.
শেষ পর্যন্ত অবিশ্যি মৃদুলাই স্বীকৃতি দিলেন আদালতে।
সে স্বীকৃতি যেমন করুণ তেমনি মর্মস্পর্শী।
প্রথম যৌবনে একদা মৃদুলা ভালোবেসেছিল ভুজঙ্গ ডাক্তারকে। কিন্তু অর্থপিশাচ ভুজঙ্গর মনে আর যাই থাক, নারীর প্রতি কোন দুর্বলতা কোনোদিনই ছিল না। অথচ সে বুঝতে পেরেছিল অসাধারণ বুদ্ধিমতী মৃদুলাকে হাতের মুঠোর মধ্যে রাখতে পারলে সে ভবিষ্যতে অনেক কাজ কুরতে পারবে, তাই সে কৌশল করে পঙ্গু ভাই ত্রিভঙ্গের সঙ্গে গরিবের মেয়ে মৃদুলার বিয়ে দিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে আসে, তার অর্থাৎ মৃদুলার অনিচ্ছা সত্ত্বেও।
আর তার পর থেকেই মৃদুলার সেই প্রেমের সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন যন্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে ভুজঙ্গ ডাক্তার হতভাগিনী মৃদুলাকে।
ভুজঙ্গের প্রতি ভালবাসা ছাড়াও, কিছুটা অবিশ্যি বিকৃত মনোবৃত্তি ছিল মৃদুলারও। তা হলে তাকে দিকে সব কাজ হয়তো ভুজঙ্গ ডাক্তারেরও করা অসাধ্য হত।
এবং শেষ পর্যন্ত মিত্রা সেন অশোক রায়কে ভাল না বাসলেও হয়তো ব্যাপারটার পরিসমাপ্তি ঐভাবে অত দ্রুত ঘটত কিনা সন্দেহ।
ডাঃ ভুজঙ্গ চৌধুরীই রাত্রে ছদ্মবেশে বৈকালী সঙ্ঘে গিয়ে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসত।
সে কথাও জানা গেল মৃদুলার জবানবন্দি থেকেই।
মৃদুলা পূর্ব হতেই উপস্থিত ছিল সেরাত্রে বৈকালী সঙ্ঘে এবং শশী হাজরা যেটা তার জবানবন্দিতে গোপন করে গিয়েছিল, পরে তাও স্বীকার করে। মৃদুলাই অতর্কিতে তীব্র ক্রিয়ার বিষ মিত্রার দেহে ইনজেক্ট করেছিল ভুজঙ্গের পূর্ব পরামর্শমত।