কিরীটী সে কথায় যেন কোন কান দিল না। মৃত মীনাক্ষীর হাত থেকে দামী রিস্টওয়াচটা খুলে নিল।
রিস্টওয়াচটা দেখতে দেখতে বললে, কারো কাছে একটা ছুরি হবে?
চতুর্বেদী একটা ছুরি এনে দিলেন।
সেই ছুরির সাহায্যেই ঘড়ির পিছনের ডালাটা খুলে ফেলতেই একটা মাইক্রো ফিল্ম রোল বের হলো।
হিয়ার ইউ আর মিঃ চতুর্বেদী—এই ফিল্মের মধ্যেই ব্লু-প্রিন্টের ফটো আছে।
কিরীটী বলতে বলতে ফিল্মটা চতুর্বেদীর হাতে তুলে দিল।
ম্যাগনিফাইং প্রজেক্টারের সাহায্যে বোঝা গেল কিরীটীর অনুমান ভুল নয়—ফিল্মের মধ্যেই বু-প্রিন্ট রয়েছে।
ঐদিনই দুপুরের দিকে মন্ত্রীমশাইয়ের ঘরে।
রামস্বামী জিজ্ঞাসা করেন, ধরলেন কি করে মিঃ রায়?
আপনাদের দলিলটা আবার যথাস্থানে ফিরে আসতেই বুঝেছিলাম, দলিলটার একটা রু-প্রিন্ট ওরা সংগ্রহ করে নিয়েছে এবং সেটাই পাচার করবে।
তারপর?
তারপর আমাকে যখন ওরা ধরে নিয়ে গিয়ে টাকার অফার দিল, বুঝতে পারলাম ব্লু-প্রিন্টটা এখনো পাচার করতে পারেনি—এ দেশেই আছে!
কিন্তু একটা মাইক্রো ফিল্মের মধ্যে—
ভেবে দেখুন সেটাই সবচাইতে সেফ—তাই সেটার সম্ভাবনার কথাই সর্বাগ্রে আমার মনে হয়েছিল।
উঃ, আপনি আমার যে কি উপকার করলেন মিঃ রায়।
আমি তত বেশী কিছু করিনি মিঃ রামস্বামী। একজন নাগরিক হিসাবে আমার জন্মভূমির প্রতি কর্তব্যটুকুই করেছি মাত্র—তবে একটা কথা—
কি?
ওরা যে একটা মাইক্রো ফিল্মই তৈরী করেছিল তা নাও হতে পারে সেফটির জন্য হয়ত আরো কপি করেছিল কটা দিন স্পেশাল ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চকে একটু সাবধানে থাকতে বলবেন—চারিদিকে নজর রাখতে বলবেন। আচ্ছা আজ আমি তাহলে উঠি।
প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন না?
আমার সশ্রদ্ধ নমস্কার তাঁকে জানাবেন—আজই সন্ধ্যার প্লেনে আমাকে ফিরে যেতে হবে কলকাতা।
আজই যাবেন?
হ্যাঁ।
টিকিট পেয়েছেন?
পাওয়া গিয়েছে বোধ হয়। আচ্ছা উঠি, নমস্কার।
কিরীটী রামস্বামীর ঘর থেকে বের হয়ে গেল।