এবং শেষ পর্যন্ত লোকে হয়তো বা ব্যবহার করবে একমাত্র চলন্তিকা!
আমি মোর কেটে আশা করতে পারি আমার দেশেবিদেশে হয়তো-বা লোকে পড়বে।
তবে East bengal এখনও খানিকটে পদে আছে। সেখানে আরও বেশ কিছুকাল অন্তত গড্ডলিকা, কজ্জলী পড়বে। কিন্তু তোক এখনও তার পরের লেখাগুলো পড়ে, যদিও বহু বিষয় typically হিন্দু problems বলে তার perspective পায় না।
Shakespearean dramatist-রা India-তে show দেখিয়ে বলেছিল, এখানে বিলেতের চেয়েও আদর পেলুম। সেটা ইংরেজির বেলা। সেটাও লোপ পাচ্ছে। রাজশেখর কলকাতার চেয়ে বেশি খাতির পাবেন ঢাকায়।
আরও কত কী বলার আছে। প্রচুর, এন্তের, কিন্তু আমার ইতিমধ্যেই প্রাণবায়ু নিঃশেষ।
অত্যন্ত জরুরি চিঠি যেমন ফিরোজের ভিসা renewal, আমার royalty-র reminder বিবিকে ফিরোজের নিতে আসার জন্য এদেশে আসার programme ঠিক করে দেওয়া, in the light of পুজোর liquid timing, সেপ্টেম্বর না অক্টোবর কোনও correspondence-ই করতে পারছি না।
.
(১৬)
শান্তিনিকেতন,
১৫।১১ কালীপূজা
ভদ্র,
চিত্ত চুলবুল করছে (পরশুরাম পশ্য!) যে আমি বৃদ্ধ, তায় মফস্বলের লোক, — তুমি চ্যাংড়া, অপটুডেট শহুরে তুমি কি না জানতে চাইলে, আমার কাছে, কালো বপইন্ট কোথায় পাওয়া যায়!!!
গত বছর যখন জর্মনি যাই তখন আমার এক প্রাচীন দিনের বান্ধবী– তাঁর বয়স ৫৬ আমাকে একটি বল্পইন্ট কলম দেন। চার রঙের কালি। এবং মেকানিজমটি এমনই চমৎকার যে একটা movement-এই রঙবদলাবদলি হয়। যেমন নীল দিয়ে লিখেছিলে লালের দরকার হল, সেটা underline করার জন্য– অমনি লালে পুশ করলে; সঙ্গে সঙ্গে নীল সুরুত করে উপরে চলে গেল এবং সঙ্গে সঙ্গে লাল বেরিয়ে এল!! –কিন্তু বিধি বাম, এদেশের শুকনো গরমেই হোক, বা অন্য যে কোনও কারণেই হোক, সবুজ বাদে তিনটি রঙই গেল শুকিয়ে। বান্ধবীকে বাধ্য হয়ে জানাতে হল, নইলে তিনি ভাববেন, আমি কোনও চিংড়িকে Present করে বসে আছি। বান্ধবী refill পাঠালেন এবং আমার কী বরাত– খামে ছিল কিন্তু পোস্টপিস সিল মেরে জখম করতে পারেনি, জর্মন ভাষার হিজিবিজি Customs বুঝতে না পেরে চারডবল মাশুলও চায়নি!!
স্টেটসমেনে বিজ্ঞাপনে দেখেছিলুম মাস দুই আগে যে কলকাতায় জর্মন বপইন্ট এসেছে। খুব সম্ভব Canning Street– মুর্গিহাটা? –না কোথায় যেন। কিন্তু alas! ঠিকানাটা লিখে রাখিনি। এখন কী করি, কও। তদুপরি এ refill এদেশে যে standard ball point বিক্রি হয় তাতে fit করে না।
স্ট্যাম্পের প্রতীক্ষায় রইলুম বড়দিনের পরে হলেও চলবে।
তুমি কি ভেবেছিলে আমি চারটে কলম নিয়ে লিখতে বসেছিলুম! হা ধৰ্ম! ভালোবাসা জেনো। আর জান, কালো রঙটাই চারটের সর্বোত্তম।
—আ
.
(১৭)
শান্তিনিকেতন,
২৭।১২।৬৩
স্নেহাস্পদেষু,
এখনও কি বড়দিন? আমার দিন তো কেটে গিয়ে হোট হয়ে গেছে। এখন আর ফুর্তি নয়–শান্তি। সোম রস এখন মঙ্গল লোকে।
তোমার পরীক্ষা কী রকম গেল? প্রায়ই সে কথা ভেবেছি। লিখি লিখি করে লিখে উঠতে পারিনি।
পরে সবিস্তর–
—আ
1) তুমি লিখলে, তোমার কালিটা (ball-point-এর) দিশি। এ-দেশে ও-মাল হচ্ছে কি? আমার মনে হয়, তোমার কালির (কালো) shade-টা lighter. Else it is same staff.
2) এর কালি বন্ধ হলে সেটাকে পুনরায় flow করবার কোনও কল জান কি? স্টাম্প একসঙ্গে এবমণ পাঠাবে? কিস্তিতে ২ কি দোষ?
মদ্যবাদে X’mas হয় না। সেটা ছেড়েছি সেপ্টেম্বর finally.
.
(১৮)
১৭।৬।৬৪
ভদ্র,
তুমি যে আমার ওপর অপ্রসন্ন সেটা জলবত্তরলং।* কিন্তু কারণটা হয় অতিশয় সুল, নয় আমার বুদ্ধি স্থূল– অথবা উভয়ই।
এবারে মরা ১০৫ ডিগ্রী থেকে ১১৫ ডিগ্রীর কী গেণ্ডেরিই না খেললুম। মাত্র পরশুদিন থেকে খেলা বন্ধ–মন্তিকার্লোতে যে রকম বলে rienne va plus, আমি রোজই ভাবতুম, এমন মারাত্মক গরমও আকাশ একটুখানি ঘামে না কেন?
রাজশাহী যাইনি। ফিরোজ গেছে। ১ জুলাই নাগাদ ফিরবে। এইবারে শান্তিনিকেতনে তার Sunday best পরবে। তুমি একবার এসো না।
আমি মাস কয়েক খুব ভুগলুম। অন্দ্রিা। এখন আগের চেয়ে ভালো।
আশা করি কুশলে আছ।
—আঃ
[*বোধহয় অনেকদিন চিঠি লিখিনি বলে।]
.
(১৯)
4, Andrews Palli,
৪ দীনবন্ধু পল্লী,
ঠিকানায় লিখতে হবে না–
যদি কখনও আসো তার জন্য;
৩০।৬।৬৪
ভদ্র,
অপরাধ নিয়ো না। আমি গত পুজো থেকে অসুস্থ। ফলে আমি এখানে নানাবিধ পুস্তক, ডাইরি ইত্যাদির মধ্যিখানে বিরাজ করতুম সেটা ত্যাগ করে বিছানায় আশ্রয় নিয়েছি ও রাধাকৃষ্ণের (কৃষ্ণণের) উপদেশমতো তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করছি– অর্থাৎ গোটা চারেক বালিশে ভর করে সামান্যতম লেখাপড়া করি। তাই ডাইরিটি কাছে ছিল না বলে তোমার জন্মদিন– alas!–miss করি।
তোমার দু খানা খামই পেয়েছি। ফিরোজ ফিরে এলে তাকে দেব। সে দমদমায় নামছে। ৫।৭।৬৪ সকালের দিকে। Her Majestys Service থেকে কট্টর-কঠিন ফরমান এসেছে, আমি কলকাতা গিয়ে যেন তাকে ইস্তিল (receive) করি। অতএব আমি তিন কিংবা চার কলকাতায়। তুমি চারের সাঁঝে (কিংবা তিনের) যদি ফোন কর, নিরালা, Tel 473419 or/and 26/1 Dover Rd, Tel 475969 (দুটো বাড়িই কাছাকাছি) তবে খবর পাবে। ইস্কুল খুলছে ২৭৬৪ অতএব ফিরোজকে নিয়ে ৫৭/৬৪ই রওনা হতে হবে।