পিটের দিকে তাকায় লিলি। পানির তলায় পড়ে থাকা ট্রেজারের মানচিত্র?
সব সময়ই কোথাও না কোথাও ট্রেজার থাকবেই। দূরাগত গলায় বলল পিট।
আর তুমি ওগুলো খুঁজে বের করবে?
হাসল পিট। খুঁজে দেখতে কী ক্ষতি। দুর্ভাগ্য হলো, আঙ্কল স্যাম আমাকে সময়ই দিতে চায় না। সোনালি শহর, এল ভোরাডো খুঁজে দেখতে পারলাম না এখনো, ব্রাজিলের জঙ্গলে।
চিৎ হয়ে শুয়ে আকাশের বিলীন হতে থাকা তারাদের দিকে তাকিয়ে রইল লিলি। ভাবছি, কোথায় মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে ওঁদের?
ধীরে, যেন বাস্তবে ফিরে এল পিট। কাদের?
সাহিত্যকর্মগুলো রক্ষা করার জন্য যে অভিযাত্রীরা সাহায্য করেছিল ভেনাটরকে।
মাথা নাড়ল পিট। জুনিয়াস ভেনাটর অত্যন্ত চালাক লোক। হতে পারে, নিজের বাইজেন্টাইন সহযাত্রীদের এইখানে আর–
এক হাত দিয়ে পিটকে ধরে ওর ওপর উঠে আসে লিলি। পরস্পরকে খুঁজে নেয় ওদের ঠোঁটজোড়া। মাথার উপরে অযথাই চিৎকার করে উঠে একটা শিকারি বাজ। চোখ খুলে, পিটকে সরিয়ে দেয় লিলি।
কী মনে হয়, ওরা মাইন্ড করবে না তো?
অবাক হয়ে ওর দিকে তাকায় পিট। মাইন্ড করবে মানে?
অভিযাত্রীরা। যদি ওঁদের কবরের উপরে প্রেম করি আমরা। জোরাল সম্ভাবনা আছে, এই মুহূর্তে ওঁরা আমাদের নিচে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন।
এক ঝটকায় লিলিকে নিজের শরীরের নিচে নিয়ে এল পিট। ওর চোখে চোখে তাকিয়ে রইল, ঠোঁটে শয়তানি হাসি।
মনে হয় না, এতে উনাদের কিছু আসে যায়। আমার অন্তত কিছু যায় আসে না।