বিজয়েশের গলা শুকিয়ে কাঠ৷ ও এক ঝটকায় গাড়ির দরজা খুলে ভেজা রাস্তায় নেমে পড়ল৷ কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ল৷ তারপর কোনওরকমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ছুট লাগাল জঙ্গলের দিকে৷ ভিজে গাছপালা আর সবুজ পাতার ঝাঁক বিজয়েশকে যেন গিলে ফেলল৷
রক্ত হিম করা এক হিংস্র গর্জন করে একটা নেকড়ে-মানুষ গাড়ির পিছনের দরজা ঠেলে লাফিয়ে এল বাইরে৷ প্রাণীটার ধাক্কায় দরজা খুলে পড়ে গেল রাস্তায়৷ শরীরটা মাপে বড় হয়ে যাওয়ায় পরনের পোশাক ছিঁড়ে কয়েক ফালি হয়ে গা থেকে ঝুলছে৷ মেঘলা আকাশের দিকে মুখ তুলে হাঁ করে একটা লম্বা চিৎকার করল৷ তারপর দুটো ভয়ংকর লাফ মেরে ঢুকে পড়ল জঙ্গলে৷
বিজয়েশের গন্ধ এখনও ওর নাকে লেগে আছে৷ ওকে শিকার করে ধারালো নখে চিরে ফালাফালা না করা পর্যন্ত ওয়্যারউলফ ধর্মে ওর দীক্ষা সম্পূর্ণ হবে না৷
ততক্ষণ রূপশ্রী আর সোমরঞ্জন জঙ্গলের কিনারায় দাঁড়িয়ে মেয়ের জন্য অপেক্ষা করবেন৷ নিজেদের দীক্ষা নেওয়ার রাতগুলো ওঁদের মনে পড়ে যাচ্ছিল৷