- সূরার নাম: সূরা নাজম
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা নাজম
আয়াতঃ 053.001
নক্ষত্রের কসম, যখন অস্তমিত হয়।
By the star when it goes down, (or vanishes).
وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى
Waalnnajmi itha hawa
YUSUFALI: By the Star when it goes down,-
PICKTHAL: By the Star when it setteth,
SHAKIR: I swear by the star when it goes down.
KHALIFA: As the stars fell away.
০১। শপথ নক্ষত্রের, যখন তা অস্তমিত হয়, ৫০৮৫
৫০৮৫। “An-Najm” – এই শব্দটির সঠিক ব্যাখ্যা অতি দুরূহ কাজ। বিভিন্নভাবে এর ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে এর ব্যাখ্যাও বিভিন্ন হয়ে পড়ছে। অস্তমিত নক্ষত্রের অর্থ করতে যেয়ে অনেকে বলেছেন যে তা হলো নক্ষত্রের শেষ অবস্থা যেমন : আমাদের সূর্য একটি নক্ষত্র যা একদিন তার জ্বালানি শেষে অস্তমিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। নক্ষত্রের অস্তমিত হওয়া হচ্ছে আল্লাহ্র ক্ষমতার কাছে বিণীত হওয়া। বিনয়ের প্রতীক হিসেবে একে কল্পনা করা যেতে পারে। আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ আল্লাহ্র সৌন্দর্য্য, ক্ষমতা ও জ্ঞানের সর্বোচ্চ প্রকাশ।
আয়াতঃ 053.002
তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি।
Your companion (Muhammad SAW) has neither gone astray nor has erred.
مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَى
Ma dalla sahibukum wama ghawa
YUSUFALI: Your Companion is neither astray nor being misled.
PICKTHAL: Your comrade erreth not, nor is deceived;
SHAKIR: Your companion does not err, nor does he go astray;
KHALIFA: Your friend (Muhammad) was not astray, nor was he deceived.
০২। তোমাদের সংগী পথভ্রষ্টও হয় নাই, বিপথেও যায় নাই ৫০৮৬,
০৩। আর সে নিজের ইচ্ছামত কোন কথা বলে না।
৫০৮৬। ” তোমাদের সঙ্গী ” এই বাক্যটি দ্বারা রাসুলুল্লাহ্ কে ( সা ) বোঝানো হয়েছে যিনি কোরাইশদের মাঝে অবস্থান করছিলেন। অবিশ্বাসীরা তাঁর বিরুদ্ধে যে তিন ধরণের অভিযোগ উত্থাপন করেছিলো তারই জবাব এখানে প্রদান করা হয়। কোরাইশদের অভিযোগ সমূহ ছিলো নিম্নরূপ :
১) হয় তিনি বুদ্ধির দোষে বিভ্রান্ত কিংবা অমনোযোগী।
২) অথবা তিনি অশুভ শক্তির প্ররোচনায় বিপথগামী।
৩) অথবা তিনি উত্তেজনা বা আবেগ তাড়িত হয়ে মনগড়া কথা বলেন। অথবা নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধারের জন্য, নিজ ব্যক্তিত্ব প্রকাশের জন্য মনগড়া কথা বলেন।
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ পরিষ্কার ভাবে ঘোষণা করেছেন যে, এই অভিযোগ গুলির একটিও সত্য নয়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে তিনি সরাসরি আল্লাহ্র নিকট থেকে প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত।
আয়াতঃ 053.003
এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।
Nor does he speak of (his own) desire.
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى
Wama yantiqu AAani alhawa
YUSUFALI: Nor does he say (aught) of (his own) Desire.
PICKTHAL: Nor doth he speak of (his own) desire.
SHAKIR: Nor does he speak out of desire.
KHALIFA: Nor was he speaking out of a personal desire.
০২। তোমাদের সংগী পথভ্রষ্টও হয় নাই, বিপথেও যায় নাই ৫০৮৬,
০৩। আর সে নিজের ইচ্ছামত কোন কথা বলে না।
৫০৮৬। ” তোমাদের সঙ্গী ” এই বাক্যটি দ্বারা রাসুলুল্লাহ্ কে ( সা ) বোঝানো হয়েছে যিনি কোরাইশদের মাঝে অবস্থান করছিলেন। অবিশ্বাসীরা তাঁর বিরুদ্ধে যে তিন ধরণের অভিযোগ উত্থাপন করেছিলো তারই জবাব এখানে প্রদান করা হয়। কোরাইশদের অভিযোগ সমূহ ছিলো নিম্নরূপ :
১) হয় তিনি বুদ্ধির দোষে বিভ্রান্ত কিংবা অমনোযোগী।
২) অথবা তিনি অশুভ শক্তির প্ররোচনায় বিপথগামী।
৩) অথবা তিনি উত্তেজনা বা আবেগ তাড়িত হয়ে মনগড়া কথা বলেন। অথবা নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধারের জন্য, নিজ ব্যক্তিত্ব প্রকাশের জন্য মনগড়া কথা বলেন।
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ পরিষ্কার ভাবে ঘোষণা করেছেন যে, এই অভিযোগ গুলির একটিও সত্য নয়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে তিনি সরাসরি আল্লাহ্র নিকট থেকে প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত।
আয়াতঃ 053.004
কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।
It is only an Inspiration that is inspired.
إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى
In huwa illa wahyun yooha
YUSUFALI: It is no less than inspiration sent down to him:
PICKTHAL: It is naught save an inspiration that is inspired,
SHAKIR: It is naught but revelation that is revealed,
KHALIFA: It was divine inspiration.
০৪। ইহা তো ওহী যা তার প্রতি প্রেরণ করা হয় ;
০৫। সে শিক্ষিত হয়েছে [ এমন ] একজন দ্বারা [ যে ] ক্ষমতায় মহাশক্তিশালী ৫০৮৭,
৫০৮৭। আয়াত নং [ ৫-৬] যে বর্ণনা আছে তফসীরকারগণ মনে করেন তার দ্বারা জিব্রাইল ফেরেশতাকে বোঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 053.005
তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা,
He has been taught (this Qur’ân) by one mighty in power [Jibrael (Gabriel)].
عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَى
AAallamahu shadeedu alquwa
YUSUFALI: He was taught by one Mighty in Power,
PICKTHAL: Which one of mighty powers hath taught him,
SHAKIR: The Lord of Mighty Power has taught him,
KHALIFA: Dictated by the Most Powerful.