- সূরার নাম: সূরা কামার
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা কামার
আয়াতঃ 054.001
কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।
The Hour has drawn near, and the moon has been cleft asunder (the people of Makkah requested Prophet Muhammad SAW to show them a miracle, so he showed them the splitting of the moon).
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ
Iqtarabati alssaAAatu wainshaqqa alqamaru
YUSUFALI: The Hour (of Judgment) is nigh, and the moon is cleft asunder.
PICKTHAL: The hour drew nigh and the moon was rent in twain.
SHAKIR: The hour drew nigh and the moon did rend asunder.
KHALIFA: The Hour has come closer, and the moon has split.
০১। কেয়ামত নিকটবর্তী ৫১২৭, এবং চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে ৫১২৮।
৫১২৭। দেখুন ৫৩ নং সূরার ভূমিকার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ। “কেয়ামত আসন্ন” এই বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে এই সূরার প্রথমে এবং পূর্ববর্তী সূরার [ ৫৩ নং ] শেষে [ ৫৭ নং আয়াতে ]।
৫১২৮। এই আয়াতটি দ্বারা যে ঘটনাকে বোঝানো হয়েছে তা তিন ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
১) হিজরতের পাঁচ বৎসর পূর্বে হজ্জ্বের মৌসুমে মিনায় যখন লোক সমাগম ছিলো, কাফেররা তখন রাসুলুল্লাহ্কে (সা) মুজেজা প্রদর্শন করতে বলেন। তিনি আল্লাহ্র হুকুমে চন্দ্রের দিকে ইশারা করেন। চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হয়ে স্থির হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পর আবার খন্ড দুটি মিলিত হয়ে চন্দ্র আবার পূর্ব আকার ধারণ করে।
২) “চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে ” – এই বাক্যটি দ্বারা ভবিষ্যত কালকে বোঝানো হয়েছে, চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়া কেয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার লক্ষণ – ভবিষ্যত কাল দ্বারা তাই বোঝানো হয়েছে।
৩) বাক্যটি রূপক অর্থ বহন করে। অর্থাৎ কেয়ামতের বিষয়বস্তু চন্দ্রের ন্যায় স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট।
১) নম্বর ঘটনাটি বহু লোক দর্শন করে যার মধ্যে বহু অবিশ্বাসীও ছিলো, যাদের উল্লেখ ২নং আয়াতে করা হয়েছে। ২) নম্বর ব্যাখ্যাটি কেয়ামতের লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা যায় যখন সম্পূর্ণ সৌর মন্ডল ধ্বংস হয়ে যাবে। দেখুন [ ৭৫ : ৮ – ৯ ] আয়াতের বর্ণনা।
আয়াতঃ 054.002
তারা যদি কোন নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত জাদু।
And if they see a sign, they turn away, and say: ”This is continuous magic.”
وَإِن يَرَوْا آيَةً يُعْرِضُوا وَيَقُولُوا سِحْرٌ مُّسْتَمِرٌّ
Wa-in yaraw ayatan yuAAridoo wayaqooloo sihrun mustamirrun
YUSUFALI: But if they see a Sign, they turn away, and say, “This is (but) transient magic.”
PICKTHAL: And if they behold a portent they turn away and say: Prolonged illusion.
SHAKIR: And if they see a miracle they turn aside and say: Transient magic.
KHALIFA: Then they saw a miracle; but they turned away and said, “Old magic.”
০২। কিন্তু ওরা যদি কোন নিদর্শন দেখে, তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, ” ইহা তো সেই প্রচলিত যাদু।” ৫১২৯
৫১২৯। “Mustamirr” অর্থাৎ ক্রমাগত অথবা শক্তিশালী। এর যে কোন একটি অর্থ এখানে প্রযোজ্য হতে পারে। অবিশ্বাসীরা চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার মত ঘটনাকে অবলোকন করে তা অস্বাভাবিক বলে স্বীকার করে কিন্তু তাকে যাদু বিদ্যা বলে সনাক্ত করে। তারা এর দ্বারা কোনরূপ আধ্যাত্মিক শিক্ষা গ্রহণ করে নাই।
আয়াতঃ 054.003
তারা মিথ্যারোপ করছে এবং নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করছে। প্রত্যেক কাজ যথাসময়ে স্থিরীকৃত হয়।
They belied (the Verses of Allâh, this Qur’ân), and followed their own lusts. And every matter will be settled [according to the kind of deeds (for the doer of good deeds, his deeds will take him to Paradise, and similarly evil deeds will take their doers to Hell)].
وَكَذَّبُوا وَاتَّبَعُوا أَهْوَاءهُمْ وَكُلُّ أَمْرٍ مُّسْتَقِرٌّ
Wakaththaboo waittabaAAoo ahwaahum wakullu amrin mustaqirrun
YUSUFALI: They reject (the warning) and follow their (own) lusts but every matter has its appointed time.
PICKTHAL: They denied (the Truth) and followed their own lusts. Yet everything will come to a decision
SHAKIR: And they call (it) a lie, and follow their low desires; and every affair has its appointed term.
KHALIFA: They disbelieved, followed their opinions, and adhered to their old traditions.
০৩। তারা [সর্তকবাণীকে ] প্রত্যাখান করে এবং তাদের [নিজ ] প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। কিন্তু প্রত্যেক জিনিষের জন্য রয়েছে এক [ পূর্ব] নির্ধারিত সময়কাল ৫১৩০।
৫১৩০। “পূর্ব নির্ধারিত সময়কাল” – অর্থাৎ পৃথিবীর জীবনে যা পাপ ও অন্যায় তা প্রথমে অপ্রতিহত গতিতে চলে এবং সত্য ও ন্যায় অবদমিত হয়ে থাকে। কিন্তু তা ক্ষণস্থায়ী। কারণ আল্লাহ্র আইন হচ্ছে পাপের ধ্বংস ও সত্যের বিজয় ও স্থায়ীত্ব। তবে পাপীদের জন্যও একটি সময়কালকে
আল্লাহ নির্ধারিত করে দিয়েছেন।
আয়াতঃ 054.004
তাদের কাছে এমন সংবাদ এসে গেছে, যাতে সাবধানবাণী রয়েছে।
And indeed there has come to them news (in this Qur’ân) wherein there is (enough warning) to check (them from evil),
وَلَقَدْ جَاءهُم مِّنَ الْأَنبَاء مَا فِيهِ مُزْدَجَرٌ
Walaqad jaahum mina al-anba-i ma feehi muzdajarun
YUSUFALI: There have already come to them Recitals wherein there is (enough) to check (them),
PICKTHAL: And surely there hath come unto them news whereof the purport should deter,
SHAKIR: And certainly some narratives have come to them wherein is prevention–
KHALIFA: Sufficient warnings have been delivered to alert them.
০৪। অবশ্যই [কুর-আনের মাধ্যমে ] তাদের নিকট সংবাদ এসেছে ; যাতে আছে তাদের জন্য সাবধান বাণী ৫১৩১ ;-
০৫। পরিপূর্ণ প্রজ্ঞা ; কিন্তু সর্তকারীর [এই প্রচার ] তাদের কোন উপকারে আসে নাই।
৫১৩১। অতীতের বিভিন্ন জাতির পাপ কার্য তাদের প্রতি আল্লাহ্র শাস্তির সংবাদ কাফেররা অবগত। কিন্তু তারা যদি প্রজ্ঞা সম্পন্ন হতো তবে এসব কাহিনী তাদের জ্ঞান চক্ষুকে উম্মীলন করে দিত। এর ফলে তারা প্রকৃত সত্যকে অনুধাবন করতে পারতো এবং পাপ পথে জীবিকা অর্জনের মাধ্যমে পার্থিব উন্নতি কামনা করতো না। অতীতের এরূপ পাঁচটি ঘটনার বিবরণ এই সূরার পরবর্তী আয়াত সমূহে বর্ণনা করা হয়েছে।
আয়াতঃ 054.005
এটা পরিপূর্ণ জ্ঞান, তবে সতর্ককারীগণ তাদের কোন উপকারে আসে না।
Perfect wisdom (this Qur’ân), but (the preaching of) warners benefit them not,
حِكْمَةٌ بَالِغَةٌ فَمَا تُغْنِ النُّذُرُ
Hikmatun balighatun fama tughnee alnnuthuru
YUSUFALI: Mature wisdom;- but (the preaching of) Warners profits them not.
PICKTHAL: Effective wisdom; but warnings avail not.
SHAKIR: Consummate wisdom– but warnings do not avail;
KHALIFA: Great wisdom; but all the warnings have been in vain.
০৪। অবশ্যই [কুর-আনের মাধ্যমে ] তাদের নিকট সংবাদ এসেছে ; যাতে আছে তাদের জন্য সাবধান বাণী ৫১৩১ ;-
০৫। পরিপূর্ণ প্রজ্ঞা ; কিন্তু সর্তকারীর [এই প্রচার ] তাদের কোন উপকারে আসে নাই।
৫১৩১। অতীতের বিভিন্ন জাতির পাপ কার্য তাদের প্রতি আল্লাহ্র শাস্তির সংবাদ কাফেররা অবগত। কিন্তু তারা যদি প্রজ্ঞা সম্পন্ন হতো তবে এসব কাহিনী তাদের জ্ঞান চক্ষুকে উম্মীলন করে দিত। এর ফলে তারা প্রকৃত সত্যকে অনুধাবন করতে পারতো এবং পাপ পথে জীবিকা অর্জনের মাধ্যমে পার্থিব উন্নতি কামনা করতো না। অতীতের এরূপ পাঁচটি ঘটনার বিবরণ এই সূরার পরবর্তী আয়াত সমূহে বর্ণনা করা হয়েছে।
আয়াতঃ 054.006
অতএব, আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। যেদিন আহবানকারী আহবান করবে এক অপ্রিয় পরিণামের দিকে,
So (O Muhammad SAW) withdraw from them. The Day that the caller will call (them) to a terrible thing.
فَتَوَلَّ عَنْهُمْ يَوْمَ يَدْعُ الدَّاعِ إِلَى شَيْءٍ نُّكُرٍ
Fatawalla AAanhum yawma yadAAu alddaAAi ila shay-in nukurin
YUSUFALI: Therefore, (O Prophet,) turn away from them. The Day that the Caller will call (them) to a terrible affair,
PICKTHAL: So withdraw from them (O Muhammad) on the day when the Summoner summoneth unto a painful thing.
SHAKIR: So turn (your) back on them (for) the day when the inviter shall invite them to a hard task,
KHALIFA: Ignore them; the day will come when the caller will announce a terrible disaster.
০৬। সুতারাং [হে নবী ! ] ৫১৩২ তুমি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও। সেদিন আহ্বানকারী [তাদের ] এক ভয়াবহ পরিণামের দিকে আহ্বান করবে, ৫১৩৩
৫১৩২। পাপের মাধ্যমে উন্নতি লাভ করা, সমাজে প্রতিষ্ঠা অর্জন করা, সম্পদ ও ক্ষমতা আহরণ করা সহজ। কিন্তু তা কখনও স্থায়ী ফল বয়ে আনতে পারে না। পৃথিবীর হিসাবই শেষ ফলাফল নয়; শেষ বিচারের দিনে সব কিছুর স্থায়ী মূল্যায়ন হবে।
৫১৩৩। কেয়ামত দিবসের বর্ণনাতে বলা হয়েছে যে, সেদিন আহ্বানকারী ফেরেশতা পুনরুত্থানের জন্য আহ্বান করবে প্রতিটি আত্মাকে দেখুন [ ২০ : ১০৮ – ১১১ ] আয়াত।
আয়াতঃ 054.007
তারা তখন অবনমিত নেত্রে কবর থেকে বের হবে বিক্ষিপ্ত পংগপাল সদৃশ।
They will come forth, with humbled eyes from (their) graves as if they were locusts spread abroad,
خُشَّعًا أَبْصَارُهُمْ يَخْرُجُونَ مِنَ الْأَجْدَاثِ كَأَنَّهُمْ جَرَادٌ مُّنتَشِرٌ
KhushshaAAan absaruhum yakhrujoona mina al-ajdathi kaannahum jaradun muntashirun
YUSUFALI: They will come forth,- their eyes humbled – from (their) graves, (torpid) like locusts scattered abroad,
PICKTHAL: With downcast eyes, they come forth from the graves as they were locusts spread abroad,
SHAKIR: Their eyes cast down, going forth from their graves as if they were scattered locusts,
KHALIFA: With their eyes humiliated, they come out of the graves like scattered locusts.
০৭। তারা নত নেত্রে [ তাদের ] কবর থেকে বের হবে, বিক্ষিপ্ত পঙ্গপালের ন্যায় ৫১৩৪,
০৮। আহ্বানকারীর দিকে বিষ্ফোরিত নেত্রে চেয়ে ছুটতে থাকবে। অবিশ্বাসীরা বলবে, ” কঠিন এই দিন।”
৫১৩৪। “বিক্ষিপ্ত পঙ্গপাল ” – এই উপমাটির সাহায্যে কেয়ামত দিবসে পাপীদের পুনরুত্থানের ছবি আঁকা হয়েছে। যারা পঙ্গপালের ঝাঁক দেখেছেন তারা ছবিটি অনুধাবনের চেষ্টা করবেন। লক্ষ লক্ষ পঙ্গপাল ঝাঁকে ঝাঁকে শষ্য ক্ষেত্রকে আক্রমন করে পরদিন দেখা যায় রাশি রাশি হতবুদ্ধি পঙ্গপাল বিক্ষিপ্ত অবস্থায় চর্তুদিকে স্তুপাকারভাবে মরে পড়ে আছে। রোজ হাশরের ময়দানে মানুষেরা কবরের নিদ্রা থেকে জেগে উঠে হতবুদ্ধির মত বলবে, ” হায় ! কে আমাদের জাগ্রত করলো ? “
আয়াতঃ 054.008
তারা আহবানকারীর দিকে দৌড়াতে থাকবে। কাফেরা বলবেঃ এটা কঠিন দিন।
Hastening towards the caller, the disbelievers will say: ”This is a hard Day.”
مُّهْطِعِينَ إِلَى الدَّاعِ يَقُولُ الْكَافِرُونَ هَذَا يَوْمٌ عَسِرٌ
MuhtiAAeena ila alddaAAi yaqoolu alkafiroona hatha yawmun AAasirun
YUSUFALI: Hastening, with eyes transfixed, towards the Caller!- “Hard is this Day!”, the Unbelievers will say.
PICKTHAL: Hastening toward the summoner; the disbelievers say: This is a hard day.
SHAKIR: Hastening to the inviter. The unbelievers shall say: This is a hard day.
KHALIFA: As they respond to the caller, the disbelievers will say, “This is a difficult day.”
০৭। তারা নত নেত্রে [ তাদের ] কবর থেকে বের হবে, বিক্ষিপ্ত পঙ্গপালের ন্যায় ৫১৩৪,
০৮। আহ্বানকারীর দিকে বিষ্ফোরিত নেত্রে চেয়ে ছুটতে থাকবে। অবিশ্বাসীরা বলবে, ” কঠিন এই দিন।”
৫১৩৪। “বিক্ষিপ্ত পঙ্গপাল ” – এই উপমাটির সাহায্যে কেয়ামত দিবসে পাপীদের পুনরুত্থানের ছবি আঁকা হয়েছে। যারা পঙ্গপালের ঝাঁক দেখেছেন তারা ছবিটি অনুধাবনের চেষ্টা করবেন। লক্ষ লক্ষ পঙ্গপাল ঝাঁকে ঝাঁকে শষ্য ক্ষেত্রকে আক্রমন করে পরদিন দেখা যায় রাশি রাশি হতবুদ্ধি পঙ্গপাল বিক্ষিপ্ত অবস্থায় চর্তুদিকে স্তুপাকারভাবে মরে পড়ে আছে। রোজ হাশরের ময়দানে মানুষেরা কবরের নিদ্রা থেকে জেগে উঠে হতবুদ্ধির মত বলবে, ” হায় ! কে আমাদের জাগ্রত করলো ? “
আয়াতঃ 054.009
তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়ও মিথ্যারোপ করেছিল। তারা মিথ্যারোপ করেছিল আমার বান্দা নূহের প্রতি এবং বলেছিলঃ এ তো উম্মাদ। তাঁরা তাকে হুমকি প্রদর্শন করেছিল।
The people of Nûh (Noah) denied (their Messenger) before them, they rejected Our slave, and said: ”A madman!” and he was insolently rebuked and threatened.
كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ فَكَذَّبُوا عَبْدَنَا وَقَالُوا مَجْنُونٌ وَازْدُجِرَ
Kaththabat qablahum qawmu noohin fakaththaboo AAabdana waqaloo majnoonun waizdujira
YUSUFALI: Before them the People of Noah rejected (their messenger): they rejected Our servant, and said, “Here is one possessed!”, and he was driven out.
PICKTHAL: The folk of Noah denied before them, yea, they denied Our slave and said: A madman; and he was repulsed.
SHAKIR: Before them the people of Nuh rejected, so they rejected Our servant and called (him) mad, and he was driven away.
KHALIFA: The people of Noah disbelieved before them. They disbelieved our servant and said, “Crazy!” He was persecuted.
০৯। তাদের পূর্বে নূহ্ এর সম্প্রদায়ও [তাদের নবীকে ] প্রত্যাখান করেছিলো। তারা আমার বান্দাকে প্রত্যাখান করেছিলো ৫১৩৫ এবং বলেছিলো, ” এই এক পাগল।” এবং সে বিতাড়িত হয়েছিলো।
৫১৩৫। হযরত নূহ্ এর মহাপ্লাবনের কাহিনী কোরানে বহুবার বর্ণনা করা হয়েছে। নূহ্ নবীর কাহিনী সবচেয়ে ভালোভাবে বর্ণনা করা হয়েছে সূরা [ ১১ : ২৫ – ৪৮ ] আয়াতে। সেখানে বর্ণনা করা হয়েছে, কিভাবে তারা প্রথমে তাঁকে নির্মমভাবে অপমান ও নির্যাতন করতো। কি ভাবে নূহ্ নবী বিনীত ভাবে তাদের সাথে যুক্তি তর্কের উত্থাপন করতেন। কি ভাবে তারা নূহ্ নবীকে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করতো এবং তাকে পাগল ও ভূতে পাওয়া বলে অভিহিত করতো। কি ভাবে বন্যা তাদের প্লাবিত করেছিলো। নূহ্ নবী নৌকা দ্বারা উদ্ধার পান এবং পাপীরা ধ্বংস হয়ে যায়।
আয়াতঃ 054.010
অতঃপর সে তার পালনকর্তাকে ডেকে বললঃ আমি অক্ষম, অতএব, তুমি প্রতিবিধান কর।
Then he invoked his Lord (saying): ”I have been overcome, so help (me)!”
فَدَعَا رَبَّهُ أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانتَصِرْ
FadaAAa rabbahu annee maghloobun faintasir
YUSUFALI: Then he called on his Lord: “I am one overcome: do Thou then help (me)!”
PICKTHAL: So he cried unto his Lord, saying: I am vanquished, so give help.
SHAKIR: Therefore he called upon his Lord: I am overcome, come Thou then to help.
KHALIFA: He implored his Lord, “I am oppressed; grant me victory.”
১০। অতঃপর সে তাঁর প্রভুকে ডেকে বলেছিলো, ” আমি তো অসহায়, অতএব তুমি [আমাকে ] সাহায্য কর।” ৫১৩৬
৫১৩৬। নূহ্ নবী মন্দ লোকদের বিরুদ্ধাচারণে তাঁর প্রতি অর্পিত দায়িত্ব পূর্ণ করতে পারেন নাই। তাঁর সকল কর্ম প্রচেষ্টা যখন বিফল হলো, তিনি তখন আল্লাহ্র নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেন, যার ফলে পাপীরা ধ্বংস হয়ে যায়।
আয়াতঃ 054.011
তখন আমি খুলে দিলাম আকাশের দ্বার প্রবল বারিবর্ষণের মাধ্যমে।
So We opened the gates of heaven with water pouring forth.
فَفَتَحْنَا أَبْوَابَ السَّمَاء بِمَاء مُّنْهَمِرٍ
Fafatahna abwaba alssama-i bima-in munhamirin
YUSUFALI: So We opened the gates of heaven, with water pouring forth.
PICKTHAL: Then opened We the gates of heaven with pouring water
SHAKIR: So We opened the gates of the cloud with water pouring
KHALIFA: We then opened the gates of the sky, pouring water.
১১। সুতারাং মুষলধারে বৃষ্টির সাথে আমি আকাশের দুয়ার খুলে দিলাম।
১২। এবং মৃত্তিকা থেকে উৎসরিত করলাম প্রস্রবণ। সুতারাং [সকল ] পানি মিলিত হলো [এবং স্ফীত হলো ] এক নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত ৫১৩৭
৫১৩৭। উপর থেকে প্রবল বারী বর্ষণ এবং মাটির নীচ থেকে প্রবল বেগে পানি উৎক্ষিপ্ত হতে থাকে ফলে মহাপ্লাবনের সৃষ্টি হয়।
আয়াতঃ 054.012
এবং ভুমি থেকে প্রবাহিত করলাম প্রস্রবণ। অতঃপর সব পানি মিলিত হল এক পরিকম্পিত কাজে।
And We caused the earth to gush forth with springs. So the waters (of the heaven and the earth) met for a matter predestined.
وَفَجَّرْنَا الْأَرْضَ عُيُونًا فَالْتَقَى الْمَاء عَلَى أَمْرٍ قَدْ قُدِرَ
Wafajjarna al-arda AAuyoonan failtaqa almao AAala amrin qad qudira
YUSUFALI: And We caused the earth to gush forth with springs, so the waters met (and rose) to the extent decreed.
PICKTHAL: And caused the earth to gush forth springs, so that the waters met for a predestined purpose.
SHAKIR: And We made water to flow forth in the land in springs, so the water gathered together according to a measure already ordained.
KHALIFA: And we caused springs to gush out of the earth. The waters met to effect a predetermined decision.
১১। সুতারাং মুষলধারে বৃষ্টির সাথে আমি আকাশের দুয়ার খুলে দিলাম।
১২। এবং মৃত্তিকা থেকে উৎসরিত করলাম প্রস্রবণ। সুতারাং [সকল ] পানি মিলিত হলো [এবং স্ফীত হলো ] এক নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত ৫১৩৭
৫১৩৭। উপর থেকে প্রবল বারী বর্ষণ এবং মাটির নীচ থেকে প্রবল বেগে পানি উৎক্ষিপ্ত হতে থাকে ফলে মহাপ্লাবনের সৃষ্টি হয়।
আয়াতঃ 054.013
আমি নূহকে আরোহণ করালাম এক কাষ্ঠ ও পেরেক নির্মিত জলযানে।
And We carried him on a (ship) made of planks and nails,
وَحَمَلْنَاهُ عَلَى ذَاتِ أَلْوَاحٍ وَدُسُرٍ
Wahamalnahu AAala thati alwahin wadusurin
YUSUFALI: But We bore him on an (Ark) made of broad planks and caulked with palm-fibre:
PICKTHAL: And We carried him upon a thing of planks and nails,
SHAKIR: And We bore him on that which was made of planks and nails
KHALIFA: We carried him on a watercraft made of logs and ropes.
১৩। কিন্তু আমি তাকে প্রশস্ত তক্তা ও পাম গাছের আঁশ দ্বারা পানি নিরোধক ভাবে প্রস্তুত [ নৌকাতে ] বহন করেছিলাম ৫১৩৮।
৫১৩৮। “Dusur” বহু বচনে “Disar” অর্থাৎ ‘পাম’ গাছের আঁশ। বলা হয়েছে এই আঁশকে ব্যবহার করা হয়েছে নৌকা নির্মানের জন্য। অনেকে মনে করেন পেরেক সদৃশ্য তক্তা যা নৌকা তৈরীতে ব্যবহার করা হয়েছিলো। সে যুগের নৌকা তৈরীর প্রণালী এ যুগের অনুবাদকদের অনুধাবন করা অসম্ভব ব্যাপার।
আয়াতঃ 054.014
যা চলত আমার দৃষ্টি সামনে। এটা তার পক্ষ থেকে প্রতিশোধ ছিল, যাকে প্রত্যখ্যান করা হয়েছিল।
Floating under Our Eyes, a reward for him who had been rejected!
تَجْرِي بِأَعْيُنِنَا جَزَاء لِّمَن كَانَ كُفِرَ
Tajree bi-aAAyunina jazaan liman kana kufira
YUSUFALI: She floats under our eyes (and care): a recompense to one who had been rejected (with scorn)!
PICKTHAL: That ran (upon the waters) in Our sight, as a reward for him who was rejected.
SHAKIR: Sailing, before Our eyes, a reward for him who was denied.
KHALIFA: It ran under our watchful eyes; a reward for one who was rejected.
১৪। যা ভেসে বেড়াত আমার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ; যে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলো, [ অবজ্ঞার সাথে ], ইহা ছিলো তারই পুরষ্কার ৫১৩৯।
৫১৩৯। হযরত নূহ্ এর ঘটনা হচ্ছে আল্লাহ্র প্রতি নিবেদিত বান্দার আল্লাহ্র করুণা ও দয়া লাভের সাক্ষ্য।
আয়াতঃ 054.015
আমি একে এক নিদর্শনরূপে রেখে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
And indeed, We have left this as a sign, then is there any that will remember (or receive admonition)?
وَلَقَد تَّرَكْنَاهَا آيَةً فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ
Walaqad taraknaha ayatan fahal min muddakirin
YUSUFALI: And We have left this as a Sign (for all time): then is there any that will receive admonition?
PICKTHAL: And verily We left it as a token; but is there any that remembereth?
SHAKIR: And certainly We left it as a sign, but is there anyone who
KHALIFA: We have set it up as a lesson. Does any of you wish to learn?
১৫। এবং আমি এই ঘটনাকে [ সকল সময়ের জন্য ] এক নিদর্শন স্বরূপ রেখে দিয়েছি ৫১৪০ ; এরপরেও কি কেউ আছ যে উপদেশ গ্রহণ করবে ৫১৪১ ?
৫১৪০। যুগে যুগে আল্লাহ্ পূণ্যাত্মাদের শাস্তির আওতা থেকে রক্ষা করেছেন। দেখুন আয়াত [ ২৯ : ১৫ ] আয়াত যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পূণ্যাত্মাদের উদ্ধার লাভ ছিলো আল্লাহ্র করুণার নিদর্শন। দেখুন সূরা [ ২৫ : ৩৭ ] এবং [ ২৬ : ১২১ ] যেখানে অনুরূপ আয়াত আছে। আরও দেখুন [ ২৯ : ৩৫ ] এবং [ ৫১ : ৩৭ ] আয়াত সমূহ যেখানে লূতের কথা বর্ণনা করা হয়েছে, যাকে আল্লাহ্ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেন।
৫১৪১। “অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেহ আছ কি ? ” – এই বাক্যটি এই সূরাতে ছয়বার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। দেখুন সূরার ভূমিকা।
আয়াতঃ 054.016
কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।
Then how (terrible) was My Torment and My Warnings?
فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ
Fakayfa kana AAathabee wanuthuri
YUSUFALI: But how (terrible) was My Penalty and My Warning?
PICKTHAL: Then see how (dreadful) was My punishment after My warnings!
SHAKIR: How (great) was then My punishment and My warning!
KHALIFA: How terrible was My retribution after the warnings!
১৬। কি কঠোর ছিলো আমার শাস্তি ও সর্তকবাণী ৫১৪২ ?
৫১৪২। আল্লাহ্ করুণা ও দয়ার আঁধার। কোরাণ শরীফে বহুবার তাঁর করুণার উল্লেখ আছে। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, তিনি করুণাময় ঠিকই,তবে তিনি ন্যায়বান। পাপীরা তাদের কৃতকর্মের শাস্তি এড়াতে পারবে না। যখন কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র সর্তকবাণীকে উপেক্ষা করে তাদের প্রতি থেকে আল্লাহ্ করুণা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। সেই ভয়াবহ অবস্থার কথাই এখানে বর্ণনা করা হয়েছে।
আয়াতঃ 054.017
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
And We have indeed made the Qur’ân easy to understand and remember, then is there any that will remember (or receive admonition)?
وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ
Walaqad yassarna alqur-ana lilththikri fahal min muddakirin
YUSUFALI: And We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember: then is there any that will receive admonition?
PICKTHAL: And in truth We have made the Qur’an easy to remember; but is there any that remembereth?
SHAKIR: And certainly We have made the Quran easy for remembrance, but is there anyone who will mind?
KHALIFA: We made the Quran easy to learn. Does any of you wish to learn?
১৭। বুঝার ও মনে রাখার জন্য কুর-আনকে আমি অবশ্যই সহজ করেছি ৫১৪৩। এরপরে এমন কেউ আছ কি যে উপদেশ গ্রহণ করবে ?
৫১৪৩। মানুষের জীবন দর্শন ও আধ্যাত্মিক জীবনের এক সুস্পষ্ট চিত্র আল্ – কোরাণ। যে জীবন বিধান মানুষের আধ্যাত্মিক জীবনকে সমৃদ্ধির পথে ইহকালে ও পরকালে শান্তির পথে পরিচালিত করবে, কোরাণে তা সমৃদ্ধ ভাষাতে সহজ সরল ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যেন সাধারণ মানুষের তা বোধগম্য হয়। আধ্যাত্মিক শান্তি ও প্রশান্তি লাভের উপায় বর্ণনা করা হয়েছে কোরাণের পাতায় পাতায়। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্র এ এক অসীম করুণা সাধারণ মানুষের জন্য। না হলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পথের দিশা অন্বেষণ করে ফিরতো অন্ধের মত। এর পরেও কোরাণ থেকে পথের দিশা সন্ধান করে না কোন মূর্খ ?
মন্তব্য : আরবীতে কোরাণ পাঠের সাথে সাথে মাতৃভাষাতে কোরাণ পাঠ প্রয়োজন যেনো আল্লাহ্র দেয়া পথ নির্দ্দেশকে হৃদয়ের মাঝে বুঝতে পারে ও অনুসরণ করতে পারে।
আয়াতঃ 054.018
আদি সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কেমন কঠোর হয়েছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।
’Ad (people) belied (their Prophet, Hûd), then how (terrible) was My Torment and My Warnings?
كَذَّبَتْ عَادٌ فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ
Kaththabat AAadun fakayfa kana AAathabee wanuthuri
YUSUFALI: The ‘Ad (people) (too) rejected (Truth): then how terrible was My Penalty and My Warning?
PICKTHAL: (The tribe of) A’ad rejected warnings. Then how (dreadful) was My punishment after My warnings.
SHAKIR: Ad treated (the truth) as a lie, so how (great) was My punishment and My warning!
KHALIFA: `Aad disbelieved. Consequently, how terrible was My retribution after the warnings.
১৮। আ’দ সম্প্রদায়ও [ সত্যকে ] প্রত্যাখান করেছিলো। অতঃপর কি ভয়ানক হয়েছিলো আমার শাস্তি ও সর্তকবাণী ?
১৯। [নিরবচ্ছিন্ন] এক প্রচন্ড বিপর্যয়ের দিনে আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম এক ঝঞ্ঝা বায়ু ৫১৪৪,
৫১৪৪। দেখুন আয়াত [ ৪১ : ১৬] কি সংক্ষেপে কয়েকটি বাক্যের মাধ্যমে কি জীবন্ত চিত্র আঁকা হয়েছে ঘুর্ণিঝড়ের। এই ঘুর্ণিঝড় ছিলো অবর্ণনীয় প্রচন্ড গতি সম্পন্ন যা মানুষকে ধ্বংস করে ফেলেছিলো ঠিক খেজুর গাছ যে ভাবে শিকড় সহ উৎপাটিত হয়ে যায়। “নিরবচ্ছিন্ন প্রচন্ড বিপর্যয়ের দিন” বাক্যটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে তা কয়েকদিন স্থায়ী ছিলো। যে ঝঞাবায়ু আ’দ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে ফেলে তা সাত রাত্রি ও আট দিনস্থায়ী ছিলো। দেখুন [ ৬৯: ৭ ] আয়াত।
আয়াতঃ 054.019
আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম ঝঞ্জাবায়ু এক চিরাচরিত অশুভ দিনে।
Verily, We sent against them a furious wind of harsh voice on a day of evil omen and continuous calamity.
إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا صَرْصَرًا فِي يَوْمِ نَحْسٍ مُّسْتَمِرٍّ
Inna arsalna AAalayhim reehan sarsaran fee yawmi nahsin mustamirrin
YUSUFALI: For We sent against them a furious wind, on a Day of violent Disaster,
PICKTHAL: Lo! We let loose on them a raging wind on a day of constant calamity,
SHAKIR: Surely We sent on them a tornado in a day of bitter ill-luck
KHALIFA: We sent upon them violent winds, on a day of continuous misery.
১৮। আ’দ সম্প্রদায়ও [ সত্যকে ] প্রত্যাখান করেছিলো। অতঃপর কি ভয়ানক হয়েছিলো আমার শাস্তি ও সর্তকবাণী ?
১৯। [নিরবচ্ছিন্ন] এক প্রচন্ড বিপর্যয়ের দিনে আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম এক ঝঞ্ঝা বায়ু ৫১৪৪,
৫১৪৪। দেখুন আয়াত [ ৪১ : ১৬] কি সংক্ষেপে কয়েকটি বাক্যের মাধ্যমে কি জীবন্ত চিত্র আঁকা হয়েছে ঘুর্ণিঝড়ের। এই ঘুর্ণিঝড় ছিলো অবর্ণনীয় প্রচন্ড গতি সম্পন্ন যা মানুষকে ধ্বংস করে ফেলেছিলো ঠিক খেজুর গাছ যে ভাবে শিকড় সহ উৎপাটিত হয়ে যায়। “নিরবচ্ছিন্ন প্রচন্ড বিপর্যয়ের দিন” বাক্যটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে তা কয়েকদিন স্থায়ী ছিলো। যে ঝঞাবায়ু আ’দ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে ফেলে তা সাত রাত্রি ও আট দিনস্থায়ী ছিলো। দেখুন [ ৬৯: ৭ ] আয়াত।
আয়াতঃ 054.020
তা মানুষকে উৎখাত করছিল, যেন তারা উৎপাটিত খর্জুর বৃক্ষের কান্ড।
Plucking out men as if they were uprooted stems of date-palms.
تَنزِعُ النَّاسَ كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ مُّنقَعِرٍ
TanziAAu alnnasa kaannahum aAAjazu nakhlin munqaAAirin
YUSUFALI: Plucking out men as if they were roots of palm-trees torn up (from the ground).
PICKTHAL: Sweeping men away as though they were uprooted trunks of palm-trees.
SHAKIR: Tearing men away as if they were the trunks of palm-trees torn up.
KHALIFA: It tossed the people around as if they were decayed palm tree trunks.
২০। মানুষকে উৎপাটিত করা হয়েছিলো, যেনো তারা [ মাটি থেকে ] উৎপাটিত পাম গাছের শিকড়
২১। হ্যাঁ, কত ভয়ংকর ছিলো আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী ৫১৪৫।
৫১৪৫। ১৮ নং আয়াত থেকে শুরু করা হয়েছে পাপীদের বর্ণনা এবং ইচ্ছাকৃত অবাধ্যতার পরিণাম শাস্তি। এর পর ২১ নং আয়াতে আল্লাহ্র সর্তকবাণী ও ২২ নং আয়াতে উপদেশ গ্রহণের উপদেশ। একই ভাবে পুণরাবৃত্তি করা হয়েছে আয়াত নং ৩০ ও ৩২ এবং ৩৯ [ সামান্য পরিবর্তন সহ ] ও ৪০ নং আয়াতে।
আয়াতঃ 054.021
অতঃপর কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।
Then, how (terrible) was My Torment and My Warnings?
فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ
Fakayfa kana AAathabee wanuthuri
YUSUFALI: Yea, how (terrible) was My Penalty and My Warning!
PICKTHAL: Then see how (dreadful) was My punishment after My warnings!
SHAKIR: How (great) was then My punishment and My warning!
KHALIFA: How terrible was My retribution after the warnings!
২০। মানুষকে উৎপাটিত করা হয়েছিলো, যেনো তারা [ মাটি থেকে ] উৎপাটিত পাম গাছের শিকড়
২১। হ্যাঁ, কত ভয়ংকর ছিলো আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী ৫১৪৫।
৫১৪৫। ১৮ নং আয়াত থেকে শুরু করা হয়েছে পাপীদের বর্ণনা এবং ইচ্ছাকৃত অবাধ্যতার পরিণাম শাস্তি। এর পর ২১ নং আয়াতে আল্লাহ্র সর্তকবাণী ও ২২ নং আয়াতে উপদেশ গ্রহণের উপদেশ। একই ভাবে পুণরাবৃত্তি করা হয়েছে আয়াত নং ৩০ ও ৩২ এবং ৩৯ [ সামান্য পরিবর্তন সহ ] ও ৪০ নং আয়াতে।
আয়াতঃ 054.022
আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
And We have indeed made the Qur’ân easy to understand and remember, then is there any that will remember (or receive admonition)?
وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ
Walaqad yassarna alqur-ana lilththikri fahal min muddakirin
YUSUFALI: But We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember: then is there any that will receive admonition?
PICKTHAL: And in truth We have made the Qur’an easy to remember; but is there any that remembereth?
SHAKIR: And certainly We have made the Quran easy for remembrance, but is there anyone who will mind?
KHALIFA: We made the Quran easy to learn. Does any of you wish to learn?
২২। বুঝার জন্য ও মনে রাখার জন্য,কুর-আনকে আমি অবশ্যই সহজ করে দিয়েছি। এরপরে এমন কেউ আছ কি যে উপদেশ গ্রহণ করবে ?
রুকু – ২
২৩। সামুদরাও [ তাদের ] সর্তককারীকে প্রত্যাখান করেছিলো।
২৪। তারা বলেছিলো, ” সে কি ! ৫১৪৬। [ সে ] একজন মানুষ মাত্র। আমাদের মধ্য থেকে নিঃসঙ্গ একজন। আমরা কি তাকেই অনুসরণ করবো ৫১৪৭ ? তবে তো আমরা হব বিপথগামী ও উম্মাদ।
৫১৪৬। সামুদ জাতির মনঃস্তাতিক বিশ্লেষণ এই আয়াতের মাধ্যমে করা হয়েছে। এই আয়াত ও সূরা [ ৪১ : ১৭ ] আয়াতের মাধ্যমে সঙ্কীর্ণ বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন লোকের আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ সম্বন্ধে ধারণাকে বর্ণনা করা হয়েছে এবং প্রত্যাদেশের সত্যের মানবতা, সামাজিক মূল্যবোধকে তুলনা করা হয়েছে,তাদের বিচার বুদ্ধির সাথে। সামুদ জাতির নিকট আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ প্রেরণ করা হয়েছিলো সলেহ্ নবীর মাধ্যমে। এই আয়াতে সামুদ জাতির উক্তিগুলি সালেহ্ নবী সম্বন্ধে।
৫১৪৭। সামুদ সম্প্রদায়ের বক্তব্য ছিলো যে সালেহ্ নবী তাদেরই একজন অতি সাধারণ ব্যক্তি। তাহলে কি ভাবে তিনি তাদের পথ প্রদর্শক হতে পারেন। তাদের অহমিকা, আত্মম্ভরিতা, সালেহ্ নবীর মাঝে নবী সুলভ বৈশিষ্ট্য উপলব্ধিতে বাঁধা প্রদান করে। উপরন্তু সালেহ্ নবী একই গোত্রের লোক, একই স্থানে, একই পরিবেশে, একই রকমভাবে অন্য দশজনের মতই তিনি লালিত পালিত হয়েছেন এবং তা অতি সাধারণ ভাবে। সেই তিনি বিশেষভাবে কেন আল্লাহ্র নবী হয়ে তাদের পথ প্রদর্শক রূপে সম্মানিত হবেন? সুতারাং তাদের মন্তব্য ছিলো হয় সালেহ্ নবী উম্মাদ নয় বিপথগামী। যুগে যুগে প্রতিটি নবী ও রসুলকে তার স্বগোত্রের লোকদের দ্বারা ঠিক এই একই ভাবে নিগৃহীত হতে হয়েছে – আমাদের রাসুলও (সা) তার ব্যতিক্রম ছিলেন না।
উপদেশ : সৎ পথের আহ্বানকারীকে সর্বদা অত্যাচার নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হবে এ কথা শুধু নবী বা রসুল নয় সকলের জন্যই সত্য।
আয়াতঃ 054.023
সামুদ সম্প্রদায় সতর্ককারীদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল।
Thamûd (people also) belied the warnings.
كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِالنُّذُرِ
Kaththabat thamoodu bialnnuthuri
YUSUFALI: The Thamud (also) rejected (their) Warners.
PICKTHAL: (The tribe of) Thamud rejected warnings
SHAKIR: Samood rejected the warning.
KHALIFA: Thamoud rejected the warnings.
রুকু – ২
২৩। সামুদরাও [ তাদের ] সর্তককারীকে প্রত্যাখান করেছিলো।
২৪। তারা বলেছিলো, ” সে কি ! ৫১৪৬। [ সে ] একজন মানুষ মাত্র। আমাদের মধ্য থেকে নিঃসঙ্গ একজন। আমরা কি তাকেই অনুসরণ করবো ৫১৪৭ ? তবে তো আমরা হব বিপথগামী ও উম্মাদ।
৫১৪৬। সামুদ জাতির মনঃস্তাতিক বিশ্লেষণ এই আয়াতের মাধ্যমে করা হয়েছে। এই আয়াত ও সূরা [ ৪১ : ১৭ ] আয়াতের মাধ্যমে সঙ্কীর্ণ বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন লোকের আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ সম্বন্ধে ধারণাকে বর্ণনা করা হয়েছে এবং প্রত্যাদেশের সত্যের মানবতা, সামাজিক মূল্যবোধকে তুলনা করা হয়েছে,তাদের বিচার বুদ্ধির সাথে। সামুদ জাতির নিকট আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ প্রেরণ করা হয়েছিলো সলেহ্ নবীর মাধ্যমে। এই আয়াতে সামুদ জাতির উক্তিগুলি সালেহ্ নবী সম্বন্ধে।
৫১৪৭। সামুদ সম্প্রদায়ের বক্তব্য ছিলো যে সালেহ্ নবী তাদেরই একজন অতি সাধারণ ব্যক্তি। তাহলে কি ভাবে তিনি তাদের পথ প্রদর্শক হতে পারেন। তাদের অহমিকা, আত্মম্ভরিতা, সালেহ্ নবীর মাঝে নবী সুলভ বৈশিষ্ট্য উপলব্ধিতে বাঁধা প্রদান করে। উপরন্তু সালেহ্ নবী একই গোত্রের লোক, একই স্থানে, একই পরিবেশে, একই রকমভাবে অন্য দশজনের মতই তিনি লালিত পালিত হয়েছেন এবং তা অতি সাধারণ ভাবে। সেই তিনি বিশেষভাবে কেন আল্লাহ্র নবী হয়ে তাদের পথ প্রদর্শক রূপে সম্মানিত হবেন? সুতারাং তাদের মন্তব্য ছিলো হয় সালেহ্ নবী উম্মাদ নয় বিপথগামী। যুগে যুগে প্রতিটি নবী ও রসুলকে তার স্বগোত্রের লোকদের দ্বারা ঠিক এই একই ভাবে নিগৃহীত হতে হয়েছে – আমাদের রাসুলও (সা) তার ব্যতিক্রম ছিলেন না।
উপদেশ : সৎ পথের আহ্বানকারীকে সর্বদা অত্যাচার নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হবে এ কথা শুধু নবী বা রসুল নয় সকলের জন্যই সত্য।
আয়াতঃ 054.024
তারা বলেছিলঃ আমরা কি আমাদেরই একজনের অনুসরণ করব? তবে তো আমরা বিপথগামী ও বিকার গ্রস্থরূপে গণ্য হব।
For they said: ”A man! Alone from among us, that we are to follow? Truly, then we should be in error and distress or madness!”
فَقَالُوا أَبَشَرًا مِّنَّا وَاحِدًا نَّتَّبِعُهُ إِنَّا إِذًا لَّفِي ضَلَالٍ وَسُعُرٍ
Faqaloo abasharan minna wahidan nattabiAAuhu inna ithan lafee dalalin wasuAAurin
YUSUFALI: For they said: “What! a man! a Solitary one from among ourselves! shall we follow such a one? Truly should we then be straying in mind, and mad!
PICKTHAL: For they said; Is it a mortal man, alone among us, that we are to follow? Then indeed we should fall into error and madness.
SHAKIR: So they said: What! a single mortal from among us! Shall we follow him? Most surely we shall in that case be in sure error and distress:
KHALIFA: They said, “Shall we follow one of us; a human being? We will then go astray, then end up in Hell.
রুকু – ২
২৩। সামুদরাও [ তাদের ] সর্তককারীকে প্রত্যাখান করেছিলো।
২৪। তারা বলেছিলো, ” সে কি ! ৫১৪৬। [ সে ] একজন মানুষ মাত্র। আমাদের মধ্য থেকে নিঃসঙ্গ একজন। আমরা কি তাকেই অনুসরণ করবো ৫১৪৭ ? তবে তো আমরা হব বিপথগামী ও উম্মাদ।
৫১৪৬। সামুদ জাতির মনঃস্তাতিক বিশ্লেষণ এই আয়াতের মাধ্যমে করা হয়েছে। এই আয়াত ও সূরা [ ৪১ : ১৭ ] আয়াতের মাধ্যমে সঙ্কীর্ণ বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন লোকের আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ সম্বন্ধে ধারণাকে বর্ণনা করা হয়েছে এবং প্রত্যাদেশের সত্যের মানবতা, সামাজিক মূল্যবোধকে তুলনা করা হয়েছে,তাদের বিচার বুদ্ধির সাথে। সামুদ জাতির নিকট আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ প্রেরণ করা হয়েছিলো সলেহ্ নবীর মাধ্যমে। এই আয়াতে সামুদ জাতির উক্তিগুলি সালেহ্ নবী সম্বন্ধে।
৫১৪৭। সামুদ সম্প্রদায়ের বক্তব্য ছিলো যে সালেহ্ নবী তাদেরই একজন অতি সাধারণ ব্যক্তি। তাহলে কি ভাবে তিনি তাদের পথ প্রদর্শক হতে পারেন। তাদের অহমিকা, আত্মম্ভরিতা, সালেহ্ নবীর মাঝে নবী সুলভ বৈশিষ্ট্য উপলব্ধিতে বাঁধা প্রদান করে। উপরন্তু সালেহ্ নবী একই গোত্রের লোক, একই স্থানে, একই পরিবেশে, একই রকমভাবে অন্য দশজনের মতই তিনি লালিত পালিত হয়েছেন এবং তা অতি সাধারণ ভাবে। সেই তিনি বিশেষভাবে কেন আল্লাহ্র নবী হয়ে তাদের পথ প্রদর্শক রূপে সম্মানিত হবেন? সুতারাং তাদের মন্তব্য ছিলো হয় সালেহ্ নবী উম্মাদ নয় বিপথগামী। যুগে যুগে প্রতিটি নবী ও রসুলকে তার স্বগোত্রের লোকদের দ্বারা ঠিক এই একই ভাবে নিগৃহীত হতে হয়েছে – আমাদের রাসুলও (সা) তার ব্যতিক্রম ছিলেন না।
উপদেশ : সৎ পথের আহ্বানকারীকে সর্বদা অত্যাচার নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হবে এ কথা শুধু নবী বা রসুল নয় সকলের জন্যই সত্য।
আয়াতঃ 054.025
আমাদের মধ্যে কি তারই প্রতি উপদেশ নাযিল করা হয়েছে? বরং সে একজন মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক।
”Is it that the Reminder is sent to him [Prophet Sâlih (Saleh) ] alone from among us? Nay, he is an insolent liar!”
أَؤُلْقِيَ الذِّكْرُ عَلَيْهِ مِن بَيْنِنَا بَلْ هُوَ كَذَّابٌ أَشِرٌ
Aolqiya alththikru AAalayhi min baynina bal huwa kaththabun ashirun
YUSUFALI: “Is it that the Message is sent to him, of all people amongst us? Nay, he is a liar, an insolent one!”
PICKTHAL: Hath the remembrance been given unto him alone among us? Nay, but he is a rash liar.
SHAKIR: Has the reminder been made to light upon him from among us? Nay! he is an insolent liar!
KHALIFA: “Did the message come down to him, instead of us? He is a flagrant liar.”
২৫। “আমাদের সকলের মধ্যে কি তার প্রতিই প্রত্যাদেশ প্রেরিত হয়েছে ? না, সে তো একজন মিথ্যাবাদী দাম্ভিক”
২৬। হায় ! আগামী দিনে তারা জানতে পারবে, কে মিথ্যাবাদী ও দাম্ভিক ৫১৪৮।
৫১৪৮। আগামীকাল দ্বারা ভবিষ্যত কালকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ অতি সত্বরই তারা জানতে পারবে।
আয়াতঃ 054.026
এখন আগামীকল্যই তারা জানতে পারবে কে মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক।
Tomorrow they will come to know, who is the liar, the insolent one!
سَيَعْلَمُونَ غَدًا مَّنِ الْكَذَّابُ الْأَشِرُ
SayaAAlamoona ghadan mani alkaththabu al-ashiru
YUSUFALI: Ah! they will know on the morrow, which is the liar, the insolent one!
PICKTHAL: (Unto their warner it was said): To-morrow they will know who is the rash liar.
SHAKIR: Tomorrow shall they know who is the liar, the insolent one.
KHALIFA: They will find out tomorrow who the flagrant liar is.
২৫। “আমাদের সকলের মধ্যে কি তার প্রতিই প্রত্যাদেশ প্রেরিত হয়েছে ? না, সে তো একজন মিথ্যাবাদী দাম্ভিক”
২৬। হায় ! আগামী দিনে তারা জানতে পারবে, কে মিথ্যাবাদী ও দাম্ভিক ৫১৪৮।
৫১৪৮। আগামীকাল দ্বারা ভবিষ্যত কালকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ অতি সত্বরই তারা জানতে পারবে।
আয়াতঃ 054.027
আমি তাদের পরীক্ষার জন্য এক উষ্ট্রী প্রেরণ করব, অতএব, তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখ এবং সবর কর।
Verily, We are sending the she-camel as a test for them. So watch them [O Sâlih (Saleh) ], and be patient!
إِنَّا مُرْسِلُو النَّاقَةِ فِتْنَةً لَّهُمْ فَارْتَقِبْهُمْ وَاصْطَبِرْ
Inna mursiloo alnnaqati fitnatan lahum fairtaqibhum waistabir
YUSUFALI: For We will send the she-camel by way of trial for them. So watch them, (O Salih), and possess thyself in patience!
PICKTHAL: Lo! We are sending the she-camel as a test for them; so watch them and have patience;
SHAKIR: Surely We are going to send the she-camel as a trial for them; therefore watch them and have patience.
KHALIFA: We are sending the camel as a test for them. Watch them and be patient.
২৭। আমি পরীক্ষা হিসেবে তাদের জন্য একটি উষ্ট্রী পাঠাবো। সুতারাং [ হে সালেহ্ ] তাদের আচরণ লক্ষ্য কর এবং ধৈর্যধারণ কর ৫১৪৯।
৫১৪৯। দেখুন [ ৭ : ৭৩ ] আয়াতের টিকা নং ১০৪৪। উষ্ট্রীটি ছিলো সামুদ সম্প্রদায়ের জন্য এক মহাপরীক্ষা। কারণ তারা ছিলো স্বার্থপর ও গরীবের উপরে নির্যাতনকারী। অনাবৃষ্টির দরুণ পানির অভাব হলে সম্পদশালী লোকেরা চারণভূমির ঘাস ও পানের পানি শুধু তাদের পশু পালের ব্যবহারের জন্য এবং গরীবের পশুপালকে এ থেকে বঞ্চিত করার জন্য শক্তি প্রয়োগ করে। এরই পটভূমিতে আল্লাহ্ উষ্ট্রীটিকে প্রেরণ করেন গরীবদের পশুপালের প্রতিভূ স্বরূপ।
আয়াতঃ 054.028
এবং তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তাদের মধ্যে পানির পালা নির্ধারিত হয়েছে এবং পালাক্রমে উপস্থিত হতে হবে।
And inform them that the water is to be shared between (her and) them. Each one’s right to drink being established (by turns).
وَنَبِّئْهُمْ أَنَّ الْمَاء قِسْمَةٌ بَيْنَهُمْ كُلُّ شِرْبٍ مُّحْتَضَرٌ
Wanabbi/hum anna almaa qismatun baynahum kullu shirbin muhtadarun
YUSUFALI: And tell them that the water is to be divided between them: Each one’s right to drink being brought forward (by suitable turns).
PICKTHAL: And inform them that the water is to be shared between (her and) them. Every drinking will be witnessed.
SHAKIR: And inform them that the water is shared between them; every share of the water shall be regulated.
KHALIFA: Inform them that the water shall be divided among them; (the camel) shall be allowed to drink on her designated day.
২৮। এবং তাদের বল যে, তাদের মাঝে পানি বণ্টন করে নিতে হবে ৫১৫০। পানির প্রাপ্য অংশের জন্য প্রত্যেকে উপস্থিত হবে [ পালাক্রমে ]।
৫১৫০। দেখুন আয়াত [ ২৬ : ১৫৫ – ১৫৬ ]। আল্লাহ্র হুকুম ছিলো প্রত্যেকে প্রত্যেকের নির্ধারিত পানির অংশ লাভ করবে। এখানে ধনী বা দরিদ্র বলে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। আল্লাহ্ প্রদত্ত নেয়ামত পানিকে কেহ কুক্ষিগত করতে পারবে না। দরিদ্রদের জন্য ও তাদের পশুদের জন্যও তা সমভাবে উম্মুক্ত।
আয়াতঃ 054.029
অতঃপর তারা তাদের সঙ্গীকে ডাকল। সে তাকে ধরল এবং বধ করল।
But they called their comrade and he took (a sword) and killed (her).
فَنَادَوْا صَاحِبَهُمْ فَتَعَاطَى فَعَقَرَ
Fanadaw sahibahum fataAAata faAAaqara
YUSUFALI: But they called to their companion, and he took a sword in hand, and hamstrung (her).
PICKTHAL: But they call their comrade and he took and hamstrung (her).
SHAKIR: But they called their companion, so he took (the sword) and slew (her).
KHALIFA: But they persuaded their friend to kill (the camel), and he obliged.
২৯। কিন্তু তারা তাদের এক সঙ্গীকে আহ্বান করলো,এবং সে তার হাতে এক তরবারী গ্রহণ করে [ উষ্ট্রীকে] হত্যা করেছিলো।
৩০। হায় ! কি [ ভীষণ ] ছিলো আমার শাস্তি ও সর্তকবাণী।
৩১। আমি তাদের বিরুদ্ধে একটি মাত্র প্রচন্ড বিস্ফোরণ পাঠিয়েছিলাম ৫১৫১ ফলে তারা খোয়াড় প্রস্তুতকারীর দ্বিখন্ডিত শুষ্ক শাখা প্রশাখার ন্যায় পরিণত হলো ৫১৫২।
৫১৫১। সামুদ জাতির শাস্তির বর্ণনাতে বলা হয়েছে তাদের ধ্বংস করা হয়েছিলো ‘মহানাদ’ দ্বারা – সম্ভবতঃ তা ছিলো প্রচন্ড শব্দসহ ভূমিকম্প।
৫১৫২। “খোয়াড় প্রস্তুতকারী ” অর্থ গৃহপালিত পশুর খোয়াড় নির্মাণকারী। আরববাসীরা সে যুগে শাখা -পল্লব দ্বারা ছাগল, ভেড়ার খোয়াড় ও বেড়া নির্মাণ করিত।
আয়াতঃ 054.030
অতঃপর কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।
Then, how (terrible) was My Torment and My Warnings?
فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ
Fakayfa kana AAathabee wanuthuri
YUSUFALI: Ah! how (terrible) was My Penalty and My Warning!
PICKTHAL: Then see how (dreadful) was My punishment after My warnings!
SHAKIR: How (great) was then My punishment and My warning!
KHALIFA: Consequently, how terrible was My retribution! They have been warned.
২৯। কিন্তু তারা তাদের এক সঙ্গীকে আহ্বান করলো,এবং সে তার হাতে এক তরবারী গ্রহণ করে [ উষ্ট্রীকে] হত্যা করেছিলো।
৩০। হায় ! কি [ ভীষণ ] ছিলো আমার শাস্তি ও সর্তকবাণী।
৩১। আমি তাদের বিরুদ্ধে একটি মাত্র প্রচন্ড বিস্ফোরণ পাঠিয়েছিলাম ৫১৫১ ফলে তারা খোয়াড় প্রস্তুতকারীর দ্বিখন্ডিত শুষ্ক শাখা প্রশাখার ন্যায় পরিণত হলো ৫১৫২।
৫১৫১। সামুদ জাতির শাস্তির বর্ণনাতে বলা হয়েছে তাদের ধ্বংস করা হয়েছিলো ‘মহানাদ’ দ্বারা – সম্ভবতঃ তা ছিলো প্রচন্ড শব্দসহ ভূমিকম্প।
৫১৫২। “খোয়াড় প্রস্তুতকারী ” অর্থ গৃহপালিত পশুর খোয়াড় নির্মাণকারী। আরববাসীরা সে যুগে শাখা -পল্লব দ্বারা ছাগল, ভেড়ার খোয়াড় ও বেড়া নির্মাণ করিত।
আয়াতঃ 054.031
আমি তাদের প্রতি একটিমাত্র নিনাদ প্রেরণ করেছিলাম। এতেই তারা হয়ে গেল শুষ্ক শাখাপল্লব নির্মিত দলিত খোয়াড়ের ন্যায়।
Verily, We sent against them a single Saîhah (torment – awful cry, etc.), and they became like the dry stubble of a fold-builder.
إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ صَيْحَةً وَاحِدَةً فَكَانُوا كَهَشِيمِ الْمُحْتَظِرِ
Inna arsalna AAalayhim sayhatan wahidatan fakanoo kahasheemi almuhtathiri
YUSUFALI: For We sent against them a single Mighty Blast, and they became like the dry stubble used by one who pens cattle.
PICKTHAL: Lo! We sent upon them one Shout, and they became as the dry twigs (rejected by) the builder of a cattle-fold.
SHAKIR: Surely We sent upon them a single cry, so they were like the dry fragments of trees which the maker of an enclosure collects.
KHALIFA: We sent upon them one blow, whereupon they became like harvested hay.
২৯। কিন্তু তারা তাদের এক সঙ্গীকে আহ্বান করলো,এবং সে তার হাতে এক তরবারী গ্রহণ করে [ উষ্ট্রীকে] হত্যা করেছিলো।
৩০। হায় ! কি [ ভীষণ ] ছিলো আমার শাস্তি ও সর্তকবাণী।
৩১। আমি তাদের বিরুদ্ধে একটি মাত্র প্রচন্ড বিস্ফোরণ পাঠিয়েছিলাম ৫১৫১ ফলে তারা খোয়াড় প্রস্তুতকারীর দ্বিখন্ডিত শুষ্ক শাখা প্রশাখার ন্যায় পরিণত হলো ৫১৫২।
৫১৫১। সামুদ জাতির শাস্তির বর্ণনাতে বলা হয়েছে তাদের ধ্বংস করা হয়েছিলো ‘মহানাদ’ দ্বারা – সম্ভবতঃ তা ছিলো প্রচন্ড শব্দসহ ভূমিকম্প।
৫১৫২। “খোয়াড় প্রস্তুতকারী ” অর্থ গৃহপালিত পশুর খোয়াড় নির্মাণকারী। আরববাসীরা সে যুগে শাখা -পল্লব দ্বারা ছাগল, ভেড়ার খোয়াড় ও বেড়া নির্মাণ করিত।
আয়াতঃ 054.032
আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
And indeed, We have made the Qur’ân easy to understand and remember, then is there any that will remember (or receive admonition)?
وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ
Walaqad yassarna alqur-ana lilththikri fahal min muddakirin
YUSUFALI: And We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember: then is there any that will receive admonition?
PICKTHAL: And in truth We have made the Qur’an easy to remember; but is there any that remembereth?
SHAKIR: And certainly We have made the Quran easy for remembrance, but is there anyone who will mind?
KHALIFA: We made the Quran easy to learn. Does any of you wish to learn?
৩২। বুঝার ও মনে রাখার জন্য, এই কুর-আনকে আমি অবশ্যই সহজ করে দিয়েছি। এরপরে এমন কেউ আছ কি যে উপদেশ গ্রহণ করবে?
৩৩। লূতের সম্প্রদায় [ লূতের ] উপদেশকে মিথ্যা জেনেছিলো ৫১৫৩।
৫১৫৩। সমতল ভূমির শহরে বাসকারী লূত সম্প্রদায় সম্বন্ধে কোরাণশরীফে বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে। দেখুন সূরা [ ১১ : ৭৪ – ৮৩ ]।
আয়াতঃ 054.033
লূত-সম্প্রদায় সতর্ককারীদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল।
The people of Lout (Lot) belied the warnings.
كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ بِالنُّذُرِ
Kaththabat qawmu lootin bialnnuthuri
YUSUFALI: The people of Lut rejected (his) warning.
PICKTHAL: The folk of Lot rejected warnings.
SHAKIR: The people of Lut treated the warning. as a lie.
KHALIFA: The people of Lot rejected the warnings.
৩২। বুঝার ও মনে রাখার জন্য, এই কুর-আনকে আমি অবশ্যই সহজ করে দিয়েছি। এরপরে এমন কেউ আছ কি যে উপদেশ গ্রহণ করবে?
৩৩। লূতের সম্প্রদায় [ লূতের ] উপদেশকে মিথ্যা জেনেছিলো ৫১৫৩।
৫১৫৩। সমতল ভূমির শহরে বাসকারী লূত সম্প্রদায় সম্বন্ধে কোরাণশরীফে বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে। দেখুন সূরা [ ১১ : ৭৪ – ৮৩ ]।
আয়াতঃ 054.034
আমি তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষণকারী প্রচন্ড ঘূর্ণিবায়ু; কিন্তু লূত পরিবারের উপর নয়। আমি তাদেরকে রাতের শেষপ্রহরে উদ্ধার করেছিলাম।
Verily, We sent against them a violent storm of stones (which destroyed them all), except the family of Lout (Lot), whom We saved in last hour of the night,
إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ حَاصِبًا إِلَّا آلَ لُوطٍ نَّجَّيْنَاهُم بِسَحَرٍ
Inna arsalna AAalayhim hasiban illa ala lootin najjaynahum bisaharin
YUSUFALI: We sent against them a violent Tornado with showers of stones, (which destroyed them), except Lut’s household: them We delivered by early Dawn,-
PICKTHAL: Lo! We sent a storm of stones upon them (all) save the family of Lot, whom We rescued in the last watch of the night,
SHAKIR: Surely We sent upon them a stonestorm, except Lut’s followers; We saved them a little before daybreak,
KHALIFA: We showered them with rocks. Only Lot’s family was saved at dawn.
৩৪। আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রস্তুর বর্ষণকারী প্রচন্ড টর্ণেডো প্রেরণ করেছিলাম ৫১৫৪ [ যা তাদের ধ্বংস করেছিলো ], শুধুমাত্র ব্যতিক্রম ছিলো লূতের পরিবার। আমি তাদের অতি প্রত্যুষে উদ্ধার করেছিলাম,
৫১৫৪। “Hasib” প্রচন্ড টর্ণেডো বা ঘুর্ণিঝড়। এই শব্দটি এই আয়াতে ব্যবহৃত হয়েছে ; এবং আরও ব্যবহৃত হয়েছে [ ১৭ : ৬৮ ] আয়াতে ও [ ২৯ : ৪০] আয়াতে এবং [ ৬৭ : ১৭] আয়াতে। লূতের নগরীর উপরে শাস্তি হিসেবে বর্ষণ করা হয়েছিলো পাথর।
আয়াতঃ 054.035
আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ। যারা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে, আমি তাদেরকে এভাবে পুরস্কৃত করে থকি।
As a Favour from Us, thus do We reward him who gives thanks (by obeying Us).
نِعْمَةً مِّنْ عِندِنَا كَذَلِكَ نَجْزِي مَن شَكَرَ
NiAAmatan min AAindina kathalika najzee man shakara
YUSUFALI: As a Grace from Us: thus do We reward those who give thanks.
PICKTHAL: As grace from Us. Thus We reward him who giveth thanks.
SHAKIR: A favor from Us; thus do We reward him who gives thanks.
KHALIFA: We blessed him and his family; we thus reward the appreciative.
৩৫। আমার বিশেষ অনুগ্রহ স্বরূপ। যে শোকর করে, তাদের আমি এ ভাবেই পুরষ্কৃত করে থাকি ৫১৫৫।
৫১৫৫। যারা আল্লাহ্র আইন মান্য করে চলে এবং যারা আল্লাহ্র অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞ আল্লাহ্ তাদের পুরষ্কৃত করেন।
আয়াতঃ 054.036
লূত (আঃ) তাদেরকে আমার প্রচন্ড পাকড়াও সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। অতঃপর তারা সতর্কবাণী সম্পর্কে বাকবিতন্ডা করেছিল।
And he [Lout (Lot)] indeed had warned them of Our Grasp, but they did doubt the warnings!
وَلَقَدْ أَنذَرَهُم بَطْشَتَنَا فَتَمَارَوْا بِالنُّذُرِ
Walaqad antharahum batshatana fatamaraw bialnnuthuri
YUSUFALI: And (Lut) did warn them of Our Punishment, but they disputed about the Warning.
PICKTHAL: And he indeed had warned them of Our blow, but they did doubt the warnings.
SHAKIR: And certainly he warned them of Our violent seizure, but they obstinately disputed the warning.
KHALIFA: He warned them about our requital, but they ridiculed the warnings.
৩৬। লূত তাদের আমার শাস্তি সম্বন্ধে সর্তক করেছিলো ৫১৫৬। কিন্তু তারা সর্তকবাণী সম্বন্ধে বির্তক করেছিলো।
৫১৫৬। দেখুন আয়াত [ ১১ : ৭৮ – ৭৯ ]।
আয়াতঃ 054.037
তারা লূতের (আঃ) কাছে তার মেহমানদেরকে দাবী করেছিল। তখন আমি তাদের চক্ষু লোপ করে দিলাম। অতএব, আস্বাদন কর আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।
And they indeed sought to shame his guest (by asking to commit sodomy with them). So We blinded their eyes, ”Then taste you My Torment and My Warnings.”
وَلَقَدْ رَاوَدُوهُ عَن ضَيْفِهِ فَطَمَسْنَا أَعْيُنَهُمْ فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ
Walaqad rawadoohu AAan dayfihi fatamasna aAAyunahum fathooqoo AAathabee wanuthuri
YUSUFALI: And they even sought to snatch away his guests from him, but We blinded their eyes. (They heard:) “Now taste ye My Wrath and My Warning.”
PICKTHAL: They even asked of him his guests for an ill purpose. Then We blinded their eyes (and said): Taste now My punishment after My warnings!
SHAKIR: And certainly they endeavored to turn him from his guests, but We blinded their eyes; so taste My chastisement and My warning.
KHALIFA: They negotiated with him about his guests; we blinded them. Suffer My retribution; you have been warned.
৩৭। এমন কি তারা তার [ লূতের ] নিকট থেকে অতিথিদের কেড়ে নিতে চাইল ৫১৫৭। কিন্তু আমি তাদের চক্ষু অন্ধ করে দিলাম। [ তারা শুনতে পেলো ] ” এখন আমার ক্রোধ ও ভয় প্রদর্শন আস্বাদন কর।”
৫১৫৭। লূতের সম্প্রদায় সমকামিতার জঘন্য পাপে লিপ্ত ছিলো। লূত বহুদিন থেকে তাদের সুপথে আনার বৃথা চেষ্টাতে লিপ্ত ছিলেন। কিন্তু হায় সবই ছিলো বৃথা। তাদের শেষ সময় ঘনিয়ে এলো যখন দুজন ফেরেশতা সুপুরুষের ছদ্মবেশে লূতের নিকট আগমন করলেন। নগরীর লোকেরা উম্মাদের ন্যায় লূতের বাড়ী আক্রমণ করলো সুপুরুষ অতিথিদ্বয়কে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য। লূত প্রাণপণে চেষ্টা করতে লাগলেন তাদের বিরত করার জন্য। কিন্তু পাপিষ্ঠদের প্রচন্ড শক্তির কাছে তার ক্ষমতা ছিলো অতি সামান্য। লূতের সম্প্রদায়ের পাপের ভাড়া পূর্ণ হলো। তাদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করার পূর্বে আল্লাহ্ তাদের দৃষ্টি শক্তি কেড়ে নেন। পরদিন প্রভাতে তাদের নগরীদ্বয় পাথর বৃষ্টি দ্বারা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। লূত এবং তাঁর সহচরেরা আল্লাহ্র কৃপায় রক্ষা পায়।
আয়াতঃ 054.038
তাদেরকে প্রত্যুষে নির্ধারিত শাস্তি আঘাত হেনেছিল।
And verily, an abiding torment seized them early in the morning.
وَلَقَدْ صَبَّحَهُم بُكْرَةً عَذَابٌ مُّسْتَقِرٌّ
Walaqad sabbahahum bukratan AAathabun mustaqirrun
YUSUFALI: Early on the morrow an abiding Punishment seized them:
PICKTHAL: And in truth the punishment decreed befell them early in the morning.
SHAKIR: And certainly a lasting chastisement overtook them in the morning.
KHALIFA: Early the next morning, a devastating retribution struck them.
৩৮। প্রত্যুষে এক বিরামহীন শাস্তি তাদের গ্রেফতার করলো ;
আয়াতঃ 054.039
অতএব, আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী আস্বাদন কর।
”Then taste you My Torment and My Warnings.”
فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ
Fathooqoo AAathabee wanuthuri
YUSUFALI: “So taste ye My Wrath and My Warning.”
PICKTHAL: Now taste My punishment after My warnings!
SHAKIR: So taste My chastisement and My warning.
KHALIFA: Suffer My retribution; you have been warned.
৩৯। ” সুতারাং আমার ক্রোধ ও ভয় প্রদর্শন আস্বাদন কর।”
আয়াতঃ 054.040
আমি কোরআনকে বোঝবার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
And indeed, We have made the Qur’ân easy to understand and remember, then is there any that will remember (or receive admonition)?
وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ
Walaqad yassarna alqur-ana lilththikri fahal min muddakirin
YUSUFALI: And We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember: then is there any that will receive admonition?
PICKTHAL: And in truth We have made the Qur’an easy to remember; but is there any that remembereth?
SHAKIR: And certainly We have made the Quran easy for remembrance, but is there anyone who will mind?
KHALIFA: We made the Quran easy to learn. Does any of you wish to learn?
৪০। বুঝার জন্য ও মনে রাখার জন্য,কুর-আনকে আমি অবশ্যই সহজ করে দিয়েছি। এরপরে এমন কেউ আছ কি যে উপদেশ গ্রহণ করবে ?
আয়াতঃ 054.041
ফেরাউন সম্প্রদায়ের কাছেও সতর্ককারীগণ আগমন করেছিল।
And indeed, warnings came to the people of Fir’aun (Pharaoh) [through Mûsa (Moses) and Hârûn (Aaron)].
وَلَقَدْ جَاء آلَ فِرْعَوْنَ النُّذُرُ
Walaqad jaa ala firAAawna alnnuthuru
YUSUFALI: To the People of Pharaoh, too, aforetime, came Warners (from Allah).
PICKTHAL: And warnings came in truth unto the house of Pharaoh
SHAKIR: And certainly the warning came to Firon’s people.
KHALIFA: Pharaoh’s people were warned.
রুকু -৩
৪১। অতীতে ফেরাউনের সম্প্রদায়ের নিকটও [ আল্লাহ্র নিকট থেকে ] সর্তককারীগণ এসেছিলো ৫১৫৮।
৪২। কিন্তু তারা আমার সমস্ত নিদর্শনকে প্রত্যাখান করেছিলো ; তখন পরাক্রমশালী ও সর্বশক্তিমানরূপে আমি তাদের শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করলাম।
৫১৫৮। যুগে যুগে পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতিকে আল্লাহ্ তাদের পাপের পরিণতিতে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এই সূরাতে এ সব জাতির বর্ণনা আছে, এই বর্ণনার সর্বশেষে আছে মিশরের অধিবাসীদের নাম। এ সব দৃষ্টান্ত থেকে আরব মোশরেকদের শিক্ষা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে যে, তারা যদি অবাধ্য ও একগুঁয়ে ভাবে পুনঃপুনঃ সত্যকে প্রতিহত করতে থাকে তাদের ভাগ্যেও হবে অনুরূপ জাতিসমূহের ভাগ্যের মত। মিশরবাসীরা সে সময়ে সমসাময়িক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত ছিলো। আল্লাহ্ তাদের অনুগ্রহে ধন্য করেছিলেন। বিভিন্ন মানসিক দক্ষতা বা গুণাবলী যা শুধুমাত্র আল্লাহ্রই করুণা, তাতে তারা ভূষিত ছিলো। ফলে বিজ্ঞান, শিল্প প্রভৃতির প্রভূত উন্নতি সাধন করে পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত হয়েছিলো। যদি তারা পৃথিবীর ইতিহাস থেকে এই শিক্ষা গ্রহণ করতো যে আত্মার সর্বোচ্চ গুণাবলী হারিয়ে গেলে জাতির পতন অবশ্যম্ভবী। আল্লাহ্ তাদের মাঝে হযরত মুসাকে প্রেরণ করেন আল্লাহ্র বাণী প্রচারে জন্য। কিন্তু উদ্ধত অহংকারে তারা তা প্রত্যাখান করে। তারা ছিলো অন্যায়কারী ও মিথ্যা উপাস্যের উপাসনাকারী। তারা সত্যকে পরিহাস করতো। ফলে শেষ পর্যন্ত ফেরাউন ও তার সভাষদরা লোহিত সাগরে ডুবে মারা যায়। দেখুন [ ১০ : ৭৫ – ৯০ ] আয়াতের ধারা বিবরণী।
আয়াতঃ 054.042
তারা আমার সকল নিদর্শনের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। অতঃপর আমি পরাভূতকারী, পরাক্রমশালীর ন্যায় তাদেরকে পাকড়াও করলাম।
(They) belied all Our Signs, so We seized them with a Seizure of the All-Mighty, All-Capable to carry out what he Will (Omnipotent).
كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا كُلِّهَا فَأَخَذْنَاهُمْ أَخْذَ عَزِيزٍ مُّقْتَدِرٍ
Kaththaboo bi-ayatina kulliha faakhathnahum akhtha AAazeezin muqtadirin
YUSUFALI: The (people) rejected all Our Signs; but We seized them with such Penalty (as comes) from One Exalted in Power, able to carry out His Will.
PICKTHAL: Who denied Our revelations, every one. Therefore We grasped them with the grasp of the Mighty, the Powerful.
SHAKIR: They rejected all Our communications, so We overtook them after the manner of a Mighty, Powerful One.
KHALIFA: They rejected all our signs. Consequently, we requited them as an Almighty, Omnipotent should.
রুকু -৩
৪১। অতীতে ফেরাউনের সম্প্রদায়ের নিকটও [ আল্লাহ্র নিকট থেকে ] সর্তককারীগণ এসেছিলো ৫১৫৮।
৪২। কিন্তু তারা আমার সমস্ত নিদর্শনকে প্রত্যাখান করেছিলো ; তখন পরাক্রমশালী ও সর্বশক্তিমানরূপে আমি তাদের শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করলাম।
৫১৫৮। যুগে যুগে পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতিকে আল্লাহ্ তাদের পাপের পরিণতিতে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এই সূরাতে এ সব জাতির বর্ণনা আছে, এই বর্ণনার সর্বশেষে আছে মিশরের অধিবাসীদের নাম। এ সব দৃষ্টান্ত থেকে আরব মোশরেকদের শিক্ষা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে যে, তারা যদি অবাধ্য ও একগুঁয়ে ভাবে পুনঃপুনঃ সত্যকে প্রতিহত করতে থাকে তাদের ভাগ্যেও হবে অনুরূপ জাতিসমূহের ভাগ্যের মত। মিশরবাসীরা সে সময়ে সমসাময়িক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত ছিলো। আল্লাহ্ তাদের অনুগ্রহে ধন্য করেছিলেন। বিভিন্ন মানসিক দক্ষতা বা গুণাবলী যা শুধুমাত্র আল্লাহ্রই করুণা, তাতে তারা ভূষিত ছিলো। ফলে বিজ্ঞান, শিল্প প্রভৃতির প্রভূত উন্নতি সাধন করে পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত হয়েছিলো। যদি তারা পৃথিবীর ইতিহাস থেকে এই শিক্ষা গ্রহণ করতো যে আত্মার সর্বোচ্চ গুণাবলী হারিয়ে গেলে জাতির পতন অবশ্যম্ভবী। আল্লাহ্ তাদের মাঝে হযরত মুসাকে প্রেরণ করেন আল্লাহ্র বাণী প্রচারে জন্য। কিন্তু উদ্ধত অহংকারে তারা তা প্রত্যাখান করে। তারা ছিলো অন্যায়কারী ও মিথ্যা উপাস্যের উপাসনাকারী। তারা সত্যকে পরিহাস করতো। ফলে শেষ পর্যন্ত ফেরাউন ও তার সভাষদরা লোহিত সাগরে ডুবে মারা যায়। দেখুন [ ১০ : ৭৫ – ৯০ ] আয়াতের ধারা বিবরণী।
আয়াতঃ 054.043
তোমাদের মধ্যকার কাফেররা কি তাদের চাইতে শ্রেষ্ঠ ? না তোমাদের মুক্তির সনদপত্র রয়েছে কিতাবসমূহে?
Are your disbelievers (O Quraish!) better than these [nations of Nûh (Noah), Lout (Lot), Sâlih (Saleh), and the people of Fir’aun (Pharaoh), etc., who were destroyed)? Or have you an immunity (against Our Torment) in the Divine Scriptures?
أَكُفَّارُكُمْ خَيْرٌ مِّنْ أُوْلَئِكُمْ أَمْ لَكُم بَرَاءةٌ فِي الزُّبُرِ
Akuffarukum khayrun min ola-ikum am lakum baraatun fee alzzuburi
YUSUFALI: Are your Unbelievers, (O Quraish), better than they? Or have ye an immunity in the Sacred Books?
PICKTHAL: Are your disbelievers better than those, or have ye some immunity in the scriptures?
SHAKIR: Are the unbelievers of yours better than these, or is there an exemption for you in the scriptures?
KHALIFA: Are your disbelievers better than those disbelievers? Have you been absolved by the scripture?
৪৩। [হে কুরাইশগণ ] তোমাদের মধ্যকার অবিশ্বাসীরা কি তাদের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ৫১৫৯ ? না কি তোমাদের অব্যহতির কোন সনদ রয়েছে পবিত্র কিতাব সমূহে ?
৫১৫৯। ধনে, জনে, শক্তিতে প্রাচীন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি হওয়া সত্ত্বেও মিশরবাসীরা আল্লাহ্র শাস্তিকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয় নাই। আল্লাহ্ মোশরেক আরবদের জিজ্ঞাসা করছেন, আল্লাহ্র শক্তিকে প্রতিহত করার তাদের কি ক্ষমতা আছে ? তারা কি উহাদের, অর্থাৎ পূর্ববর্তী শক্তিশালী জাতি অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ ? ” তোমাদের আল্লাহ্র আইনের অবাধ্যতা করার মত কোনও ক্ষমতা দান করা হয় নাই। কাফেরদের বলা হয়েছে, যদি তোমরা তোমাদের জন্য শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে থাক তবে তা হবে তোমাদের জন্য এক অনির্ভরযোগ্য মূল্যহীন শক্তিমাত্র। এ কথার সত্যতা প্রমাণিত হয় বদরের যুদ্ধে।
আয়াতঃ 054.044
না তারা বলে যে, আমারা এক অপরাজেয় দল?
Or do they say: ”We are a great multitude, and we shall be victorious.?”
أَمْ يَقُولُونَ نَحْنُ جَمِيعٌ مُّنتَصِرٌ
Am yaqooloona nahnu jameeAAun muntasirun
YUSUFALI: Or do they say: “We acting together can defend ourselves”?
PICKTHAL: Or say they: We are a host victorious?
SHAKIR: Or do they say: We are a host allied together to help each other?
KHALIFA: Perhaps they think, “We will be the winners.”
৪৪। অথবা তারা কি বলে, ” আমরা এমন এক সংঘবদ্ধ দল, যারা নিজেদের রক্ষা করতে পারি।”
৪৫। শীঘ্রই তাদের দল পরাজিত হবে, এবং তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে। ৫১৫৯-ক
৫১৫৯ -ক। এই আয়াতে বদরে মুসলিমদের বিজয়ের ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে।
আয়াতঃ 054.045
এ দল তো সত্ত্বরই পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে।
Their multitude will be put to flight, and they will show their backs.
سَيُهْزَمُ الْجَمْعُ وَيُوَلُّونَ الدُّبُرَ
Sayuhzamu aljamAAu wayuwalloona alddubura
YUSUFALI: Soon will their multitude be put to flight, and they will show their backs.
PICKTHAL: The hosts will all be routed and will turn and flee.
SHAKIR: Soon shall the hosts be routed, and they shall turn (their) backs.
KHALIFA: All of them will be defeated; they will turn around and flee.
৪৪। অথবা তারা কি বলে, ” আমরা এমন এক সংঘবদ্ধ দল, যারা নিজেদের রক্ষা করতে পারি।”
৪৫। শীঘ্রই তাদের দল পরাজিত হবে, এবং তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে। ৫১৫৯-ক
৫১৫৯ -ক। এই আয়াতে বদরে মুসলিমদের বিজয়ের ভবিষ্যতবাণী করা হয়ে
আয়াতঃ 054.046
বরং কেয়ামত তাদের প্রতিশ্রুত সময় এবং কেয়ামত ঘোরতর বিপদ ও তিক্ততর।
Nay, but the Hour is their appointed time (for their full recompense), and the Hour will be more grievous and more bitter.
بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ
Bali alssaAAatu mawAAiduhum waalssaAAatu adha waamarru
YUSUFALI: Nay, the Hour (of Judgment) is the time promised them (for their full recompense): And that Hour will be most grievous and most bitter.
PICKTHAL: Nay, but the Hour (of doom) is their appointed tryst, and the Hour will be more wretched and more bitter (than their earthly failure).
SHAKIR: Nay, the hour is their promised time, and the hour shall be most grievous and bitter.
KHALIFA: The Hour is awaiting them, and the Hour is far worse and more painful.
৪৬। বরং তাদের জন্য কেয়ামত হচ্ছে [তাদের পূর্ণ প্রতিফলের ] অঙ্গীকার কাল ৫১৬০। এবং কেয়ামত হবে অতি ভয়াবহ ও তিক্ততম।
৫১৬০। যারা অন্যায়কারী ও পাপিষ্ঠ তারা সর্বদা আল্লাহ্র শক্তি অপেক্ষা তাদের জ্ঞান বিজ্ঞান, জনশক্তি, সমরশক্তি ইত্যাদির উপরে অধিক নির্ভরশীল। কিন্তু তাদের এই নির্ভরশীলতা যুগে যুগে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এমন কি বর্তমান যুগেও হিটলারের ন্যায় বিভিন্ন অত্যাচারী এক নায়কের জীবনেও একই পরিণতি ঘটেছে। উপরের আয়াতগুলির মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, ঐ সব অত্যাচারী মোশরেকদের জন্য পরলোকে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি। পৃথিবীতে অন্যায় অবিচারের মাধ্যমে হয়তো তারা পার্থিব সুযোগ সুবিধা, সম্পদ,ক্ষমতা অধিক লাভ করতে পারে এ কথা সত্য, কিন্তু পরলোকে যখন প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রকৃত মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠিত করা হবে, তখন এ সব পাপিষ্ঠরা তাদের প্রকৃত অবস্থানকে অনুধাবনে সক্ষম হবে। সে অভিজ্ঞতা তাদের জন্য হবে তিক্ত এবং ভয়াবহ।
আয়াতঃ 054.047
নিশ্চয় অপরাধীরা পথভ্রষ্ট ও বিকারগ্রস্ত।
Verily, the Mujrimûn (polytheists, disbelievers, sinners, criminals, etc.) are in error (in this world) and will burn (in the Hell-fire in the Hereafter).
إِنَّ الْمُجْرِمِينَ فِي ضَلَالٍ وَسُعُرٍ
Inna almujrimeena fee dalalin wasuAAurin
YUSUFALI: Truly those in sin are the ones straying in mind, and mad.
PICKTHAL: Lo! the guilty are in error and madness.
SHAKIR: Surely the guilty are in error and distress.
KHALIFA: Certainly, the guilty are astray, and will end up in Hell.
৪৭। নিশ্চয়ই পাপীরা মনের দিক থেকে বিভ্রান্ত এবং বিকারগ্রস্থ ৫১৬১।
৫১৬১। দেখুন [ ৫৪ : ২৪ ] আয়াতের বর্ণনা। লক্ষ্য করুন উপরের আয়াতের বর্ণনার পটভূমিতে কিভাবে এই আয়াতে ঘটনার ধারা সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী হয়ে যায়। পৃথিবীতে তারা আল্লাহ্র প্রেরিত দূতদের মনে করতো বিভ্রান্ত। কিন্তু পরলোকে তারা প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনে সক্ষম হবে। সম্পদ, ক্ষমতার পরিপূর্ণতা সত্ত্বেও পৃথিবীতে তারাই ছিলো উদভ্রান্ত ও বিভ্রান্ত।
আয়াতঃ 054.048
যেদিন তাদেরকে মুখ হিঁচড়ে টেনে নেয়া হবে জাহান্নামে, বলা হবেঃ অগ্নির খাদ্য আস্বাদন কর।
The Day they will be dragged in the Fire on their faces (it will be said to them): ”Taste you the touch of Hell!”
يَوْمَ يُسْحَبُونَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ ذُوقُوا مَسَّ سَقَرَ
Yawma yushaboona fee alnnari AAala wujoohihim thooqoo massa saqara
YUSUFALI: The Day they will be dragged through the Fire on their faces, (they will hear:) “Taste ye the touch of Hell!”
PICKTHAL: On the day when they are dragged into the Fire upon their faces (it is said unto them): Feel the touch of hell.
SHAKIR: On the day when they shall be dragged upon their faces into the fire; taste the touch of hell.
KHALIFA: They will be dragged into the hellfire, forcibly. Suffer the agony of retribution.
৪৮। সেদিন তাদের মুখ উপুর করে আগুনের দিকে টেনে নেয়া হবে ৫১৬২, [ তারা শুনবে : ],” জাহান্নামের পরশ আস্বাদন কর।”
৫১৬২। “উপুর করে ” ইংরেজী অনুবাদ হয়েছে “On their faces” অর্থাৎ যখন কাউকে উপুর করা হয়, তখন তাদের মুখ নীচের দিকে থাকে। “মুখ উপুর করা ” বাক্যটি প্রতীক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। ‘মুখ’ হচ্ছে মানুষের ব্যক্তিসত্ত্বার প্রতীক। পাপিষ্ঠদের পার্থিব সৃষ্টি সকল ব্যক্তিত্ব, কর্তৃত্ব ধ্বংস করা হবে এবং আগুনের মাঝে অবদমিত করা হবে।
আয়াতঃ 054.049
আমি প্রত্যেক বস্তুকে পরিমিতরূপে সৃষ্টি করেছি।
Verily, We have created all things with Qadar (Divine Preordainments of all things before their creation, as written in the Book of Decrees Al-Lauh Al-Mahfûz).
إِنَّا كُلَّ شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ
Inna kulla shay-in khalaqnahu biqadarin
YUSUFALI: Verily, all things have We created in proportion and measure.
PICKTHAL: Lo! We have created every thing by measure.
SHAKIR: Surely We have created everything according to a measure.
KHALIFA: Everything we created is precisely measured.
৪৯। নিশ্চয়ই আমি প্রত্যেক বস্তুকে সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত অনুপাত ও পরিমাপে ৫১৬৩।
৫১৬৩। আল্লাহ্র সৃষ্টি পরিমিত, সমন্বিত ও সুশৃঙ্খলিত, কখনও তা এলোমেলো বা বিশৃঙ্খল নয়। সৃষ্টির প্রতিটি বস্তু নির্দ্দিষ্ট আইনের অধীনে। তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে নির্দ্দিষ্ট মাপ ও আয়তনে। পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু, প্রাণী,সৃষ্টি জগতের সকল কিছুই এক নির্দ্দিষ্ট সময়ের জন্য, নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নির্দ্দিষ্ট স্থানের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এই বিশাল বিশ্বভূবন সৃষ্টি, এর অস্তিত্ব ও স্থায়ীত্ব সবই আল্লাহ্র সামগ্রিক পরিকল্পনার অংশ মাত্র। মানুষ সৃষ্টিও সেই পরিকল্পনারই অংশ। মানুষের শুধুমাত্র অস্তিত্ব নয়, তার প্রতিটি চিন্তা, কথা, কাজ সব কিছুরই অস্তিত্ব স্রষ্টার কাছে বিদ্যমান এবং এ সকল কিছুরই ফলাফল বিদ্যমান। “নির্ধারিত পরিমাপ” শব্দটি অত্যন্ত অর্থবহ। সৃষ্টির মাঝে কোনও কিছুরই অপচয় নাই। যেখানে যতটুকু প্রয়োজন স্রষ্টা সেখানে ঠিক ততটুকু দান করেন।
আয়াতঃ 054.050
আমার কাজ তো এক মুহূর্তে চোখের পলকের মত।
And Our Commandment is but one, as the twinkling of an eye.
وَمَا أَمْرُنَا إِلَّا وَاحِدَةٌ كَلَمْحٍ بِالْبَصَرِ
Wama amruna illa wahidatun kalamhin bialbasari
YUSUFALI: And Our Command is but a single (Act),- like the twinkling of an eye.
PICKTHAL: And Our commandment is but one (commandment), as the twinkling of an eye.
SHAKIR: And Our command is but one, as the twinkling of an eye.
KHALIFA: Our commands are done within the blink of an eye.
৫০। এবং আমার আদেশ তো একটি মাত্র কথায় নিষ্পন্ন হয়, চোখের পলকে ৫১৬৪।
৫১৬৪। পৃথিবীতে মানুষকে কোনও কিছু সৃষ্টি করতে বহু কিছুর মধ্যে দিয়ে পথ অতিক্রম করতে হয় যেমন, সময়ের পরিমাণ, দূরত্ব পরিবেশ, নির্ধারিত পরিমাপ ইত্যাদি। কিন্তু আল্লাহ্র সৃষ্টিতে পরিকল্পনা, হুকুম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, সবই মূহুর্তের মধ্যে সংঘটিত হয়ে যায়। আল্লাহ্র কর্মপ্রণালী বাস্তবায়নের দ্রুততাকে এই আয়াতে একটি সুন্দর উপমার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে “চক্ষুর পলকে”। অর্থাৎ মানুষের অনুভবের সর্বাপেক্ষা ক্ষুদ্রতম সময়। চোখের পলক’ দ্বারা বোঝানো হয় যে মানুষ চক্ষুবদ্ধ করে আবার মূহুর্তে মধ্যে চক্ষুর পাতা উম্মুক্ত করে ফেলে। এ সম্পূর্ণ ঘটনাটি মূহুর্তের মধ্যে চক্ষুর মাংসপেশী দ্বারা সংঘটিত হয়। আল্লাহ্র কাজ তার থেকে দ্রুততর সাথে সংঘটিত হয়। মানুষের কাজের উদাহরণ হলো এরূপ যেনো : একজন লোক একটি বই রচনা করছে। প্রথমতঃ তাঁর মনে বইটির বিষয়বস্তুর একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা ধারণা করতে হবে। তার পরে সেই বিষয়বস্তুকে রূপদান করার জন্য তাকে গবেষণা করতে হবে, বিষয়বস্তুর জ্ঞান সংগ্রহ করতে হবে অন্যান্য মাধ্যম থেকে বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় বই লেখার জন্য সামগ্রিক প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য তাকে যথেষ্ট সময় ব্যয় করতে হবে। এর পরে সে লেখার সামগ্রী, যেমন কাগজ, কলম, কালি ইত্যাদি সংগ্রহ করে লেখাতে মনোনিবেশ করবে যা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। অর্থাৎ একটি বই লেখা হচ্ছে ধারাবাহিক ঘটনা যা অন্যান্য বহুলোকের অভিজ্ঞতা ও কার্যাবলীর উপরে নির্ভরশীল। শুধু এখানেই শেষ নয়, লেখার পরে থাকে বই, ছাপানো, বাঁধানো, লাইব্রেরীতে সরবরাহ করা ইত্যাদি অসংখ্য কাজ বিভিন্ন মানুষের কর্মদক্ষতা তথা একটি বই প্রকাশের সাথে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু আল্লাহ্ যখন কিছু সৃষ্টি করেন তিনি শুধু বলেন “হও” [Kun ] সাথে সাথে তা হয়ে যায়। আল্লাহ্ সৃষ্টি কৌশল কারও উপরেই নিভর্রশীল নয়। কোনও কিছু সৃষ্টিতে আল্লাহ্র কারও সাহায্যের প্রয়োজন নাই। আল্লাহ্র একত্বের ধারণার এও এক বিশ্বজনীন রূপ।
আয়াতঃ 054.051
আমি তোমাদের সমমনা লোকদেরকে ধ্বংস করেছি, অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
And indeed, We have destroyed your likes, then is there any that will remember (or receive admonition)?
وَلَقَدْ أَهْلَكْنَا أَشْيَاعَكُمْ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ
Walaqad ahlakna ashyaAAakum fahal min muddakirin
YUSUFALI: And (oft) in the past, have We destroyed gangs like unto you: then is there any that will receive admonition?
PICKTHAL: And verily We have destroyed your fellows; but is there any that remembereth?
SHAKIR: And certainly We have already destroyed the likes of you, but is there anyone who will mind?
KHALIFA: We annihilated your counterparts. Does any of you wish to learn?
৫১। এবং অতীতে আমি তোমাদের মত বহু দলকে বিনাশ করেছি ৫১৬৫। তবে এমন কেউ আছ কি যে আমার উপদেশ গ্রহণ করবে ৫১৬৬?
৫১৬৫। “Ashya’a kum” দল বা মানুষের সমাবেশ। এর দ্বারা দুষ্ট লোকের দলকে সম্বোধন করা হয়েছে যারা বিদ্রোহী ও একগুঁয়ে, যারা মনে করে যে তারা স্বনির্ভর, আল্লাহ্র করুণার উপরে নির্ভরশীল নয়। তাদের সমগ্র শক্তিও আল্লাহ্র ক্ষমতার নিকট অতি তুচ্ছ।
৫১৬৬। প্রাচীন যুগের সুসভ্য ও শক্তিশালী ফেরাউনের লোকদের সাথে মোশরেক কোরেশদের সমান্তরাল ভাবে সম্বোধন করা হয়েছে। কোরেশদের প্রাচীন যুগের উদাহরণের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে, বলা হয়েছে তোমরা কি উপদেশ গ্রহণ করবে না ও অনুতপ্ত হবে না ?
আয়াতঃ 054.052
তারা যা কিছু করেছে, সবই আমলনামায় লিপিবদ্ধ আছে।
And each and everything they have done is noted in (their) Records (of deeds).
وَكُلُّ شَيْءٍ فَعَلُوهُ فِي الزُّبُرِ
Wakullu shay-in faAAaloohu fee alzzuburi
YUSUFALI: All that they do is noted in (their) Books (of Deeds):
PICKTHAL: And every thing they did is in the scriptures,
SHAKIR: And everything they have done is in the writings.
KHALIFA: Everything they did is recorded in the scriptures.
৫২। তারা যা করে, তা লিখিত আছে [ তাদের ] নথিতে [ আমলনামায় ] ৫১৬৭
৫৩। প্রতিটি ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সমস্ত কিছুই আছে নথিভুক্ত।
৫১৬৭। আপতঃদৃষ্টিতে মনে হয় পৃথিবীতে অনেক কিছু অতীতের অতলে হারিয়ে যায়। প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ্ বলেছেন কিছুই কখনও হারিয়ে যাবে না। এমন কি মানুষের মনের অব্যক্ত ক্ষুদ্র, চিন্তাধারাও আল্লাহ্র কাছে মূহুর্তের মধ্যে রক্ষিত হয়ে চলেছে। “আমলনামা” অর্থাৎ Books of Deeds । প্রতিটি কাজের আছে পরস্পর কার্যকরণ সম্পর্ক। এটা একধরণের কার্য শৃঙ্খলে [ Chain of action ] আবদ্ধ। সকল কিছুই পূর্ববর্তী কর্মের ফল। ভালো কাজের ভালো ফল; মন্দ কাজের মন্দ ফল এর থেকে কারও নিষ্কৃতি নাই। একমাত্র আল্লাহ্ যদি এই শৃঙ্খল ভেঙ্গে নিষ্কৃতি দেন। একমাত্র আল্লাহ্-ই পারেন মানুষকে আমলানামাতে রক্ষিত ফলাফল থেকে নিষ্কৃতি দিতে। মানুষ যদি অনুতাপের মাধ্যমে আল্লাহ্র অনুগ্রহ ভিক্ষা করে, একমাত্র সেই পথই হচ্ছে আল্লাহ্র অনুগ্রহ লাভের একমাত্র পথ।
আয়াতঃ 054.053
ছোট ও বড় সবই লিপিবদ্ধ।
And everything, small and big is written (in Al-Lauh Al-Mahfûz already beforehand i.e. before it befalls, or is done by its doer ÇáÇíä ÈÇáÞÏÑ) (See the Qur’ân V.57:22).
وَكُلُّ صَغِيرٍ وَكَبِيرٍ مُسْتَطَرٌ
Wakullu sagheerin wakabeerin mustatarun
YUSUFALI: Every matter, small and great, is on record.
PICKTHAL: And every small and great thing is recorded.
SHAKIR: And everything small and great is written down.
KHALIFA: Everything, small or large, is written down.
৫২। তারা যা করে, তা লিখিত আছে [ তাদের ] নথিতে [ আমলনামায় ] ৫১৬৭
৫৩। প্রতিটি ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সমস্ত কিছুই আছে নথিভুক্ত।
৫১৬৭। আপতঃদৃষ্টিতে মনে হয় পৃথিবীতে অনেক কিছু অতীতের অতলে হারিয়ে যায়। প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ্ বলেছেন কিছুই কখনও হারিয়ে যাবে না। এমন কি মানুষের মনের অব্যক্ত ক্ষুদ্র, চিন্তাধারাও আল্লাহ্র কাছে মূহুর্তের মধ্যে রক্ষিত হয়ে চলেছে। “আমলনামা” অর্থাৎ Books of Deeds । প্রতিটি কাজের আছে পরস্পর কার্যকরণ সম্পর্ক। এটা একধরণের কার্য শৃঙ্খলে [ Chain of action ] আবদ্ধ। সকল কিছুই পূর্ববর্তী কর্মের ফল। ভালো কাজের ভালো ফল; মন্দ কাজের মন্দ ফল এর থেকে কারও নিষ্কৃতি নাই। একমাত্র আল্লাহ্ যদি এই শৃঙ্খল ভেঙ্গে নিষ্কৃতি দেন। একমাত্র আল্লাহ্-ই পারেন মানুষকে আমলানামাতে রক্ষিত ফলাফল থেকে নিষ্কৃতি দিতে। মানুষ যদি অনুতাপের মাধ্যমে আল্লাহ্র অনুগ্রহ ভিক্ষা করে, একমাত্র সেই পথই হচ্ছে আল্লাহ্র অনুগ্রহ লাভের একমাত্র পথ।
আয়াতঃ 054.054
খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নির্ঝরিণীতে।
Verily, The Muttaqûn (pious), will be in the midst of Gardens and Rivers (Paradise).
إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَنَهَرٍ
Inna almuttaqeena fee jannatin wanaharin
YUSUFALI: As to the Righteous, they will be in the midst of Gardens and Rivers,
PICKTHAL: Lo! the righteous will dwell among gardens and rivers,
SHAKIR: Surely those who guard (against evil) shall be in gardens and rivers,
KHALIFA: Surely, the righteous have deserved gardens and rivers.
৫৪। নিশ্চয়ই পূণ্যাত্মাগণ থাকবে [ বেহেশতের ] বাগান ও নহরসমূহের মধ্যে ৫১৬৮।
৫৫। যোগ্য আসনে, সার্বভৌম, সর্বশক্তিমান [আল্লাহ্র ] উপস্থিতিতে ৫১৬৯, ৫১৭০।
৫১৬৮। পৃথিবীতে যারা মন্দ কাজের অংশীদার তাদের পরিণতি তারা ভোগ করবে; কিন্তু যারা পূণ্যাত্মা, যারা সৎ কর্ম দ্বারা তাদের জীবনধারাকে পূত পবিত্র করতে পেরেছেন তাদের শেষ পরিণতি চারটি উপমার দ্বারা তুলে ধরা হয়েছে :
১) প্রথমে বলা হয়েছে স্রোতস্বীনি বিধৌত নয়নাভিরাম উদ্যান।
২) ‘যোগ্য আসন’ অর্থাৎ যোগ্য বাসস্থান।
৩) আল্লাহ্র সান্নিধ্যে থাকার যোগ্যতা
৪) আল্লাহ্র সার্বভৌমত্ব অনুভূতির মাধ্যমে আত্মিক পরিতৃপ্তির মাঝে।
স্রোতস্বীনি বিধৌত উদ্যানের বর্ণনা পূর্বেও বহুবার করা হয়েছে ; দেখুন [ ৪৩ : ৭০ ] আয়াতের টিকা ৪৫৫৮। উদ্যান হচ্ছে মানসিক প্রশান্তি ও শান্তির প্রতীক যা আমরা শুধুমাত্র আমাদের অনুভবের মাধ্যমে উপলব্ধি করতে সক্ষম।
৫১৬৯। বেহেশতের সুখ, শান্তি, পার্থিব জীবনে সম্পূর্ণ উপলব্ধি করা অসম্ভব ব্যাপার। তবুও তা উপলব্ধির জন্য পার্থিব জীবনের অনুভবের মাধ্যমে তাকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আরাম আয়েশকে আমরা শরীরের অনুভূতির মাধ্যমে, আমাদের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অনুভব করে থাকি। যোগ্য আসন দ্বারা সেই অনুভূতিকে বোঝানো হয়েছে।
৫১৭০। শারীরিক অনুভূতি ব্যতীত আর একধরনের অনুভূতি মানুষ অনুভব করে তা হচ্ছে মানসিক প্রশান্তি। এই মানসিক প্রশান্তির সর্বোচ্চ রূপ আত্মিক শান্তি যা শুধুমাত্র স্রষ্টার সান্নিধ্যে লাভ করা সম্ভব।”Muqtadir” – যার অনুবাদ করা হয়েছে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। প্রকৃত পক্ষে শব্দটির
আয়াতঃ 054.055
যোগ্য আসনে, সর্বাধিপতি সম্রাটের সান্নিধ্যে।
In a seat of truth (i.e. Paradise), near the Omnipotent King (Allâh, the All-Blessed, the Most High, the Owner of Majesty and Honour).
فِي مَقْعَدِ صِدْقٍ عِندَ مَلِيكٍ مُّقْتَدِرٍ
Fee maqAAadi sidqin AAinda maleekin muqtadirin
YUSUFALI: In an Assembly of Truth, in the Presence of a Sovereign Omnipotent.
PICKTHAL: Firmly established in the favour of a Mighty King.
SHAKIR: In the seat of honor with a most Powerful King.
KHALIFA: In a position of honor, at an Omnipotent King.
৫৪। নিশ্চয়ই পূণ্যাত্মাগণ থাকবে [ বেহেশতের ] বাগান ও নহরসমূহের মধ্যে ৫১৬৮।
৫৫। যোগ্য আসনে, সার্বভৌম, সর্বশক্তিমান [আল্লাহ্র ] উপস্থিতিতে ৫১৬৯, ৫১৭০।
৫১৬৮। পৃথিবীতে যারা মন্দ কাজের অংশীদার তাদের পরিণতি তারা ভোগ করবে; কিন্তু যারা পূণ্যাত্মা, যারা সৎ কর্ম দ্বারা তাদের জীবনধারাকে পূত পবিত্র করতে পেরেছেন তাদের শেষ পরিণতি চারটি উপমার দ্বারা তুলে ধরা হয়েছে :
১) প্রথমে বলা হয়েছে স্রোতস্বীনি বিধৌত নয়নাভিরাম উদ্যান।
২) ‘যোগ্য আসন’ অর্থাৎ যোগ্য বাসস্থান।
৩) আল্লাহ্র সান্নিধ্যে থাকার যোগ্যতা
৪) আল্লাহ্র সার্বভৌমত্ব অনুভূতির মাধ্যমে আত্মিক পরিতৃপ্তির মাঝে।
স্রোতস্বীনি বিধৌত উদ্যানের বর্ণনা পূর্বেও বহুবার করা হয়েছে ; দেখুন [ ৪৩ : ৭০ ] আয়াতের টিকা ৪৫৫৮। উদ্যান হচ্ছে মানসিক প্রশান্তি ও শান্তির প্রতীক যা আমরা শুধুমাত্র আমাদের অনুভবের মাধ্যমে উপলব্ধি করতে সক্ষম।
৫১৬৯। বেহেশতের সুখ, শান্তি, পার্থিব জীবনে সম্পূর্ণ উপলব্ধি করা অসম্ভব ব্যাপার। তবুও তা উপলব্ধির জন্য পার্থিব জীবনের অনুভবের মাধ্যমে তাকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আরাম আয়েশকে আমরা শরীরের অনুভূতির মাধ্যমে, আমাদের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অনুভব করে থাকি। যোগ্য আসন দ্বারা সেই অনুভূতিকে বোঝানো হয়েছে।
৫১৭০। শারীরিক অনুভূতি ব্যতীত আর একধরনের অনুভূতি মানুষ অনুভব করে তা হচ্ছে মানসিক প্রশান্তি। এই মানসিক প্রশান্তির সর্বোচ্চ রূপ আত্মিক শান্তি যা শুধুমাত্র স্রষ্টার সান্নিধ্যে লাভ করা সম্ভব।”Muqtadir” – যার অনুবাদ করা হয়েছে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। প্রকৃত পক্ষে শব্দটির সঠিক অনুবাদ সম্ভব নয়। শব্দটির অর্থ আরও গভীর ব্যঞ্জনাময়। আল্লাহ্র সার্বভৌমত্ব প্রকাশের সর্বোচ্চ অনুভূতি।