রিয়ালি ইট ইজ অ্যান আইরনি অফ ফেট! মৃদুকণ্ঠে আমি বলি।
.
কিরীটীর অনুমানটা যে মিথ্যা নয়, সেটা ঐদিনই রাত্রে জানা গেল।
আমরা সকলে গিয়ে একসঙ্গে হানা দিলাম সী-সাইড হোটেলে।
রামানুজকে পুলিস দিয়ে থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিরীটীর পরামর্শে আগেই।
রেণুকা একটা চেয়ারে বসে হিসাব কষছিল আর হরডন একটা কান্ট্রি লিকারের বোতল নিয়ে মদ্যপান করছিল।
আমাদের দেখে ওরা অবাক!
কি ব্যাপার? এত রাত্রে মহান্তি সাহেব? রেণুকাই প্রশ্ন করে।
শুনে নিশ্চয়ই খুশি হবেন, কালী সরকারের হত্যাকারী ধরা পড়েছে মিসেস বিশ্বাস!
ধরা পড়েছে?
হ্যাঁ।
কে—কে? প্রশ্ন করে হরডন বিশ্বাস।
কালী সরকারের ছেলেই—
কি বললেন-কালী সরকারের ছেলে। সে তো বিয়েই করেনি। হরডন বলে।
সেটা অবিশ্যি সঠিক বলতে পারবেন কালীর ছেলের গর্ভধারিণী। রেণুকার দিকে বাঁকা দৃষ্টিতে তাকিয়ে কথাটা বলে কিরীটী।
কালীর ছেলের গর্ভধারিণী—but who-কে?
রেণুকা–আপনার স্ত্রী।
What! চিৎকার করে ওঠে হরডন বিশ্বাস।
সত্যি কি মিথ্যা ওঁকেই জিজ্ঞাসা করুন না মিঃ বিশ্বাস।
সত্যি? বাঘের মত ঘুরে দাঁড়ায় হরডন রেণুকার দিকে–দুচোখে অগ্নিঝরা দৃষ্টি।
রেণুকা স্থির, বোবাযেন পাথর।
চুপ করে আছিস কেন হারামজাদী, বল–জবাব দে?
রেণুকা তথাপি নিপ।
হঠাৎ হরডন বাঘের মতই ঝাঁপিয়ে পড়ল রেণুকার উপরে-কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে একটা আর্ত চিৎকার করে নেতিয়ে পড়ল।
রেণুকা বিশ্বাস ছুরি বসিয়ে দিয়েছে হরডনের পেটে।
রক্তাক্ত ভূলুণ্ঠিত হরডনের দেহটার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ খিলখিল করে হেসে উঠল রেণুকা।