্য,চন্দ্র, গ্রহ,নক্ষত্র ইত্যাদি যা আমাদের চোখে চির ভাস্বর বলে প্রতিভাত হয় তাও একদিন স্রষ্টার নির্দ্দেশে ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধু রয়ে যাবে স্রষ্টার সত্ত্বা যা মহিমাময় এবং মহানুভব।
৫১৯০। ‘Ikram”- এই শব্দটি দ্বারা দ্বিবিধ ভাবকে প্রকাশ করা হয়েছে। ১) ব্যক্তির মহানুভবতা ও মহত্ত্বকে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ২) অপর ব্যক্তি দ্বারা কোন ব্যক্তিকে সম্মান প্রদর্শন করাকে বোঝানো হয়। এই দুই ভাবকে অর্থাৎ মহানুভব ও মহিমাময় শব্দকে ‘Ikram’ এই একটি শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 055.028
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
২৮। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
২৯। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীই তার কৃপা প্রার্থী ৫১৯১ ; প্রতিটি দিন তিনি [ নূতন] দীপ্তিতে উজ্জ্বল ৫১৯২।
৫১৯১। আকাশে যা কিছু আছে এবং পৃথিবীর সকল সৃষ্ট পদার্থ, জড় এবং জীব, সকলেই আল্লাহ্র সাহায্যপ্রার্থী। তিনি সকল কিছুর প্রতিপালক।
৫১৯২। ‘Shun’- জাঁকজমক, ঔজ্জ্বল্যের দীপ্তি, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য, কাজ,পেশা, বৃত্তি ইত্যাদি। বিশাল বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ আল্লাহ্র হাতে। তিনি নিষ্ক্রিয় থাকেন না বা মানুষ বা তাঁর সৃষ্ট সম্বন্ধে তিনি উদাসীন নন। তাঁর সৃষ্টি কর্ম আকাশে বাতাসে প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ প্রতিপলে নিত্য নূতনভাবে ভাস্বর হয়ে ওঠে।
আয়াতঃ 055.029
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সবাই তাঁর কাছে প্রার্থী। তিনি সর্বদাই কোন না কোন কাজে রত আছেন।
Whosoever is in the heavens and on earth begs of Him (its needs from Him). Every day He has a matter to bring forth (such as giving honour to some, disgrace to some, life to some, death to some, etc.)!
يَسْأَلُهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِي شَأْنٍ
Yas-aluhu man fee alssamawati waal-ardi kulla yawmin huwa fee sha/nin
YUSUFALI: Of Him seeks (its need) every creature in the heavens and on earth: every day in (new) Splendour doth He (shine)!
PICKTHAL: All that are in the heavens and the earth entreat Him. Every day He exerciseth (universal) power.
SHAKIR: All those who are in the heavens and the earth ask of Him; every moment He is in a state (of glory).
KHALIFA: Imploring Him is everyone in the heavens and the earth. Every day He is in full control.
২৮। সুতারাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে ?
২৯। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীই তার কৃপা প্রার্থী ৫১৯১ ; প্রতিটি দিন তিনি [ নূতন] দীপ্তিতে উজ্জ্বল ৫১৯২।
৫১৯১। আকাশে যা কিছু আছে এবং পৃথিবীর সকল সৃষ্ট পদার্থ, জড় এবং জীব, সকলেই আল্লাহ্র সাহায্যপ্রার্থী। তিনি সকল কিছুর প্রতিপালক।
৫১৯২। ‘Shun’- জাঁকজমক, ঔজ্জ্বল্যের দীপ্তি, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য, কাজ,পেশা, বৃত্তি ইত্যাদি। বিশাল বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ আল্লাহ্র হাতে। তিনি নিষ্ক্রিয় থাকেন না বা মানুষ বা তাঁর সৃষ্ট সম্বন্ধে তিনি উদাসীন নন। তাঁর সৃষ্টি কর্ম আকাশে বাতাসে প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ প্রতিপলে নিত্য নূতনভাবে ভাস্বর হয়ে ওঠে।
আয়াতঃ 055.030
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৩০। সুতরাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৩১। হে মানুষ ও জ্বিন শীঘ্রই আমি তোমাদের ব্যাপারে মীমাংসা করবো ৫১৯৩।
৫১৯৩। মানুষ ও জ্বিন এই উভয় সম্প্রদায়কে আল্লাহ্ বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন যা সৃষ্টির আর কোনও প্রাণীকে দেয়া হয় নাই। তাদের কর্মের হিসাব আল্লাহ্র নিকট দাখিল করতে হবে। যদি কেউ অন্যায় বা পাপ করে, বা ন্যায়ের মানদন্ড থেকে বিচ্যুত হয়, আল্লাহ্ সাথে সাথে তাদের কৃত অন্যায়ের জন্য শাস্তি দান করেন না। আল্লাহ্ ভালো ও মন্দ প্রত্যেককে নিজস্ব ভুল সংশোধনের সুযোগ দান করেন। আর এই সুযোগ দান করা হয় পৃথিবীর শিক্ষানবীশ কালের মধ্যে। যখন এই শিক্ষানবীশকাল অতিক্রান্ত হয়ে যায়, তখন তাদের আর সুযোগ দান করা হয় না। তারা পরলোকে বিচারের সম্মুখীন হয়। এই সুযোগ, পৃথিবীর এই শিক্ষানবীশকাল, এই সতর্কবাণী,এ সকলই আল্লাহর বিশেষ কুদরত। আল্লাহর এই বিশেষ অনুগ্রহের জন্য প্রত্যেকের উপকৃত এবং কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
আয়াতঃ 055.031
হে জিন ও মানব! আমি শীঘ্রই তোমাদের জন্যে কর্মমুক্ত হয়ে যাব।
We shall attend to you, O you two classes (jinns and men)!
سَنَفْرُغُ لَكُمْ أَيُّهَا الثَّقَلَانِ
Sanafrughu lakum ayyuha alththaqalani
YUSUFALI: Soon shall We settle your affairs, O both ye worlds!
PICKTHAL: We shall dispose of you, O ye two dependents (man and jinn).
SHAKIR: Soon will We apply Ourselves to you, O you two armies.
KHALIFA: We will call you to account, O humans and jinns.
৩০। সুতরাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৩১। হে মানুষ ও জ্বিন শীঘ্রই আমি তোমাদের ব্যাপারে মীমাংসা করবো ৫১৯৩।
৫১৯৩। মানুষ ও জ্বিন এই উভয় সম্প্রদায়কে আল্লাহ্ বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন যা সৃষ্টির আর কোনও প্রাণীকে দেয়া হয় নাই। তাদের কর্মের হিসাব আল্লাহ্র নিকট দাখিল করতে হবে। যদি কেউ অন্যায় বা পাপ করে, বা ন্যায়ের মানদন্ড থেকে বিচ্যুত হয়, আল্লাহ্ সাথে সাথে তাদের কৃত অন্যায়ের জন্য শাস্তি দান করেন না। আল্লাহ্ ভালো ও মন্দ প্রত্যেককে নিজস্ব ভুল সংশোধনের সুযোগ দান করেন। আর এই সুযোগ দান করা হয় পৃথিবীর শিক্ষানবীশ কালের মধ্যে। যখন এই শিক্ষানবীশকাল অতিক্রান্ত হয়ে যায়, তখন তাদের আর সুযোগ দান করা হয় না। তারা পরলোকে বিচারের সম্মুখীন হয়। এই সুযোগ, পৃথিবীর এই শিক্ষানবীশকাল, এই সতর্কবাণী,এ সকলই আল্লাহর বিশেষ কুদরত। আল্লাহর এই বিশেষ অনুগ্রহের জন্য প্রত্যেকের উপকৃত এবং কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
আয়াতঃ 055.032
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৩২। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৩৩। হে মানুষ ও জ্বিনের সম্প্রদায় ৫১৯৪ ! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সীমা তোমরা যদি অতিক্রম করতে পার, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু আমার অনুমতি ব্যতীত তোমরা অতিক্রম করতে পারবে না।
৫১৯৪। দেখুন আয়াত [ ৬ : ১৩০ ] যেখানে জ্বিন ও মানুষ উভয়কে একত্রে সম্বোধন করা হয়েছে। সূরা [ ৬: ১৩০- ১৩৪ ] সমস্তটা এই আয়াতের বিশদ বিবরণ হিসেবে পড়া উচিত। যদি কেউ মনে করে যে, তাঁর গোপন পাপ আল্লাহ্র নিকট প্রকাশ পাবে না, বা তাঁরা তাদের পাপের জন্য কোনও মন্দ পরিণতি লাভ করে নাই ; অথবা কারও ভালো কাজ তার যোগ্য পুরষ্কার লাভ করে নাই, – তবে এ সব দ্বারা সে যেনো প্রতারিত না হয়। অবশ্য মানুষের প্রতিটি চিন্তা, কথা, কাজ, কাজের নিয়ত, সবই আল্লাহ্র নিকট রক্ষিত হয়ে চলেছে। এবং অবশ্যই মানুষের কর্মের হিসাব দাখিল করতে হবে। মানুষকে আল্লাহ যে সীমানার মাঝে রেখেছেন, মানুষ তা অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখে না, আল্লাহ্র হুকুম ব্যতীত। বিজ্ঞানের নিত্য নূতন আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষ এই সীমার বাঁধনকে বিস্তৃত করে চলেছে। সুতারাং আল্লাহ যে সুযোগ দান করেছেন,তার জন্য সকলেরই কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
আয়াতঃ 055.033
হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না।
O assembly of jinns and men! If you have power to pass beyond the zones of the heavens and the earth, then pass (them)! But you will never be able to pass them, except with authority (from Allâh)!
يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَن تَنفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانفُذُوا لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ
Ya maAAshara aljinni waal-insi ini istataAAtum an tanfuthoo min aqtari alssamawati waal-ardi faonfuthoo la tanfuthoona illa bisultanin
YUSUFALI: O ye assembly of Jinns and men! If it be ye can pass beyond the zones of the heavens and the earth, pass ye! not without authority shall ye be able to pass!
PICKTHAL: O company of jinn and men, if ye have power to penetrate (all) regions of the heavens and the earth, then penetrate (them)! Ye will never penetrate them save with (Our) sanction.
SHAKIR: O assembly of the jinn and the men! If you are able to pass through the regions of the heavens and the earth, then pass through; you cannot pass through but with authority.
KHALIFA: O you jinns and humans, if you can penetrate the outer limits of the heavens and the earth, go ahead and penetrate. You cannot penetrate without authorization.
৩২। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৩৩। হে মানুষ ও জ্বিনের সম্প্রদায় ৫১৯৪ ! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সীমা তোমরা যদি অতিক্রম করতে পার, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু আমার অনুমতি ব্যতীত তোমরা অতিক্রম করতে পারবে না।
৫১৯৪। দেখুন আয়াত [ ৬ : ১৩০ ] যেখানে জ্বিন ও মানুষ উভয়কে একত্রে সম্বোধন করা হয়েছে। সূরা [ ৬: ১৩০- ১৩৪ ] সমস্তটা এই আয়াতের বিশদ বিবরণ হিসেবে পড়া উচিত। যদি কেউ মনে করে যে, তাঁর গোপন পাপ আল্লাহ্র নিকট প্রকাশ পাবে না, বা তাঁরা তাদের পাপের জন্য কোনও মন্দ পরিণতি লাভ করে নাই ; অথবা কারও ভালো কাজ তার যোগ্য পুরষ্কার লাভ করে নাই, – তবে এ সব দ্বারা সে যেনো প্রতারিত না হয়। অবশ্য মানুষের প্রতিটি চিন্তা, কথা, কাজ, কাজের নিয়ত, সবই আল্লাহ্র নিকট রক্ষিত হয়ে চলেছে। এবং অবশ্যই মানুষের কর্মের হিসাব দাখিল করতে হবে। মানুষকে আল্লাহ যে সীমানার মাঝে রেখেছেন, মানুষ তা অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখে না, আল্লাহ্র হুকুম ব্যতীত। বিজ্ঞানের নিত্য নূতন আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষ এই সীমার বাঁধনকে বিস্তৃত করে চলেছে। সুতারাং আল্লাহ যে সুযোগ দান করেছেন,তার জন্য সকলেরই কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
আয়াতঃ 055.034
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৩৪। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? ৫১৯৫
৫১৯৫। এই সূরাতে কত সুন্দর ধারাবাহিকভাবে আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহ উপস্থাপন করা হয়েছে। আমাদের চর্তুদ্দিকে আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহ ছড়ানো আছে। মানুষের সৃষ্টিতে, তার বুদ্ধিমত্তায়, প্রকৃতির মাঝে, প্রত্যাদেশের মাঝে আল্লাহ্র সৃষ্টি কৌশল বিদ্যমান। দিনের উষ্ণতা সূর্যের দীপ্তির সাথে জড়িত, পানির চক্রের মাধ্যমে রক্ষা হয় পৃথিবীর জীবন ও বিশোধনের কাজ; মানুষের বুদ্ধিমত্তা বা বিজ্ঞানের দ্বারা প্রকৃতিকে জয় করা এ সবই হচ্ছে আল্লাহ্র অসীম অনুগ্রহ তাঁর সৃষ্টির প্রতি – আল্লাহ্র সাহায্য ও প্রতিপালনের মাধ্যম বিশেষ। মানুষ যদি প্রশান্ত মনে আল্লাহ্র সৃষ্টি কৌশল সম্বন্ধে চিন্তা করে ; তবে অবশ্যই সে অনুধাবনে সক্ষম হবে যে, কি গভীর মমতায় বিশ্বস্রষ্টার কল্যাণময় হস্ত আমাদের ঘিরে আছে। মানুষ তবেই প্রকৃত সত্যকে অনুভবে সক্ষম হবে এবং ভবিষ্যতের জবাবদিহি সম্পর্কে সাবধান হবে। সূরার পরবর্তী অংশে এই সাবধানবাণীই বারে বারে উচ্চারণ করা হয়েছে।
এতক্ষণ বর্ণনা করা হয়েছে আল্লাহ্র বিশেষ অনুগ্রহ সমূহ। এখান থেকে শুরু হচ্ছে শেষ বিচারের দিনে পাপীদের শাস্তির বিবরণ।
আয়াতঃ 055.035
ছাড়া হবে তোমাদের প্রতি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধুম্রকুঞ্জ তখন তোমরা সেসব প্রতিহত করতে পারবে না।
There will be sent against you both, smokeless flames of fire and (molten) brass, and you will not be able to defend yourselves.
يُرْسَلُ عَلَيْكُمَا شُوَاظٌ مِّن نَّارٍ وَنُحَاسٌ فَلَا تَنتَصِرَانِ
Yursalu AAalaykuma shuwathun min narin wanuhasun fala tantasirani
YUSUFALI: On you will be sent (O ye evil ones twain!) a flame of fire (to burn) and a smoke (to choke): no defence will ye have:
PICKTHAL: There will be sent, against you both, heat of fire and flash of brass, and ye will not escape.
SHAKIR: The flames of fire and smoke will be sent on you two, then you will not be able to defend yourselves.
KHALIFA: You get bombarded with projectiles of fire and metal, and you cannot win.
৩৫। তোমাদের [মধ্য মন্দদের, উভয়ের ] ৫১৯৬ উপরে আগুনের শিখা [পোড়ানোর জন্য ] এবং ধূয়া [ শ্বাস রোধ করার জন্য ] ৫১৯৭ প্রেরণ করা হবে। তখন তোমরা প্রতিরোধ করতে পারবে না।
৫১৯৬। উপরের টিকা ৫১৯৩ তে যে দুই ভূবনের কথা বলা হয়েছে, তাদের কথা এখানে বলা হয়েছে।
৫১৯৭। বিচারের শাস্তির ভয়াবহতা এখানে বর্ণনা করা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.036
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৩৬। সুতারাং তোমার প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? ৫১৯৮
৫১৯৮। এই আয়াতে এবং নিম্নলিখিত আয়াত সমূহে [ আয়াত নং ৪০, ৪২ এবং ৪৫ ] এই লাইনটি পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে বিদ্রূপাত্মক ভাব প্রকাশ করে। ভাবটি এরূপ যে, “পৃথিবীতে আল্লাহ্র সাবধান বাণী,প্রত্যাদেশ তোমাদের কল্যাণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছিলো, যেনো তোমরা অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনের দ্বারা আল্লাহ্র ক্ষমা লাভে ধন্য হতে পার। কিন্তু তোমরা তা বারে বারে প্রত্যাখান করেছ। এখন তোমরা কি ফল ভোগ করবে ? তোমাদের যা বলা হয়েছিলো তা কি সত্য নয় ? ” আল্লাহ্র আইন বা বিধানকে অস্বীকার করার অর্থই হচ্ছে আল্লাহ্র করুণা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানো।
আয়াতঃ 055.037
যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটি রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে।
Then when the heaven is rent asunder, and it becomes rosy or red like red-oil, or red hide.
فَإِذَا انشَقَّتِ السَّمَاء فَكَانَتْ وَرْدَةً كَالدِّهَانِ
Fa-itha inshaqqati alssamao fakanat wardatan kaalddihani
YUSUFALI: When the sky is rent asunder, and it becomes red like ointment:
PICKTHAL: And when the heaven splitteth asunder and becometh rosy like red hide –
SHAKIR: And when the heaven is rent asunder, and then becomes red like red hide.
KHALIFA: When the sky disintegrates, and turns rose colored like paint.
৩৭। যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে, এবং তা মলমের মত রক্তবর্ণ হবে ৫১৯৯
৫১৯৯। এই আয়াতটির ইংরেজী ও বাংলা অনুবাদে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছে,”……… and it becomes red like Ointment ” অধিকাংশ বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে “উহা রক্ত রংগে রঞ্জিত চর্মের রূপ ধারণ করিবে।” মোট কথা লাল রং হবে অগ্নিশিখার কারণে এবং উত্তপ্ত হওয়ার কারণে। এই চেনা জানা পৃথিবী মোমের মত গলে উত্তপ্ত হয়ে লাল রং ধারণ করবে।
আয়াতঃ 055.038
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny? –
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৩৮। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৩৯। সেদিন মানুষ অথবা জ্বিন কাউকে তাদের পাপ সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন করা হবে না ৫২০০।
৫২০০। এই আয়াতটির অর্থ এই নয় যে, শেষ বিচারের দিনে মানুষ বা জ্বিনকে তাদের পাপের কৈফিয়ত দিতে হবে না। অবশ্যই প্রত্যেককে তাদের কাজের হিসাব দাখিল করতে হবে [ ১৫ : ৯২ ]। প্রকৃত পক্ষে এই আয়াতটির অর্থ হচ্ছে যে সেদিন ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব উপলব্ধি করতে বাধ্য করা হবে। তাদের হাত, পা, জিহ্বা ইত্যাদি শরীরের বিভিন্ন অংগ প্রত্যঙ্গ তাদের পাপ কাজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দান করবে [ ২৪ : ২৪]। প্রতিটি ব্যক্তিই তার কর্মের দ্বারা সেদিন চিহ্নিত হয়ে প্রকাশ্য হয়ে যাবে [ ৭: ৪৮]। চিহ্নিত হওয়ার পরে প্রত্যেকের অবস্থান ও পদমর্যদা নির্ধারিত হয়ে যাবে এবং সকলের নিকট তা প্রকাশ্য হবে। অবশ্য বিচারকের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত আল্লাহ্র নিকট বিচারের পূর্বেও কিছু গোপন ছিলো না। যদিও আল্লাহ্ আমাদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পাপও পূর্বেই অবগত, তবুও তিনি অভিযুক্তকে তার অপরাধের খুঁটিনাটি ও পরিমাণ অবগত করাবেন, অভিযুক্তদের সম্মুখে আমলনামা উপস্থাপন করা হবে [ ৬৯ : ১৯, ২৫ ] ও [ ১৮: ৪৯ ] আয়াত দেখুন। এবং অপরাধীকে ওকালতি করার সুযোগ দান করা হবে [ ৭ : ৫৩ ]। কিন্তু সেদিন পাপীরা থাকবে এক বিভ্রান্তিকর ও হতবুদ্ধি অবস্থায় [ ২৮ : ৬৫ ]। ওকালতি করার ক্ষমতা তাদের থাকবে না।
আয়াতঃ 055.039
সেদিন মানুষ না তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে, না জিন।
So on that Day no question will be asked of man or jinn as to his sin, (because they have already been known from their faces either white or black).
فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُسْأَلُ عَن ذَنبِهِ إِنسٌ وَلَا جَانٌّ
Fayawma-ithin la yus-alu AAan thanbihi insun wala jannun
YUSUFALI: On that Day no question will be asked of man or Jinn as to his sin.
PICKTHAL: On that day neither man nor jinni will be questioned of his sin.
SHAKIR: So on that day neither man nor jinni shall be asked about his sin.
KHALIFA: On that day, no human, nor a jinn, will be asked about his sins.
৩৯। সেদিন মানুষ অথবা জ্বিন কাউকে তাদের পাপ সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন করা হবে না ৫২০০।
৫২০০। এই আয়াতটির অর্থ এই নয় যে, শেষ বিচারের দিনে মানুষ বা জ্বিনকে তাদের পাপের কৈফিয়ত দিতে হবে না। অবশ্যই প্রত্যেককে তাদের কাজের হিসাব দাখিল করতে হবে [ ১৫ : ৯২ ]। প্রকৃত পক্ষে এই আয়াতটির অর্থ হচ্ছে যে সেদিন ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব উপলব্ধি করতে বাধ্য করা হবে। তাদের হাত, পা, জিহ্বা ইত্যাদি শরীরের বিভিন্ন অংগ প্রত্যঙ্গ তাদের পাপ কাজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দান করবে [ ২৪ : ২৪]। প্রতিটি ব্যক্তিই তার কর্মের দ্বারা সেদিন চিহ্নিত হয়ে প্রকাশ্য হয়ে যাবে [ ৭: ৪৮]। চিহ্নিত হওয়ার পরে প্রত্যেকের অবস্থান ও পদমর্যদা নির্ধারিত হয়ে যাবে এবং সকলের নিকট তা প্রকাশ্য হবে। অবশ্য বিচারকের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত আল্লাহ্র নিকট বিচারের পূর্বেও কিছু গোপন ছিলো না। যদিও আল্লাহ্ আমাদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পাপও পূর্বেই অবগত, তবুও তিনি অভিযুক্তকে তার অপরাধের খুঁটিনাটি ও পরিমাণ অবগত করাবেন, অভিযুক্তদের সম্মুখে আমলনামা উপস্থাপন করা হবে [ ৬৯ : ১৯, ২৫ ] ও [ ১৮: ৪৯ ] আয়াত দেখুন। এবং অপরাধীকে ওকালতি করার সুযোগ দান করা হবে [ ৭ : ৫৩ ]। কিন্তু সেদিন পাপীরা থাকবে এক বিভ্রান্তিকর ও হতবুদ্ধি অবস্থায় [ ২৮ : ৬৫ ]। ওকালতি করার ক্ষমতা তাদের থাকবে না।
আয়াতঃ 055.040
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৪০। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৪১। পাপীদের তাদের চিহ্ন দ্বারা সনাক্ত করা যাবে ৫২০১। এবং তাদের গ্রেফতার করা হবে তাদের চুলের ঝুটি ও পদদ্বয় ধরে।
৫২০১। “পাপীদের তাদের চিহ্নদ্বারা সনাক্ত করা যাবে ” – দেখুন উপরের টিকা।
আয়াতঃ 055.041
অপরাধীদের পরিচয় পাওয়া যাবে তাদের চেহারা থেকে; অতঃপর তাদের কপালের চুল ও পা ধরে টেনে নেয়া হবে।
The Mujrimûn (polytheists, criminals, sinners, etc.) will be known by their marks (black faces), and they will be seized by their forelocks and their feet.
يُعْرَفُ الْمُجْرِمُونَ بِسِيمَاهُمْ فَيُؤْخَذُ بِالنَّوَاصِي وَالْأَقْدَامِ
YuAArafu almujrimoona biseemahum fayu/khathu bialnnawasee waal-aqdami
YUSUFALI: (For) the sinners will be known by their marks: and they will be seized by their forelocks and their feet.
PICKTHAL: The guilty will be known by their marks, and will be taken by the forelocks and the feet.
SHAKIR: The guilty shall be recognized by their marks, so they shall be seized by the forelocks and the feet.
KHALIFA: (This is because) the guilty will be recognized by their looks; they will be taken by the forelocks and the feet.
৪০। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৪১। পাপীদের তাদের চিহ্ন দ্বারা সনাক্ত করা যাবে ৫২০১। এবং তাদের গ্রেফতার করা হবে তাদের চুলের ঝুটি ও পদদ্বয় ধরে।
৫২০১। “পাপীদের তাদের চিহ্নদ্বারা সনাক্ত করা যাবে ” – দেখুন উপরের টিকা।
আয়াতঃ 055.042
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৪২। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৪৩। এটাই সেই জাহান্নাম যা পাপীরা অস্বীকার করতো ; ৫২০২।
৫২০২। পাপীদের সম্মুখে যখন জাহান্নামের আগুন প্রকাশ্য হবে,তখন তাদের মনের সকল দ্বিধা দূর হয়ে যাবে। তা হবে তাদের নিকট অতি বাস্তব।
আয়াতঃ 055.043
এটাই জাহান্নাম, যাকে অপরাধীরা মিথ্যা বলত।
This is Hell which the Mujrimûn (polytheists, criminals, sinners, etc.) denied.
هَذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي يُكَذِّبُ بِهَا الْمُجْرِمُونَ
Hathihi jahannamu allatee yukaththibu biha almujrimoona
YUSUFALI: This is the Hell which the Sinners deny:
PICKTHAL: This is hell which the guilty deny.
SHAKIR: This is the hell which the guilty called a lie.
KHALIFA: This is Gehenna that the guilty used to deny.
৪২। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৪৩। এটাই সেই জাহান্নাম যা পাপীরা অস্বীকার করতো ; ৫২০২।
৫২০২। পাপীদের সম্মুখে যখন জাহান্নামের আগুন প্রকাশ্য হবে,তখন তাদের মনের সকল দ্বিধা দূর হয়ে যাবে। তা হবে তাদের নিকট অতি বাস্তব।
আয়াতঃ 055.044
তারা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মাঝখানে প্রদক্ষিণ করবে।
They will go between it (Hell) and the boiling hot water!
يَطُوفُونَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ حَمِيمٍ آنٍ
Yatoofoona baynaha wabayna hameemin anin
YUSUFALI: In its midst and in the midst of boiling hot water will they wander round!
PICKTHAL: They go circling round between it and fierce, boiling water.
SHAKIR: Round about shall they go between it and hot, boiling water.
KHALIFA: They will circulate between it and an intolerable inferno.
৪৪। ওরা জাহান্নামের মাঝে ও ফুটন্ত পানির মধ্যে ছুটাছুটি করবে ৫২০৩।
৪৫। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২০৩। সেখানে তাদের এক মূহুর্তের জন্য বিশ্রাম থাকবে না। আগুন তাদের পোড়াবে কিন্তু নিশ্চিহ্ন করে দেবে না। অর্থাৎ তারা আগুনে পোড়ার যন্ত্রণা লাভ করবে কিন্তু ধ্বংস বা শেষ হয়ে যাবে না। তাদের পানীয় হবে শুধুমাত্র ফুটন্ত পানি।
আয়াতঃ 055.045
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৪৪। ওরা জাহান্নামের মাঝে ও ফুটন্ত পানির মধ্যে ছুটাছুটি করবে ৫২০৩।
৪৫। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২০৩। সেখানে তাদের এক মূহুর্তের জন্য বিশ্রাম থাকবে না। আগুন তাদের পোড়াবে কিন্তু নিশ্চিহ্ন করে দেবে না। অর্থাৎ তারা আগুনে পোড়ার যন্ত্রণা লাভ করবে কিন্তু ধ্বংস বা শেষ হয়ে যাবে না। তাদের পানীয় হবে শুধুমাত্র ফুটন্ত পানি।
আয়াতঃ 055.046
যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে পেশ হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্যে রয়েছে দু’টি উদ্যান।
But for him who [the true believer of Islâmic Monotheism who performs all the duties ordained by Allâh and His Messenger Muhammad SAW , and keeps away (abstain) from all kinds of sin and evil deeds prohibited in Islâm and] fears the standing before his Lord, there will be two Gardens (i.e. in Paradise).
وَلِمَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ جَنَّتَانِ
Waliman khafa maqama rabbihi jannatani
YUSUFALI: But for such as fear the time when they will stand before (the Judgment Seat of) their Lord, there will be two Gardens-
PICKTHAL: But for him who feareth the standing before his Lord there are two gardens.
SHAKIR: And for him who fears to stand before his Lord are two gardens.
KHALIFA: For those who reverence the majesty of their Lord, two gardens (one for the jinns and one for the humans).
রুকু -৩
৪৬। কিন্তু যারা তাদের প্রভুর বিচারের সম্মুখীন হওয়ার ভয় রাখে ৫২০৪, তাদের জন্য রয়েছে দুটি বেহেশ্ত – ৫২০৫
৪৭। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২০৪। পাপীদের শাস্তির বর্ণনা কয়েকটি বাক্যের দ্বারা শেষ করে এবারে বর্ণনা করা হচ্ছে বেহেশতবাসীদের অবস্থান।
৫২০৫। এই আয়াতে বেহেশতের দুইটি উদ্যানের উল্লেখ আছে আর দুটির উল্লেখ আছে [ ৫৫ : ৬২ – ৭৬ ] আয়াতে। এই বাগানের বর্ণনার ব্যাপারে মতভেদ আছে, তবে সর্বোৎকৃষ্ট মতামত হচ্ছে যে [ ৫৫ : ৪৬ – ৬১ ] আয়াতে যে উদ্যানদ্বয়ের উল্লেখ আছে তা হচ্ছে আল্লাহ্র সবচেয়ে নিকটবর্তী ব্যক্তিদের [ Muqarrabun ] জন্য নির্ধারিত। এবং [ ৫৫ : ৬২-৭৬ ] আয়াতে যে উদ্যানদ্বয়ের উল্লেখ আছে তা হচ্ছে তাদের জন্য যাদের আমলনামা তাদের ডান হস্তে প্রদান করা হবে। প্রশ্ন হলো প্রতি ক্ষেত্রে দুটি উদ্যানের উল্লেখ করা হলো কেন ? কারণ দ্বৈততার উল্লেখের মাধ্যমে বিভিন্নতা বা বৈচিত্র আনা হয়েছে। এই সূরার বর্ণনাতে সর্বত্র দ্বৈততার প্রকাশ করা হয়েছে জোড়ায় জোড়ায়।
আয়াতঃ 055.047
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?-
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
রুকু -৩
৪৬। কিন্তু যারা তাদের প্রভুর বিচারের সম্মুখীন হওয়ার ভয় রাখে ৫২০৪, তাদের জন্য রয়েছে দুটি বেহেশ্ত – ৫২০৫
৪৭। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২০৪। পাপীদের শাস্তির বর্ণনা কয়েকটি বাক্যের দ্বারা শেষ করে এবারে বর্ণনা করা হচ্ছে বেহেশতবাসীদের অবস্থান।
৫২০৫। এই আয়াতে বেহেশতের দুইটি উদ্যানের উল্লেখ আছে আর দুটির উল্লেখ আছে [ ৫৫ : ৬২ – ৭৬ ] আয়াতে। এই বাগানের বর্ণনার ব্যাপারে মতভেদ আছে, তবে সর্বোৎকৃষ্ট মতামত হচ্ছে যে [ ৫৫ : ৪৬ – ৬১ ] আয়াতে যে উদ্যানদ্বয়ের উল্লেখ আছে তা হচ্ছে আল্লাহ্র সবচেয়ে নিকটবর্তী ব্যক্তিদের [ Muqarrabun ] জন্য নির্ধারিত। এবং [ ৫৫ : ৬২-৭৬ ] আয়াতে যে উদ্যানদ্বয়ের উল্লেখ আছে তা হচ্ছে তাদের জন্য যাদের আমলনামা তাদের ডান হস্তে প্রদান করা হবে। প্রশ্ন হলো প্রতি ক্ষেত্রে দুটি উদ্যানের উল্লেখ করা হলো কেন ? কারণ দ্বৈততার উল্লেখের মাধ্যমে বিভিন্নতা বা বৈচিত্র আনা হয়েছে। এই সূরার বর্ণনাতে সর্বত্র দ্বৈততার প্রকাশ করা হয়েছে জোড়ায় জোড়ায়।
আয়াতঃ 055.048
উভয় উদ্যানই ঘন শাখা-পল্লববিশিষ্ট।
With spreading branches;
ذَوَاتَا أَفْنَانٍ
Thawata afnanin
YUSUFALI: Containing all kinds (of trees and delights);-
PICKTHAL: Of spreading branches.
SHAKIR: Having in them various kinds.
KHALIFA: Full of provisions.
৪৮। উভয়েই বহু শাখা -পল্লব বিশিষ্ট
৪৯। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫০। উভয় উদ্যানে রয়েছে প্রবাহমান দুই প্রস্রবণ ; ৫২০৬
৫১। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা অস্বীকার করবে ?
৫২০৬। ‘দুইটি প্রস্রবন’ কারণ উদ্যান দুইটি।
আয়াতঃ 055.049
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?-
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৪৮। উভয়েই বহু শাখা -পল্লব বিশিষ্ট
৪৯। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫০। উভয় উদ্যানে রয়েছে প্রবাহমান দুই প্রস্রবণ ; ৫২০৬
৫১। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা অস্বীকার করবে ?
৫২০৬। ‘দুইটি প্রস্রবন’ কারণ উদ্যান দুইটি।
আয়াতঃ 055.050
উভয় উদ্যানে আছে বহমান দুই প্রস্রবন।
In them (both) will be two springs flowing (free)
فِيهِمَا عَيْنَانِ تَجْرِيَانِ
Feehima AAaynani tajriyani
YUSUFALI: In them (each) will be two Springs flowing (free);
PICKTHAL: Wherein are two fountains flowing.
SHAKIR: In both of them are two fountains flowing.
KHALIFA: Two springs are in them, flowing.
৪৮। উভয়েই বহু শাখা -পল্লব বিশিষ্ট
৪৯। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫০। উভয় উদ্যানে রয়েছে প্রবাহমান দুই প্রস্রবণ ; ৫২০৬
৫১। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা অস্বীকার করবে ?
৫২০৬। ‘দুইটি প্রস্রবন’ কারণ উদ্যান দুইটি।
আয়াতঃ 055.051
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?-
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৪৮। উভয়েই বহু শাখা -পল্লব বিশিষ্ট
৪৯। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫০। উভয় উদ্যানে রয়েছে প্রবাহমান দুই প্রস্রবণ ; ৫২০৬
৫১। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা অস্বীকার করবে ?
৫২০৬। ‘দুইটি প্রস্রবন’ কারণ উদ্যান দুইটি।
আয়াতঃ 055.052
উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক ফল বিভিন্ন রকমের হবে।
In them (both) will be every kind of fruit in pairs.
فِيهِمَا مِن كُلِّ فَاكِهَةٍ زَوْجَانِ
Feehima min kulli fakihatin zawjani
YUSUFALI: In them will be Fruits of every kind, two and two.
PICKTHAL: Wherein is every kind of fruit in pairs.
SHAKIR: In both of them are two pairs of every fruit.
KHALIFA: Of every fruit in them, two kinds.
৫২। উভয় উদ্যানে রয়েছে প্রত্যেক ফল দুই দুই প্রকার ৫২০৭
৫৩। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২০৭। ফলের দ্বৈততাও বাগানের দ্বৈততার কারণে প্রকাশ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.053
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৫২। উভয় উদ্যানে রয়েছে প্রত্যেক ফল দুই দুই প্রকার ৫২০৭
৫৩। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২০৭। ফলের দ্বৈততাও বাগানের দ্বৈততার কারণে প্রকাশ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.054
তারা তথায় রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। উভয় উদ্যানের ফল তাদের নিকট ঝুলবে।
Reclining upon the couches lined with silk brocade, and the fruits of the two Gardens will be near at hand.
مُتَّكِئِينَ عَلَى فُرُشٍ بَطَائِنُهَا مِنْ إِسْتَبْرَقٍ وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ
Muttaki-eena AAala furushin bata-inuha min istabraqin wajana aljannatayni danin
YUSUFALI: They will recline on Carpets, whose inner linings will be of rich brocade: the Fruit of the Gardens will be near (and easy of reach).
PICKTHAL: Reclining upon couches lined with silk brocade, the fruit of both the gardens near to hand.
SHAKIR: Reclining on beds, the inner coverings of which are of silk brocade; and the fruits of the two gardens shall be within reach.
KHALIFA: While relaxing on furnishings lined with satin, the fruits are within reach.
৫৪। তারা সেখানে ফরাশের উপরে হেলান দিয়ে বসবে, যার ভিতরের আস্তরণ হবে মহার্ঘ ব্রোকেডের। উভয় উদ্যানে ফল পাওয়া যাবে নিকটেই [ যা হবে সহজ লভ্য] ৫২০৮।
৫৫। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২০৮। এই পৃথিবীর ক্লান্তি ও শ্রান্তি সেখানে তাদের স্পর্শ করবে না। দেখুন [৩৫ : ৩৫] আয়াত।
আয়াতঃ 055.055
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৫৪। তারা সেখানে ফরাশের উপরে হেলান দিয়ে বসবে, যার ভিতরের আস্তরণ হবে মহার্ঘ ব্রোকেডের। উভয় উদ্যানে ফল পাওয়া যাবে নিকটেই [ যা হবে সহজ লভ্য] ৫২০৮।
৫৫। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২০৮। এই পৃথিবীর ক্লান্তি ও শ্রান্তি সেখানে তাদের স্পর্শ করবে না। দেখুন [৩৫ : ৩৫] আয়াত।
আয়াতঃ 055.056
তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি।
Wherein both will be those (maidens) restraining their glances upon their husbands, whom no man or jinn yatmithhunna (has opened their hymens with sexual intercourse) before them.
فِيهِنَّ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ
Feehinna qasiratu alttarfi lam yatmithhunna insun qablahum wala jannun
YUSUFALI: In them will be (Maidens), chaste, restraining their glances, whom no man or Jinn before them has touched;- PICKTHAL: Therein are those of modest gaze, whom neither man nor jinni will have touched before them.
SHAKIR: In them shall be those who restrained their eyes; before them neither man nor jinni shall have touched them.
KHALIFA: Their beautiful mates were never touched by any human or jinn.
৫৬। সেখানে থাকবে আনত নয়না পবিত্র [ কুমারীরা ] ৫২০৯ ; ৫২১০ ; যাদের পূর্বে কোন মানুষ বা জ্বিন স্পর্শ করে নাই ; –
৫৭। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২০৯। দেখুন [ ৪৪ : ৫৪ ] আয়াতের টিকা ৪৭২৮ – ২৯।
৫২১০। দেখুন [ ৩৭ : ৪৮ ] আয়াত ও টিকা ৪০৬৪। তাদের পবিত্রতা তাদের চেহারার বর্ণনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.057
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?-
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৫৬। সেখানে থাকবে আনত নয়না পবিত্র [ কুমারীরা ] ৫২০৯ ; ৫২১০ ; যাদের পূর্বে কোন মানুষ বা জ্বিন স্পর্শ করে নাই ; –
৫৭। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২০৯। দেখুন [ ৪৪ : ৫৪ ] আয়াতের টিকা ৪৭২৮ – ২৯।
৫২১০। দেখুন [ ৩৭ : ৪৮ ] আয়াত ও টিকা ৪০৬৪। তাদের পবিত্রতা তাদের চেহারার বর্ণনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.058
প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণীগণ।
(In beauty) they are like rubies and coral.
كَأَنَّهُنَّ الْيَاقُوتُ وَالْمَرْجَانُ
Kaannahunna alyaqootu waalmarjanu
YUSUFALI: Like unto Rubies and coral.
PICKTHAL: (In beauty) like the jacynth and the coral-stone.
SHAKIR: As though they were rubies and pearls.
KHALIFA: They look like gems and coral.
৫৮। তারা হবে পদ্মরাগ ও প্রবালের ন্যায় [ সুন্দর ] ৫২১১।
৫৯। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১১। তাদের নারী সুলভ কমনীয়তা প্রকাশ পাবে তাদের গাত্রবর্ণে যার বর্ণনা আছে এই আয়াতে। এই গাত্রবর্ণ হবে প্রবাল ও পদ্মরাগের ন্যায় কোমল গোলাপী বর্ণ।
আয়াতঃ 055.059
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৫৮। তারা হবে পদ্মরাগ ও প্রবালের ন্যায় [ সুন্দর ] ৫২১১।
৫৯। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১১। তাদের নারী সুলভ কমনীয়তা প্রকাশ পাবে তাদের গাত্রবর্ণে যার বর্ণনা আছে এই আয়াতে। এই গাত্রবর্ণ হবে প্রবাল ও পদ্মরাগের ন্যায় কোমল গোলাপী বর্ণ।
আয়াতঃ 055.060
সৎকাজের প্রতিদান উত্তম পুরস্কার ব্যতীত কি হতে পারে?
Is there any reward for good other than good?
هَلْ جَزَاء الْإِحْسَانِ إِلَّا الْإِحْسَانُ
Hal jazao al-ihsani illa al-ihsanu
YUSUFALI: Is there any Reward for Good – other than Good?
PICKTHAL: Is the reward of goodness aught save goodness?
SHAKIR: Is the reward of goodness aught but goodness?
KHALIFA: Is the reward of goodness anything but goodness?
৬০। ভালো কাজের পুরষ্কার ভালো ব্যতীত আর কি হতে পারে ? ৫২১২
৬১। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১২। “উত্তম কাজের উত্তম পুরষ্কার ” বাক্যটি দ্বারা পরিশিষ্ট টানা হয়েছে। তবে এই পরিশিষ্টের সঠিক ভাবধারা প্রকাশ করা হয়েছে বিমূর্ত প্রকাশ দ্বারা। বলা হয়েছে, “উত্তম কাজের জন্য উত্তম পুরষ্কার ব্যতীত আর কি হতে পারে ?”
আয়াতঃ 055.061
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৬০। ভালো কাজের পুরষ্কার ভালো ব্যতীত আর কি হতে পারে ? ৫২১২
৬১। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১২। “উত্তম কাজের উত্তম পুরষ্কার ” বাক্যটি দ্বারা পরিশিষ্ট টানা হয়েছে। তবে এই পরিশিষ্টের সঠিক ভাবধারা প্রকাশ করা হয়েছে বিমূর্ত প্রকাশ দ্বারা। বলা হয়েছে, “উত্তম কাজের জন্য উত্তম পুরষ্কার ব্যতীত আর কি হতে পারে ?”
আয়াতঃ 055.062
এই দু’টি ছাড়া আরও দু’টি উদ্যান রয়েছে।
And besides these two, there are two other Gardens (i.e. in Paradise).
وَمِن دُونِهِمَا جَنَّتَانِ
Wamin doonihima jannatani
YUSUFALI: And besides these two, there are two other Gardens,-
PICKTHAL: And beside them are two other gardens,
SHAKIR: And besides these two are two (other) gardens:
KHALIFA: Below them are two gardens (one for the jinns and one for the humans).
৬২। এই দুইটি ব্যতীত আরও দুটি উদ্যান রয়েছে ৫২১৩
৬৩। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১৩। দেখুন উপরের টিকা নং ৫২০৫।
আয়াতঃ 055.063
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?-
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৬২। এই দুইটি ব্যতীত আরও দুটি উদ্যান রয়েছে ৫২১৩
৬৩। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১৩। দেখুন উপরের টিকা নং ৫২০৫।
আয়াতঃ 055.064
কালোমত ঘন সবুজ।
Dark green (in colour).
مُدْهَامَّتَانِ
Mudhammatani
YUSUFALI: Dark-green in colour (from plentiful watering).
PICKTHAL: Dark green with foliage.
SHAKIR: Both inclining to blackness.
KHALIFA: Side by side.
৬৪। [ সেই দুই উদ্যান ] ঘন সবুজ রং এর ৫২১৪।
৬৫। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১৪। এই উদ্যানদ্বয়েও ফল ও ফুল গাছে পরিপূর্ণ এবং সেগুলি ঘন সবুজ ও সতেজ। যারা সেই উদ্যানে অবস্থান করবেন ; তাদের মানসিক শান্তির স্তর অনুযায়ী বৃক্ষলতার বৈশিষ্ট্য অনুধাবন করা যাবে।
আয়াতঃ 055.065
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৬৪। [ সেই দুই উদ্যান ] ঘন সবুজ রং এর ৫২১৪।
৬৫। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১৪। এই উদ্যানদ্বয়েও ফল ও ফুল গাছে পরিপূর্ণ এবং সেগুলি ঘন সবুজ ও সতেজ। যারা সেই উদ্যানে অবস্থান করবেন ; তাদের মানসিক শান্তির স্তর অনুযায়ী বৃক্ষলতার বৈশিষ্ট্য অনুধাবন করা যাবে।
আয়াতঃ 055.066
তথায় আছে উদ্বেলিত দুই প্রস্রবণ।
In them (both) will be two springs gushing forth water.
فِيهِمَا عَيْنَانِ نَضَّاخَتَانِ
Feehima AAaynani naddakhatani
YUSUFALI: In them (each) will be two Springs pouring forth water in continuous abundance:
PICKTHAL: Wherein are two abundant springs.
SHAKIR: In both of them are two springs gushing forth.
KHALIFA: In them, wells to be pumped.
৬৬। [ উভয় উদ্যানে ] দুই প্রস্রবণ আছে যা প্রচুর ধারায় পানি নির্গত করছে ৫২১৫ ;
৬৭। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১৫। এই উদ্যানেও রয়েছে দুটি প্রস্রবন পূর্বের উদ্যানের [ ৫৫ : ৫০ ] বর্ণনার ন্যায়। এই প্রস্রবন দুটি সৌন্দর্য ব্যতীতও ফলমূলের গাছে সেচ কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
আয়াতঃ 055.067
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৬৬। [ উভয় উদ্যানে ] দুই প্রস্রবণ আছে যা প্রচুর ধারায় পানি নির্গত করছে ৫২১৫ ;
৬৭। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১৫। এই উদ্যানেও রয়েছে দুটি প্রস্রবন পূর্বের উদ্যানের [ ৫৫ : ৫০ ] বর্ণনার ন্যায়। এই প্রস্রবন দুটি সৌন্দর্য ব্যতীতও ফলমূলের গাছে সেচ কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
আয়াতঃ 055.068
তথায় আছে ফল-মূল, খর্জুর ও আনার।
In them (both) will be fruits, and date- palms and pomegranates.
فِيهِمَا فَاكِهَةٌ وَنَخْلٌ وَرُمَّانٌ
Feehima fakihatun wanakhlun warummanun
YUSUFALI: In them will be Fruits, and dates and pomegranates:
PICKTHAL: Wherein is fruit, the date-palm and pomegranate.
SHAKIR: In both are fruits and palms and pomegranates.
KHALIFA: In them are fruits, date palms, and pomegranate.
৬৮। সেখানে থাকবে ফলমূল ; এবং খেজুর ও আনার ৫১১৬।
৬৯। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১৬। দেখুন উপরের টিকা এবং আয়াত [ ৫৫ : ৫২ ] যেখানে প্রত্যেক ফল অর্থাৎ সর্বপ্রকার ফলের কথা বলা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.069
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny? SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৬৮। সেখানে থাকবে ফলমূল ; এবং খেজুর ও আনার ৫১১৬।
৬৯। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১৬। দেখুন উপরের টিকা এবং আয়াত [ ৫৫ : ৫২ ] যেখানে প্রত্যেক ফল অর্থাৎ সর্বপ্রকার ফলের কথা বলা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.070
সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমণীগণ।
Therein (gardens) will be fair (wives) good and beautiful;
فِيهِنَّ خَيْرَاتٌ حِسَانٌ
Feehinna khayratun hisanun
YUSUFALI: In them will be fair (Companions), good, beautiful;-
PICKTHAL: Wherein (are found) the good and beautiful –
SHAKIR: In them are goodly things, beautiful ones.
KHALIFA: In them are beautiful mates.
৭০। সেখানে থাকবে পবিত্র [ সঙ্গী, যারা ] সুশীলা এবং সুন্দরী ৫২১৭।
৭১। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১৭। দেখুন টিকা নং ৫২০৯। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতাকে নারী সৌন্দর্য্যের প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.071
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?-
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny? –
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৭০। সেখানে থাকবে পবিত্র [ সঙ্গী, যারা ] সুশীলা এবং সুন্দরী ৫২১৭।
৭১। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১৭। দেখুন টিকা নং ৫২০৯। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতাকে নারী সৌন্দর্য্যের প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.072
তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ।
Houris (beautiful, fair females) restrained in pavilions;
حُورٌ مَّقْصُورَاتٌ فِي الْخِيَامِ
Hoorun maqsooratun fee alkhiyami
YUSUFALI: Companions restrained (as to their glances), in (goodly) pavilions;-
PICKTHAL: Fair ones, close-guarded in pavilions –
SHAKIR: Pure ones confined to the pavilions.
KHALIFA: Confined in the tents.
৭২। [এই ] হুররা রয়েছে তাঁবুতে সুরক্ষিতা ৫২১৯
৭৩। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১৯। তাঁবুতে সুরক্ষিত দ্বারা তাদের সম্মানিত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অপর দুটি উদ্যান যার বর্ণনা আছে [ ৫৫ : ৫৪ ] আয়াতে। সেখানে তাদের বর্ণনাতে বলা হয়েছে, “তাহারা যেনো প্রবাল ও পদ্মরাগ; যার সাহায্যে তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.073
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?-
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny? –
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৭২। [এই ] হুররা রয়েছে তাঁবুতে সুরক্ষিতা ৫২১৯
৭৩। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৫২১৯। তাঁবুতে সুরক্ষিত দ্বারা তাদের সম্মানিত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অপর দুটি উদ্যান যার বর্ণনা আছে [ ৫৫ : ৫৪ ] আয়াতে। সেখানে তাদের বর্ণনাতে বলা হয়েছে, “তাহারা যেনো প্রবাল ও পদ্মরাগ; যার সাহায্যে তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 055.074
কোন জিন ও মানব পূর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি।
Whom no man or jinn yatmithhunna (has opened their hymens with sexual intercourse) before them.
لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ
Lam yatmithhunna insun qablahum wala jannun
YUSUFALI: Whom no man or Jinn before them has touched;-
PICKTHAL: Whom neither man nor jinni will have touched before them –
SHAKIR: Man has not touched them before them nor jinni.
KHALIFA: No human ever touched them, nor a jinn.
৭৪। পূর্বে যাদের কোন মানুষ বা জ্বিন স্পর্শ করে নাই ; –
৭৫। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৭৬। ওরা হেলান দিয়ে বসবে সুবজ তাকিয়ায় ৫২২০, এবং সুন্দর ও মহার্ঘ গালিচার উপরে।
৭৭। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৭৮। তোমার প্রভুর নাম মহিমান্বিত। তিনি মর্যদাবান, মহাকল্যাণময় ও সম্মানিত ৫২২১।
৫২২০। এই সূরার [ ৫৫ : ৫৪ ] আয়াতের সমান্তরালভাবে বর্ণনা টানা হয়েছে এই আয়াতে। পূর্বের আয়াতের বর্ণনা সম্ভবতঃ সম্মানের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ।
আয়াতঃ 055.075
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?-
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৭৪। পূর্বে যাদের কোন মানুষ বা জ্বিন স্পর্শ করে নাই ; –
৭৫। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৭৬। ওরা হেলান দিয়ে বসবে সুবজ তাকিয়ায় ৫২২০, এবং সুন্দর ও মহার্ঘ গালিচার উপরে।
৭৭। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৭৮। তোমার প্রভুর নাম মহিমান্বিত। তিনি মর্যদাবান, মহাকল্যাণময় ও সম্মানিত ৫২২১।
৫২২০। এই সূরার [ ৫৫ : ৫৪ ] আয়াতের সমান্তরালভাবে বর্ণনা টানা হয়েছে এই আয়াতে। পূর্বের আয়াতের বর্ণনা সম্ভবতঃ সম্মানের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ।
আয়াতঃ 055.076
তারা সবুজ মসনদে এবং উৎকৃষ্ট মূল্যবান বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে।
Reclining on green cushions and rich beautiful mattresses.
مُتَّكِئِينَ عَلَى رَفْرَفٍ خُضْرٍ وَعَبْقَرِيٍّ حِسَانٍ
Muttaki-eena AAala rafrafin khudrin waAAabqariyyin hisanin
YUSUFALI: Reclining on green Cushions and rich Carpets of beauty.
PICKTHAL: Reclining on green cushions and fair carpets.
SHAKIR: Reclining on green cushions and beautiful carpets.
KHALIFA: They relax on green carpets, in beautiful surroundings.
৭৪। পূর্বে যাদের কোন মানুষ বা জ্বিন স্পর্শ করে নাই ; –
৭৫। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৭৬। ওরা হেলান দিয়ে বসবে সুবজ তাকিয়ায় ৫২২০, এবং সুন্দর ও মহার্ঘ গালিচার উপরে।
৭৭। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৭৮। তোমার প্রভুর নাম মহিমান্বিত। তিনি মর্যদাবান, মহাকল্যাণময় ও সম্মানিত ৫২২১।
৫২২০। এই সূরার [ ৫৫ : ৫৪ ] আয়াতের সমান্তরালভাবে বর্ণনা টানা হয়েছে এই আয়াতে। পূর্বের আয়াতের বর্ণনা সম্ভবতঃ সম্মানের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ।
আয়াতঃ 055.077
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny?
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৭৪। পূর্বে যাদের কোন মানুষ বা জ্বিন স্পর্শ করে নাই ; –
৭৫। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৭৬। ওরা হেলান দিয়ে বসবে সুবজ তাকিয়ায় ৫২২০, এবং সুন্দর ও মহার্ঘ গালিচার উপরে।
৭৭। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৭৮। তোমার প্রভুর নাম মহিমান্বিত। তিনি মর্যদাবান, মহাকল্যাণময় ও সম্মানিত ৫২২১।
৫২২০। এই সূরার [ ৫৫ : ৫৪ ] আয়াতের সমান্তরালভাবে বর্ণনা টানা হয়েছে এই আয়াতে। পূর্বের আয়াতের বর্ণনা সম্ভবতঃ সম্মানের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ।
আয়াতঃ 055.078
কত পূণ্যময় আপনার পালনকর্তার নাম, যিনি মহিমাময় ও মহানুভব।
Blessed be the Name of your Lord (Allâh), the Owner of Majesty and Honour.
تَبَارَكَ اسْمُ رَبِّكَ ذِي الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
Tabaraka ismu rabbika thee aljalali waal-ikrami
YUSUFALI: Blessed be the name of thy Lord, full of Majesty, Bounty and Honour.
PICKTHAL: Blessed be the name of thy Lord, Mighty and glorious!
SHAKIR: Blessed be the name of your Lord, the Lord of Glory and Honor!
KHALIFA: Most exalted is the name of your Lord, Possessor of Majesty and Honor.
৭৪। পূর্বে যাদের কোন মানুষ বা জ্বিন স্পর্শ করে নাই ; –
৭৫। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৭৬। ওরা হেলান দিয়ে বসবে সুবজ তাকিয়ায় ৫২২০, এবং সুন্দর ও মহার্ঘ গালিচার উপরে।
৭৭। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৭৮। তোমার প্রভুর নাম মহিমান্বিত। তিনি মর্যদাবান, মহাকল্যাণময় ও সম্মানিত ৫২২১।
৫২২০। এই সূরার [ ৫৫ : ৫৪ ] আয়াতের সমান্তরালভাবে বর্ণনা টানা হয়েছে এই আয়াতে। পূর্বের আয়াতের বর্ণনা সম্ভবতঃ সম্মানের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ।