- সূরার নাম: সূরা ওয়াকিআ
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা ওয়াকিআ
আয়াতঃ 056.001
যখন কিয়ামতের ঘটনা ঘটবে,
When the Event (i.e. the Day of Resurrection) befalls.
إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ
Itha waqaAAati alwaqiAAatu
YUSUFALI: When the Event inevitable cometh to pass,
PICKTHAL: When the event befalleth –
SHAKIR: When the great event comes to pass,
KHALIFA: When the inevitable comes to pass.
০১। যখন অপরিহার্য মহা ঘটনা [ কেয়ামত ] ঘটবে ৫২২২।
০২। অতঃপর এর সংঘটনের অস্বীকার করার কোন [ আত্মা ] থাকবে না
৫২২২। কেয়ামত অবশ্যাম্ভবী ঘটনা। পার্থিব জীবন নিয়ে যারা সর্বদা ব্যস্ত থাকে, তারা এই ঘটনার আগমন সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করে থাকে। কিন্তু কেয়ামত ঘটবেই, এবং যখন তা সংঘটিত হবে, তখন তা হবে আকস্মিক ভাবে। এই ঘটনার আকস্মিকতায় প্রতিটি আত্মা হতবুদ্ধি হয়ে পড়বে। তা হবে এত বাস্তব সত্য যে তার প্রচন্ডতা প্রতিটি আত্মার অন্তঃস্থলকে দহন করবে। ফলে কারও পক্ষে মিথ্যা ধারণা বা ভান করা সম্ভব হবে না। “তখন ইহার সংঘটন অস্বীকার করবার কেহ থাকবে না।”
আয়াতঃ 056.002
যার বাস্তবতায় কোন সংশয় নেই।
And there can be no denying of its befalling.
لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ
Laysa liwaqAAatiha kathibatun
YUSUFALI: Then will no (soul) entertain falsehood concerning its coming.
PICKTHAL: There is no denying that it will befall –
SHAKIR: There is no belying its coming to pass–
KHALIFA: Nothing can stop it from happening.
০১। যখন অপরিহার্য মহা ঘটনা [ কেয়ামত ] ঘটবে ৫২২২।
০২। অতঃপর এর সংঘটনের অস্বীকার করার কোন [ আত্মা ] থাকবে না
৫২২২। কেয়ামত অবশ্যাম্ভবী ঘটনা। পার্থিব জীবন নিয়ে যারা সর্বদা ব্যস্ত থাকে, তারা এই ঘটনার আগমন সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করে থাকে। কিন্তু কেয়ামত ঘটবেই, এবং যখন তা সংঘটিত হবে, তখন তা হবে আকস্মিক ভাবে। এই ঘটনার আকস্মিকতায় প্রতিটি আত্মা হতবুদ্ধি হয়ে পড়বে। তা হবে এত বাস্তব সত্য যে তার প্রচন্ডতা প্রতিটি আত্মার অন্তঃস্থলকে দহন করবে। ফলে কারও পক্ষে মিথ্যা ধারণা বা ভান করা সম্ভব হবে না। “তখন ইহার সংঘটন অস্বীকার করবার কেহ থাকবে না।”
আয়াতঃ 056.003
এটা নীচু করে দেবে, সমুন্নত করে দেবে।
It will bring low (some); (and others) it will exalt;
خَافِضَةٌ رَّافِعَةٌ
Khafidatun rafiAAatun
YUSUFALI: (Many) will it bring low; (many) will it exalt;
PICKTHAL: Abasing (some), exalting (others);
SHAKIR: Abasing (one party), exalting (the other),
KHALIFA: It will lower some, and raise others.
০৩। ইহা [একদলকে ] করবে বিনীত ৫২২৩, আবার [ অনেককেই ] করবে উল্লাসিত ;
৫২২৩। সেই ভয়াবহ দিনে পৃথিবীর মানুষের সকল শ্রেণী বিভাগ বিলুপ্ত হয়ে নূতন মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মানুষকে নূতনভাবে নূতন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হবে। যেমন ৭নং আয়াতে বলা হয়েছে সেদিন মানুষকে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হবে। প্রথমতঃ সর্বোচ্চ শ্রেণী যারা সর্বোচ্চ সম্মানিত, আল্লাহ্র সর্বাপেক্ষা নিকটস্থ [ Muqarrabun] [ ৫৬ : ১১ – ২৯ ] ; পূণ্যাত্মা ব্যক্তিগণ যাদের বলা হয়েছে “ডানদিকের দল” [ Ashab-ul- maimana ] [ ৫৬ : ২৭- ৪০ ]। আর একদল থাকবে যারা থাকবে উদ্বেগ ও দুঃশ্চিন্তার মধ্যে, এদের বলা হয়েছে, “বাম দিকের দল” [ Ashabul-mash-ama ] [ ৫৬ : ৪১ – ৫৬ ]। সেদিন এমন হবে যেমনঃ পার্থিব জীবনে ক্ষমতাধর ব্যক্তিগণ যারা ছিলেন বহুলোকের দন্ডমুন্ডের কর্তা কিন্তু পাপিষ্ঠ ; কেয়ামতের দিনে তাদের মান সম্মান ধূলায় লুণ্ঠিত করে তাদের অবদমিত করা হবে তাদের পাপের দরুণ। আবার যারা পৃথিবীতে ছিলেন পূণ্যাত্মা ও গুণবান কিন্তু ক্ষমতাধর বা খুব সম্মানীয় নয়। সেদিন তারা তাদের পূণ্য ও গুণরাজির জন্য তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত হবেন। পৃথিবীর জীবনের মান -সম্মান ও ক্ষমতার সীমানা হয়ে যাবে বিলুপ্ত। সেদিন নূতন পৃথিবীতে গুণরাজি ও পূণ্যের ভিত্তিতে নূতন মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে।
আয়াতঃ 056.004
যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী।
When the earth will be shaken with a terrible shake.
إِذَا رُجَّتِ الْأَرْضُ رَجًّا
Itha rujjati al-ardu rajjan
YUSUFALI: When the earth shall be shaken to its depths,
PICKTHAL: When the earth is shaken with a shock
SHAKIR: When the earth shall be shaken with a (severe) shaking,
KHALIFA: The earth will be shaken up.
০৪। যখন পৃথিবী তার গভীর থেকে প্রকম্পিত হবে,
০৫। এবং পবর্তসমূহ অণু-পরমাণুতে চূর্ণ হয়ে যাবে ৫২২৪,
০৬। পরিণত হবে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণাতে
৫২২৪। আয়াতে [ ৪ – ৬ ] বর্ণনা করা হয়েছে কেয়ামত দিবসে পৃথিবীর অবস্থা। অল্প কয়েকটি বাক্যে যে চিত্র আঁকা হয়েছে তা অতি ভয়াবহ। আমাদের এই চেনা পৃথিবী অর্ন্তহিত হয়ে যাবে এবং নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে।
আয়াতঃ 056.005
এবং পর্বতমালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে।
And the mountains will be powdered to dust.
وَبُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا
Wabussati aljibalu bassan
YUSUFALI: And the mountains shall be crumbled to atoms,
PICKTHAL: And the hills are ground to powder
SHAKIR: And the mountains shall be made to crumble with (an awful) crumbling,
KHALIFA: The mountains will be wiped out.
০৪। যখন পৃথিবী তার গভীর থেকে প্রকম্পিত হবে,
০৫। এবং পবর্তসমূহ অণু-পরমাণুতে চূর্ণ হয়ে যাবে ৫২২৪,
০৬। পরিণত হবে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণাতে
৫২২৪। আয়াতে [ ৪ – ৬ ] বর্ণনা করা হয়েছে কেয়ামত দিবসে পৃথিবীর অবস্থা। অল্প কয়েকটি বাক্যে যে চিত্র আঁকা হয়েছে তা অতি ভয়াবহ। আমাদের এই চেনা পৃথিবী অর্ন্তহিত হয়ে যাবে এবং নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে।
আয়াতঃ 056.006
অতঃপর তা হয়ে যাবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণা।
So that they will become floating dust particles.
فَكَانَتْ هَبَاء مُّنبَثًّا
Fakanat habaan munbaththan
YUSUFALI: Becoming dust scattered abroad,
PICKTHAL: So that they become a scattered dust,
SHAKIR: So that they shall be as scattered dust.
KHALIFA: As if they never existed.
০৪। যখন পৃথিবী তার গভীর থেকে প্রকম্পিত হবে,
০৫। এবং পবর্তসমূহ অণু-পরমাণুতে চূর্ণ হয়ে যাবে ৫২২৪,
০৬। পরিণত হবে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণাতে
৫২২৪। আয়াতে [ ৪ – ৬ ] বর্ণনা করা হয়েছে কেয়ামত দিবসে পৃথিবীর অবস্থা। অল্প কয়েকটি বাক্যে যে চিত্র আঁকা হয়েছে তা অতি ভয়াবহ। আমাদের এই চেনা পৃথিবী অর্ন্তহিত হয়ে যাবে এবং নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে।
আয়াতঃ 056.007
এবং তোমরা তিনভাবে বিভক্ত হয়ে পড়বে।
And you (all) will be in three kinds (i.e. separate groups).
وَكُنتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً
Wakuntum azwajan thalathatan
YUSUFALI: And ye shall be sorted out into three classes.
PICKTHAL: And ye will be three kinds:
SHAKIR: And you shall be three sorts.
KHALIFA: You will be stratified into three kinds.
০৭। এবং তোমাদের বাছাই করা হবে তিনটি শ্রেণীতে ৫২২৫
৫২২৫। দেখুন উপরের টিকা ৫২২৩।
আয়াতঃ 056.008
যারা ডান দিকে, কত ভাগ্যবান তারা।
So those on the Right Hand (i.e. those who will be given their Records in their right hands), Who will be those on the Right Hand? (As a respect for them, because they will enter Paradise).
فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ
Faas-habu almaymanati ma as-habu almaymanati
YUSUFALI: Then (there will be) the Companions of the Right Hand;- What will be the Companions of the Right Hand?
PICKTHAL: (First) those on the right hand; what of those on the right hand?
SHAKIR: Then (as to) the companions of the right hand; how happy are the companions of the right hand!
KHALIFA: Those who deserved bliss will be in bliss.
০৮। সেখানে থাকবে ডান হাতের [ আমলনামার ] দল ; কিরূপ [ ভাগ্যবান ] হবে ডান হাতের দল ?
০৯। এবং বা হাতের [ আমলনামার ] দল; কিরূপ [ হতভাগ্য ] হবে বা হাতের দল?
১০। এবং [ ঈমানে ] অগ্রবর্তীগণই হবে [পরলোকে ] অগ্রবর্তী ৫২২৬।
৫২২৬।”অগ্রবর্তীগণ [ বিশ্বাসে ] ” – এই আয়াতটিকে দুভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
১) আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাসে যারা অগ্রবর্তী তাঁরাই আধ্যাত্মিক জগতকে অন্তরের মাঝে অনুভবে শীর্ষপর্যায়ে রয়ে যান। এরা হলেন নবী, রসুল এবং মানুষকে যারা নৈতিকতা শিক্ষা দিয়েছেন যুগে যুগে। পরলোকের জীবনে এরাই হবেন অগ্রবর্তী।
২) যারা আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপনে ছিলেন দ্রুত ও আল্লাহ্র বাণী গ্রহণে ছিলেন সর্বাপেক্ষা অগ্রগামী পরলোকের জীবনে বেহেশতে তাদের অবস্থান শীর্ষে থাকবে।
আয়াত নম্বর ৮, ৯, ও ১০ উল্লেখ করা হয়েছে ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে করা তিনটি প্রধান শ্রেণীর। পরবর্তী আয়াত সমূহে তাদের সুখ-শান্তি ও দুঃখ দুর্দ্দশাকে প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসে যারা সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করবেন তাঁরাই হবেন আল্লাহ্র সবচেয়ে নিকটবর্তী।
আয়াতঃ 056.009
এবং যারা বামদিকে, কত হতভাগা তারা।
And those on the Left Hand (i.e. those who will be given their Record in their left hands), Who will be those on the Left Hand? (As a disgrace for them, because they will enter Hell).
وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ
Waas-habu almash-amati ma as-habu almash-amati
YUSUFALI: And the Companions of the Left Hand,- what will be the Companions of the Left Hand?
PICKTHAL: And (then) those on the left hand; what of those on the left hand?
SHAKIR: And (as to) the companions of the left hand; how wretched are the companions of the left hand!
KHALIFA: Those who deserved misery will be in misery.
০৮। সেখানে থাকবে ডান হাতের [ আমলনামার ] দল ; কিরূপ [ ভাগ্যবান ] হবে ডান হাতের দল ?
০৯। এবং বা হাতের [ আমলনামার ] দল; কিরূপ [ হতভাগ্য ] হবে বা হাতের দল?
১০। এবং [ ঈমানে ] অগ্রবর্তীগণই হবে [পরলোকে ] অগ্রবর্তী ৫২২৬।
৫২২৬।”অগ্রবর্তীগণ [ বিশ্বাসে ] ” – এই আয়াতটিকে দুভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
১) আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাসে যারা অগ্রবর্তী তাঁরাই আধ্যাত্মিক জগতকে অন্তরের মাঝে অনুভবে শীর্ষপর্যায়ে রয়ে যান। এরা হলেন নবী, রসুল এবং মানুষকে যারা নৈতিকতা শিক্ষা দিয়েছেন যুগে যুগে। পরলোকের জীবনে এরাই হবেন অগ্রবর্তী।
২) যারা আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপনে ছিলেন দ্রুত ও আল্লাহ্র বাণী গ্রহণে ছিলেন সর্বাপেক্ষা অগ্রগামী পরলোকের জীবনে বেহেশতে তাদের অবস্থান শীর্ষে থাকবে।
আয়াত নম্বর ৮, ৯, ও ১০ উল্লেখ করা হয়েছে ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে করা তিনটি প্রধান শ্রেণীর। পরবর্তী আয়াত সমূহে তাদের সুখ-শান্তি ও দুঃখ দুর্দ্দশাকে প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসে যারা সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করবেন তাঁরাই হবেন আল্লাহ্র সবচেয়ে নিকটবর্তী।
আয়াতঃ 056.010
অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই।
And those foremost [(in Islâmic Faith of Monotheism and in performing righteous deeds) in the life of this world on the very first call for to embrace Islâm,] will be foremost (in Paradise).
وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ
Waalssabiqoona alssabiqoona
YUSUFALI: And those Foremost (in Faith) will be Foremost (in the Hereafter).
PICKTHAL: And the foremost in the race, the foremost in the race:
SHAKIR: And the foremost are the foremost,
KHALIFA: Then there is the elite of the elite.
০৮। সেখানে থাকবে ডান হাতের [ আমলনামার ] দল ; কিরূপ [ ভাগ্যবান ] হবে ডান হাতের দল ?
০৯। এবং বা হাতের [ আমলনামার ] দল; কিরূপ [ হতভাগ্য ] হবে বা হাতের দল?
১০। এবং [ ঈমানে ] অগ্রবর্তীগণই হবে [পরলোকে ] অগ্রবর্তী ৫২২৬।
৫২২৬।”অগ্রবর্তীগণ [ বিশ্বাসে ] ” – এই আয়াতটিকে দুভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
১) আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাসে যারা অগ্রবর্তী তাঁরাই আধ্যাত্মিক জগতকে অন্তরের মাঝে অনুভবে শীর্ষপর্যায়ে রয়ে যান। এরা হলেন নবী, রসুল এবং মানুষকে যারা নৈতিকতা শিক্ষা দিয়েছেন যুগে যুগে। পরলোকের জীবনে এরাই হবেন অগ্রবর্তী।
২) যারা আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপনে ছিলেন দ্রুত ও আল্লাহ্র বাণী গ্রহণে ছিলেন সর্বাপেক্ষা অগ্রগামী পরলোকের জীবনে বেহেশতে তাদের অবস্থান শীর্ষে থাকবে।
আয়াত নম্বর ৮, ৯, ও ১০ উল্লেখ করা হয়েছে ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে করা তিনটি প্রধান শ্রেণীর। পরবর্তী আয়াত সমূহে তাদের সুখ-শান্তি ও দুঃখ দুর্দ্দশাকে প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসে যারা সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করবেন তাঁরাই হবেন আল্লাহ্র সবচেয়ে নিকটবর্তী।
আয়াতঃ 056.011
তারাই নৈকট্যশীল,
These will be those nearest to Allâh.
أُوْلَئِكَ الْمُقَرَّبُونَ
Ola-ika almuqarraboona
YUSUFALI: These will be those Nearest to Allah:
PICKTHAL: Those are they who will be brought nigh
SHAKIR: These are they who are drawn nigh (to Allah),
KHALIFA: They are those who will be closest (to God).
১১। তারাই হবে [আল্লাহ্র ] নিকটতম ৫২২৭ ;
১২। প্রশান্তির বাগান সমূহে।
৫২২৭। দেখুন পূর্বের টিকা নং ৫২২৩। আধ্যাত্মিক জীবনে যে যত আল্লাহ্র নিকটবর্তী হবেন তাঁর আত্মিক প্রশান্তি তত গাঢ় ও তীব্র হবে। আত্মা, যাকে “রূহু” বলে সম্বোধন করা হয় যা আল্লাহ্ আমাদের এই নশ্বর দেহের মাঝে ফুঁকে দিয়েছেন তা আল্লাহ্রই রূহুর অংশ। রূহু যত তাঁর স্ব অবস্থানের নিকটবর্তী হবে তত তার মাঝে প্রশান্তি বৃদ্ধি পাবে। মানব আত্মা পরমাত্মারই অংশ যাকে এই নশ্বর দেহের মাঝে বন্দী করে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়, যার মুক্তি ঘটে ‘বিশ্বাস’ ও সৎকাজের মাধ্যমে।
আয়াতঃ 056.012
অবদানের উদ্যানসমূহে,
In the Gardens of delight (Paradise).
فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ
Fee jannati alnnaAAeemi
YUSUFALI: In Gardens of Bliss:
PICKTHAL: In gardens of delight;
SHAKIR: In the gardens of bliss.
KHALIFA: In the gardens of bliss.
১১। তারাই হবে [আল্লাহ্র ] নিকটতম ৫২২৭ ;
১২। প্রশান্তির বাগান সমূহে।
৫২২৭। দেখুন পূর্বের টিকা নং ৫২২৩। আধ্যাত্মিক জীবনে যে যত আল্লাহ্র নিকটবর্তী হবেন তাঁর আত্মিক প্রশান্তি তত গাঢ় ও তীব্র হবে। আত্মা, যাকে “রূহু” বলে সম্বোধন করা হয় যা আল্লাহ্ আমাদের এই নশ্বর দেহের মাঝে ফুঁকে দিয়েছেন তা আল্লাহ্রই রূহুর অংশ। রূহু যত তাঁর স্ব অবস্থানের নিকটবর্তী হবে তত তার মাঝে প্রশান্তি বৃদ্ধি পাবে। মানব আত্মা পরমাত্মারই অংশ যাকে এই নশ্বর দেহের মাঝে বন্দী করে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়, যার মুক্তি ঘটে ‘বিশ্বাস’ ও সৎকাজের মাধ্যমে।
আয়াতঃ 056.013
তারা একদল পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
A multitude of those (foremost) will be from the first generations (who embraced Islâm).
ثُلَّةٌ مِّنَ الْأَوَّلِينَ
Thullatun mina al-awwaleena
YUSUFALI: A number of people from those of old,
PICKTHAL: A multitude of those of old
SHAKIR: A numerous company from among the first,
KHALIFA: Many from the first generations.
১৩। [ অগ্রবর্তীদের ] অধিকাংশই হবে প্রথম যুগের [ ইসলাম গ্রহণকারীগণ ] ৫২২৮
৫২২৮। বহু নবী ও রসুল গত হয়েছেন আমাদের নবী হযরত মুহম্মদ (সা) এর পূর্বে। হযরত মুহম্মদ (সা) শেষ নবী। তাঁর পরে তাঁর শিক্ষাকে যারা মানুষের মাঝে প্রচার করবেন তাদের সংখ্যা আনুপাতিক ভাবে কম হবে।
আয়াতঃ 056.014
এবং অল্পসংখ্যক পরবর্তীদের মধ্যে থেকে।
And a few of those (foremost) will be from the later time (generations).
وَقَلِيلٌ مِّنَ الْآخِرِينَ
Waqaleelun mina al-akhireena
YUSUFALI: And a few from those of later times.
PICKTHAL: And a few of those of later time.
SHAKIR: And a few from among the latter.
KHALIFA: Few from the later generations.
১৪। এবং [ অগ্রবর্তীদের ] অল্প সংখ্যক হবে পরবর্তী যুগের।
১৫। স্বর্ণ-খচিত আসনে [ তারা সমাসীন হবে ], ৫২২৯
৫২২৯। “স্বর্ণ খচিত আসন ” এই বাক্যটি দ্বারা সম্মানীত ব্যক্তির আসনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সম্মান পার্থিব জীবনের নয়, এই সম্মান আধ্যাত্মিক। যিনি আধ্যাত্মিক জীবনে যত উন্নতি করেছেন, আল্লাহ্র যত নৈকট্য লাভ করেছেন তার জন্য বেহেশতে তত উচ্চ স্থান নির্দ্দিষ্ট করা হবে।
আয়াতঃ 056.015
স্বর্ণ খচিত সিংহাসন।
(They will be) on thrones woven with gold and precious stones,
عَلَى سُرُرٍ مَّوْضُونَةٍ
AAala sururin mawdoonatin
YUSUFALI: (They will be) on Thrones encrusted (with gold and precious stones),
PICKTHAL: On lined couches,
SHAKIR: On thrones decorated,
KHALIFA: On luxurious furnishings.
১৪। এবং [ অগ্রবর্তীদের ] অল্প সংখ্যক হবে পরবর্তী যুগের।
১৫। স্বর্ণ-খচিত আসনে [ তারা সমাসীন হবে ], ৫২২৯
৫২২৯। “স্বর্ণ খচিত আসন ” এই বাক্যটি দ্বারা সম্মানীত ব্যক্তির আসনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সম্মান পার্থিব জীবনের নয়, এই সম্মান আধ্যাত্মিক। যিনি আধ্যাত্মিক জীবনে যত উন্নতি করেছেন, আল্লাহ্র যত নৈকট্য লাভ করেছেন তার জন্য বেহেশতে তত উচ্চ স্থান নির্দ্দিষ্ট করা হবে।
আয়াতঃ 056.016
তারা তাতে হেলান দিয়ে বসবে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে।
Reclining thereon, face to face.
مُتَّكِئِينَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِينَ
Muttaki-eena AAalayha mutaqabileena
YUSUFALI: Reclining on them, facing each other.
PICKTHAL: Reclining therein face to face.
SHAKIR: Reclining on them, facing one another.
KHALIFA: Enjoying everything, they will be neighbors.
১৬। ওরা হেলান দিয়ে বসবে, পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে ৫২৩০,
৫২৩০। বেহেশতবাসীরা কখনও নিঃসঙ্গতা বা একাকীত্ব ভোগ করবেন না। তাঁরা পরস্পর মুখোমুখি হেলান দিয়ে বসবেন। তাঁরা সকলে বেহেশতি সুখ ও শান্তি উপভোগ করবেন এক সামাজিক গোষ্ঠির অন্তর্ভূক্ত হয়ে।
আয়াতঃ 056.017
তাদের কাছে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোরেরা।
They will be served by immortal boys,
يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُّخَلَّدُونَ
Yatoofu AAalayhim wildanun mukhalladoona
YUSUFALI: Round about them will (serve) youths of perpetual (freshness),
PICKTHAL: There wait on them immortal youths
SHAKIR: Round about them shall go youths never altering in age,
KHALIFA: Serving them will be immortal servants.
১৭। তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে চির-কিশোরেরা ৫২৩১
৫২৩১। দেখুন [ ৫২ : ২৪ ] আয়াত ও টিকা ৫০৫৮। বেহেশতবাসীদের সেবকের গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে ; ” চির কিশোর “। অর্থাৎ তারুণ্যের দীপ্তিতে ঝল্মলে। এটা একটা প্রতীক ধর্মী বর্ণনা যার মাধ্যমে পরলোকের আধ্যাত্মিক জীবনের চিত্র অংকন করা হয়েছে। বেহেশতে কোন জড়া, বা বৃদ্ধ বা পুরানোর স্থান থাকবে না।
আয়াতঃ 056.018
পানপাত্র কুঁজা ও খাঁটি সূরাপূর্ণ পেয়ালা হাতে নিয়ে,
With cups, and jugs, and a glass from the flowing wine,
بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِّن مَّعِينٍ
Bi-akwabin waabareeqa waka/sin min maAAeenin
YUSUFALI: With goblets, (shining) beakers, and cups (filled) out of clear-flowing fountains:
PICKTHAL: With bowls and ewers and a cup from a pure spring
SHAKIR: With goblets and ewers and a cup of pure drink;
KHALIFA: With cups, pitchers and pure drinks.
১৮। পান পাত্র, [ চক্চকে ] কুঁজা ও প্রস্রবন নিঃসৃত সূরাপূর্ণ পেয়ালা নিয়ে।
১৯। এতে তাদের মাথা ব্যাথাও হবে না কিংবা তারা জ্ঞান হারাও হবে না ৫২৩২
৫২৩২। বেহেশতের সুখ শান্তির বর্ণনায়, পানীয়ের উল্লেখ করা হয়েছে এই আয়াতে। যে কোন ভোজে “পানীয়” এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকে। পার্থিব জীবনে ‘সূরা’ এক মূল্যবান পানীয়রূপে পরিগণিত করা হয়। তবে ‘সূরা’ পানে মানুষ নানা ধরণের মানসিক বিকৃতি প্রদশর্ন করে থাকে ও শেষ পর্যন্ত নানা ধরনের শারীরিক রোগে আক্রান্ত হয়। কিন্তু বেহেশতি সূরা এসব দোষ ত্রুটি মুক্ত থাকবে।
আয়াতঃ 056.019
যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং বিকারগ্রস্ত ও হবে না।
Wherefrom they will get neither any aching of the head, nor any intoxication.
لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنزِفُونَ
La yusaddaAAoona AAanha wala yunzifoona
YUSUFALI: No after-ache will they receive therefrom, nor will they suffer intoxication:
PICKTHAL: Wherefrom they get no aching of the head nor any madness,
SHAKIR: They shall not be affected with headache thereby, nor shall they get exhausted,
KHALIFA: They never run out, nor do they get bored.
১৮। পান পাত্র, [ চক্চকে ] কুঁজা ও প্রস্রবন নিঃসৃত সূরাপূর্ণ পেয়ালা নিয়ে।
১৯। এতে তাদের মাথা ব্যাথাও হবে না কিংবা তারা জ্ঞান হারাও হবে না ৫২৩২
৫২৩২। বেহেশতের সুখ শান্তির বর্ণনায়, পানীয়ের উল্লেখ করা হয়েছে এই আয়াতে। যে কোন ভোজে “পানীয়” এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকে। পার্থিব জীবনে ‘সূরা’ এক মূল্যবান পানীয়রূপে পরিগণিত করা হয়। তবে ‘সূরা’ পানে মানুষ নানা ধরণের মানসিক বিকৃতি প্রদশর্ন করে থাকে ও শেষ পর্যন্ত নানা ধরনের শারীরিক রোগে আক্রান্ত হয়। কিন্তু বেহেশতি সূরা এসব দোষ ত্রুটি মুক্ত থাকবে।
আয়াতঃ 056.020
আর তাদের পছন্দমত ফল-মুল নিয়ে,
And fruit; that they may choose.
وَفَاكِهَةٍ مِّمَّا يَتَخَيَّرُونَ
Wafakihatin mimma yatakhayyaroona
YUSUFALI: And with fruits, any that they may select:
PICKTHAL: And fruit that they prefer
SHAKIR: And fruits such as they choose,
KHALIFA: Fruits of their choice.
২০। এবং [ থাকবে ] তাদের পছন্দমত ফলমূল,
২১। আর তাদের ইস্পিত পাখীর গোশ্ত।
২২। এবং [ সেখানে থাকবে ] আয়তলোচনা হুর ৫২৩৩
৫২৩৩। দেখুন অনুরূপ বর্ণনা [ ৪৪ : ৫৪ ] আয়াত এবং টিকা ৪৭২৯। পূত, পবিত্র, সৌন্দর্যমন্ডিত ও সম্মানীয় “সাথী” মানুষের জীবনে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য, যার আবেদন পার্থিব জীবনে সর্বোচ্চ। পার্থিব জীবনে মানুষ নশ্বর দেহের মাধ্যমে, ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে, দৈহিক সুখের আস্বাদন করে থাকে। সুতারাং পার্থিব জীবনে এই সুখের ধারণার শারীরিক অবয়বের দ্বারা চিহ্নিত হয়ে থাকে। কিন্তু পরলোকের জীবন পার্থিব জীবনের নশ্বর দেহের, মলিনতা মুক্ত হবে। সুতারাং আধ্যাত্মিক জীবনের সাথীরা হবে পার্থিব জীবনের সকল হীনতা, নীচতা, কলুষতা মুক্ত সর্বোচ্চ সৌন্দর্যমন্ডিত।
আয়াতঃ 056.021
এবং রুচিমত পাখীর মাংস নিয়ে।
And the flesh of fowls that they desire.
وَلَحْمِ طَيْرٍ مِّمَّا يَشْتَهُونَ
Walahmi tayrin mimma yashtahoona
YUSUFALI: And the flesh of fowls, any that they may desire.
PICKTHAL: And flesh of fowls that they desire.
SHAKIR: And the flesh of fowl such as they desire.
KHALIFA: Meat of birds that they desire.
২০। এবং [ থাকবে ] তাদের পছন্দমত ফলমূল,
২১। আর তাদের ইস্পিত পাখীর গোশ্ত।
২২। এবং [ সেখানে থাকবে ] আয়তলোচনা হুর ৫২৩৩
৫২৩৩। দেখুন অনুরূপ বর্ণনা [ ৪৪ : ৫৪ ] আয়াত এবং টিকা ৪৭২৯। পূত, পবিত্র, সৌন্দর্যমন্ডিত ও সম্মানীয় “সাথী” মানুষের জীবনে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য, যার আবেদন পার্থিব জীবনে সর্বোচ্চ। পার্থিব জীবনে মানুষ নশ্বর দেহের মাধ্যমে, ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে, দৈহিক সুখের আস্বাদন করে থাকে। সুতারাং পার্থিব জীবনে এই সুখের ধারণার শারীরিক অবয়বের দ্বারা চিহ্নিত হয়ে থাকে। কিন্তু পরলোকের জীবন পার্থিব জীবনের নশ্বর দেহের, মলিনতা মুক্ত হবে। সুতারাং আধ্যাত্মিক জীবনের সাথীরা হবে পার্থিব জীবনের সকল হীনতা, নীচতা, কলুষতা মুক্ত সর্বোচ্চ সৌন্দর্যমন্ডিত।
আয়াতঃ 056.022
তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ,
And (there will be) Houris (fair females) with wide, lovely eyes (as wives for the pious),
وَحُورٌ عِينٌ
Wahoorun AAeenun
YUSUFALI: And (there will be) Companions with beautiful, big, and lustrous eyes,-
PICKTHAL: And (there are) fair ones with wide, lovely eyes,
SHAKIR: And pure, beautiful ones,
KHALIFA: Beautiful mates.
২০। এবং [ থাকবে ] তাদের পছন্দমত ফলমূল,
২১। আর তাদের ইস্পিত পাখীর গোশ্ত।
২২। এবং [ সেখানে থাকবে ] আয়তলোচনা হুর ৫২৩৩
৫২৩৩। দেখুন অনুরূপ বর্ণনা [ ৪৪ : ৫৪ ] আয়াত এবং টিকা ৪৭২৯। পূত, পবিত্র, সৌন্দর্যমন্ডিত ও সম্মানীয় “সাথী” মানুষের জীবনে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য, যার আবেদন পার্থিব জীবনে সর্বোচ্চ। পার্থিব জীবনে মানুষ নশ্বর দেহের মাধ্যমে, ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে, দৈহিক সুখের আস্বাদন করে থাকে। সুতারাং পার্থিব জীবনে এই সুখের ধারণার শারীরিক অবয়বের দ্বারা চিহ্নিত হয়ে থাকে। কিন্তু পরলোকের জীবন পার্থিব জীবনের নশ্বর দেহের, মলিনতা মুক্ত হবে। সুতারাং আধ্যাত্মিক জীবনের সাথীরা হবে পার্থিব জীবনের সকল হীনতা, নীচতা, কলুষতা মুক্ত সর্বোচ্চ সৌন্দর্যমন্ডিত।
আয়াতঃ 056.023
আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়,
Like unto preserved pearls.
كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ
Kaamthali allu/lui almaknooni
YUSUFALI: Like unto Pearls well-guarded.
PICKTHAL: Like unto hidden pearls,
SHAKIR: The like of the hidden pearls:
KHALIFA: Like protected pearls.
২৩। সুরক্ষিত মুক্তা সদৃশ ৫২৩৪ –
৫২৩৪। এই আয়াতের অনুরূপ বর্ণনা আছে সেবা দানকারী কিশোরদের সম্বন্ধে [ ৫২ : ২৪ ] আয়াতে। সেখানে দেখুন টিকা নং ৫০৫৮।
আয়াতঃ 056.024
তারা যা কিছু করত, তার পুরস্কারস্বরূপ।
A reward for what they used to do.
جَزَاء بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
Jazaan bima kanoo yaAAmaloona
YUSUFALI: A Reward for the deeds of their past (life).
PICKTHAL: Reward for what they used to do.
SHAKIR: A reward for what they used to do.
KHALIFA: Rewards for their works.
২৪। তাদের গত [ জীবনের ] কাজের পুরষ্কার স্বরূপ।
২৫। সেখানে তারা কোন চপলতা বা পাপবাক্য শুনবে না, ৫২৩৫
৫২৩৫। দেখুন [ ৫২ : ২৩ ] আয়াত। পার্থিব জীবনে মানুষ আনন্দ ফূর্তি করার জন্য ভোজের ব্যবস্থা করে থাকে। কিন্তু সেসব ভোজ পরিপূর্ণ আনন্দ দানে সক্ষম নয়। কারণ যারা সেখানে অংশগ্রহণ করেন সেখানে তাদের পরস্পরের মাঝে প্রতিযোগীতা, অহংকার, তোষামোদ, পরস্পরের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ প্রভৃতির বিষবাষ্প উদগীরণের ফলে পরিবেশ হয়ে পরে নৈতিক অবক্ষয়ের অনুকূলে যা কখনও মানুষকে পরিপূর্ণ আনন্দ দানে সক্ষম হবে না। পার্থিব জীবনের এ সব পাপ মুক্ত থাকবে পরলোকে বেহেশতে।
আয়াতঃ 056.025
তারা তথায় অবান্তর ও কোন খারাপ কথা শুনবে না।
No Laghw (dirty, false, evil vain talk) will they hear therein, nor any sinful speech (like backbiting, etc.).
لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا
La yasmaAAoona feeha laghwan wala ta/theeman
YUSUFALI: Not frivolity will they hear therein, nor any taint of ill,-
PICKTHAL: There hear they no vain speaking nor recrimination
SHAKIR: They shall not hear therein vain or sinful discourse,
KHALIFA: They never hear any nonsense therein, nor sinful utterances.
২৪। তাদের গত [ জীবনের ] কাজের পুরষ্কার স্বরূপ।
২৫। সেখানে তারা কোন চপলতা বা পাপবাক্য শুনবে না, ৫২৩৫
৫২৩৫। দেখুন [ ৫২ : ২৩ ] আয়াত। পার্থিব জীবনে মানুষ আনন্দ ফূর্তি করার জন্য ভোজের ব্যবস্থা করে থাকে। কিন্তু সেসব ভোজ পরিপূর্ণ আনন্দ দানে সক্ষম নয়। কারণ যারা সেখানে অংশগ্রহণ করেন সেখানে তাদের পরস্পরের মাঝে প্রতিযোগীতা, অহংকার, তোষামোদ, পরস্পরের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ প্রভৃতির বিষবাষ্প উদগীরণের ফলে পরিবেশ হয়ে পরে নৈতিক অবক্ষয়ের অনুকূলে যা কখনও মানুষকে পরিপূর্ণ আনন্দ দানে সক্ষম হবে না। পার্থিব জীবনের এ সব পাপ মুক্ত থাকবে পরলোকে বেহেশতে।
আয়াতঃ 056.026
কিন্তু শুনবে সালাম আর সালাম।
But only the saying of: Salâm!, Salâm! (greetings with peace) !
إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا
Illa qeelan salaman salaman
YUSUFALI: Only the saying, “Peace! Peace”.
PICKTHAL: (Naught) but the saying: Peace, (and again) Peace.
SHAKIR: Except the word peace, peace.
KHALIFA: Only the utterance: “Peace, peace.”
২৬। কেবলমাত্র বলা হবে, ” শান্তি, শান্তি।” ৫২৩৬
৫২৩৬। মানুষ যা চিন্তা করে, তা কথার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। ভাষা হচ্ছে ‘চিন্তার’ বা মনোভাবের মাধ্যম। বেহেশতের যে পরিবেশ তা প্রকাশ করা হবে ‘সালাম’ বা শান্তি বাক্যটি দ্বারা যা বেহেশতের সর্বোচ্চ সুখ ও শান্তির প্রতীক।
আয়াতঃ 056.027
যারা ডান দিকে থাকবে, তারা কত ভাগ্যবান।
And those on the Right Hand, Who will be those on the Right Hand?
وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ مَا أَصْحَابُ الْيَمِينِ
Waas-habu alyameeni ma as-habu alyameeni
YUSUFALI: The Companions of the Right Hand,- what will be the Companions of the Right Hand?
PICKTHAL: And those on the right hand; what of those on the right hand?
SHAKIR: And the companions of the right hand; how happy are the companions of the right hand!
KHALIFA: Those of the right side, will be on the right side.
২৭। ডান হাতের [ আমলনামার ] দল; কি ঘটবে ডান হাতের দলের ?
২৮। তারা থাকবে এমন উদ্যানে, যেখানে আছে কণ্টকহীন কুল বৃক্ষ, -৫২৩৭
৫২৩৭। “কন্টকহীন কূলবৃক্ষ ” বা লোট গাছ। দেখুন আয়াত [ ৩৪ : ১৬ ] ও টিকা ৩৮১৪। ‘কন্টকহীন কুলবৃক্ষ ‘ হচ্ছে বেহেশতী শান্তির প্রতীক স্বরূপ। দেখুন [ ৫৩ : ১৪ ]।
আয়াতঃ 056.028
তারা থাকবে কাঁটাবিহীন বদরিকা বৃক্ষে।
(They will be) among thornless lote-trees,
فِي سِدْرٍ مَّخْضُودٍ
Fee sidrin makhdoodin
YUSUFALI: (They will be) among Lote-trees without thorns,
PICKTHAL: Among thornless lote-trees
SHAKIR: Amid thornless lote-trees,
KHALIFA: In lush orchards.
২৭। ডান হাতের [ আমলনামার ] দল; কি ঘটবে ডান হাতের দলের ?
২৮। তারা থাকবে এমন উদ্যানে, যেখানে আছে কণ্টকহীন কুল বৃক্ষ, -৫২৩৭
৫২৩৭। “কন্টকহীন কূলবৃক্ষ ” বা লোট গাছ। দেখুন আয়াত [ ৩৪ : ১৬ ] ও টিকা ৩৮১৪। ‘কন্টকহীন কুলবৃক্ষ ‘ হচ্ছে বেহেশতী শান্তির প্রতীক স্বরূপ। দেখুন [ ৫৩ : ১৪ ]।
আয়াতঃ 056.029
এবং কাঁদি কাঁদি কলায়,
Among Talh (banana-trees) with fruits piled one above another,
وَطَلْحٍ مَّنضُودٍ
Watalhin mandoodin
YUSUFALI: Among Talh trees with flowers (or fruits) piled one above another,-
PICKTHAL: And clustered plantains,
SHAKIR: And banana-trees (with fruits), one above another.
KHALIFA: Fragrant fruits.
২৯। কাঁদি ভরা কদলী বৃক্ষ, ৫২৩৮
৫২৩৮। ‘Talh’ -অনেকেই একে কদলী বৃক্ষরূপে অনুদিত করেছেন। ‘কদলী ‘ গাছে ফল ধরে কাঁদি হিসেবে যেখানে ফলগুলি সারিবদ্ধভাবে একটির উপরে আর একটি সাজানো থাকে। কিন্তু আরবে কোনও কদলী বৃক্ষ জন্মে না। আবার আরবে কদলী বা কলার নাম হচ্ছে ‘Mauz’। সুতারাং এখানে অন্যভাবে চিন্তা যায় এক শ্রেণীর একাশিয়া বৃক্ষ হিসেবে যা ফুলে ফুলে সুশোভিত হয় এবং ফুলগুলি ঝালরের ন্যায় একের উপরে আর এক ন্যস্ত থাকে।
আয়াতঃ 056.030
এবং দীর্ঘ ছায়ায়।
In shade long-extended,
وَظِلٍّ مَّمْدُودٍ
Wathillin mamdoodin
YUSUFALI: In shade long-extended,
PICKTHAL: And spreading shade,
SHAKIR: And extended shade,
KHALIFA: Extended shade.
৩০। সুবিস্তৃত ছায়া
৩১। সদা প্রবাহমান পানি,
৩২। ও প্রচুর ফল-মূল।
৩৩। যে ফলের সময়কাল সীমাবদ্ধ নয়, অথবা যার সরবরাহ নিষিদ্ধ করা হবে না ৫২৩৯
৫২৩৯। যেহেতু এসব ফল ও ফুল পার্থিব নয়। এ সবের কোন নির্দ্দিষ্ট সীমা,সময় থাকবে না। পৃথিবীর ফল ও ফুল উৎপন্ন হয় ঋতু অনুযায়ী, যা নির্দ্দিষ্ট সময় শেষে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বেহেশতের চিত্ররূপ সম্পূর্ন ভিন্ন। সেখানে কোনও কিছুই শেষ হওয়ার নয় বা কিভাবে তা গ্রহণ করা হবে বা কখন গ্রহণ করা হবে সে সম্বন্ধে কোনও ধরাবাধা নিয়ম নাই। প্রত্যেকেই আপন ইচ্ছা ও তৃপ্তি অনুযায়ী তা গ্রহণ করতে পারে, তা হবে অশেষ। এই বর্ণনাটি রূপক ধর্মী। আধ্যাত্মিক কৃতকর্মের ‘ফল’ কে রূপকের মাধ্যমে এভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। যে ‘ফল’ হবে সহজলভ্য, অশেষ এবং সীমাহীন।
আয়াতঃ 056.031
এবং প্রবাহিত পানিতে,
By water flowing constantly,
وَمَاء مَّسْكُوبٍ
Wama-in maskoobin
YUSUFALI: By water flowing constantly,
PICKTHAL: And water gushing,
SHAKIR: And water flowing constantly,
KHALIFA: Abundant water.
৩০। সুবিস্তৃত ছায়া
৩১। সদা প্রবাহমান পানি,
৩২। ও প্রচুর ফল-মূল।
৩৩। যে ফলের সময়কাল সীমাবদ্ধ নয়, অথবা যার সরবরাহ নিষিদ্ধ করা হবে না ৫২৩৯
৫২৩৯। যেহেতু এসব ফল ও ফুল পার্থিব নয়। এ সবের কোন নির্দ্দিষ্ট সীমা,সময় থাকবে না। পৃথিবীর ফল ও ফুল উৎপন্ন হয় ঋতু অনুযায়ী, যা নির্দ্দিষ্ট সময় শেষে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বেহেশতের চিত্ররূপ সম্পূর্ন ভিন্ন। সেখানে কোনও কিছুই শেষ হওয়ার নয় বা কিভাবে তা গ্রহণ করা হবে বা কখন গ্রহণ করা হবে সে সম্বন্ধে কোনও ধরাবাধা নিয়ম নাই। প্রত্যেকেই আপন ইচ্ছা ও তৃপ্তি অনুযায়ী তা গ্রহণ করতে পারে, তা হবে অশেষ। এই বর্ণনাটি রূপক ধর্মী। আধ্যাত্মিক কৃতকর্মের ‘ফল’ কে রূপকের মাধ্যমে এভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। যে ‘ফল’ হবে সহজলভ্য, অশেষ এবং সীমাহীন।
আয়াতঃ 056.032
ও প্রচুর ফল-মূলে,
And fruit in plenty,
وَفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ
Wafakihatin katheeratin
YUSUFALI: And fruit in abundance.
PICKTHAL: And fruit in plenty
SHAKIR: And abundant fruit,
KHALIFA: Many fruits.
৩০। সুবিস্তৃত ছায়া
৩১। সদা প্রবাহমান পানি,
৩২। ও প্রচুর ফল-মূল।
৩৩। যে ফলের সময়কাল সীমাবদ্ধ নয়, অথবা যার সরবরাহ নিষিদ্ধ করা হবে না ৫২৩৯
৫২৩৯। যেহেতু এসব ফল ও ফুল পার্থিব নয়। এ সবের কোন নির্দ্দিষ্ট সীমা,সময় থাকবে না। পৃথিবীর ফল ও ফুল উৎপন্ন হয় ঋতু অনুযায়ী, যা নির্দ্দিষ্ট সময় শেষে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বেহেশতের চিত্ররূপ সম্পূর্ন ভিন্ন। সেখানে কোনও কিছুই শেষ হওয়ার নয় বা কিভাবে তা গ্রহণ করা হবে বা কখন গ্রহণ করা হবে সে সম্বন্ধে কোনও ধরাবাধা নিয়ম নাই। প্রত্যেকেই আপন ইচ্ছা ও তৃপ্তি অনুযায়ী তা গ্রহণ করতে পারে, তা হবে অশেষ। এই বর্ণনাটি রূপক ধর্মী। আধ্যাত্মিক কৃতকর্মের ‘ফল’ কে রূপকের মাধ্যমে এভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। যে ‘ফল’ হবে সহজলভ্য, অশেষ এবং সীমাহীন।
আয়াতঃ 056.033
যা শেষ হবার নয় এবং নিষিদ্ধ ও নয়,
Whose season is not limited, and their supply will not be cut off,
لَّا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ
La maqtooAAatin wala mamnooAAatin
YUSUFALI: Whose season is not limited, nor (supply) forbidden,
PICKTHAL: Neither out of reach nor yet forbidden,
SHAKIR: Neither intercepted nor forbidden,
KHALIFA: Never ending; never forbidden.
৩০। সুবিস্তৃত ছায়া
৩১। সদা প্রবাহমান পানি,
৩২। ও প্রচুর ফল-মূল।
৩৩। যে ফলের সময়কাল সীমাবদ্ধ নয়, অথবা যার সরবরাহ নিষিদ্ধ করা হবে না ৫২৩৯
৫২৩৯। যেহেতু এসব ফল ও ফুল পার্থিব নয়। এ সবের কোন নির্দ্দিষ্ট সীমা,সময় থাকবে না। পৃথিবীর ফল ও ফুল উৎপন্ন হয় ঋতু অনুযায়ী, যা নির্দ্দিষ্ট সময় শেষে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বেহেশতের চিত্ররূপ সম্পূর্ন ভিন্ন। সেখানে কোনও কিছুই শেষ হওয়ার নয় বা কিভাবে তা গ্রহণ করা হবে বা কখন গ্রহণ করা হবে সে সম্বন্ধে কোনও ধরাবাধা নিয়ম নাই। প্রত্যেকেই আপন ইচ্ছা ও তৃপ্তি অনুযায়ী তা গ্রহণ করতে পারে, তা হবে অশেষ। এই বর্ণনাটি রূপক ধর্মী। আধ্যাত্মিক কৃতকর্মের ‘ফল’ কে রূপকের মাধ্যমে এভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। যে ‘ফল’ হবে সহজলভ্য, অশেষ এবং সীমাহীন।
আয়াতঃ 056.034
আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়।
And on couches or thrones, raised high.
وَفُرُشٍ مَّرْفُوعَةٍ
Wafurushin marfooAAatin
YUSUFALI: And on Thrones (of Dignity), raised high.
PICKTHAL: And raised couches;
SHAKIR: And exalted thrones.
KHALIFA: Luxurious furnishings.
৩৪। এবং [ সম্মানের ] সমুচ্চ সিংহাসনে থাকবে।
৩৫। আমি [ তাদের সঙ্গীনিদের ] বিশেষ ভাবে সৃষ্টি করেছি ৫২৪০
৩৬। এবং তাদের করেছি পবিত্র কুমারী
৩৭। সোহাগিনি,সমবয়স্ক, –
৩৮। ডান হাতের [ আমলানামাদের ] জন্য।
৫২৪০। যদিও বর্ণনাটি পার্থিব বর্ণনার ন্যায় স্ত্রী জাতির সৌন্দর্য বর্ণনার সাথে সমন্বিত করা হয়েছে, কিন্তু পরলোকের জীবনকে এবং সেই জীবনের সৌন্দর্য ও সুখানুভূতিকে নশ্বর দেহের অনুভূতির ন্যায় কল্পনা করা হবে মূর্খতার কাজ। তবুও বেহেশতের সুখ শান্তিকে মানুষের অনুভূতি ও উপলব্ধির ধারণার মাঝে সীমাবদ্ধ করার জন্য পার্থিব জীবনের উপলব্ধিকে ব্যবহার করা হয়েছে। বেহেশতের জীবনে পার্থিব জীবনের যৌনতার যে অপবিত্র রূপ তা থাকবে না। কারণ সেখানে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতির কারণে নশ্বর দেহের চাওয়া পাওয়ার বিকৃত রূপ অন্তর্হিত হবে। বেহেশতের এই সঙ্গীরা হবে আল্লাহ্র বিশেষ সৃষ্টি যাদের বলা হয়েছে ; কুমারী, পূত-পবিত্র, স্বর্গীয় সৌন্দর্যের অধিকারী। যারা হবে সোহাগিনী ও সমবয়স্কা। এই বর্ণনাতে সম্পূর্ণটাই স্ত্রীলিঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে তার কারণ আরবীতে Pronoun বা বিশেষণ স্ত্রীলিঙ্গে প্রকাশ করা হয়। প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে বেহেশতে সকলেই নারী পুরুষ নির্বিশেষে স্বর্গীয় সুখ ও শান্তির অধিকারী হবে যা প্রকাশ করা হয়েছে দৈহিক সৌন্দর্য, আরাম আয়েশ, যৌন অনুভূতি, খাদ্য -পানীয় ইত্যাদি পার্থিব সুখের অনুভূতির মাধ্যমে। যে অনুভূতি হবে দেহাতীত। পরলোকের জীবন হচ্ছে আধ্যাত্মিক জীবন যা হবে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতিতে এক নূতন পৃথিবী।
আয়াতঃ 056.035
আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।
Verily, We have created them (maidens) of special creation.
إِنَّا أَنشَأْنَاهُنَّ إِنشَاء
Inna ansha/nahunna inshaan
YUSUFALI: We have created (their Companions) of special creation.
PICKTHAL: Lo! We have created them a (new) creation
SHAKIR: Surely We have made them to grow into a (new) growth,
KHALIFA: We create for them mates.
৩৪। এবং [ সম্মানের ] সমুচ্চ সিংহাসনে থাকবে।
৩৫। আমি [ তাদের সঙ্গীনিদের ] বিশেষ ভাবে সৃষ্টি করেছি ৫২৪০
৩৬। এবং তাদের করেছি পবিত্র কুমারী
৩৭। সোহাগিনি,সমবয়স্ক, –
৩৮। ডান হাতের [ আমলানামাদের ] জন্য।
৫২৪০। যদিও বর্ণনাটি পার্থিব বর্ণনার ন্যায় স্ত্রী জাতির সৌন্দর্য বর্ণনার সাথে সমন্বিত করা হয়েছে, কিন্তু পরলোকের জীবনকে এবং সেই জীবনের সৌন্দর্য ও সুখানুভূতিকে নশ্বর দেহের অনুভূতির ন্যায় কল্পনা করা হবে মূর্খতার কাজ। তবুও বেহেশতের সুখ শান্তিকে মানুষের অনুভূতি ও উপলব্ধির ধারণার মাঝে সীমাবদ্ধ করার জন্য পার্থিব জীবনের উপলব্ধিকে ব্যবহার করা হয়েছে। বেহেশতের জীবনে পার্থিব জীবনের যৌনতার যে অপবিত্র রূপ তা থাকবে না। কারণ সেখানে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতির কারণে নশ্বর দেহের চাওয়া পাওয়ার বিকৃত রূপ অন্তর্হিত হবে। বেহেশতের এই সঙ্গীরা হবে আল্লাহ্র বিশেষ সৃষ্টি যাদের বলা হয়েছে ; কুমারী, পূত-পবিত্র, স্বর্গীয় সৌন্দর্যের অধিকারী। যারা হবে সোহাগিনী ও সমবয়স্কা। এই বর্ণনাতে সম্পূর্ণটাই স্ত্রীলিঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে তার কারণ আরবীতে Pronoun বা বিশেষণ স্ত্রীলিঙ্গে প্রকাশ করা হয়। প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে বেহেশতে সকলেই নারী পুরুষ নির্বিশেষে স্বর্গীয় সুখ ও শান্তির অধিকারী হবে যা প্রকাশ করা হয়েছে দৈহিক সৌন্দর্য, আরাম আয়েশ, যৌন অনুভূতি, খাদ্য -পানীয় ইত্যাদি পার্থিব সুখের অনুভূতির মাধ্যমে। যে অনুভূতি হবে দেহাতীত। পরলোকের জীবন হচ্ছে আধ্যাত্মিক জীবন যা হবে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতিতে এক নূতন পৃথিবী।
আয়াতঃ 056.036
অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী।
And made them virgins.
فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا
FajaAAalnahunna abkaran
YUSUFALI: And made them virgin – pure (and undefiled), –
PICKTHAL: And made them virgins,
SHAKIR: Then We have made them virgins,
KHALIFA: Never previously touched.
৩৪। এবং [ সম্মানের ] সমুচ্চ সিংহাসনে থাকবে।
৩৫। আমি [ তাদের সঙ্গীনিদের ] বিশেষ ভাবে সৃষ্টি করেছি ৫২৪০
৩৬। এবং তাদের করেছি পবিত্র কুমারী
৩৭। সোহাগিনি,সমবয়স্ক, –
৩৮। ডান হাতের [ আমলানামাদের ] জন্য।
৫২৪০। যদিও বর্ণনাটি পার্থিব বর্ণনার ন্যায় স্ত্রী জাতির সৌন্দর্য বর্ণনার সাথে সমন্বিত করা হয়েছে, কিন্তু পরলোকের জীবনকে এবং সেই জীবনের সৌন্দর্য ও সুখানুভূতিকে নশ্বর দেহের অনুভূতির ন্যায় কল্পনা করা হবে মূর্খতার কাজ। তবুও বেহেশতের সুখ শান্তিকে মানুষের অনুভূতি ও উপলব্ধির ধারণার মাঝে সীমাবদ্ধ করার জন্য পার্থিব জীবনের উপলব্ধিকে ব্যবহার করা হয়েছে। বেহেশতের জীবনে পার্থিব জীবনের যৌনতার যে অপবিত্র রূপ তা থাকবে না। কারণ সেখানে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতির কারণে নশ্বর দেহের চাওয়া পাওয়ার বিকৃত রূপ অন্তর্হিত হবে। বেহেশতের এই সঙ্গীরা হবে আল্লাহ্র বিশেষ সৃষ্টি যাদের বলা হয়েছে ; কুমারী, পূত-পবিত্র, স্বর্গীয় সৌন্দর্যের অধিকারী। যারা হবে সোহাগিনী ও সমবয়স্কা। এই বর্ণনাতে সম্পূর্ণটাই স্ত্রীলিঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে তার কারণ আরবীতে Pronoun বা বিশেষণ স্ত্রীলিঙ্গে প্রকাশ করা হয়। প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে বেহেশতে সকলেই নারী পুরুষ নির্বিশেষে স্বর্গীয় সুখ ও শান্তির অধিকারী হবে যা প্রকাশ করা হয়েছে দৈহিক সৌন্দর্য, আরাম আয়েশ, যৌন অনুভূতি, খাদ্য -পানীয় ইত্যাদি পার্থিব সুখের অনুভূতির মাধ্যমে। যে অনুভূতি হবে দেহাতীত। পরলোকের জীবন হচ্ছে আধ্যাত্মিক জীবন যা হবে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতিতে এক নূতন পৃথিবী।
আয়াতঃ 056.037
কামিনী, সমবয়স্কা।
Loving (their husbands only), equal in age.
عُرُبًا أَتْرَابًا
AAuruban atraban
YUSUFALI: Beloved (by nature), equal in age,-
PICKTHAL: Lovers, friends,
SHAKIR: Loving, equals in age,
KHALIFA: Perfectly matched.
৩৪। এবং [ সম্মানের ] সমুচ্চ সিংহাসনে থাকবে।
৩৫। আমি [ তাদের সঙ্গীনিদের ] বিশেষ ভাবে সৃষ্টি করেছি ৫২৪০
৩৬। এবং তাদের করেছি পবিত্র কুমারী
৩৭। সোহাগিনি,সমবয়স্ক, –
৩৮। ডান হাতের [ আমলানামাদের ] জন্য।
৫২৪০। যদিও বর্ণনাটি পার্থিব বর্ণনার ন্যায় স্ত্রী জাতির সৌন্দর্য বর্ণনার সাথে সমন্বিত করা হয়েছে, কিন্তু পরলোকের জীবনকে এবং সেই জীবনের সৌন্দর্য ও সুখানুভূতিকে নশ্বর দেহের অনুভূতির ন্যায় কল্পনা করা হবে মূর্খতার কাজ। তবুও বেহেশতের সুখ শান্তিকে মানুষের অনুভূতি ও উপলব্ধির ধারণার মাঝে সীমাবদ্ধ করার জন্য পার্থিব জীবনের উপলব্ধিকে ব্যবহার করা হয়েছে। বেহেশতের জীবনে পার্থিব জীবনের যৌনতার যে অপবিত্র রূপ তা থাকবে না। কারণ সেখানে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতির কারণে নশ্বর দেহের চাওয়া পাওয়ার বিকৃত রূপ অন্তর্হিত হবে। বেহেশতের এই সঙ্গীরা হবে আল্লাহ্র বিশেষ সৃষ্টি যাদের বলা হয়েছে ; কুমারী, পূত-পবিত্র, স্বর্গীয় সৌন্দর্যের অধিকারী। যারা হবে সোহাগিনী ও সমবয়স্কা। এই বর্ণনাতে সম্পূর্ণটাই স্ত্রীলিঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে তার কারণ আরবীতে Pronoun বা বিশেষণ স্ত্রীলিঙ্গে প্রকাশ করা হয়। প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে বেহেশতে সকলেই নারী পুরুষ নির্বিশেষে স্বর্গীয় সুখ ও শান্তির অধিকারী হবে যা প্রকাশ করা হয়েছে দৈহিক সৌন্দর্য, আরাম আয়েশ, যৌন অনুভূতি, খাদ্য -পানীয় ইত্যাদি পার্থিব সুখের অনুভূতির মাধ্যমে। যে অনুভূতি হবে দেহাতীত। পরলোকের জীবন হচ্ছে আধ্যাত্মিক জীবন যা হবে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতিতে এক নূতন পৃথিবী।
আয়াতঃ 056.038
ডান দিকের লোকদের জন্যে।
For those on the Right Hand.
لِّأَصْحَابِ الْيَمِينِ
Li-as-habi alyameeni
YUSUFALI: For the Companions of the Right Hand.
PICKTHAL: For those on the right hand;
SHAKIR: For the sake of the companions of the right hand.
KHALIFA: For those on the right side.
৩৪। এবং [ সম্মানের ] সমুচ্চ সিংহাসনে থাকবে।
৩৫। আমি [ তাদের সঙ্গীনিদের ] বিশেষ ভাবে সৃষ্টি করেছি ৫২৪০
৩৬। এবং তাদের করেছি পবিত্র কুমারী
৩৭। সোহাগিনি,সমবয়স্ক, –
৩৮। ডান হাতের [ আমলানামাদের ] জন্য।
৫২৪০। যদিও বর্ণনাটি পার্থিব বর্ণনার ন্যায় স্ত্রী জাতির সৌন্দর্য বর্ণনার সাথে সমন্বিত করা হয়েছে, কিন্তু পরলোকের জীবনকে এবং সেই জীবনের সৌন্দর্য ও সুখানুভূতিকে নশ্বর দেহের অনুভূতির ন্যায় কল্পনা করা হবে মূর্খতার কাজ। তবুও বেহেশতের সুখ শান্তিকে মানুষের অনুভূতি ও উপলব্ধির ধারণার মাঝে সীমাবদ্ধ করার জন্য পার্থিব জীবনের উপলব্ধিকে ব্যবহার করা হয়েছে। বেহেশতের জীবনে পার্থিব জীবনের যৌনতার যে অপবিত্র রূপ তা থাকবে না। কারণ সেখানে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতির কারণে নশ্বর দেহের চাওয়া পাওয়ার বিকৃত রূপ অন্তর্হিত হবে। বেহেশতের এই সঙ্গীরা হবে আল্লাহ্র বিশেষ সৃষ্টি যাদের বলা হয়েছে ; কুমারী, পূত-পবিত্র, স্বর্গীয় সৌন্দর্যের অধিকারী। যারা হবে সোহাগিনী ও সমবয়স্কা। এই বর্ণনাতে সম্পূর্ণটাই স্ত্রীলিঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে তার কারণ আরবীতে Pronoun বা বিশেষণ স্ত্রীলিঙ্গে প্রকাশ করা হয়। প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে বেহেশতে সকলেই নারী পুরুষ নির্বিশেষে স্বর্গীয় সুখ ও শান্তির অধিকারী হবে যা প্রকাশ করা হয়েছে দৈহিক সৌন্দর্য, আরাম আয়েশ, যৌন অনুভূতি, খাদ্য -পানীয় ইত্যাদি পার্থিব সুখের অনুভূতির মাধ্যমে। যে অনুভূতি হবে দেহাতীত। পরলোকের জীবন হচ্ছে আধ্যাত্মিক জীবন যা হবে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতিতে এক নূতন পৃথিবী।
আয়াতঃ 056.039
তাদের একদল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
A multitude of those (on the Right Hand) will be from the first generation (who embraced Islâm).
ثُلَّةٌ مِّنَ الْأَوَّلِينَ
Thullatun mina al-awwaleena
YUSUFALI: A (goodly) number from those of old,
PICKTHAL: A multitude of those of old
SHAKIR: A numerous company from among the first,
KHALIFA: Many from the early generations.
রুকু- ২
৩৯। তাদের অনেকে হবে প্রথম যুগের ৫২৪১,
৪০। এবং অনেকে হবে পরবর্তী যুগের।
৫২৪১। ‘ডান দিকের দল ‘ বেহেশতাবাসীরা হবেন এক বিশাল দল যার মাঝে পৃথিবীর সকল, যুগের পূণ্যাত্মা লোকেরাই থাকবেন। দেখুন [ ৫৬ : ১৩ ] আয়াত। এটি পরমকরুণাময়ের অশেষ করুণা।
আয়াতঃ 056.040
এবং একদল পরবর্তীদের মধ্য থেকে।
And a multitude of those (on the Right Hand) will be from the later times (generations).
وَثُلَّةٌ مِّنَ الْآخِرِينَ
Wathullatun mina al-akhireena
YUSUFALI: And a (goodly) number from those of later times.
PICKTHAL: And a multitude of those of later time.
SHAKIR: And a numerous company from among the last.
KHALIFA: Many from the later generations.
রুকু- ২
৩৯। তাদের অনেকে হবে প্রথম যুগের ৫২৪১,
৪০। এবং অনেকে হবে পরবর্তী যুগের।
৫২৪১। ‘ডান দিকের দল ‘ বেহেশতাবাসীরা হবেন এক বিশাল দল যার মাঝে পৃথিবীর সকল, যুগের পূণ্যাত্মা লোকেরাই থাকবেন। দেখুন [ ৫৬ : ১৩ ] আয়াত। এটি পরমকরুণাময়ের অশেষ করুণা।
আয়াতঃ 056.041
বামপার্শ্বস্থ লোক, কত না হতভাগা তারা।
And those on the Left Hand Who will be those on the Left Hand?
وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ مَا أَصْحَابُ الشِّمَالِ
Waas-habu alshshimali ma as-habu alshshimali
YUSUFALI: The Companions of the Left Hand,- what will be the Companions of the Left Hand?
PICKTHAL: And those on the left hand: What of those on the left hand?
SHAKIR: And those of the left hand, how wretched are those of the left hand!
KHALIFA: Those of the left, will be on the left.
৪১। বাঁ হাতের আমল নামার দল, – কি ঘটবে বাঁ হাতের দলের ?
৪২। [ তারা থাকবে ] প্রচন্ড আগুনের ঝাপটার মধ্যে ৫২৪২, এবং ফুটন্ত পানির মধ্যে,
৫২৪২। নিম্নোক্ত আয়াতগুলির মাধ্যমে দোযখবাসীদের দুঃখ ও যন্ত্রণার নিমর্ম চিত্র আঁকা হয়েছে। এ ভাবেই বেহেশতের সুখ -শান্তির সাথে দোযখের দুঃখ যন্ত্রণার তুলনা করা হয়েছে। অত্যুচ্চ বায়ু উত্তপ্ত পানি, কৃষ্ণবর্ণের ধূম্র ইত্যাদির বিপরীতে তুলনা করা হয়েছে কন্টকহীন কূল বৃক্ষ, ফুল ও ফলে সুশোভিত বৃক্ষ ইত্যাদি যা বর্ণনা করা হয়েছে আয়াত [ ২৮-২৯ ] এর মাধ্যমে। এই তুলনা মূলক উভয় বর্ণনাই হচ্ছে রূপক বর্ণনা যার মাধ্যমে বেহেশত ও দোযখের চিত্র উপলব্ধি করতে সাধারণ মানুষকে বলা হয়েছে। কারণ সেই নূতন পৃথিবীর প্রকৃত রূপ অনুধাবন করা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব ব্যাপার।
আয়াতঃ 056.042
তারা থাকবে প্রখর বাষ্পে এবং উত্তপ্ত পানিতে,
In fierce hot wind and boiling water,
فِي سَمُومٍ وَحَمِيمٍ
Fee samoomin wahameemin
YUSUFALI: (They will be) in the midst of a Fierce Blast of Fire and in Boiling Water,
PICKTHAL: In scorching wind and scalding water
SHAKIR: In hot wind and boiling water,
KHALIFA: In misery and inferno.
৪১। বাঁ হাতের আমল নামার দল, – কি ঘটবে বাঁ হাতের দলের ?
৪২। [ তারা থাকবে ] প্রচন্ড আগুনের ঝাপটার মধ্যে ৫২৪২, এবং ফুটন্ত পানির মধ্যে,
৫২৪২। নিম্নোক্ত আয়াতগুলির মাধ্যমে দোযখবাসীদের দুঃখ ও যন্ত্রণার নিমর্ম চিত্র আঁকা হয়েছে। এ ভাবেই বেহেশতের সুখ -শান্তির সাথে দোযখের দুঃখ যন্ত্রণার তুলনা করা হয়েছে। অত্যুচ্চ বায়ু উত্তপ্ত পানি, কৃষ্ণবর্ণের ধূম্র ইত্যাদির বিপরীতে তুলনা করা হয়েছে কন্টকহীন কূল বৃক্ষ, ফুল ও ফলে সুশোভিত বৃক্ষ ইত্যাদি যা বর্ণনা করা হয়েছে আয়াত [ ২৮-২৯ ] এর মাধ্যমে। এই তুলনা মূলক উভয় বর্ণনাই হচ্ছে রূপক বর্ণনা যার মাধ্যমে বেহেশত ও দোযখের চিত্র উপলব্ধি করতে সাধারণ মানুষকে বলা হয়েছে। কারণ সেই নূতন পৃথিবীর প্রকৃত রূপ অনুধাবন করা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব ব্যাপার।
আয়াতঃ 056.043
এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়।
And shadow of black smoke,
وَظِلٍّ مِّن يَحْمُومٍ
Wathillin min yahmoomin
YUSUFALI: And in the shades of Black Smoke:
PICKTHAL: And shadow of black smoke,
SHAKIR: And the shade of black smoke,
KHALIFA: Even their shade is hot.
৪৩। এবং কালো ধুঁয়ার ছায়াতে ৫২৪৩
৫২৪৩। “কৃষ্ণ বর্ণের ধূম্রের ছায়া” – এই বাক্যটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, দোযখের ছায়ার রূপও হবে ভিন্নতর। বেহেশতের সদা প্রবাহ মান স্রোতস্বীনির পার্শ্বে অবস্থিত বৃক্ষের ছায়ার বিপরীতে তুলনা করা হয়েছে কালো ধোঁয়ার ছায়ার।
আয়াতঃ 056.044
যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়।
(That shadow) neither cool, nor (even) good,
لَّا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ
La baridin wala kareemin
YUSUFALI: Nothing (will there be) to refresh, nor to please:
PICKTHAL: Neither cool nor refreshing.
SHAKIR: Neither cool nor honorable.
KHALIFA: Never cool, never tolerable.
৪৪। সেখানে আরামদায়ক ও সুখকর কিছু থাকবে না।
৪৫। ইতিপূর্বে ওরা তো অভ্যস্ত ছিলো সম্পদে [ ও বিলাসিতায় ], ৫২৪৪
৪৬। এবং ঘোরতর পাপে ছিলো নাছোড়বান্দা ও একগুঁয়ে
৫২৪৪। দেখুন [ ৩৪ : ৩৪ ] আয়াত এবং [৪৩ : ২৩ ] আয়াত। আয়াত নং ৪৫ ও ৪৬ একসঙ্গে পড়তে হবে। দোযখবাসীদের বর্ণনায় বলা হয়েছে, পার্থিব জীবনে দোযখের অধিবাসীদের ছিলো অগাধ-অর্থ-সম্পদ যা তারা জনহিতকর কার্যে ব্যয় না করে নিজস্ব ভোগ বিলাস এবং লজ্জ্বাষ্কর পাপ কার্যে নিয়োজিত করে যে কারণে পরলোকের জীবনে তারা অপমানিত হচ্ছে।
আয়াতঃ 056.045
তারা ইতিপূর্বে স্বাচ্ছন্দ্যশীল ছিল।
Verily, before that, they indulged in luxury,
إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ مُتْرَفِينَ
Innahum kanoo qabla thalika mutrafeena
YUSUFALI: For that they were wont to be indulged, before that, in wealth (and luxury),
PICKTHAL: Lo! heretofore they were effete with luxury
SHAKIR: Surely they were before that made to live in ease and plenty.
KHALIFA: They used to be rich.
৪৪। সেখানে আরামদায়ক ও সুখকর কিছু থাকবে না।
৪৫। ইতিপূর্বে ওরা তো অভ্যস্ত ছিলো সম্পদে [ ও বিলাসিতায় ], ৫২৪৪
৪৬। এবং ঘোরতর পাপে ছিলো নাছোড়বান্দা ও একগুঁয়ে
৫২৪৪। দেখুন [ ৩৪ : ৩৪ ] আয়াত এবং [৪৩ : ২৩ ] আয়াত। আয়াত নং ৪৫ ও ৪৬ একসঙ্গে পড়তে হবে। দোযখবাসীদের বর্ণনায় বলা হয়েছে, পার্থিব জীবনে দোযখের অধিবাসীদের ছিলো অগাধ-অর্থ-সম্পদ যা তারা জনহিতকর কার্যে ব্যয় না করে নিজস্ব ভোগ বিলাস এবং লজ্জ্বাষ্কর পাপ কার্যে নিয়োজিত করে যে কারণে পরলোকের জীবনে তারা অপমানিত হচ্ছে।
আয়াতঃ 056.046
তারা সদাসর্বদা ঘোরতর পাপকর্মে ডুবে থাকত।
And were persisting in great sin (joining partners in worship along with Allâh, committing murders and other crimes, etc.)
وَكَانُوا يُصِرُّونَ عَلَى الْحِنثِ الْعَظِيمِ
Wakanoo yusirroona AAala alhinthi alAAatheemi
YUSUFALI: And persisted obstinately in wickedness supreme!
PICKTHAL: And used to persist in the awful sin.
SHAKIR: And they persisted in the great violation.
KHALIFA: They insisted on the great blasphemy.
৪৪। সেখানে আরামদায়ক ও সুখকর কিছু থাকবে না।
৪৫। ইতিপূর্বে ওরা তো অভ্যস্ত ছিলো সম্পদে [ ও বিলাসিতায় ], ৫২৪৪
৪৬। এবং ঘোরতর পাপে ছিলো নাছোড়বান্দা ও একগুঁয়ে
৫২৪৪। দেখুন [ ৩৪ : ৩৪ ] আয়াত এবং [৪৩ : ২৩ ] আয়াত। আয়াত নং ৪৫ ও ৪৬ একসঙ্গে পড়তে হবে। দোযখবাসীদের বর্ণনায় বলা হয়েছে, পার্থিব জীবনে দোযখের অধিবাসীদের ছিলো অগাধ-অর্থ-সম্পদ যা তারা জনহিতকর কার্যে ব্যয় না করে নিজস্ব ভোগ বিলাস এবং লজ্জ্বাষ্কর পাপ কার্যে নিয়োজিত করে যে কারণে পরলোকের জীবনে তারা অপমানিত হচ্ছে।
আয়াতঃ 056.047
তারা বলতঃ আমরা যখন মরে অস্থি ও মৃত্তিকায় পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি পুনরুত্থিত হব?
And they used to say: ”When we die and become dust and bones, shall we then indeed be resurrected?
وَكَانُوا يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
Wakanoo yaqooloona a-itha mitna wakunna turaban waAAithaman a-inna lamabAAoothoona
YUSUFALI: And they used to say, “What! when we die and become dust and bones, shall we then indeed be raised up again?-
PICKTHAL: And they used to say: When we are dead and have become dust and bones, shall we then, forsooth, be raised again,
SHAKIR: And they used to say: What! when we die and have become dust and bones, shall we then indeed be raised?
KHALIFA: They said, “After we die and turn to dust and bones, we get resurrected?
৪৭। এবং তারা বলতো, ” সে কি ! যখন আমরা মারা যাব এবং ধূলি ও অস্থিতে পরিণত হব ৫২৪৫ ; সত্যিই কি তখন আমাদের পুণরায় উত্থিত করা হবে ?
৪৮। ” আমাদের এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের ?”
৫২৪৫। তারা পুনরুত্থান দিবসকে অবিশ্বাস করতো, এবং ব্যঙ্গ -বিদ্রূপ করতো। মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে তারা বাস্তব সত্যের মুখোমুখি হবে।
আয়াতঃ 056.048
এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণও!
”And also our forefathers?”
أَوَ آبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ
Awa abaona al-awwaloona
YUSUFALI: “(We) and our fathers of old?”
PICKTHAL: And also our forefathers?
SHAKIR: Or our fathers of yore?
KHALIFA: “Does this include our forefathers?”
৪৭। এবং তারা বলতো, ” সে কি ! যখন আমরা মারা যাব এবং ধূলি ও অস্থিতে পরিণত হব ৫২৪৫ ; সত্যিই কি তখন আমাদের পুণরায় উত্থিত করা হবে ?
৪৮। ” আমাদের এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের ?”
৫২৪৫। তারা পুনরুত্থান দিবসকে অবিশ্বাস করতো, এবং ব্যঙ্গ -বিদ্রূপ করতো। মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে তারা বাস্তব সত্যের মুখোমুখি হবে।
আয়াতঃ 056.049
বলুনঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ,
Say (O Muhammad SAW): ”(Yes) verily, those of old, and those of later times.
قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ
Qul inna al-awwaleena waal-akhireena
YUSUFALI: Say: “Yea, those of old and those of later times,
PICKTHAL: Say (unto them, O Muhammad): Lo! those of old and those of later time
SHAKIR: Say: The first and the last,
KHALIFA: Say, “The early generations and the later generations.
৪৯। বল; ” হ্যাঁ, পূর্ববর্তীদের ও পরবর্তীদের।
৫০। [ তাদের ] সকলকে অবশ্যই সমবেত করা হবে পূর্ব নির্ধারিত এক সুনির্দ্দিষ্ট দিনে মহামিলনের জন্য ৫২৪৬।
৫২৪৬। দেখুন [ ২ ৬ : ৩৮ ] আয়াত ও টিকা ৩১৫৯। “পূর্ব নির্ধারিত ও সুনির্দিষ্ট দিনে” এই বাক্যটি দ্বারা শেষ বিচারের দিনকে বোঝানো হয়েছে যে দিনের গাম্ভীর্য ও গুরুত্ব এই বাক্যটির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আয়াতঃ 056.050
সবাই একত্রিত হবে এক নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে।
”All will surely be gathered together for appointed Meeting of a known Day.
لَمَجْمُوعُونَ إِلَى مِيقَاتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
LamajmooAAoona ila meeqati yawmin maAAloomin
YUSUFALI: “All will certainly be gathered together for the meeting appointed for a Day well-known.
PICKTHAL: Will all be brought together to the tryst of an appointed day.
SHAKIR: Shall most surely be gathered together for the appointed hour of a known day.
KHALIFA: “Will be summoned to a meeting on a predetermined day.
৪৯। বল; ” হ্যাঁ, পূর্ববর্তীদের ও পরবর্তীদের।
৫০। [ তাদের ] সকলকে অবশ্যই সমবেত করা হবে পূর্ব নির্ধারিত এক সুনির্দ্দিষ্ট দিনে মহামিলনের জন্য ৫২৪৬।
৫২৪৬। দেখুন [ ২ ৬ : ৩৮ ] আয়াত ও টিকা ৩১৫৯। “পূর্ব নির্ধারিত ও সুনির্দিষ্ট দিনে” এই বাক্যটি দ্বারা শেষ বিচারের দিনকে বোঝানো হয়েছে যে দিনের গাম্ভীর্য ও গুরুত্ব এই বাক্যটির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আয়াতঃ 056.051
অতঃপর হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যারোপকারীগণ।
”Then moreover, verily, you the erring-ones, the deniers (of Resurrection)!
ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الضَّالُّونَ الْمُكَذِّبُونَ
Thumma innakum ayyuha alddalloona almukaththiboona
YUSUFALI: “Then will ye truly,- O ye that go wrong, and treat (Truth) as Falsehood!-
PICKTHAL: Then lo! ye, the erring, the deniers,
SHAKIR: Then shall you, O you who err and call it a lie!
KHALIFA: “Then you, O disbelieving strayers.
৫১। ” ওহে পাপীরা ! যারা [ সত্যকে ] মিথ্যা বলে জানতে, –
৫২। ” তোমরা অবশ্যই যাক্কুম বৃক্ষের আস্বাদন গ্রহণ করবে ৫২৪৭।
৫২৪৭। যাক্কুম বৃক্ষ হচ্ছে অভিশপ্ত বৃক্ষ যার উল্লেখ আছে [ ১৭ : ৬০ ] আয়াতে ও টিকা ২২৫০। আরও দেখুন [ ৩৭: ৬২ ] ও টিকা ৪০৭২ ; এবং আয়াত [ ৪৪ : ৪৩ – ৪৬] ও টিকা ৪৭২২।
আয়াতঃ 056.052
তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে,
”You verily will eat of the trees of Zaqqûm.
لَآكِلُونَ مِن شَجَرٍ مِّن زَقُّومٍ
Laakiloona min shajarin min zaqqoomin
YUSUFALI: “Ye will surely taste of the Tree of Zaqqum.
PICKTHAL: Ye verily will eat of a tree called Zaqqum
SHAKIR: Most surely eat of a tree of Zaqqoom,
KHALIFA: “Will eat from the trees of bitterness.
৫১। ” ওহে পাপীরা ! যারা [ সত্যকে ] মিথ্যা বলে জানতে, –
৫২। ” তোমরা অবশ্যই যাক্কুম বৃক্ষের আস্বাদন গ্রহণ করবে ৫২৪৭।
৫২৪৭। যাক্কুম বৃক্ষ হচ্ছে অভিশপ্ত বৃক্ষ যার উল্লেখ আছে [ ১৭ : ৬০ ] আয়াতে ও টিকা ২২৫০। আরও দেখুন [ ৩৭: ৬২ ] ও টিকা ৪০৭২ ; এবং আয়াত [ ৪৪ : ৪৩ – ৪৬] ও টিকা ৪৭২২।
আয়াতঃ 056.053
অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে,
”Then you will fill your bellies therewith,
فَمَالِؤُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ
Famali-oona minha albutoona
YUSUFALI: “Then will ye fill your insides therewith,
PICKTHAL: And will fill your bellies therewith;
SHAKIR: And fill (your) bellies with it;
KHALIFA: “Filling your bellies therefrom.
৫৩। ” এবং উহা দ্বারা তোমরা তোমাদের উদর পূর্ণ করবে,
৫৪। “এবং উপরন্তু তোমরা ফুটন্ত পানি পান করবে;
৫৫। তীব্র ভাবে তৃষ্ণার্ত অসুস্থ উটের ন্যায় অবশ্যই তোমরা [ তা ] পান করবে ৫২৪৮।
৫২৪৮। পরলোকে ডানদিকের দলের আরাম-আয়েশের বর্ণনার বিপরীতে বামদিকের দলের দুঃখ দুর্দ্দশার চিত্রকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 056.054
অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি।
”And drink boiling water on top of it,
فَشَارِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ
Fashariboona AAalayhi mina alhameemi
YUSUFALI: “And drink Boiling Water on top of it:
PICKTHAL: And thereon ye will drink of boiling water,
SHAKIR: Then drink over it of boiling water;
KHALIFA: “Then drinking on top of it hellish drinks.
৫৩। ” এবং উহা দ্বারা তোমরা তোমাদের উদর পূর্ণ করবে,
৫৪। “এবং উপরন্তু তোমরা ফুটন্ত পানি পান করবে;
৫৫। তীব্র ভাবে তৃষ্ণার্ত অসুস্থ উটের ন্যায় অবশ্যই তোমরা [ তা ] পান করবে ৫২৪৮।
৫২৪৮। পরলোকে ডানদিকের দলের আরাম-আয়েশের বর্ণনার বিপরীতে বামদিকের দলের দুঃখ দুর্দ্দশার চিত্রকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 056.055
পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়।
”So you will drink (that) like thirsty camels!”
فَشَارِبُونَ شُرْبَ الْهِيمِ
Fashariboona shurba alheemi
YUSUFALI: “Indeed ye shall drink like diseased camels raging with thirst!”
PICKTHAL: Drinking even as the camel drinketh.
SHAKIR: And drink as drinks the thirsty camel.
KHALIFA: “Then adding drinks of sand.”
৫৩। ” এবং উহা দ্বারা তোমরা তোমাদের উদর পূর্ণ করবে,
৫৪। “এবং উপরন্তু তোমরা ফুটন্ত পানি পান করবে;
৫৫। তীব্র ভাবে তৃষ্ণার্ত অসুস্থ উটের ন্যায় অবশ্যই তোমরা [ তা ] পান করবে ৫২৪৮।
৫২৪৮। পরলোকে ডানদিকের দলের আরাম-আয়েশের বর্ণনার বিপরীতে বামদিকের দলের দুঃখ দুর্দ্দশার চিত্রকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 056.056
কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।
That will be their entertainment on the Day of Recompense!
هَذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّينِ
Hatha nuzuluhum yawma alddeeni
YUSUFALI: Such will be their entertainment on the Day of Requital!
PICKTHAL: This will be their welcome on the Day of Judgment.
SHAKIR: This is their entertainment on the day of requital.
KHALIFA: Such is their share on the Day of Judgment.
৫৬। এরূপই হবে পরিশোধের দিনে তাদের আপ্যায়ন।
৫৭। আমিই তোমাদের সৃষ্টি করেছি ; তবে কেন তোমরা সত্যকে বিশ্বাস করছো না ? ৫২৪৯
৫২৪৯। পার্থিব জীবনের চাকচিক্য ও এর আকর্ষণে মানুষ পরলোকের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে; ভুলে যায় যে সেও জীব জগতের অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের ন্যায় স্রষ্টার সৃষ্ট মানুষ বই আর কিছু নয়। অন্তর্দৃষ্টিহীন মানুষ মনে করে মানুষ সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় সেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে; কারণ বীর্যপাত ঘটে তারই শরীর থেকে। মানুষ যদি তার চিন্তার জগতকে সামান্য প্রসারিত করে তা হলেই বুঝতে পারবে যে এই বীর্য সৃষ্টি করতে সে অক্ষম। পরম করুণাময়ের তাঁর সৃষ্টিকে ধরে রাখার এক অপূর্ব কৌশল বই আর কিছু নয়। মানুষের এখানে কোনও কৃতিত্ব নাই। তবে কেন মানুষ প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনের মাধ্যমে স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করে না এবং তার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে না ?
আয়াতঃ 056.057
আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে। অতঃপর কেন তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস কর না।
We created you, then why do you believe not?
نَحْنُ خَلَقْنَاكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ
Nahnu khalaqnakum falawla tusaddiqoona
YUSUFALI: It is We Who have created you: why will ye not witness the Truth?
PICKTHAL: We created you. Will ye then admit the truth?
SHAKIR: We have created you, why do you not then assent?
KHALIFA: We have created you, if you could only believe!
৫৭। আমিই তোমাদের সৃষ্টি করেছি ; তবে কেন তোমরা সত্যকে বিশ্বাস করছো না ? ৫২৪৯
৫২৪৯। পার্থিব জীবনের চাকচিক্য ও এর আকর্ষণে মানুষ পরলোকের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে; ভুলে যায় যে সেও জীব জগতের অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের ন্যায় স্রষ্টার সৃষ্ট মানুষ বই আর কিছু নয়। অন্তর্দৃষ্টিহীন মানুষ মনে করে মানুষ সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় সেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে; কারণ বীর্যপাত ঘটে তারই শরীর থেকে। মানুষ যদি তার চিন্তার জগতকে সামান্য প্রসারিত করে তা হলেই বুঝতে পারবে যে এই বীর্য সৃষ্টি করতে সে অক্ষম। পরম করুণাময়ের তাঁর সৃষ্টিকে ধরে রাখার এক অপূর্ব কৌশল বই আর কিছু নয়। মানুষের এখানে কোনও কৃতিত্ব নাই। তবে কেন মানুষ প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনের মাধ্যমে স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করে না এবং তার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে না ?
আয়াতঃ 056.058
তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে।
Then tell Me (about) the human semen that you emit.
أَفَرَأَيْتُم مَّا تُمْنُونَ
Afaraaytum ma tumnoona
YUSUFALI: Do ye then see?- The (human Seed) that ye throw out,-
PICKTHAL: Have ye seen that which ye emit?
SHAKIR: Have you considered the seed?
KHALIFA: Have you noted the semen that you produce?
৫৮। আচ্ছা তবে দেখ! যে বীর্য তোমরা পতন কর,-
৫৯। তোমরা কি তা সৃষ্টি কর না আমি তার স্রষ্টা ?
৬০। তোমাদের সকলের জন্য মৃত্যুর বিধান করেছি ৫২৫০। এবং [ এ ব্যাপারে ] আমাকে পরাভূত করা যাবে না,
৫২৫০। জন্ম ও মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহ্। পৃথিবীর সকল সৃষ্ট বস্তুর সৃষ্টি হচ্ছে আল্লাহ্র দান, ঠিক সেরূপ মৃত্যুও হচ্ছে তাঁরই আইনের অধীনে হুকুম যা আমাদের সকলেরই শেষ পরিণতি, জন্ম, মৃত্যু ; সৃষ্টি ধ্বংস যা আমরা প্রত্যহ প্রত্যক্ষ করি তা যদি এক আল্লাহ্র সৃষ্টি হয়, তবে কেন মানুষ অনুধাবন করে না মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে, বিশ্বাস করে না পুনরুত্থানের ? সেদিন সৃষ্টি হবে এক নূতন পৃথিবী, যেখানে আত্মার অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটবে নূতন আঙ্গিকে। নশ্বর দেহের অশ্লীলতা, অরুচির দিক অন্তর্হিত হয়ে স্বর্গীয় অনুভবে আত্মা হবে ভাস্বর।
আয়াতঃ 056.059
তোমরা তাকে সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?
Is it you who create it (i.e. make this semen into a perfect human being), or are We the Creator?
أَأَنتُمْ تَخْلُقُونَهُ أَمْ نَحْنُ الْخَالِقُونَ
Aantum takhluqoonahu am nahnu alkhaliqoona
YUSUFALI: Is it ye who create it, or are We the Creators?
PICKTHAL: Do ye create it or are We the Creator?
SHAKIR: Is it you that create it or are We the creators?
KHALIFA: Did you create it, or did we?
৫৮। আচ্ছা তবে দেখ! যে বীর্য তোমরা পতন কর,-
৫৯। তোমরা কি তা সৃষ্টি কর না আমি তার স্রষ্টা ?
৬০। তোমাদের সকলের জন্য মৃত্যুর বিধান করেছি ৫২৫০। এবং [ এ ব্যাপারে ] আমাকে পরাভূত করা যাবে না,
৫২৫০। জন্ম ও মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহ্। পৃথিবীর সকল সৃষ্ট বস্তুর সৃষ্টি হচ্ছে আল্লাহ্র দান, ঠিক সেরূপ মৃত্যুও হচ্ছে তাঁরই আইনের অধীনে হুকুম যা আমাদের সকলেরই শেষ পরিণতি, জন্ম, মৃত্যু ; সৃষ্টি ধ্বংস যা আমরা প্রত্যহ প্রত্যক্ষ করি তা যদি এক আল্লাহ্র সৃষ্টি হয়, তবে কেন মানুষ অনুধাবন করে না মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে, বিশ্বাস করে না পুনরুত্থানের ? সেদিন সৃষ্টি হবে এক নূতন পৃথিবী, যেখানে আত্মার অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটবে নূতন আঙ্গিকে। নশ্বর দেহের অশ্লীলতা, অরুচির দিক অন্তর্হিত হয়ে স্বর্গীয় অনুভবে আত্মা হবে ভাস্বর।
আয়াতঃ 056.060
আমি তোমাদের মৃত্যুকাল নির্ধারিত করেছি এবং আমি অক্ষম নই।
We have decreed death to you all, and We are not unable,
نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ الْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ
Nahnu qaddarna baynakumu almawta wama nahnu bimasbooqeena
YUSUFALI: We have decreed Death to be your common lot, and We are not to be frustrated
PICKTHAL: We mete out death among you, and We are not to be outrun,
SHAKIR: We have ordained death among you and We are not to be overcome,
KHALIFA: We have predetermined death for you. Nothing can stop us –
৫৮। আচ্ছা তবে দেখ! যে বীর্য তোমরা পতন কর,-
৫৯। তোমরা কি তা সৃষ্টি কর না আমি তার স্রষ্টা ?
৬০। তোমাদের সকলের জন্য মৃত্যুর বিধান করেছি ৫২৫০। এবং [ এ ব্যাপারে ] আমাকে পরাভূত করা যাবে না,
৫২৫০। জন্ম ও মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহ্। পৃথিবীর সকল সৃষ্ট বস্তুর সৃষ্টি হচ্ছে আল্লাহ্র দান, ঠিক সেরূপ মৃত্যুও হচ্ছে তাঁরই আইনের অধীনে হুকুম যা আমাদের সকলেরই শেষ পরিণতি, জন্ম, মৃত্যু ; সৃষ্টি ধ্বংস যা আমরা প্রত্যহ প্রত্যক্ষ করি তা যদি এক আল্লাহ্র সৃষ্টি হয়, তবে কেন মানুষ অনুধাবন করে না মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে, বিশ্বাস করে না পুনরুত্থানের ? সেদিন সৃষ্টি হবে এক নূতন পৃথিবী, যেখানে আত্মার অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটবে নূতন আঙ্গিকে। নশ্বর দেহের অশ্লীলতা, অরুচির দিক অন্তর্হিত হয়ে স্বর্গীয় অনুভবে আত্মা হবে ভাস্বর।
আয়াতঃ 056.061
এ ব্যাপারে যে, তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের মত লোককে নিয়ে আসি এবং তোমাদেরকে এমন করে দেই, যা তোমরা জান না।
To transfigure you and create you in (forms) that you know not.
عَلَى أَن نُّبَدِّلَ أَمْثَالَكُمْ وَنُنشِئَكُمْ فِي مَا لَا تَعْلَمُونَ
AAala an nubaddila amthalakum wanunshi-akum fee ma la taAAlamoona
YUSUFALI: from changing your Forms and creating you (again) in (forms) that ye know not.
PICKTHAL: That We may transfigure you and make you what ye know not.
SHAKIR: In order that We may bring in your place the likes of you and make you grow into what you know not.
KHALIFA: from substituting new generations in your place, and establishing what you do not know.
৬১। তোমাদের আকৃতির পরিবর্তন করতে এবং তোমাদের [পুনরায় ] সৃষ্টি করতে [ এমন আকৃতিতে ] যা তোমরা জান না। ৫২৫০-ক
৫২৫০-ক। এই আয়াতটির অনেক বাংলা অনুবাদে ও ইংরেজী অনুবাদে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছে;[ 56 : 61 ] From Changing your forms and creating you [ again ] in [ forms] that ye know not এবং সে ভাবেই বাংলা অনুবাদ বর্ণিত হয়েছে। দুটো অনুবাদেই এ কথার উল্লেখ আছে যে মানুষকে নূতন আকৃতিতে সৃষ্টি করা হবে পুনরুত্থানের দিনে। নশ্বর দেহ ত্যাগের মাধ্যমে অমর ও অবিনশ্বর আত্মা নূতন পৃথিবীতে নূতন আঙ্গিকে প্রবেশ লাভ করবে – তবে তার মাঝে পার্থিব জগতের সকল কর্মের অভিজ্ঞতা বিদ্যমান থাকবে।
আয়াতঃ 056.062
তোমরা অবগত হয়েছ প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে, তবে তোমরা অনুধাবন কর না কেন?
And indeed, you have already known the first form of creation (i.e. the creation of Adam), why then do you not remember or take heed?
وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْأَةَ الْأُولَى فَلَوْلَا تَذكَّرُونَ
Walaqad AAalimtumu alnnash-ata al-oola falawla tathakkaroona
YUSUFALI: And ye certainly know already the first form of creation: why then do ye not celebrate His praises?
PICKTHAL: And verily ye know the first creation. Why, then, do ye not reflect?
SHAKIR: And certainly you know the first growth, why do you not then mind?
KHALIFA: You know about the first creation. Do you not remember?
৬২। তোমরা সৃষ্টির প্রথম আকৃতি সম্বন্ধে অবশ্যই জান তবে কেন তোমরা তাঁর বন্দনা কর না ?
৬৩। যে বীজ তোমরা বপন কর সে সম্বন্ধে চিন্তা করেছ কি ? ৫২৫১
৬৪। তোমরা কি তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি ?
৬৫। যদি আমি ইচ্ছা করতাম তবে তা পাউডারের ন্যায় চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে পারতাম,তখন তোমরা হতবুদ্ধি হয়ে পড়বে।
৫২৫১। আল্লাহ্ আমাদের তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের জন্য বিভিন্ন ভাবে আহ্বান করেছেন। মানুষের শারীরিক সৃষ্টিতত্বের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ; এবং পরে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে প্রাকৃতিক সৃষ্টির প্রতি অর্থাৎ বিশ্ব প্রকৃতির সৃষ্টি রহস্যের [ যার অপর নাম বিজ্ঞান ] প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টার অকৃপণ জ্ঞানের ভান্ডার ; সৃষ্টি নৈপুন্য, সৃজনশীল ক্ষমতা বিদ্যমান – যার অনুভূতি মানুষের আত্মাকে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যে আপ্লুত করবে। এই [ ৫৬ : ৬২ ] আয়াতে “প্রথম সৃষ্টি” বাক্যটি দ্বারা বর্তমান পৃথিবী ও বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কারণ রোজ কেয়ামতে সারা বিশ্বব্রহ্মান্ড ও পৃথিবীকে এবং মানুষকে নূতন ভাবে নূতন আঙ্গিকে সৃষ্টি করা হবে। আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে,
১) তাঁর মঙ্গলময় ও কল্যাণকর ভূমিকার প্রতি ও [৫৬ : ৫৭]
২) সন্তান তৈরীতে আমাদের ভূমিকা ও বিশ্ব প্রকৃতিতে আমরা যা উৎপাদন করি ও নিয়ন্ত্রণ করি তাঁর দ্বারা।
[৫৬ : ৫৮-৭৩] এখানে তিনটি উদাহরণ দান করা হয়েছে।
১) যে বীজ আমরা মাটিতে বপন করি সেই বীজের অঙ্কুরোদ্গম থেকে শষ্য ক্ষেত বা মহীরূহতে পরিণত হওয়া সবই আল্লাহ্র সৃষ্টি নৈপুন্যের স্বাক্ষর।
২) জীবন রক্ষাকারী পানি – যা আমরা পান করে থাকি। প্রকৃতিতে পানির সরবরাহ ব্যবস্থা, আল্লাহ্র সৃষ্টিতত্বের এক অপূর্ব কৌশল। যারা বিজ্ঞান পড়েছেন তারা জানেন, “পানি চক্রের ” মাধ্যমে কি অপূর্ব নিয়ন্ত্রণে সারা বিশ্ব ভূবনে পরিষ্কার পানি সরবরাহ করা হয়।
৩) আগুনের প্রতি লক্ষ্য করতে বলা হয়েছে ; যে আগুন পানির মতই জীবন রক্ষাকারী পদার্থ ;যা আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর দান করে।
এই তিনটি উদাহরণের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় মানুষের পৃথিবীতে জীবন রক্ষা ও ধারণ করার জন্য যে তিনটি বস্তু সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তাকেই এখানে উত্থাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 056.063
তোমরা যে বীজ বপন কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
Tell Me! The seed that you sow in the ground.
أَفَرَأَيْتُم مَّا تَحْرُثُونَ
Afaraaytum ma tahruthoona
YUSUFALI: See ye the seed that ye sow in the ground?
PICKTHAL: Have ye seen that which ye cultivate?
SHAKIR: Have you considered what you sow?
KHALIFA: Have you noted the crops you reap?
৬২। তোমরা সৃষ্টির প্রথম আকৃতি সম্বন্ধে অবশ্যই জান তবে কেন তোমরা তাঁর বন্দনা কর না ?
৬৩। যে বীজ তোমরা বপন কর সে সম্বন্ধে চিন্তা করেছ কি ? ৫২৫১
৬৪। তোমরা কি তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি ?
৬৫। যদি আমি ইচ্ছা করতাম তবে তা পাউডারের ন্যায় চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে পারতাম,তখন তোমরা হতবুদ্ধি হয়ে পড়বে।
৫২৫১। আল্লাহ্ আমাদের তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের জন্য বিভিন্ন ভাবে আহ্বান করেছেন। মানুষের শারীরিক সৃষ্টিতত্বের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ; এবং পরে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে প্রাকৃতিক সৃষ্টির প্রতি অর্থাৎ বিশ্ব প্রকৃতির সৃষ্টি রহস্যের [ যার অপর নাম বিজ্ঞান ] প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টার অকৃপণ জ্ঞানের ভান্ডার ; সৃষ্টি নৈপুন্য, সৃজনশীল ক্ষমতা বিদ্যমান – যার অনুভূতি মানুষের আত্মাকে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যে আপ্লুত করবে। এই [ ৫৬ : ৬২ ] আয়াতে “প্রথম সৃষ্টি” বাক্যটি দ্বারা বর্তমান পৃথিবী ও বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কারণ রোজ কেয়ামতে সারা বিশ্বব্রহ্মান্ড ও পৃথিবীকে এবং মানুষকে নূতন ভাবে নূতন আঙ্গিকে সৃষ্টি করা হবে। আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে,
১) তাঁর মঙ্গলময় ও কল্যাণকর ভূমিকার প্রতি ও [৫৬ : ৫৭]
২) সন্তান তৈরীতে আমাদের ভূমিকা ও বিশ্ব প্রকৃতিতে আমরা যা উৎপাদন করি ও নিয়ন্ত্রণ করি তাঁর দ্বারা।
[৫৬ : ৫৮-৭৩] এখানে তিনটি উদাহরণ দান করা হয়েছে।
১) যে বীজ আমরা মাটিতে বপন করি সেই বীজের অঙ্কুরোদ্গম থেকে শষ্য ক্ষেত বা মহীরূহতে পরিণত হওয়া সবই আল্লাহ্র সৃষ্টি নৈপুন্যের স্বাক্ষর।
২) জীবন রক্ষাকারী পানি – যা আমরা পান করে থাকি। প্রকৃতিতে পানির সরবরাহ ব্যবস্থা, আল্লাহ্র সৃষ্টিতত্বের এক অপূর্ব কৌশল। যারা বিজ্ঞান পড়েছেন তারা জানেন, “পানি চক্রের ” মাধ্যমে কি অপূর্ব নিয়ন্ত্রণে সারা বিশ্ব ভূবনে পরিষ্কার পানি সরবরাহ করা হয়।
৩) আগুনের প্রতি লক্ষ্য করতে বলা হয়েছে ; যে আগুন পানির মতই জীবন রক্ষাকারী পদার্থ ;যা আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর দান করে।
এই তিনটি উদাহরণের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় মানুষের পৃথিবীতে জীবন রক্ষা ও ধারণ করার জন্য যে তিনটি বস্তু সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তাকেই এখানে উত্থাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 056.064
তোমরা তাকে উৎপন্ন কর, না আমি উৎপন্নকারী ?
Is it you that make it grow, or are We the Grower?
أَأَنتُمْ تَزْرَعُونَهُ أَمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ
Aantum tazraAAoonahu am nahnu alzzariAAoona
YUSUFALI: Is it ye that cause it to grow, or are We the Cause?
PICKTHAL: Is it ye who foster it, or are We the Fosterer?
SHAKIR: Is it you that cause it to grow, or are We the causers of growth?
KHALIFA: Did you grow them, or did we?
৬২। তোমরা সৃষ্টির প্রথম আকৃতি সম্বন্ধে অবশ্যই জান তবে কেন তোমরা তাঁর বন্দনা কর না ?
৬৩। যে বীজ তোমরা বপন কর সে সম্বন্ধে চিন্তা করেছ কি ? ৫২৫১
৬৪। তোমরা কি তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি ?
৬৫। যদি আমি ইচ্ছা করতাম তবে তা পাউডারের ন্যায় চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে পারতাম,তখন তোমরা হতবুদ্ধি হয়ে পড়বে।
৫২৫১। আল্লাহ্ আমাদের তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের জন্য বিভিন্ন ভাবে আহ্বান করেছেন। মানুষের শারীরিক সৃষ্টিতত্বের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ; এবং পরে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে প্রাকৃতিক সৃষ্টির প্রতি অর্থাৎ বিশ্ব প্রকৃতির সৃষ্টি রহস্যের [ যার অপর নাম বিজ্ঞান ] প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টার অকৃপণ জ্ঞানের ভান্ডার ; সৃষ্টি নৈপুন্য, সৃজনশীল ক্ষমতা বিদ্যমান – যার অনুভূতি মানুষের আত্মাকে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যে আপ্লুত করবে। এই [ ৫৬ : ৬২ ] আয়াতে “প্রথম সৃষ্টি” বাক্যটি দ্বারা বর্তমান পৃথিবী ও বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কারণ রোজ কেয়ামতে সারা বিশ্বব্রহ্মান্ড ও পৃথিবীকে এবং মানুষকে নূতন ভাবে নূতন আঙ্গিকে সৃষ্টি করা হবে। আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে,
১) তাঁর মঙ্গলময় ও কল্যাণকর ভূমিকার প্রতি ও [৫৬ : ৫৭]
২) সন্তান তৈরীতে আমাদের ভূমিকা ও বিশ্ব প্রকৃতিতে আমরা যা উৎপাদন করি ও নিয়ন্ত্রণ করি তাঁর দ্বারা।
[৫৬ : ৫৮-৭৩] এখানে তিনটি উদাহরণ দান করা হয়েছে।
১) যে বীজ আমরা মাটিতে বপন করি সেই বীজের অঙ্কুরোদ্গম থেকে শষ্য ক্ষেত বা মহীরূহতে পরিণত হওয়া সবই আল্লাহ্র সৃষ্টি নৈপুন্যের স্বাক্ষর।
২) জীবন রক্ষাকারী পানি – যা আমরা পান করে থাকি। প্রকৃতিতে পানির সরবরাহ ব্যবস্থা, আল্লাহ্র সৃষ্টিতত্বের এক অপূর্ব কৌশল। যারা বিজ্ঞান পড়েছেন তারা জানেন, “পানি চক্রের ” মাধ্যমে কি অপূর্ব নিয়ন্ত্রণে সারা বিশ্ব ভূবনে পরিষ্কার পানি সরবরাহ করা হয়।
৩) আগুনের প্রতি লক্ষ্য করতে বলা হয়েছে ; যে আগুন পানির মতই জীবন রক্ষাকারী পদার্থ ;যা আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর দান করে।
এই তিনটি উদাহরণের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় মানুষের পৃথিবীতে জীবন রক্ষা ও ধারণ করার জন্য যে তিনটি বস্তু সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তাকেই এখানে উত্থাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 056.065
আমি ইচ্ছা করলে তাকে খড়কুটা করে দিতে পারি, অতঃপর হয়ে যাবে তোমরা বিস্ময়াবিষ্ট।
Were it Our Will, We could crumble it to dry pieces, and you would be regretful (or left in wonderment).
لَوْ نَشَاء لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ
Law nashao lajaAAalnahu hutaman fathaltum tafakkahoona
YUSUFALI: Were it Our Will, We could crumble it to dry powder, and ye would be left in wonderment,
PICKTHAL: If We willed, We verily could make it chaff, then would ye cease not to exclaim:
SHAKIR: If We pleased, We should have certainly made it broken down into pieces, then would you begin tb lament:
KHALIFA: If we will, we can turn it into hay. Then you will lament:
৬২। তোমরা সৃষ্টির প্রথম আকৃতি সম্বন্ধে অবশ্যই জান তবে কেন তোমরা তাঁর বন্দনা কর না ?
৬৩। যে বীজ তোমরা বপন কর সে সম্বন্ধে চিন্তা করেছ কি ? ৫২৫১
৬৪। তোমরা কি তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি ?
৬৫। যদি আমি ইচ্ছা করতাম তবে তা পাউডারের ন্যায় চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে পারতাম,তখন তোমরা হতবুদ্ধি হয়ে পড়বে।
৫২৫১। আল্লাহ্ আমাদের তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের জন্য বিভিন্ন ভাবে আহ্বান করেছেন। মানুষের শারীরিক সৃষ্টিতত্বের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ; এবং পরে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে প্রাকৃতিক সৃষ্টির প্রতি অর্থাৎ বিশ্ব প্রকৃতির সৃষ্টি রহস্যের [ যার অপর নাম বিজ্ঞান ] প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টার অকৃপণ জ্ঞানের ভান্ডার ; সৃষ্টি নৈপুন্য, সৃজনশীল ক্ষমতা বিদ্যমান – যার অনুভূতি মানুষের আত্মাকে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যে আপ্লুত করবে। এই [ ৫৬ : ৬২ ] আয়াতে “প্রথম সৃষ্টি” বাক্যটি দ্বারা বর্তমান পৃথিবী ও বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কারণ রোজ কেয়ামতে সারা বিশ্বব্রহ্মান্ড ও পৃথিবীকে এবং মানুষকে নূতন ভাবে নূতন আঙ্গিকে সৃষ্টি করা হবে। আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে,
১) তাঁর মঙ্গলময় ও কল্যাণকর ভূমিকার প্রতি ও [৫৬ : ৫৭]
২) সন্তান তৈরীতে আমাদের ভূমিকা ও বিশ্ব প্রকৃতিতে আমরা যা উৎপাদন করি ও নিয়ন্ত্রণ করি তাঁর দ্বারা।
[৫৬ : ৫৮-৭৩] এখানে তিনটি উদাহরণ দান করা হয়েছে।
১) যে বীজ আমরা মাটিতে বপন করি সেই বীজের অঙ্কুরোদ্গম থেকে শষ্য ক্ষেত বা মহীরূহতে পরিণত হওয়া সবই আল্লাহ্র সৃষ্টি নৈপুন্যের স্বাক্ষর।
২) জীবন রক্ষাকারী পানি – যা আমরা পান করে থাকি। প্রকৃতিতে পানির সরবরাহ ব্যবস্থা, আল্লাহ্র সৃষ্টিতত্বের এক অপূর্ব কৌশল। যারা বিজ্ঞান পড়েছেন তারা জানেন, “পানি চক্রের ” মাধ্যমে কি অপূর্ব নিয়ন্ত্রণে সারা বিশ্ব ভূবনে পরিষ্কার পানি সরবরাহ করা হয়।
৩) আগুনের প্রতি লক্ষ্য করতে বলা হয়েছে ; যে আগুন পানির মতই জীবন রক্ষাকারী পদার্থ ;যা আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর দান করে।
এই তিনটি উদাহরণের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় মানুষের পৃথিবীতে জীবন রক্ষা ও ধারণ করার জন্য যে তিনটি বস্তু সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তাকেই এখানে উত্থাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 056.066
বলবেঃ আমরা তো ঋণের চাপে পড়ে গেলাম;
(Saying): ”We are indeed Mughramûn (i.e. ruined or lost the money without any profit, or punished by the loss of all that we spend for cultivation, etc.)! [See Tafsir Al-Qurtubî, Vol. 17, Page 219]
إِنَّا لَمُغْرَمُونَ
Inna lamughramoona
YUSUFALI: (Saying), “We are indeed left with debts (for nothing):
PICKTHAL: Lo! we are laden with debt!
SHAKIR: Surely we are burdened with debt:
KHALIFA: “We lost.
৬৬। [ বলবে : ] ” আমরা অবশ্যই [ শুধোশুধি ] ঋণগ্রস্থ হয়েছি ; ৫২৫২
৬৭। ” নিশ্চয়ই আমরা বঞ্চিত হয়ে পড়েছি [ আমাদের পরিশ্রমের ফসল থেকে ]।”
৫২৫২। খাদ্যের জন্য মানুষ, প্রাণী সকলেই উদ্ভিদ জগতের উপরে নির্ভরশীল। কৃষক জমিকে কর্ষণ করে, শষ্য বপন করে, পানি সেচ করে, আগাছা পরিষ্কার করে – তার আশা থাকে সময়ে সে উপযুক্ত পরিমাণে খাদ্য শষ্য লাভ করবে। কৃষকের এই পরিশ্রম ফসল উৎপাদনের পূর্বশর্ত সন্দেহ নাই, কিন্তু গভীর ভাবে চিন্তা করলে উপলব্ধি করা যায় যে বীজের অঙ্কুরোদ্গম ও বীজের মাঝে ডি, এন, এর মাধ্যমে নির্দ্দিষ্ট ফসলের আগমন বার্তা ঘোষণা স্রষ্টার জ্ঞান ও সৃষ্টি নৈপুন্যের প্রকাশ। ধানের বীজ ধান, পাটের বীজ পাটই উৎপন্ন করবে – এতো আল্লাহ্রই জ্ঞান ও প্রজ্ঞারই স্বাক্ষর।
আয়াতঃ 056.067
রং আমরা হূত সর্বস্ব হয়ে পড়লাম।
”Nay, but we are deprived!”
بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ
Bal nahnu mahroomoona
YUSUFALI: “Indeed are we shut out (of the fruits of our labour)”
PICKTHAL: Nay, but we are deprived!
SHAKIR: Nay! we are deprived.
KHALIFA: “We are deprived.”
৬৬। [ বলবে : ] ” আমরা অবশ্যই [ শুধোশুধি ] ঋণগ্রস্থ হয়েছি ; ৫২৫২
৬৭। ” নিশ্চয়ই আমরা বঞ্চিত হয়ে পড়েছি [ আমাদের পরিশ্রমের ফসল থেকে ]।”
৫২৫২। খাদ্যের জন্য মানুষ, প্রাণী সকলেই উদ্ভিদ জগতের উপরে নির্ভরশীল। কৃষক জমিকে কর্ষণ করে, শষ্য বপন করে, পানি সেচ করে, আগাছা পরিষ্কার করে – তার আশা থাকে সময়ে সে উপযুক্ত পরিমাণে খাদ্য শষ্য লাভ করবে। কৃষকের এই পরিশ্রম ফসল উৎপাদনের পূর্বশর্ত সন্দেহ নাই, কিন্তু গভীর ভাবে চিন্তা করলে উপলব্ধি করা যায় যে বীজের অঙ্কুরোদ্গম ও বীজের মাঝে ডি, এন, এর মাধ্যমে নির্দ্দিষ্ট ফসলের আগমন বার্তা ঘোষণা স্রষ্টার জ্ঞান ও সৃষ্টি নৈপুন্যের প্রকাশ। ধানের বীজ ধান, পাটের বীজ পাটই উৎপন্ন করবে – এতো আল্লাহ্রই জ্ঞান ও প্রজ্ঞারই স্বাক্ষর।
আয়াতঃ 056.068
তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
Tell Me! The water that you drink.
أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاء الَّذِي تَشْرَبُونَ
Afaraaytumu almaa allathee tashraboona
YUSUFALI: See ye the water which ye drink?
PICKTHAL: Have ye observed the water which ye drink?
SHAKIR: Have you considered the water which you drink?
KHALIFA: Have you noted the water you drink?
৬৮। তোমরা যে পানি পান কর সে সম্বন্ধে কি [কখনও ] চিন্তা করেছ ?
৬৯। তোমরা কি তা [ বৃষ্টিরূপে ] মেঘ থেকে পতিত কর না আমি করি ?
৭০। যদি আমি ইচ্ছা করতাম তবে আমি তা লবণাক্ত ও বিস্বাদ করতে পারতাম ৫২৫৩ ; তারপরেও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর না ?
৫২৫৩। পৃথিবীর বিশাল পানির ভান্ডারের অধিকাংশ লবনাক্ত যা সমুদ্রের পানি যা পানের ও ব্যবহারের অযোগ্য। সুপেয় ও মিষ্টি পানির ভান্ডার স্থলভাগে বিরাজ করে। পানির এই দুই স্রোতধারা পাশাপাশি অবস্থান করে তবুও পরস্পর মিশে যায় না। পৃথিবীর স্থলভাগের পানি সরবরাহ আল্লাহ্ এক বিশেষ কৌশলে করে থাকেন, বিজ্ঞান যার নাম দিয়েছে ” পানি চক্র “। স্থলভাগের মিষ্টি সুপেয় পানি নদীবাহিত হয়ে স্থল ভাগকে সিক্ত করে সমুদ্রে পতিত হয়ে লবনাক্ত হয়ে যায়, আবার সমুদ্রের লবনাক্ত পানি বায়ু শূন্য বাষ্প বা মিষ্টি পানি রূপে বাস্প হয়ে মেঘ আকারে স্থলভাগে প্রবেশ করে, বৃষ্টি আকারে স্থলভাগে ঝরে পড়ে এবং শুষ্ক খাল, বিল, পুকুর, নদী, প্রস্রবণকে সঞ্জিবীত করে, ভরিয়ে তোলে। দেখুন [ ২৫ : ৪৩ ] আয়াতের টিকা ৩১১১ – ২ এবং [৫৫ : ১৯ ] আয়াতের টিকা ৫১৮৫।
আয়াতঃ 056.069
তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি?
Is it you who cause it from the rainclouds to come down, or are We the Causer of it to come down?
أَأَنتُمْ أَنزَلْتُمُوهُ مِنَ الْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ الْمُنزِلُونَ
Aantum anzaltumoohu mina almuzni am nahnu almunziloona
YUSUFALI: Do ye bring it down (in rain) from the cloud or do We?
PICKTHAL: Is it ye who shed it from the raincloud, or are We the Shedder?
SHAKIR: Is it you that send it down from the clouds, or are We the senders?
KHALIFA: Did you send it down from the clouds, or did we?
৬৮। তোমরা যে পানি পান কর সে সম্বন্ধে কি [কখনও ] চিন্তা করেছ ?
৬৯। তোমরা কি তা [ বৃষ্টিরূপে ] মেঘ থেকে পতিত কর না আমি করি ?
৭০। যদি আমি ইচ্ছা করতাম তবে আমি তা লবণাক্ত ও বিস্বাদ করতে পারতাম ৫২৫৩ ; তারপরেও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর না ?
৫২৫৩। পৃথিবীর বিশাল পানির ভান্ডারের অধিকাংশ লবনাক্ত যা সমুদ্রের পানি যা পানের ও ব্যবহারের অযোগ্য। সুপেয় ও মিষ্টি পানির ভান্ডার স্থলভাগে বিরাজ করে। পানির এই দুই স্রোতধারা পাশাপাশি অবস্থান করে তবুও পরস্পর মিশে যায় না। পৃথিবীর স্থলভাগের পানি সরবরাহ আল্লাহ্ এক বিশেষ কৌশলে করে থাকেন, বিজ্ঞান যার নাম দিয়েছে ” পানি চক্র “। স্থলভাগের মিষ্টি সুপেয় পানি নদীবাহিত হয়ে স্থল ভাগকে সিক্ত করে সমুদ্রে পতিত হয়ে লবনাক্ত হয়ে যায়, আবার সমুদ্রের লবনাক্ত পানি বায়ু শূন্য বাষ্প বা মিষ্টি পানি রূপে বাস্প হয়ে মেঘ আকারে স্থলভাগে প্রবেশ করে, বৃষ্টি আকারে স্থলভাগে ঝরে পড়ে এবং শুষ্ক খাল, বিল, পুকুর, নদী, প্রস্রবণকে সঞ্জিবীত করে, ভরিয়ে তোলে। দেখুন [ ২৫ : ৪৩ ] আয়াতের টিকা ৩১১১ – ২ এবং [৫৫ : ১৯ ] আয়াতের টিকা ৫১৮৫।
আয়াতঃ 056.070
আমি ইচ্ছা করলে তাকে লোনা করে দিতে পারি, অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না?
If We willed, We verily could make it salt (and undrinkable), why then do you not give thanks (to Allâh)?
لَوْ نَشَاء جَعَلْنَاهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ
Law nashao jaAAalnahu ojajan falawla tashkuroona
YUSUFALI: Were it Our Will, We could make it salt (and unpalatable): then why do ye not give thanks?
PICKTHAL: If We willed We verily could make it bitter. Why then, give ye not thanks?
SHAKIR: If We pleased, We would have made it salty; why do you not then give thanks?
KHALIFA: If we will, we can make it salty. You should be thankful.
৬৮। তোমরা যে পানি পান কর সে সম্বন্ধে কি [কখনও ] চিন্তা করেছ ?
৬৯। তোমরা কি তা [ বৃষ্টিরূপে ] মেঘ থেকে পতিত কর না আমি করি ?
৭০। যদি আমি ইচ্ছা করতাম তবে আমি তা লবণাক্ত ও বিস্বাদ করতে পারতাম ৫২৫৩ ; তারপরেও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর না ?
৫২৫৩। পৃথিবীর বিশাল পানির ভান্ডারের অধিকাংশ লবনাক্ত যা সমুদ্রের পানি যা পানের ও ব্যবহারের অযোগ্য। সুপেয় ও মিষ্টি পানির ভান্ডার স্থলভাগে বিরাজ করে। পানির এই দুই স্রোতধারা পাশাপাশি অবস্থান করে তবুও পরস্পর মিশে যায় না। পৃথিবীর স্থলভাগের পানি সরবরাহ আল্লাহ্ এক বিশেষ কৌশলে করে থাকেন, বিজ্ঞান যার নাম দিয়েছে ” পানি চক্র “। স্থলভাগের মিষ্টি সুপেয় পানি নদীবাহিত হয়ে স্থল ভাগকে সিক্ত করে সমুদ্রে পতিত হয়ে লবনাক্ত হয়ে যায়, আবার সমুদ্রের লবনাক্ত পানি বায়ু শূন্য বাষ্প বা মিষ্টি পানি রূপে বাস্প হয়ে মেঘ আকারে স্থলভাগে প্রবেশ করে, বৃষ্টি আকারে স্থলভাগে ঝরে পড়ে এবং শুষ্ক খাল, বিল, পুকুর, নদী, প্রস্রবণকে সঞ্জিবীত করে, ভরিয়ে তোলে। দেখুন [ ২৫ : ৪৩ ] আয়াতের টিকা ৩১১১ – ২ এবং [৫৫ : ১৯ ] আয়াতের টিকা ৫১৮৫।
আয়াতঃ 056.071
তোমরা যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
Tell Me! The fire which you kindle,
أَفَرَأَيْتُمُ النَّارَ الَّتِي تُورُونَ
Afaraaytumu alnnara allatee tooroona
YUSUFALI: See ye the Fire which ye kindle?
PICKTHAL: Have ye observed the fire which ye strike out;
SHAKIR: Have you considered the fire which you strike?
KHALIFA: Have you noted the fire you ignite?
৭১। চিন্তা করে দেখেছ কি তোমরা যে আগুন জ্বালাও, সে সম্বন্ধে ?
৭২। তোমরা কি আগুনে দাহ্য গাছকে সৃষ্টি করেছ, না আমি তা উৎপন্ন করেছি ? ৫২৫৪
৫২৫৪। আগুনের সাথে বৃক্ষের অঙ্গাগী সম্পর্ক বিদ্যমান। সভ্যতার প্রথম সূচনা ঘটে শুষ্ক কাঠে ঘর্ষনের দ্বারা অগ্নির প্রজ্জ্বলন দ্বারা। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরণের জ্বালানী বিদ্যমান। তবে সাধারণ ভাবে দৈনন্দিক জীবনে আমরা আগুন দ্বারা কাঠকেই জ্বালানী হিসেবে কল্পনা করে থাকি। এমন কি পেট্রোল, কয়লা ইত্যাদি জ্বালানীরও সৃষ্টি হয়েছে বৃক্ষ থেকে। প্রাগ্ঐতিহাসিক যুগে পৃথিবীর ঘন উদ্ভিদ জগত ভূমিকম্পে মাটির অভ্যন্তরে তলিয়ে যায়। সেখানে মাটির প্রচন্ড তাপে ও চাপে এবং অক্সিজেনের অভাবে, তেল, গ্যাস ও কয়লাতে রূপান্তরিত হয়ে পড়ে – বহু বছরের পরিক্রমায়। সবুজ গাছ থেকে অগ্নি উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে [ ৩৬: ৮০ ] ও টিকা নং ৪০২৬।
আয়াতঃ 056.072
তোমরা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছ, না আমি সৃষ্টি করেছি ?
Is it you who made the tree thereof to grow, or are We the Grower?
أَأَنتُمْ أَنشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنشِؤُونَ
Aantum ansha/tum shajarataha am nahnu almunshi-oona
YUSUFALI: Is it ye who grow the tree which feeds the fire, or do We grow it?
PICKTHAL: Was it ye who made the tree thereof to grow, or were We the grower?
SHAKIR: Is it you that produce the trees for it, or are We the producers?
KHALIFA: Did you initiate its tree, or did we?
৭১। চিন্তা করে দেখেছ কি তোমরা যে আগুন জ্বালাও, সে সম্বন্ধে ?
৭২। তোমরা কি আগুনে দাহ্য গাছকে সৃষ্টি করেছ, না আমি তা উৎপন্ন করেছি ? ৫২৫৪
৫২৫৪। আগুনের সাথে বৃক্ষের অঙ্গাগী সম্পর্ক বিদ্যমান। সভ্যতার প্রথম সূচনা ঘটে শুষ্ক কাঠে ঘর্ষনের দ্বারা অগ্নির প্রজ্জ্বলন দ্বারা। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরণের জ্বালানী বিদ্যমান। তবে সাধারণ ভাবে দৈনন্দিক জীবনে আমরা আগুন দ্বারা কাঠকেই জ্বালানী হিসেবে কল্পনা করে থাকি। এমন কি পেট্রোল, কয়লা ইত্যাদি জ্বালানীরও সৃষ্টি হয়েছে বৃক্ষ থেকে। প্রাগ্ঐতিহাসিক যুগে পৃথিবীর ঘন উদ্ভিদ জগত ভূমিকম্পে মাটির অভ্যন্তরে তলিয়ে যায়। সেখানে মাটির প্রচন্ড তাপে ও চাপে এবং অক্সিজেনের অভাবে, তেল, গ্যাস ও কয়লাতে রূপান্তরিত হয়ে পড়ে – বহু বছরের পরিক্রমায়। সবুজ গাছ থেকে অগ্নি উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে [ ৩৬: ৮০ ] ও টিকা নং ৪০২৬।
আয়াতঃ 056.073
আমি সেই বৃক্ষকে করেছি স্মরণিকা এবং মরুবাসীদের জন্য সামগ্রী।
We have made it a Reminder (for the Hell-fire, in the Hereafter); and an article of use for the travellers (and all the others, in this world).
نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِّلْمُقْوِينَ
Nahnu jaAAalnaha tathkiratan wamataAAan lilmuqweena
YUSUFALI: We have made it a memorial (of Our handiwork), and an article of comfort and convenience for the denizens of deserts.
PICKTHAL: We, even We, appointed it a memorial and a comfort for the dwellers in the wilderness.
SHAKIR: We have made it a reminder and an advantage for the wayfarers of the desert.
KHALIFA: We rendered it a reminder, and a useful tool for the users.
৭৩। [ আমার হস্তশিল্পের ] এটা এক স্মরণীয় নিদর্শন ৫২৫৫ এবং মরুভূমির অধিবাসীদের জন্য স্বস্তি ও সুখ স্বচ্ছন্দ্য ৫২৫৬।
৫২৫৫। প্রকৃতিতে ‘আগুন ‘ হচ্ছে আল্লাহ্র সৃষ্টি নৈপুন্যের উপযুক্ত প্রতীক। আগুনের আবিষ্কার হচ্ছে সভ্যতার প্রথম সূচনা লগ্ন। সে ভাবে আগুনকে সভ্যতার প্রতীক চিহ্ন হিসেবে কল্পনা করা হয়। পার্থিব জীবনে আগুন হচ্ছে আরাম -আয়েশ এবং সুযোগ সুবিধার প্রতীক। আধ্যাত্মিক জীবনে পূণ্যাত্মাদের আধ্যাত্মিক আলোর প্রতীক এবং পাপীদের জন্য ধ্বংস ও শাস্তির প্রতীক বা দোযখের প্রতীক।
একই ভাবে ‘বীজের অঙ্কুরোদ্গমকেও ‘ প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বীজকে বিদীর্ণ করে বীজের অন্ধকার থেকে ধরার আলোতে চারাগাছের যেরূপ আগমন ঘটে, আল্লাহ্র বাণীও তদ্রূপ অন্ধকারচ্ছন্ন আত্মার মাঝে আলোর বন্যার সৃষ্টি করে। দেখুন [ ৪৮ : ২৯ ] ও টিকা ৪৯১৭ ঠিক সেই একই রূপ ভাবে বৃষ্টির পানি ও নদীর পানি, যা পৃথিবীর জীবন রক্ষা করে, এদের উত্থাপন করা হয়েছে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে। দেখুন [ ১৮ : ৬০ ] আয়াত ও টিকা ২৪০৪ -৫।
৫২৫৬। দেখুন [ ২০ : ১০ ] আয়াত ও টিকা ২৫৪১ যেখানে হযরত মুসা মরুভুমির মাঝে যে অগ্নির সাক্ষাৎ লাভ করেন তার গুপ্ত রহস্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাধারণ ভাবে দিগন্ত বিস্তৃত মরুভূমির মাঝে রাতের আঁধারে আলোর উপস্থিতি নির্দ্দেশ করে আগুন তথা মানুষের উপস্থিতি। পথভ্রান্ত, দিকভ্রান্ত পথিক তার অনুসরণ করে মানুষের বাসস্থানের সন্ধান লাভ করে প্রাণে রক্ষা পায় ও আরাম আয়েশ লাভ করে। এ ভাবেই আগুন বা আলো বা আলোর সংকেত পথভ্রান্ত পথিকের জীবন রক্ষা করে। বর্তমান যুগে নাবিকদের জন্য সমুদ্রের লাইট হাউজ, এবং এরোড্রামের বাতির সংকেত পাইলটদের জন্য ঠিক ঐ একই উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়।
আগুন সম্বন্ধে রূপক বর্ণনা আছে [ ২ : ১৭- ১৮] আয়াতে ও টিকা নং ৩৮।
আয়াতঃ 056.074
অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
Then glorify with praises the Name of your Lord, the Most Great.
فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ
Fasabbih biismi rabbika alAAatheemi
YUSUFALI: Then celebrate with praises the name of thy Lord, the Supreme!
PICKTHAL: Therefor (O Muhammad), praise the name of thy Lord, the Tremendous.
SHAKIR: Therefore glorify the name of your Lord, the Great.
KHALIFA: You shall glorify the name of your Lord, the Great.
৭৪। অতএব, তুমি তোমার মহান প্রভুর নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর ৫২৫৭।
৫২৫৭। আল্লাহ্র এই সব নিদর্শন প্রকৃতির মাঝে প্রত্যক্ষ দ্বারা এবং আধ্যাত্মিক জগতে তাদের প্রতীকধর্মী প্রয়োগ আত্মার মাঝে উপলব্ধির জন্য সকলকে আহ্বান করা হয়েছে। যদি মানুষ আল্লাহ্র মহিমাকে প্রকৃত পক্ষে অনুধাবন করতে চায়, তবে অবশ্যই আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন করে আনুগত্য প্রকাশ করবে।
আয়াতঃ 056.075
অতএব, আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি,
So I swear by Mawâqi (setting or the mansions, etc.) of the stars (they traverse).
فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ
Fala oqsimu bimawaqiAAi alnnujoomi
YUSUFALI: Furthermore I call to witness the setting of the Stars,-
PICKTHAL: Nay, I swear by the places of the stars –
SHAKIR: But nay! I swear by the falling of stars;
KHALIFA: I swear by the positions of the stars.
রুকু – ৩
৭৫। অধিকন্তু,আমি শপথ করছি অস্তগামী তারকারাজির, ৫২৫৮ –
৫২৫৮। “অস্তগামী তারকারাজির ” – এই বাক্যটির গূঢ় অর্থ অত্যন্ত রহস্যপূর্ণ যা সম্পূর্ণ হৃদয়ঙ্গম করা বর্তমান বিজ্ঞানের সম্পূর্ণ জ্ঞানকে একত্র করেও অনুধাবন করা সম্ভব নয়। তিনটি ব্যাখ্যা এখানে প্রদান করা হলো :
১) দেখুন আয়াত [ ৫০ : ১ ] আয়াত ও টিকা ৫০৮৫। উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজির অস্তাচল যাওয়াকে বিনয়ের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই অসীম, সর্বশক্তিমান,সর্বমঙ্গলময় আল্লাহ্র প্রতি নক্ষত্ররাজির বিনয়ে অবনত হওয়াকে অস্ত যাওয়ার প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়েছে।
২) এই বাক্যটি দ্বারা রোজ কেয়ামতের দিনে সমস্ত নক্ষত্ররাজির ধ্বংসকে বোঝানো হয়েছে, যেদিন সকলের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
৩) পার্থিব সুন্দর ও উজ্জ্বল যে কোন বস্তুই যে কোন মূহুর্তে আমাদের দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে যেতে পারে, যদিও তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় না। যেমন নক্ষত্র রাজি অস্ত চলে যায়।
আয়াতঃ 056.076
নিশ্চয় এটা এক মহা শপথ-যদি তোমরা জানতে।
And verily, that is indeed a great oath, if you but know.
وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَّوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ
Wa-innahu laqasamun law taAAlamoona AAatheemun
YUSUFALI: And that is indeed a mighty adjuration if ye but knew,-
PICKTHAL: And lo! that verily is a tremendous oath, if ye but knew –
SHAKIR: And most surely it is a very great oath if you only knew;
KHALIFA: This is an oath, if you only knew, that is awesome.
৭৬। অবশ্যই ইহা এক মহা শপথ ৫২৫৯, যদি তোমরা জানতে, –
৫২৫৯। রাতের আকাশের নক্ষত্ররাজির সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে আবার রাত্রি শেষে তারা অন্তর্হিত হয়ে যায়। এই বিশাল নক্ষত্রজগত ও তার পরিক্রমা মানুষকে অসীম শক্তিশালী স্রষ্টার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। অবশ্য তাদেরই স্মরণে আসবে যারা স্মরণ করতে চায়।
আয়াতঃ 056.077
নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন,
That (this) is indeed an honourable recital (the Noble Qur’ân).
إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ
Innahu laqur-anun kareemun
YUSUFALI: That this is indeed a qur’an Most Honourable,
PICKTHAL: That (this) is indeed a noble Qur’an
SHAKIR: Most surely it is an honored Quran,
KHALIFA: This is an honorable Quran.
৭৭। ইহা নিশ্চয়ই মহা সম্মানীয় কুর-আন ৫২৬০
৫২৬০। আল্লাহ্র ক্ষমতা ও মাহাত্ম্য বিভিন্নভাবে বর্ণনা করার পরে এবারে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে কুর-আনের প্রতি। কোরাণ হচ্ছে আল্লাহ্র বাণী যা প্রত্যাদেশের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়। ১) ‘Karim’ বা ইহা মহা সম্মানীত। ২) ‘Makrur’ সুরক্ষিত কিতাব। অর্থাৎ এই কিতাবের পবিত্রতা সুরক্ষিত। [ ১৫ : ৯] আয়াত ও টিকা ১৯৪৪। ৩) যারা পূত পবিত্র তারা ব্যতীত আর কেহ স্পর্শ করবে না। এই পবিত্রতা হবে শারীরিক, মানসিক, চিন্তায়,নিয়ত বা উদ্দেশ্যে অর্থাৎ এক কথায় আত্মার পবিত্রতা। অর্থাৎ যখন মানুষ শারীরিক ও আত্মিক ভাবে পবিত্র থাকে শুধু তখনই মানুষ কুর-আনের বাণীর প্রকৃত অর্থ অনুধাবনে সক্ষম। ৪) এই কিতাব বিশ্ব জাহানের স্রষ্টার নিকট থেকে আগত। সুতারাং এর উপদেশ বিশ্বজনীন। সৃষ্টির সকলের জন্য প্রযোজ্য।
আয়াতঃ 056.078
যা আছে এক গোপন কিতাবে,
In a Book well-guarded (with Allâh in the heaven i.e. Al-Lauh Al-Mahfûz).
فِي كِتَابٍ مَّكْنُونٍ
Fee kitabin maknoonin
YUSUFALI: In Book well-guarded,
PICKTHAL: In a Book kept hidden
SHAKIR: In a book that is protected
KHALIFA: In a protected book.
৭৮। যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে ৫২৬০-ক
৫২৬০-ক। সুরক্ষিত কিতাব দ্বারা লওহে মাহ্ফুজে বা সংরক্ষিত ফলক বুঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 056.079
যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।
Which (that Book with Allâh) none can touch but the purified (i.e. the angels).
لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ
La yamassuhu illa almutahharoona
YUSUFALI: Which none shall touch but those who are clean:
PICKTHAL: Which none toucheth save the purified,
SHAKIR: None shall touch it save the purified ones.
KHALIFA: None can grasp it except the sincere.
৭৯। যারা পূত-পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ স্পর্শ করবে না।
৮০। ইহা জগৎসমূহের প্রভুর নিকট থেকে [ প্রেরিত ] এক প্রত্যাদেশ।
৮১। তবুও কি তোমরা এই কুর-আনের বাণীকে অবহেলা করবে ? ৫২৬১
৫২৬১। উপরের আয়াতগুলির মাধ্যমে কোরাণের বিশ্বজনীন স্বীকৃতিকে ঘোষণা করা হয়েছে। যে গ্রন্থ মানুষের সমগ্র আধ্যাত্মিক জীবনকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে ও সুখ শান্তির পথে পরিচালিত করে লোকে কেন সে গ্রন্থ গ্রহণ করে না ? কেন তা তুচ্ছ বলে গণ্য করে ?
আয়াতঃ 056.080
এটা বিশ্ব-পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।
A Revelation (this Qur’ân) from the Lord of the ’Alamîn (mankind, jinns and all that exists).
تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ الْعَالَمِينَ
Tanzeelun min rabbi alAAalameena
YUSUFALI: A Revelation from the Lord of the Worlds.
PICKTHAL: A revelation from the Lord of the Worlds.
SHAKIR: A revelation by the Lord of the worlds.
KHALIFA: A revelation from the Lord of the universe.
৭৯। যারা পূত-পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ স্পর্শ করবে না।
৮০। ইহা জগৎসমূহের প্রভুর নিকট থেকে [ প্রেরিত ] এক প্রত্যাদেশ।
৮১। তবুও কি তোমরা এই কুর-আনের বাণীকে অবহেলা করবে ? ৫২৬১
৫২৬১। উপরের আয়াতগুলির মাধ্যমে কোরাণের বিশ্বজনীন স্বীকৃতিকে ঘোষণা করা হয়েছে। যে গ্রন্থ মানুষের সমগ্র আধ্যাত্মিক জীবনকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে ও সুখ শান্তির পথে পরিচালিত করে লোকে কেন সে গ্রন্থ গ্রহণ করে না ? কেন তা তুচ্ছ বলে গণ্য করে ?
আয়াতঃ 056.081
তবুও কি তোমরা এই বাণীর প্রতি শৈথিল্য পদর্শন করবে?
Is it such a talk (this Qur’an) that you (disbelievers) deny?
أَفَبِهَذَا الْحَدِيثِ أَنتُم مُّدْهِنُونَ
Afabihatha alhadeethi antum mudhinoona
YUSUFALI: Is it such a Message that ye would hold in light esteem?
PICKTHAL: Is it this Statement that ye scorn,
SHAKIR: Do you then hold this announcement in contempt?
KHALIFA: Are you disregarding this narration?
৭৯। যারা পূত-পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ স্পর্শ করবে না।
৮০। ইহা জগৎসমূহের প্রভুর নিকট থেকে [ প্রেরিত ] এক প্রত্যাদেশ।
৮১। তবুও কি তোমরা এই কুর-আনের বাণীকে অবহেলা করবে ? ৫২৬১
৫২৬১। উপরের আয়াতগুলির মাধ্যমে কোরাণের বিশ্বজনীন স্বীকৃতিকে ঘোষণা করা হয়েছে। যে গ্রন্থ মানুষের সমগ্র আধ্যাত্মিক জীবনকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে ও সুখ শান্তির পথে পরিচালিত করে লোকে কেন সে গ্রন্থ গ্রহণ করে না ? কেন তা তুচ্ছ বলে গণ্য করে ?
আয়াতঃ 056.082
এবং একে মিথ্যা বলাকেই তোমরা তোমাদের ভূমিকায় পরিণত করবে?
And instead (of thanking Allâh) for the provision He gives you, on the contrary, you deny Him (by disbelief)!
وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ
WatajAAaloona rizqakum annakum tukaththiboona
YUSUFALI: And have ye made it your livelihood that ye should declare it false?
PICKTHAL: And make denial thereof your livelihood?
SHAKIR: And to give (it) the lie you make your means of subsistence.
KHALIFA: Do you make it your business that you disbelieve?
৮২। তোমরা কি একে মিথ্যা বলে ঘোষণা করাকেই তোমাদের জীবিকা বলে গ্রহণ করেছ ? ৫২৬২
৫২৬২। কুর-আনের বা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশের সর্বাপেক্ষা জঘন্য শত্রু হচ্ছে কুর-আনের বাণী সম্বন্ধে মিথ্যারোপ করা। এই মিথ্যারোপকেই যারা অর্থ উপার্জনের মাধ্যম নির্বাচন করে তারা কুর-আনের মূল বক্তব্যকে বিকৃত করে নিজেদের সুযোগ সুবিধা বা উপজীব্য করে নেয়। এরূপ ঘৃণ্য এবং দুর্নীতির আশ্রয়ের মাধ্যমে সে মানব জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয় ও আত্মাকে কলুষিত করে।
আয়াতঃ 056.083
অতঃপর যখন কারও প্রাণ কন্ঠাগত হয়।
Then why do you not (intervene) when (the soul of a dying person) reaches the throat?
فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ
Falawla itha balaghati alhulqooma
YUSUFALI: Then why do ye not (intervene) when (the soul of the dying man) reaches the throat,-
PICKTHAL: Why, then, when (the soul) cometh up to the throat (of the dying)
SHAKIR: Why is it not then that when it (soul) comes up to the throat,
KHALIFA: When the time comes and it (your soul) reaches your throat –
৮৩। তবে কেন তোমরা [হস্তক্ষেপ ] কর না ৫২৬৩, যখন [মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তির আত্মা ] তাঁর কণ্ঠে এসে উপস্থিত হয়, –
৫২৬৩। ” তবে কেন তোমরা তা কর না।” এই বাক্যটির পুনরায় শুরু হয়েছে ৮৬ নং আয়াতে এবং শেষ হয়েছে ৮৭ নং আয়াতে।
আয়াতঃ 056.084
এবং তোমরা তাকিয়ে থাক,
And you at the moment are looking on,
وَأَنتُمْ حِينَئِذٍ تَنظُرُونَ
Waantum heena-ithin tanthuroona
YUSUFALI: And ye the while (sit) looking on,-
PICKTHAL: And ye are at that moment looking
SHAKIR: And you at that time look on–
KHALIFA: you will then look around.
৮৪। এবং তোমরা তখন [ অসহায়ভাবে ] তাকিয়ে থাক ৫২৬৪,-
৮৫। অথচ আমি তোমাদের চেয়েও তার [ মুমূর্ষ ব্যক্তির ] অধিক নিকটে থাকি, কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না,
৫২৬৪। মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তির চারিপার্শ্বে তার আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সকলে ঘিরে থাকে। কিন্তু আল্লাহ্ সর্বসময়েই তাদের অপেক্ষা বহু নিকটে। আল্লাহ্ মানুষের জাগুলার শিরা থেকেও নিকটে অবস্থান করেন। দেখুন [ ৫০ : ১৬ ] আয়াত। আল্লাহ্র আর এক উপাধি হচ্ছে ” সামীউল কারীম” বা সর্বদা সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী।
আয়াতঃ 056.085
তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না।
But We (i.e. Our angels who take the soul) are nearer to him than you, but you see not, [Tafsir At-Tabarî, Vol.27, Page 209]
وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنكُمْ وَلَكِن لَّا تُبْصِرُونَ
Wanahnu aqrabu ilayhi minkum walakin la tubsiroona
YUSUFALI: But We are nearer to him than ye, and yet see not,-
PICKTHAL: – And We are nearer unto him than ye are, but ye see not –
SHAKIR: And We are nearer to it than you, but you do not see–
KHALIFA: We are closer to it than you are, but you do not see.
৮৪। এবং তোমরা তখন [ অসহায়ভাবে ] তাকিয়ে থাক ৫২৬৪,-
৮৫। অথচ আমি তোমাদের চেয়েও তার [ মুমূর্ষ ব্যক্তির ] অধিক নিকটে থাকি, কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না,
৫২৬৪। মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তির চারিপার্শ্বে তার আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সকলে ঘিরে থাকে। কিন্তু আল্লাহ্ সর্বসময়েই তাদের অপেক্ষা বহু নিকটে। আল্লাহ্ মানুষের জাগুলার শিরা থেকেও নিকটে অবস্থান করেন। দেখুন [ ৫০ : ১৬ ] আয়াত। আল্লাহ্র আর এক উপাধি হচ্ছে ” সামীউল কারীম” বা সর্বদা সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী।
আয়াতঃ 056.086
যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়,
Then why do you not, if you are exempt from the reckoning and recompense (punishment, etc.)
فَلَوْلَا إِن كُنتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ
Falawla in kuntum ghayra madeeneena
YUSUFALI: Then why do ye not,- If you are exempt from (future) account,-
PICKTHAL: Why then, if ye are not in bondage (unto Us),
SHAKIR: Then why is it not– if you are not held under authority–
KHALIFA: If it is true that you do not owe any accounting –
৮৬। যদি তোমরা কারও শাসনের অধীন না হও,তবে কেন তোমরা – ৫২৬৫
৫২৬৫। ‘শাসনের অধীন ‘ দ্বারা বুঝানো হয়েছে ‘ আল্লাহ্র কর্তৃত্বাধীন না হও’। আয়াত নং ৮৩ তবে শব্দটি দ্বারা বাক্যের শুরু হয়েছিলো, তা এই আয়াতে [ ৮৬নং ] এসে পুনরায় উল্লেখ করা হয়েছে। মধ্যে আয়াত নং ৮৪ ও ৮৫ উপস্থাপন করা হয়েছে। দেখুন টিকা ৫২৬৩।
আয়াতঃ 056.087
তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ?
Bring back the soul (to its body), if you are truthful?
تَرْجِعُونَهَا إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
TarjiAAoonaha in kuntum sadiqeena
YUSUFALI: Call back the soul, if ye are true (in the claim of independence)?
PICKTHAL: Do ye not force it back, if ye are truthful?
SHAKIR: That you send it (not) back– if you are truthful?
KHALIFA: why do you not restore (your soul), if you are truthful?
৮৭। আত্মাকে ফিরিয়ে আন না, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ৫২৬৬।
৫২৬৬। আয়াতগুলিকে সংক্ষেপে শব্দান্তরিত করলে নিম্নরূপ অর্থ প্রকাশ করে; ” যদি তোমরা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে অবিশ্বাস কর, শেষ বিচারের দিনকে অস্বীকার কর, যদি দাবী কর তোমরা আল্লাহ্র কর্তৃত্বাধীন নও, তবে তোমরা কেন মৃত্যু পথযাত্রী লোকের প্রাণকে তার দেহের মাঝে পুণরায় ফিরিয়ে আনতে পার না ? তোমরা সমবেত ভাবে মৃত্যুপথযাত্রীকে ঘিরে থাক কিন্তু তার যন্ত্রণা লাঘব করার ক্ষমতা তোমাদের নাই। কিন্তু মনে রেখো তোমরা কেউই শেষ বিচার থেকে রক্ষা পাবে না। সেদিন প্রত্যেককে তাদের কর্মের হিসাব দিতে হবে। তোমাদের কর্মের দ্বারাই তোমাদের বিচার করা হবে।
আয়াতঃ 056.088
যদি সে নৈকট্যশীলদের একজন হয়;
Then, if he (the dying person) be of the Muqarrabûn (those brought near to Allâh),
فَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِينَ
Faamma in kana mina almuqarrabeena
YUSUFALI: Thus, then, if he be of those Nearest to Allah,
PICKTHAL: Thus if he is of those brought nigh,
SHAKIR: Then if he is one of those drawn nigh (to Allah),
KHALIFA: If he is one of those close to Me –
৮৮। যদি সে আল্লাহ্র নৈকট্য প্রাপ্তদের একজন হয় ৫২৬৭,
৫২৬৭। ‘নৈকট্য প্রাপ্তদের ‘ জন্য দেখুন [ ৫৬: ১১ – ২৬] আয়াত।
আয়াতঃ 056.089
তবে তার জন্যে আছে সুখ, উত্তম রিযিক এবং নেয়ামতে ভরা উদ্যান।
(There is for him) rest and provision, and a Garden of delights (Paradise).
فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّةُ نَعِيمٍ
Farawhun warayhanun wajannatu naAAeemin
YUSUFALI: (There is for him) Rest and Satisfaction, and a Garden of Delights.
PICKTHAL: Then breath of life, and plenty, and a Garden of delight.
SHAKIR: Then happiness and bounty and a garden of bliss.
KHALIFA: then joy, flowers, and gardens of bliss.
৮৯। তাহলে তার জন্য রয়েছে বিশ্রাম,তৃপ্তি ৫২৬৮, এবং পরম আনন্দজনক বেহেশ্ত।
৫২৬৮। ‘Raihan’ – অর্থাৎ সুগন্ধযুক্ত উদ্ভিদ যেমন বর্ণনা করা হয়েছে [ ৫৫ : ১২ ] আয়াতে। এই আয়াতে বর্ণনাটি প্রতীকধর্মী যা দ্বারা বুঝানো হয়েছে পরিপূর্ণ প্রশান্তি ও পরিতৃপ্তি।
আয়াতঃ 056.090
আর যদি সে ডান পার্শ্বস্থদের একজন হয়,
And if he (the dying person) be of those on the Right Hand,
وَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ أَصْحَابِ الْيَمِينِ
Waamma in kana min as-habi alyameeni
YUSUFALI: And if he be of the Companions of the Right Hand,
PICKTHAL: And if he is of those on the right hand,
SHAKIR: And if he is one of those on the right hand,
KHALIFA: And if he is one of the right –
৯০। এবং সে যদি ডান হাতে [ আমলনামা প্রাপ্তদের ] একজন হয়, ৫২৬৯,
৫২৬৯। “ডানদিকের একজনের ” জন্য দেখুন [ ৫৬: ২৭ – ৩৮ ] আয়াত।
আয়াতঃ 056.091
তবে তাকে বলা হবেঃ তোমার জন্যে ডানপার্শ্বসস্থদের পক্ষ থেকে সালাম।
Then there is safety and peace (from the Punishment of Allâh) for (you as you are from) those on the Right Hand.
فَسَلَامٌ لَّكَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ
Fasalamun laka min as-habi alyameeni
YUSUFALI: (For him is the salutation), “Peace be unto thee”, from the Companions of the Right Hand.
PICKTHAL: Then (the greeting) “Peace be unto thee” from those on the right hand.
SHAKIR: Then peace to you from those on the right hand.
KHALIFA: peace is the lot of those on the right.
৯১। তবে তার প্রতি ডান হাতের সঙ্গীদের পক্ষ থেকে থাকবে [ অভিবাদন ] ” তোমার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।” ৫২৭০
৫২৭০। উপরের আয়াতে [ ৫৬ : ২৬ ] আমাদের বলা হয়েছে যে, যারা আল্লাহ্র নৈকট্য প্রাপ্ত বান্দা তাদের সম্বোধন করা হবে ‘সালাম’ বা শান্তি শব্দটি দ্বারা। এখানে আমাদের বলা হয়েছে যে, ডানদিকের দলকেও এই শব্দটি দ্বারা সম্বোধন করা হবে। উভয় দলই বেহেশতের বাগানে পরিপূর্ণ প্রশান্তি ভোগ করবে। শুধু নৈকট্য প্রাপ্ত দলের সম্মান হবে অধিক।
আয়াতঃ 056.092
আর যদি সে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীদের একজন হয়,
But if he (the dying person) be of the denying (of the Resurrection), the erring (away from the Right Path of Islâmic Monotheism),
وَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِينَ الضَّالِّينَ
Waamma in kana mina almukaththibeena alddalleena
YUSUFALI: And if he be of those who treat (Truth) as Falsehood, who go wrong,
PICKTHAL: But if he is of the rejecters, the erring,
SHAKIR: And if he is one of the rejecters, the erring ones,
KHALIFA: But if he is one of the disbelievers, the strayers –
৯২। যারা [ সত্যকে ] মিথ্যা বলে গ্রহণ করে ৫২৭১,যারা পাপ করে,
৫২৭১। “সত্য অস্বীকারকারী ও বিভ্রান্তদের ” বর্ণনা আছে [ ৫৬ : ৫১ – ৫৫ ] আয়াতে।
আয়াতঃ 056.093
তবে তার আপ্যায়ন হবে উত্তপ্ত পানি দ্বারা।
Then for him is entertainment with boiling water.
فَنُزُلٌ مِّنْ حَمِيمٍ
Fanuzulun min hameemin
YUSUFALI: For him is Entertainment with Boiling Water.
PICKTHAL: Then the welcome will be boiling water
SHAKIR: He shall have an entertainment of boiling water,
KHALIFA: then an abode of inferno –
৯৩। তাদের জন্য রয়েছে ফুটন্ত পানির আপ্যায়ন,
৯৪। এবং জাহান্নামের দহন।
৯৫। ইহা তো ধ্রুব সত্য ৫২৭২
৫২৭২। পরলোকের জীবন তো ধ্রুব সত্য। আত্মার অমরত্ব ও পরলোকে ইহলোকের কর্মের হিসাব প্রদান হচ্ছে বিশ্বাস বা ঈমানের মূল ভিত্তি। এই “বিশ্বাস” ব্যতীত পার্থিব জীবনে যে, অন্যায় ও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তা সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।
আয়াতঃ 056.094
এবং সে নিক্ষিপ্ত হবে অগ্নিতে।
And burning in Hell-fire.
وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ
Watasliyatu jaheemin
YUSUFALI: And burning in Hell-Fire.
PICKTHAL: And roasting at hell-fire.
SHAKIR: And burning in hell.
KHALIFA: and burning in Hell.
৯৩। তাদের জন্য রয়েছে ফুটন্ত পানির আপ্যায়ন,
৯৪। এবং জাহান্নামের দহন।
৯৫। ইহা তো ধ্রুব সত্য ৫২৭২
৫২৭২। পরলোকের জীবন তো ধ্রুব সত্য। আত্মার অমরত্ব ও পরলোকে ইহলোকের কর্মের হিসাব প্রদান হচ্ছে বিশ্বাস বা ঈমানের মূল ভিত্তি। এই “বিশ্বাস” ব্যতীত পার্থিব জীবনে যে, অন্যায় ও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তা সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।
আয়াতঃ 056.095
এটা ধ্রুব সত্য।
Verily, this! This is an absolute Truth with certainty.
إِنَّ هَذَا لَهُوَ حَقُّ الْيَقِينِ
Inna hatha lahuwa haqqu alyaqeeni
YUSUFALI: Verily, this is the Very Truth and Certainly.
PICKTHAL: Lo! this is certain truth.
SHAKIR: Most surely this is a certain truth.
KHALIFA: This is the absolute truth.
৯৩। তাদের জন্য রয়েছে ফুটন্ত পানির আপ্যায়ন,
৯৪। এবং জাহান্নামের দহন।
৯৫। ইহা তো ধ্রুব সত্য ৫২৭২
৫২৭২। পরলোকের জীবন তো ধ্রুব সত্য। আত্মার অমরত্ব ও পরলোকে ইহলোকের কর্মের হিসাব প্রদান হচ্ছে বিশ্বাস বা ঈমানের মূল ভিত্তি। এই “বিশ্বাস” ব্যতীত পার্থিব জীবনে যে, অন্যায় ও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তা সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।
আয়াতঃ 056.096
অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
So glorify with praises the Name of your Lord, the Most Great.
فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ
Fasabbih biismi rabbika alAAatheemi
YUSUFALI: So celebrate with praises the name of thy Lord, the Supreme.
PICKTHAL: Therefor (O Muhammad) praise the name of thy Lord, the Tremendous.
SHAKIR: Therefore glorify the name of your Lord, the Great.
KHALIFA: You shall glorify the name of your Lord, the Great.
৯৬। অতএব তুমি তোমার মহান প্রভুর নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর ৫২৭৩।
৫২৭৩। দেখুন উপরের আয়াত [ ৫৬ : ৭৪ ]। যেখানে আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও মাহাত্ম্য বর্ণনা শেষে এই আয়াতটি ছিলো উপসংহার। এখানে সেই একই সমাপ্তি টানা হয়েছে আল্লাহ্র প্রত্যাদেশের বর্ণনা শেষে।